• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অবশেষে নিজেদের গোপন সম্পর্কের কথা ফাঁস করলেন মাহি-জয়
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা মাহিয়া মাহি। বিচ্ছেদের পর সন্তানকে নিয়ে ফুরফুরেই মেজাজে আছেন এই নায়িকা। বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে বেশ সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয় নতুন উদ্যমে কাজেও ফিরেছেন তিনি। এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া শাকিবের ‘রাজকুমার’ ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা পাচ্ছেন। এদিকে ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়ক জয় চোধুরী। ভালোবেসে নায়িকা নীড়কে বিয়ে করেছেন। তাদের ঘরে একটি পুত্রসন্তানও আছে। যদি বিয়ে-সন্তানের বিষয়টি দীর্ঘ আড়ালেই রেখেছিলেন তারা।  জয় চোধুরীর সঙ্গে মাহির প্রায় সময়ই নানান ছবি দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই নায়কের বাসায় অন্য নায়ক-নায়িকাদের সঙ্গে বেশ ফুরুফুরে মেজাজেই আড্ডায় মাততে দেখা যায় মাহিকে। জয়ের সঙ্গে সিনেমা না করেও এতট ভালো সম্পর্ক কীভাবে হলো সেটিই এবার একটি অনুষ্ঠানে এসে ফাঁস করলেন তারা।   মাহি বলেন, অল্প সময়েই জয়ের সঙ্গে আমার বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। ও আমার সঙ্গে কোন সিনেমায় কাজ করেনি। আর আমার সঙ্গে যেই নায়করা কাজ করেন তাদের আমি শত্রু ভাবি। যার কারণে তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ভালো হয় না। জয়ের সঙ্গে আমার ২০১৯ থেকেই ভালো সম্পর্ক কিন্তু গোপন রেখে ছিলাম কারণ যে কোন জিনিস  গোপন রাখলে সেটা সুন্দর থাকে।  এদিকে মাহির সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে জয় বলেন, খোলামেলা বিষয়টা আসলে সবাই ভালভাবে নেন না। গোপন থাকলে বিষয়টার মাঝে একটা পবিত্রতা থাকে। মাহির সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব অল্প দিনের হলেও আমাদের সম্পর্কের মাঝে গভীরতা অনেক।     
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২০

অন্তরঙ্গ সম্পর্কের পর পালিয়েছেন প্রেমিক, অতঃপর....
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক প্রেমিকা। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার তালম ইউনিয়নের সিলেট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী জানান, এই গ্রামের জামাল মুন্সির ছেলে মহিবুল্লাহ সঙ্গে চার বছর আগে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। ওই সময় থেকে মহিবুল্লাহ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। রোববার মহিবুল্লাহ তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। আমি এখন তাকে বিয়ে না করে তার বাড়ি থেকে যাব না। ঘটনা জানাজানি হবার পর মহিবুল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।   এ বিষয়ে তাড়াশ অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জানতে পেরেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৯

ভিন্ন সম্পর্কের ইঙ্গিত দিলেন বুবলী-রাজ
৫৬ সেকেন্ডের এক ঝলক, মুহূর্তেই আলোচনার টেবিলে উঠে এসেছে ‘দেয়ালের দেশ’। কিছু টুকরো দৃশ্য দেখে আঁচ করা যায়, এতে শরিফুল রাজ এমন চরিত্রে আছেন, যিনি মর্গে কাজ করেন। আর শবনম বুবলীর চরিত্রটি এক সাদামাটা তরুণীর। তাদের মধ্যে এক সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কিন্তু সেটা কেমন, আর মর্গের সঙ্গেও বা তাদের কী সংযোগ, সেসব এখনও রহস্য। যা স্পষ্ট হবে পূর্ণাঙ্গ সিনেমায়। শুরু থেকে ঈদের সিনেমার তালিকায় আলোচনার শীর্ষে রয়েছে নির্মাতা মিশুক মনিরের ‘দেয়ালের দেশ’। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে প্রকাশ হয় এর টিজার। যা নজর কড়েছে ভাক্ত-দর্শকদের। প্রথম ঝলকে গল্পের রহস্যময় প্লট, রাজ-বুবলীর সাজ, অভিনয় ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক- দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। যার ফলে দর্শক-সমালোচকরা এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি বলেছেন, গল্প পড়েই ভীষণ ভালো লেগেছিল। আমরা প্রায়ই বলি ভিন্ন রকম গল্প, ভিন্ন ধরনের চরিত্র। কিন্তু অনেক সময় পর্দায় সে বিষয়টা পরিষ্কার বোঝা যায় না। এ সিনেমাটি সেখান থেকে ব্যতিক্রম। এর গল্পটা আসলেই ভিন্ন আঙ্গিকের। এ ধরনের চরিত্র এর আগে আমার করা হয়নি। বিশেষ করে আমার জন্য এই ছবিতে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল। কারণ তখনও আমি পুরো কমার্শিয়াল ছবির নায়িকা। আর এই ছবিতে আমাকে নায়িকা নয়, চরিত্র হয়ে উঠতে হবে এবং সেটাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে। সে ব্যাপারে বিশেষ করে আমার পরিচালক এবং সহশিল্পীরাও দারুণভাবে হেল্প করেছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, অনুদানের সিনেমা নিয়ে যে ট্যাবু সৃষ্টি হয়েছে, সেটা ভেঙে যাবে এই ছবির মাধ্যমে। সিনেমায় রাজ-বুবলী ছাড়াও আছেন আজিজুল হাকিম, শাহাদাত হোসেন, সমাপ্তি মাশুক, স্বাগতা প্রমুখ। মেট্রো সিনেমার ব্যানারে নির্মিত ‘দেয়ালের দেশ’ মুক্তি পাচ্ছে আসন্ন ঈদুল ফিতরে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৫

