• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
১০ টাকা লিটার দুধ বিক্রি করে ভোক্তা অধিকারের সম্মাননা পেলেন এরশাদ
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের নিয়ামতপুরের ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী এরশাদ উদ্দিন গত চার বছর থেকে প্রতি রমজানে ১০ টাকা লিটার গরুর দুধ বিক্রি করায় ভোক্তা অধিকারের সম্মাননা পেয়েছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।  জানা গেছে, গত চার বছর আগে এরশাদ উদ্দিন নিজ এলাকায় জে সি অ্যাগ্রো ফার্ম নামে একটি খামার গড়ে তোলেন। তার খামারে বর্তমানে ২৫টি গরু দুধ দিচ্ছে। প্রতিদিন খামার থেকে ৭০-৭৫ কেজি দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। গত চার বছর থেকে প্রতি রমজান মাসে সাধারণ মানুষের পুষ্টি চাহিদার কথা মাথায় রেখে নামমাত্র মূল্য ১০ টাকা কেজি ধরে দুধ বিক্রি করে আসছেন তিনি। রমজানের প্রথম দিন থেকেই প্রতিদিন বেলা ১১টায় খামার থেকে উৎপাদিত দুধ বিক্রি করা হয়। যেখানে নিজ এলাকা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিম্ন আয়ের মানুষজন দুধ নিতে আসেন। সাধারণত বাজারে প্রতি লিটার দুধ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। যে কেউ তার খামার থেকে মাত্র ১০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ১ লিটার দুধ কিনতে পারবেন। এরশাদ উদ্দিন বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত বেস্ট প্র্যাকটিসের জন্য আমাকে সম্মাননা দেওয়ায় আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে আমার দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসার গল্প। আমি খুব দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছি। আমি মুসলিম আমাকে মরতে হবে। কোনো স্বীকৃতি বা সম্মাননার প্রত্যাশায় আমি এই উদ্যোগ নিইনি। আমি সবসময় চেষ্টা করি গরিব অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য। ভালো কাজ করার জন্য যদি রাষ্ট্র বা সমাজ থেকে স্বীকৃতি পাওয়া যায় তাহলে সেটি আরও ভালো কাজ করার আগ্রহ বেড়ে যাবে। আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গা থেকে যদি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করি, তাহলে দেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেত পারব। তিনি বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আমাকে বেস্ট প্র্যাকটিস সম্মাননা প্রদান করেছে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভোক্তা অধিকারের সকলের প্রতি। এই সম্মাননা আমাকে পরবর্তী দিনে আরও ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতি, তারা আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের কাজগুলো দেশের মানুষের সামনের তুলে ধরেছেন। আমি আরও মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে আমার তৃপ্তি লাগে।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এরশাদ উদ্দিন কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর রৌহা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেসি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৫

‘জয়া আলোকিত নারী’ সম্মাননা পেলেন ৮ মহীয়সী
বর্ণাঢ্য আয়োজনে দশম বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘আরটিভি জয়া আলোকিত নারী সম্মাননা ২০২৪’। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সমাজের বিভিন্ন শাখায় যেসব মহীয়সী নারী দীর্ঘদিন ধরে সফলতার সঙ্গে সেবা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের মধ্য থেকে ৮ জন মহীয়সী নারীর হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা পদক। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- নারী মুক্তিযোদ্ধা রওশন জাহান সাথী, সংগীত ব্যক্তিত্ব চন্দনা মজুমদার, শিল্প ও সাহিত্যে জান্নাতুল ফেরদৌস, নারী উদ্যোক্তা নাজমুন নাহার রীনা, অনুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা, চ্যালেঞ্জিং পেশায়ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সমাজসেবায় আলেয়া বেগম, ইনফ্লুয়েন্সার মুনজারিন শহীদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘নারীর জাগরণ, ক্ষমতায়ন ও কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে বর্তমান সরকার ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আরটিভির এই আয়োজন সেই ধারাবাহিকতাকে আরও বেগবান করবে। সমাজের সর্বস্তর থেকে এভাবে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি আসতে থাকলে তার সুফল পরিবার ও সমাজই সবার আগে পাবে।’ তিনি বলেন, ‘নারী জয়ী হলে জয়ী হবে সবাই’। অনেকেই বলেন কী দরকার একটা দিন কেনো নারী দিবস হিসেবে পালন করতে হবে। আসলে প্রতিদিনই নারী-পুরুষ দিবস। কিন্তু যদি আমরা একটি বিশেষ দিনে নারীর আবদান, নারীর ত্যাগ, নারীর শক্তি, নারীর সাহস, নারীর প্রতি বৈষম্য, নারীর জন্য যে দেয়াল সামাজিক, পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে যদি কথা বলতে পারি সে জন্য একদিন দরকার হয়। ৮ মার্চ সেই দিন।  