• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও জলবায়ু নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে চলছে নতুন একটি প্রদর্শনী। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ‘কনটেমপ্লেশন’ শিরোনামে এ দলীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা মানজারেহাসীন মুরাদ, স্থপতি সাইফুল হক, এখন টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক তুষার আবদুল্লাহ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা শবনম ফেরদৌসী। আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ নিয়মিত আয়োজন করে নানা ধরনের প্রদর্শনী। এর মধ্যে আলোকচিত্র প্রদর্শনীও অন্যতম। তবে এবারের প্রদর্শনীটি একটু ভিন্ন ঘরানার। এতে মূলত দলীয় অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ প্রদর্শনীতে ঠাঁই পাচ্ছে প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও শিক্ষক আবীর আবদুল্লাহ পরিচালিত দুটি আলোকচিত্র কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের আলোকচিত্র। কনটেমপ্লেশন মূলত ১৫ জন ফটোগ্রাফারের একটি দলীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী। তারা সবাই স্বনামখ্যাত আলোকচিত্রী আবীর আবদুল্লাহর শিক্ষার্থী। আবীর আবদুল্লাহর কাছে আলোকচিত্রের একটি কোর্স করেছিলেন সবাই। এ ১৫ জনের মোট ১৫০টি ছবি নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে কনটেমপ্লেশন। আলোকচিত্রীরা ছবি তুলেছেন নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, নিজের প্রতিবিম্ব, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও অন্যান্য। পাশাপাশি এসেছে পরিবেশ ও পরিস্থিতি। জলবায়ু পরিস্থিতিকেও তুলে আনা হয়েছে ছবির মাধ্যমে। প্রত্যেক আলোকচিত্রী একটি নির্দিষ্ট বিষয় বেছে নিয়েছেন এবং এর মধ্য দিয়ে নিজের মুনশিয়ানা তুলে ধরেছেন ছবিতে।  ছবির মাধ্যমে বিমূর্ত নানা ভাব প্রকাশের পাশাপাশি চলমান পরিস্থিতিকেও তুলে ধরা হয়। আলোকচিত্রের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য বাস্তবকে মূর্ত করে তোলা। প্রদর্শনীর অনেক ছবিতেই তা থাকছে। আলোকচিত্রীর নিজের মুখের প্রতিবিম্বের পাশাপাশি শ্রমিকের মুখের রেখায়ও ক্যামেরা ধরেছে নানা গল্প। সেসব গল্পই সাজানো থাকবে দেয়ালে। প্রদর্শনীটি চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত লা গ্যালারি উন্মুক্ত থাকবে দর্শকের জন্য।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৬

খাগড়াছড়ির পিছিয়ে পড়া গ্রাম এখন মডেল ভিলেজ
খাগড়াছড়িতে সাঁওতাল সম্প্রদায়কে পিছিয়ে পড়া জাতি থেকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানামুখী সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আধুনিক গ্রাম গঠনে এমন কোনো অংশই বাকি নেই এই গ্রামে। ফলে নতুনত্বে ফিরেছে গ্রাম, পরিচিতি পেয়েছে মডেল ভিলেজ হিসেবে।  বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হলো সাঁওতাল সম্প্রদায়। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর একটি অংশ বসবাস করে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড় সাঁওতাল পাড়া নামক গ্রামেই তাদের বসবাস।  কিছুদিন আগেও যাদের ছিলোনা মাথা গোঁজার ঠাঁই, ছিলোনা পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা, ছিলোনা পান করার মতো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, আজ সেই গ্রাম পরিপূর্ণতা পেয়েছে মডেল ভিলেজ হিসেবে।  কী নেই এই গ্রামে। ৭৮ পরিবারের মাঝে সরকারিভাবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছে ২৭টি পরিবার। এবং জেলা পরিষদ, ইউএনডিপি, রেড ক্রিসেন্ট ও উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এ এলাকার প্রত্যেকটি ঘরে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে স্যানিটারি ল্যাট্রিন। রয়েছে সোলার প্যানেলের সাহায্যে পানি তোলার ব্যবস্থা। যার সংযোগ রয়েছে প্রত্যেকটি বাড়ির আঙ্গিনায়। ২০টি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে গবাদি পশু, রয়েছে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্ক শিক্ষারও ব্যবস্থা আর কাঁচা রাস্তা থেকে এখন পরিপূর্ণ ইট-সোলিং। তাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা ‘সাঁওতালি বর্ণমালা’। গ্রামে রয়েছে পাঠাগার। রয়েছে কৃষিজ জমি, বাড়ির এক কোণে জৈব সার তৈরির অবকাঠামো, রয়েছে মৌ-চাষের সামগ্রী। উপকারভোগী জুনিয়া সাঁওতাল বলেন, একসময় বৃষ্টি এলে রাতে ঘুমাতে পারতাম না, ঘরে বৃষ্টি পড়তো। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে একটি ঘর উপহার দেওয়ায় নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করছি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ।  এলাকার পাঠাগার সম্পাদক আকাশ সাঁওতাল বলেন, উন্নয়ন বোর্ড, ইউএনডিপি, রেড ক্রিসেন্ট, পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদ সহযোগিতা করায় আমরা এখন নির্বিঘ্নে এলাকায় চলাচল করতে পারি। এক সময় অসুস্থ রোগীকে কাঁধে বয়ে নিয়ে যেতে হতো। এখন গাড়ি আমাদের ঘরের সামনে পৌঁছায়। মডেল ভিলেজ সভাপতি মিলন সাঁওতাল বলেন, সরকারসহ বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় এখন আমরা স্বাবলম্বী। আগামীতেও এমন সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আমরা আরও উন্নত জীবনযাপন করতে পারবো।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়