শ্যালিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বলি ব্যবসায়ী নিজাম
ফরিদপুরের মধুখালীতে শ্বশুরবাড়ির স্বজনদের হামলায় নিহত হয়েছেন এক ব্যক্তি।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হাটঘাটা গ্রামে নিজাম উদ্দিন শেখের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিজাম উদ্দিন শেখ (৩৫) রায়পুর ইউনিয়নের হাটঘাটা গ্রামের মৃত মানিক শেখের ছেলে। তিনি একটি খাবার হোটেলের ব্যবসায়ী। এলাকাবাসী ও মধুখালী থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার শ্যালিকাকে (১৯) নিয়ে অসুস্থ শ্বশুরকে দেখার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান নিজাম। ওইদিন ফেরার পথে তিনি শ্যালিকাকে তার বাবার বাড়ি মধুখালীর রায়পুর ইউনিয়নের দিঘুলিয়াতে পৌঁছে না দিয়ে হাটঘাটা গ্রামে নিজ বাড়িতে এনে রাখেন। নিজামের সঙ্গে তার শ্যালিকার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ করেছেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এর আগে ওই মেয়ের বিয়ের উদ্যোগ নেওয়া হলে নিজামের হস্তক্ষেপে সেই বিয়ে হয়নি। এজন্য নিজামের শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিজামের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েটিকে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চাপ দিলে তা উপেক্ষা করে তাকে নিজের বাড়িতে রাখেন নিজাম। এজন্য গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিজামের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বাড়িতে এসে তাকে বেধড়ক মারপিট করেন। তারা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নিজামের ডান হাত, দুই পা এবং মাথায় গুরুতর জখম করেন। এক পর্যায়ে তারা নিজামের দুই চোখে চুন ঢেলে দেন। পরবর্তীতে নিজামের বড় ভাই আজিমুদ্দিন শেখ গুরুতর আহত নিজামকে উদ্ধার করে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যানে করে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিজামকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে স্থানান্তর করেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার পথে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে নিজাম মারা যান। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৯