দীপু মনি আরও বলেন, এই বিশেষ দিনে একজন নারীকে স্মরণ করতে চাই। তিনি বাংলাদেশে নারীকে এগিয়ে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা দূর করার চেষ্টা করছেন নিরলসভাবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব হুমায়ুন কবির বাবলু বলেন, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় দিবসটি পালন করছে বিভিন্ন সংগঠন ও মিডিয়া। বিশেষভাবে এই দিনটিকে উদযাপন করা হয় নারীর প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদনের গুরুত্বকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য। আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে যথাযথ শ্রদ্ধা ও গুরুত্বের সঙ্গে পালনে আরটিভিও পিছিয়ে নেই। নারী দিবসে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমনই একটি দেশ যেখানে প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, আমাদের প্রধান অতিথিও (দীপু মনি) একজন নারী। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে সব ক্ষেত্রে নারীর অবদান অতুলনীয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে, কৃষি ক্ষেত্রে, শিল্প-কারখানা সব জায়গায় নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। তারপরেও কিছু জায়গায় নারীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির ও সাইবারবুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। এসব বিষয়ে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, আরটিভি মনে করে, যে সকল নারীর অবদান সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তাদেরকে যথাযোগ্য মর্যাদায় তুলে ধরা আমাদের কর্তব্য। যাতে করে তাদের সফলতা দেখে সমাজের অন্যরা ভালো কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়। আরটিভি শ্রদ্ধা নিবেদন করছে পৃথিবীর সকল মহীয়সী নারীকে। এ সময় তিনি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী আমিরুল হক, এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সায়েফ নাসির, এসএমসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিম উদ্দিন খান, জয়া স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, আরটিভির ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।   অনুষ্ঠানে কবিরুল ইসলাম রতনের কোরিওগ্রাফিতে চিত্রনায়িকা তমা মীর্জা ও আসাদ খানের কোরিওগ্রাফিতে চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন। কণ্ঠশিল্পী কণা ও মেহরাবের কণ্ঠে ছিল একটি দ্বৈত সংগীত। বুলবুল টুম্পার কোরিওগ্রাফিতে ছিল ৮ জন বিশিষ্ট নারী সাহিত্যিকের ওপর ক্যারেক্টারকিউ। অনুষ্ঠানে অতিথিরা মনোনীতদের হাতে পদক তুলে দেন। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন শ্রাবণ্য তৌহিদা ও ইমতু রাতিশ। 
০৮ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৮

জাতির পিতাও চাইতেন নারীরা এগিয়ে থাকুক : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সবসময় চাইতেন নারীরা এগিয়ে থাকুক। নারীদের যাতে শিক্ষা খাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা না হয়, তাই তিনি নারী শিক্ষাকে অবৈতনিক ঘোষণা দেন।   শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে যখন আমি ক্ষমতায় আসি তখন দেখলাম উচ্চ আদালতে কোনো নারী বিচারপতি নেই। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে উচ্চ আদালতে নারী বিচারক নিয়োগ দেয়। শেখ হাসিনা বলেন, নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তিটাই বড়। নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। এজন্য সরকারি উচ্চপদে নারীদের ‍সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, জাতির পিতা নারীদের প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ঘোষণা করেছিলেন। যার প্রেক্ষিতে নারীরা আজ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে সব যায়গায় নারীরা দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এর আগে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ৫ নারীকে জয়িতা সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা পাওয়া পাঁচ জয়িতা হলেন- ময়মনসিংহের আনার কলি, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, সিলেটের চা শ্রমিক কমলী রবিদাশ, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া। প্রত্যেক জয়িতাকে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:০২

পাঁচ নারী পেলেন জয়িতা সম্মাননা
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জাতীয় পর্যায়ে পাঁচ সংগ্রামী নারীকে জয়িতা পুরস্কার প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা পদক, এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবার (৮ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল ১০টায় আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। সম্মাননা পেয়েছেন তারা হলেন- ময়মনসিংহের আনার কলি, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, সিলেটের চা-শ্রমিক কমলী রবিদাশ, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া।  ‘অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী’ ক্ষেত্রে ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ময়মনসিংহ জেলার সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী আনার কলি, ‘শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী’ ক্ষেত্রে ওরাও সম্প্রদায়ের জয়িতা রাজশাহী বিভাগ থেকে রাজশাহী জেলার কল্যাণী মিনজি, ‘সফল জননী নারী’ ক্ষেত্রে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলী রবিদাশ সম্মাননা পেয়েছেন। এ ছাড়া ‘নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে সাফল্য অর্জনকারী’ ক্যাটাগরিতে বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার জাহানারা বেগম এবং ‘সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখেছেন যে নারী’ ক্ষেত্রে খুলনা জেলার পাখি দত্ত (হিজড়া) জয়িতা সম্মাননা পেয়েছেন। এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

নারী দিবসে সম্মাননা পাচ্ছেন পাঁচ জয়িতা
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানে শ্রেষ্ঠ ৫ জন জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হবে। পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতার প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সনদ দেওয়া হবে।  বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে নারী দিবস নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নারী সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী অধিকার রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা সৃষ্টির জন্য দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা ও নেতৃত্বে দেশে নারীর ক্ষমতায়নের শুরু হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থান সকল ক্ষেত্রে নারীরা আজ সফল হয়েছে। নারীরা দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যে কারণে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৫৯তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে। ‘অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী’ ক্ষেত্রে ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ময়মনসিংহ জেলার সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী আনার কলি, ‘শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী’ ক্ষেত্রে ওরাও সম্প্রদায়ের জয়িতা রাজশাহী বিভাগ থেকে রাজশাহী জেলার কল্যাণী মিনজি, ‘সফল জননী নারী’ ক্ষেত্রে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলী রবিদাশ সম্মাননা পাচ্ছেন। এছাড়া ‘নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে সাফল্য অর্জনকারী’ ক্যাটাগরিতে বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার জাহানারা বেগম এবং ‘সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখেছেন যে নারী’ ক্ষেত্রে খুলনা জেলার পাখি দত্ত (হিজড়া) সম্মাননা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সিমিন হোসেন। কমলী রবিদাশ মাত্র ১৮ টাকা দিন মজুরিতে চা শ্রমিক হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তার একজন ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেন। বর্তমানে তার ছেলে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। ১২/১৩ বছর বয়সে বিয়ে হওয়া, যৌতুকের টাকা দিতে না পারার ফলে নিজ স্বামী কর্তৃক অ্যাসিডে দগ্ধ হয়ে পুনরায় জীবনে সাবলম্বী জয়িতা জাহানারা বেগম। পাখি দত্ত হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার, জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নারী সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী অধিকার রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা সৃষ্টির জন্য দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা ও নেতৃত্বে দেশে নারীর ক্ষমতায়নের শুরু হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থান সকল ক্ষেত্রে নারীর আজ সফল হয়েছে। নারীরা দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। এ সময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান ও তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৫

আজীবন সম্মাননা পেলেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা