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের শেকড় অনেক গভীরে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। গত ১৫ বছরে আমরা সেটা দেখতে পাই। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের শেকড় অনেক গভীরে। দুই বাংলার এক আত্মা-ধমনীতে প্রবাহিত একই রক্ত, একই ভাষা-সংস্কৃতি, ভাতৃত্বের বন্ধনে একাত্ম আমরা। সবদিক দিয়ে এখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক খুবই ভালো সাংস্কৃতিক বন্ধনটা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ ও ভারতের জনগণ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ভালোলাগা, সব দিক দিয়ে অনেক কাছাকাছি চলে এসেছে। আমাদের বিশ্বাসের বন্ধনটা বেশি উচ্চতায় চলে গেছে। আমরা যে মাতৃভাষায় কথা বলি, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার- সেটাতো আরো গভীরে। সেই সম্পর্কটা সূচনা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই অর্জিত হয় মাতৃভাষা বাংলার স্বীকৃতি এবং সে ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে অর্জিত হয় বাঙালির চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৭ সালের দেশভাগ হল। বঙ্গবন্ধুর ওপর পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস’ করেছেন। এর ১৪ খণ্ড বাংলাদেশে বেরিয়ে গেছে। সেখানে দেখতে পাচ্ছি ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভেঙে দুটি রাষ্ট্র হলো। এর মধ্যে তদানীন্তন তরুণ শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর পাকিস্তানের নজরদারি কিরকম ছিল সেটা ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস’ এ দেখতে পাই। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোলকাতার দ্যা বেঙ্গল ক্লাবে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘ আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বাঙালির আত্মত্যাগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘ এর সভাপতি শিশির বাজোরিয়া এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের উপ হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালের ২৭ নভেম্বর করাচিতে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকায় এ খবর পৌঁছা মাত্রই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খাজা নাজিমুদ্দিনের বাসভবনের সামনে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে। এর কিছুদিন পরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঢাকায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক আন্দোলন করেন। বারবার গ্রেপ্তার হন, জেলখানায় যান। ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ মন্ত্রিসভা গঠন করে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়, প্রথম ২১শে ফেব্রুয়ারিকে শহিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, এই দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে এবং শহিদ মিনার তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। এ স্বাধীনতা অর্জনে ভারতবর্ষ তথা ভারতের জনগণের অবদান সবসময় স্মরণ করি, মর্যাদার সাথে দেখি। কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের জন্য ভারতের প্রায় ১২ হাজার সেনা সদস্য শহীদ হয়েছেন। এটা আমরা কখনো ভুলে যাই না, শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার মানুষ বাংলাদেশের এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। আমরা ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। আমরা বুঝতে পারছি এক কোটির অধিক লোককে আশ্রয় দেয়া, এর ব্যবস্থাপনা কত কঠিন। খাদ্য, শিক্ষা চিকিৎসাসহ আরো কত কিছু। সেরকম একটি বিশাল দায়িত্ব শুধু ভারত নেয়নি এবং আমাদের বিজয় অর্জনের জন্য চারিদিক দিয়ে সমর্থন দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাকে মুক্ত করার জন্য ভারত সরকারের ভূমিকা অসামান্য। ভারতের সে ভূমিকা না থাকলে কি হতো আমরা জানি না। তাদের ভূমিকাকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সে জিনিসগুলো উপলব্ধি করেন এবং ধারণ করেন বলেই ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কটা অনন্য উচ্চতা গেছে। ৭৫ -এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে বাংলাদেশে ছায়া নেমে এসেছিল। বাংলাদেশ ভারত সম্পর্কটা তিক্ততায় পরিণত করেছিল। এটা আমাদের জন্য ভালো  হয়নি। এত তিক্ততায় চলে গিয়েছিল যে প্রতিবেশীর সাথে সে সম্পর্কটা অবিশ্বাসের জায়গায় চলে গিয়েছিল। সীমান্ত এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীর ঘটনাগুলো কি পরিমাণে তৎপরতা চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগুলো এখন শূন্যের কোঠায় এসেছে। ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- বাংলাদেশের ভূখণ্ডে কোন সন্ত্রাসবাদের জায়গা দেয়া হবে না। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে দেয়া হবে না।’ এটা প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার। এ ধরনের অঙ্গীকার তিনি শুধু করেননি, নিয়ন্ত্রণ করেছেন, দমন করেছেন এবং আজকে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত সেখানে কোন উত্তেজনা নেই। খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। কিছু কিছু ঘটনা ঘটে সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমাদের ট্রেড, দৈনন্দিন জীবনে আলু পিয়াজ এর সমস্যা, ভারত সরকার সাথে সাথে এলসি ওপেন করে দিয়েছে। পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ, মুর্শিদাবাদের মায়া নৌরুট চালু করেছি। ভারতের ক্রুজ ভেসেল ‘গঙ্গাবিলাস’ ১১০০ কিলোমিটার নৌপথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ হয়ে ৫২ দিনে আসামে গিয়ে যাত্রা শেষ করেছে। রামগড়, আখাউড়া, বিবির বাজার, ভোমরা, বাংলাবান্ধা স্থলপথে যোগাযোগ উন্নত হয়েছে। রেল যোগাযোগ হচ্ছে। ট্রানজিট ট্রানশিপমেন্ট পাইলট প্রকল্প ট্রায়াল রান হয়েছে। যে কোন সময় ভারতের সাতটি রাজ্যে যাতায়াত করতে পারবে এবং সেই এলাকার জনগোষ্ঠী উঠে আসবে। এতে বুঝা যাচ্ছে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে কত মধুর। আমি আজকে কলকাতায় ভাষাগুলোকে ধরে রাখার জন্য আলোচনা করছি। ভারতের অনেক ভাষা রয়েছে। এখানে একটি সংগীত পরিবেশিত হয়েছে- মানবতার জয় হোক‌। এটা বাংলাদেশ চায় কারণ ১৯৭১ সালে এবং ৭৫এর ১৫ ই আগস্ট মানবতার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অপরাধ হয়েছে বাংলাদেশে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মানবতার পক্ষে কাজ করছেন, পৃথিবীর শান্তির পক্ষে কাজ করছেন। ভারতবর্ষে এত বড় একটা পরাশক্তি। সেই ৪৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কেউ বলেনি ভারত আক্রমণশালী। ভারত সব সময় শান্তির পক্ষে কথা বলেছে। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সূচনা হয়েছে ভারত থেকে। সারা পৃথিবীতে শান্তি ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে ভারত যেভাবে কাজ করছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকার সেভাবে কাজ করছে‌। আমরা সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি‌। মেলবন্ধন গুলো আজকে হচ্ছে। এগুলো আরও হবে। পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে। বাংলাদেশে হবে। বন্ধনগুলো আরো মজবুত করতে হবে। বাংলাদেশীদের চিকিৎসাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অন এরাইভেল ভিসার বিষয়ে বাংলাদেশস্থ ভারতের হাইকমিশনার এবং কলকাতাস্থ বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এর সাথে কথা হয়েছে। এ বিষয়টি বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অন এরাইভেল বিষয় খুবই প্রয়োজন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মাতৃভাষা এবং নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ভাষা সংরক্ষণ ও তাদের মর্যাদা রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পৃথিবীর সকল মাতৃভাষা সংরক্ষিত থাক, নিরাপদ থাক- এটা প্রতিমন্ত্রী কামনা করেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৯