রাজধানীর সীমান্ত সম্ভারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সোনার বাংলা গ্রীন সিটি সাকসেস অ্যাওয়ার্ড-২০২৪। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আয়োজনটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন উর রশিদ (বীর বিক্রম)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অর্থ সচিব পীরজাদা শহিদুল আলম ও অতিরিক্ত জনপ্রশাসন সচিব জনাব আল আমীন। অনুষ্ঠানে বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অঞ্জনাকে। এ সময় উপস্থিত দর্শকরা দাঁড়িয়ে সম্মান জানান এ গুণী অভিনেত্রীকে। জানা যায়, জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীর অভিনয় যাত্রা শুরু হয় ‘দস্যু বনহুর’ সিনেমার মাধ্যমে। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করে গেছেন তিনি। অঞ্জনা রহমান থেকে শুধু অঞ্জনা নামেই পরিচিতি পান ঢাকাই ছবির এই নায়িকা। ১৯৯২ সালের পর থেকে সিনেমায় অনিয়মিত হয়ে যান তিনি। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় অঞ্জনার সর্বশেষ ছবি ‘ভুল’। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন এ গুণী অভিনেত্রী। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ঢাকা সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত এ আয়োজনে আরও সম্মাননা পেয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও চিত্রনায়িকা শাহনূর। অশ্রুসিক্ত চোখে অঞ্জনা বলেন, আজীবন সম্মাননা পাওয়া মানে বয়স শেষ হয়ে যাওয়া নয়। এ গুণী অভিনেত্রী আরও জানান, তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন চলচ্চিত্র আসবে। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, প্রতিটি পদকই আনন্দের। পুরস্কার নেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ অভিনেত্রী আরও জানান, মানসিকভাবে অনেকটাই অসুস্থ তিনি।  এ দিন ব্যবসায়িক অবদানের জন্য সাকসেস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় ইউরো বাংলা বিল্ডার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও ফাতেমা আক্তার আখিকে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৫

সম্মাননা পাচ্ছেন ৮ অভিনেত্রী
সময়টা ২০২০ সাল, অভিনেতা সায়েম সামাদের হাত ধরে ‘কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটার’-এর যাত্রা শুরু হয়। ২০২২ সাল থেকে সায়েম সামাদের উদ্যোগেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মূলত থিয়েটারের সঙ্গে সম্পৃক্ত অভিনেত্রীদের সম্মাননা দিয়ে আসছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও সায়েম সামাদের উদ্যোগে বিভিন্ন নাট্যদলের অভিনয়শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। মঞ্চের দাপুটে অভিনেত্রী, যিনি ‘লাল জমিন’ নাটক করে সারা দেশে ভীষণ সাড়া ফেলেছেন সেই নন্দিত অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী, নাটক ও সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজী সেলিম, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ও নির্দেশক নাজনীন হাসান চুমকি এবং গুণী অভিনেত্রী তনিমা হামিদ কাঁচখেলা নাট্য সম্মাননায় ভূষিত হতে যাচ্ছেন। আরও চারজন অভিনয়শিল্পী একই সম্মাননায় ভূষিত হতে যাচ্ছেন। তারা হলেন জুয়েনা শবনম, শামসি আরা সায়েকা, হাসিনা সাফিনা বানু উর্মি ও সৈয়দা নওশীন ইসলাম দিশা। কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটারের প্রধান নির্বাহী সায়েম সামাদ বলেন, সকল ক্ষেত্রে নারীর অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের মঞ্চনাটকে নারীর মেধা ও শ্রমের মূল্যায়ন যথাযথভাবে হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় নারীকে থিয়েটারে সম্পৃক্ত হতে সাধনা চালিয়ে যেতে অনেক বেশি পরিশ্রম ও প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়তে হয়। নারীর মঞ্চ সাধনাকে মূল্যায়িত করতে প্রতিবছর বিগত তিন বছর যাবত এই আয়োজন করছি। সবার সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু উপহার দেওয়ার ইচ্ছে আছে। আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই প্রত্যেক নারী শিল্পীকে যারা এই সম্মাননা গ্রহণ করার জন্য সম্মতি দিয়েছেন। কারণ তাদের কারণেই আলোকিত হবে এই অনুষ্ঠান। জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজী সেলিম সম্মাননা নিয়ে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘প্রতিবছর মঞ্চনাটকের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর মেধার মূল্যায়নে কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটার এই সম্মাননা প্রদান করছে। আমি মনে করি, নারীর মেধার মূল্যায়নের মাধ্যমে মঞ্চনাটক নারীর অংশগ্রহণে আরও সমৃদ্ধ হবে।’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ও নির্দেশক নাজনীন হাসান চুমকি বলেন, প্রতিবছর মঞ্চনাটকে নারীর অবদানকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটার অনন্য সামাজিক ভূমিকা রেখেছে। এ সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে মঞ্চনাটক নারীর অংশগ্রহণে আরও সমৃদ্ধ হবে। আগামী ৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মহিলা সমিতি মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী নারী শিল্পীদের হাতে সম্মাননা প্রদান করবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তারানা হালিম এমপিসহ বেশ কয়েকজন। আগামী ৮ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ডলি জহুর। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় মহিলা সমিতি মিলনায়তনে থাকছে মঞ্চনাটকের প্রদর্শনী। আগামী ৮ মার্চ মঞ্চস্থ হবে থিয়েটার ফ্যাক্টরির নাটক ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’, ৯ মার্চ প্রাচ্যনাটের ‘আগুনযাত্রা’ এবং ১০ মার্চ অনুস্বরের ‘হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা’।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৬

এবার ১০০ হাউজ অব ডেলিগেটসের সম্মাননা পেল ডব্লিউইউএসটি
গত বছরের জানুয়ারিতে ৪০ জন সিনেটরের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি পাবার পর এবার জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে ভার্জিনিয়ার ১০০ জন হাউজ অব ডেলিগেটস বিশেষ সম্মাননা জানালো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ডব্লিউইউএসটিকে।  গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট সেভেনের ডেলিগেটস ডেমোক্রেট দলের ক্যারেন কিইস গামাররা তার উপস্থাপনায় তুলে ধরেন এই বিশ্ববিদ্যালের কথা। জানান, চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের নেতৃত্বে অসাধারণ গতিতে এগিয়ে চলছে ডব্লিউইউএসটি। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার বিস্তার এবং ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগানিয়া অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডেলিগেটস ক্যারেন কিইস গামাররা। তার উপস্থাপনা শেষ হতেই স্পিকার ডন স্কটের নেতৃত্বে ১০০ জন ডেলিগেটস ও গ্যালারিতে উপস্থিত অতিথিরা তুমুল করতালির মাধ্যমে সম্মননা জানান ডব্লিউইউএসটির প্রতিনিধি দলকে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএফও ফারহানা হানিপ, আবুবকর হানিপ ও ফারহানা হানিপের জৈষ্ঠ্য কন্যা সাইবার সিকিউরিটির শিক্ষার্থী নাফিসা নওশিন, বিজনেস অব স্কুলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক রবিনসন, স্কুল অব বিজনেস ফ্যাকাল্টি প্রফেসর সালমান ইলবাদর, জেনারেল এডুকেশন অ্যান্ড সেন্টার ফর স্টুডেন্ট সাকসেস এর অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর ড. হুয়ান লি, মার্কেটিং ডিরেক্টর হোসে উর্তেগা, স্টুডেন্ট সাকসেস ও ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার রিচেল রোজ, ক্যারিয়ার সার্ভিস ও আইটি ম্যানেজার আমিত গুপ্তা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সেলিন ইগিত এবং ইনফরমেশন টেকনলজির মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো: নাঈম হাসান।  ডব্লিউইউএসটির উচ্চ শিক্ষা বিস্তার ও এগিয়ে চলার কথা অবগত আছেন ভার্জিনিয়ার ৪৮তম অ্যাটর্নি জেনারেল জেসন মিয়ারেস। তাই নিজের ব্যস্ত সময় থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের জন্য সময় তুলে রেখেছিলেন আলাদা করে। দুপুর আড়াইটায় কমনওয়েলথ অব ভার্জিনিয়ার বারবারা জনস বিল্ডিংয়ে নিজ দপ্তরে ডব্লিউএসটি টিমকে আমন্ত্রণ জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরে উৎসাহ প্রদান করেন এবং ধন্যবাদ জানান তিনি। এ সময় রিপাবলিকান দলের এই অ্যাটর্নি জেনারেলের হাতে একটি স্বারক তুলে দেয় ডব্লিউইউএসটির প্রতিনিধি দল। পরে ফটোসেশনের মাধ্যমে শেষ হয় এই বৈঠক।  এদিকে এশিয়ান কমিউনিটি নিয়ে বহু বছর ধরে সফলতার সঙ্গে ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে কাজ করে আসছে এমন চারটি সংগঠনের আয়োজনে একটি মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠান ছিল সন্ধ্যায়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভার্জিনিয়ার ৭৪তম গভর্নর রিপাবলিকান দলের গ্লেন ইয়ংকিন। সেইসঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন সিনেটর ও হাউজ অব ডেলিগেটস। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ১৩ সদস্যের দলটিও আমন্ত্রিত ছিলো বিশেষভাবে। ভার্জিনিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কথা উঠে আসে গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিনের বক্তৃতায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন নতুন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে কীভাবে দারুণ ভূমিকা রাখছে সেসব উঠে আসে তার কথায়।  গভর্নরের কথা ধরে উদাহরণ হিসেবে ডব্লিউইউএসটির সফলতার কথা উঠে আসে ডিস্ট্রিক সেভেনের ডেলিগেটস ক্যারেন কিইসের কথায়।  ডব্লিউইউএসটির কার্যক্রম নিয়ে অবগত আছেন জানিয়ে নিজের স্টেটে শিক্ষা সেবায় অসাধারণ ভূমিকা রাখায় ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ককে সাধুবাদ জানান গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন। সাদরে গ্রহণ করেন ডব্লিউইএসটির স্বারক। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা কামনা করেন গভর্নর। ডিনারের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আয়োজন। তবে এমন সম্মাননা পাবার দিনটিকে সঠিক পথে চলার স্বীকৃতি হিসেবে ধরে নিয়ে নতুন উদ্যমে পথচলার উৎসাহ উদ্দীপনা হিসেবে নিয়ে রিচমন্ড থেকে ভার্জিনিয়ায় ফিরে আসে ডব্লিউইএসটি টিম।  ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতিতে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। ঘটেছে দ্রুত প্রসার, শিক্ষার্থীদের কাছে হয়ে ওঠে জনপ্রিয়। তিন বছরের ব্যবধানে মাত্র ৩০০ থেকে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০০।  এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে লেখাপড়া করছে বিশ্বের ১২১ দেশের শিক্ষার্থী। আর এ সবকিছুর বিবেচনায় জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে টানা দ্বিতীয় বছরে মিলেছে এমন সম্মাননা।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ০০:২৩

ময়মনসিংহে মানব কল্যাণ ফোরামের সম্মাননা পেলেন ৮০ জন 
সমাজসেবামূলক কাজ করার জন্য ময়মনসিংহে ৮০ জন তরুণ-তরুণীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। তারা সবাই সেবামূলক কাজের সঙ্গে  জড়িত। শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহের মুসলিম ইনস্টিটিউটের হল রুমে সেবামূলক সংগঠন মানব কল্যাণ ফোরামের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই সম্মাননার আয়োজন করা হয়। মানব কল‍্যাণ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম জুবায়ের আহমেদের সভাপতিত্বে ও আফরোজ খান মডেল স্কুলের সহকারী শিক্ষক এস এম রায়হানের সঞ্চালনায় বিশিষ্টজনদের অংশগ্রহণে সমাজ, শিক্ষা, চিকিৎসা ও মানবিক কর্মকাণ্ডে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।   বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. ইকরাম এলাহী খান (সাজ), নাসিরাবাদ কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এ টি এম শফিকুল ইসলাম, প্রভাষক জান্নাত সুলতান, সাংবাদিক মো. আমান উল্লাহ আকন্দ জাহাঙ্গীর, তরুণ কবি আফজাল আইয়ুবী।  
০১ মার্চ ২০২৪, ২২:১৪

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে সম্মাননা জানাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় 
ভারতের মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’-তে ভূষিত হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃ কলেজ ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন সংক্রান্ত কমিটির সদস্য রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে সংবর্ধনা দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সিনেট হলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। সকাল সাড়ে ১১টায় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা পৌঁছলে প্রথমে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বরণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে গান পরিবেশন করা হয়। এরপর তাকে সিনেট হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপাচার্য। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পথচলা। আজকে আমাকে যে সম্মাননার জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হলো সেজন্য আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। একটি আন্তরিক পরিবেশে আয়োজনটি করা হয়েছে। এর প্রতি মুহূর্তে মনে হয়েছে আপনারা আমাকে ভালোবাসা দিতে চেয়েছেন। আমি মনে করি, যে সম্মাননাটা দেওয়া হয়েছে সেটি আমি একটা উপলক্ষ। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যে সম্পর্ক সেটি অনেক পুরানো। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে সেই সম্পর্ক চলমান রয়েছে। সেই বন্ধুত্ব এবং সম্পর্কের নিদর্শন স্বরূপ আমাকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি, এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে। রবীন্দ্রনাথের গানে যে মানবিকতা, ঔদার্য, সৌহার্দ্য, প্রীতি, বন্ধুত্ব- এই সব কিছুর নিদর্শন হিসেবে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে।’ সভাপতির বক্তব্যে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রিয় দেশমাতৃকায় রমনার বটমূলে যখন নববর্ষে সংগীত চর্চা হয় সেখানেও বোমা হামলা হয়েছে। এক সময় সিনেমা হলগুলোতে বোমা হামলা হয়েছে। সব জেলায় সিরিজ বোমা হামলা হয়েছে। বন্যা আপার টিকে থাকার এই সংগ্রাম সব সময় সুশীতল, স্নিগ্ধ, কোমল, শান্তিময় ও প্রতিবাদ মুখর হয়েছে সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে। একজন বন্যা রবীন্দ্রনাথকে কতটা ধারণ করলে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় নেতৃত্ব দিতে পারেন সেটি বলাই বাহুল্য। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা যে সম্মাননা পেয়েছেন তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সুস্থ সংস্কৃতি খুঁজে পাই। মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সম্মাননা অনুপ্রেরণা হয়ে রইবে।’ অনুষ্ঠানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, সুরের ধারা কলেজ অব মিউজিকের অধ্যক্ষ প্রফেসর শফি আহমেদ। অনুষ্ঠান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে নিয়ে সাইটেশন পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান সুরের ধারা কলেজ অব মিউজিক ও সরকারি সংগীত কলেজের শিল্পীবৃন্দ মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কর্মময় জীবন ও পরিচিতি নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়