রাশিয়ার সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্কের ঘোষণা চীনের
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নে চীন ও রাশিয়া ঐতিহাসিক সম্পর্ককে শক্তিশালী ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার। চীনা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েডংয়ের মস্কো সফরের পর এ বিবৃতি এলো। এতে বলা হয়েছে, শতাব্দীর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতার ভরসাস্থল হিসেবে চীন ও রাশিয়ার উচিত আরও ভালো ভূমিকা পালন করা।  সান বিবৃতিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কৌশলগত দিকনির্দেশনায় দুই দেশের সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো সময়ে রয়েছে।  পশ্চিমারা গেল দুই বছর ধরে মস্কো বেইজিংয়ের সম্পর্ককে বাড়তি উদ্বেগ নিয়ে দেখছে। দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষায় সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে।   পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বিনষ্ট হওয়ার বিষয়ে সতর্কতার মধ্যেও বেইজিং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও ব্রিকসের দুটি রাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক উষ্ণই রয়ে গেছে। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় থাকা রাশিয়াকে সহযোগিতার দায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনা কয়েকটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এতে বেইজিং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১১

আট বছরের সম্পর্কের ইতি টানলেন সালমান!
বলিউডের ‘ভাইজান’ খ্যাত অভিনেতা সালমান খান। লম্বা ক্যারিয়ায়রে তার জীবনে সঙ্গিনীর অভাব ছিল না। শাহীন জাফরি থেকে শুরু করে সঙ্গীতা বিজলানি, ঐশ্বরিয়া থেকে ক্যাটরিনা কাইফের বহু তারকার সঙ্গে একাধিকবার সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। প্রেমে জড়ালেও কোনটিই বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি।  ২০১৬ সালে ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে রোমানিয়ান সঙ্গীতশিল্পী, অভিনেত্রী ইউলিয়া ভন্তুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অভিনেতা। আট বছরের ধরে সম্পর্কে ছিলেন তারা। খান বাড়িতে এক সময় থাকতেন এই বিদেশিনী। অনেকেই ভেবেছিলেন, ইউলিয়ার সঙ্গে হয়তো থিতু হবেন সালমান। কিন্তু না, এবার সেই সম্পর্কও ভাঙল সালমানের! সম্প্রতি সপরিবারে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ উপলক্ষে দুবাই গিয়েছেন সালমান। সঙ্গে রয়েছেন ইউলিয়াও। তবে ‘ভাইজান’-এর হাবভাব দেখে অনেকের ধারণা, ইউলিয়ার সঙ্গেও সম্পর্কে ইতি টেনেছেন তিনি। সম্প্রতি দুবাইয়ে ক্রিকেট খেলা দেখতে গিয়ে অভিনেতা ও তার মায়ের সঙ্গে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তবে এটি ছাড়াও আরও একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গ্যালারিতে রেলিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইউলিয়া। পিছনে নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে সলমন। বার বার পিছনে ফিরে সালমানের দিকে তাকাচ্ছেন ইউলিয়া। কিন্তু খানিক চোখ পাকিয়ে মুখ ফিরিয়ে নেন অভিনেতা। তাতেই নেটপাড়ার একাংশের ধারণা, এই প্রেমটাও টিকল না তার। গত বছর একটি টক শোতে গিয়ে সালমান খান নিজেই স্বীকার করেছেন, প্রেমে গেরো আছে আমার! যদিও নিজের বার বার প্রেম ভাঙার দায় নিয়েছেন নিজেই। তিনি সে সময় জানান, প্রেমিকাদের দোষ নয়, বরং দোষ রয়েছে তার নিজের মধ্যেই। প্রায় ৫৮-র কাছাকাছি বয়স। তার কুমারত্ব ঘুচবে কি না— প্রশ্ন অনুরাগীদের।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩০

সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার (২৫ ফ্রেবুয়ারি) বিকেলে ঢাকায় সফররত মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখারের নেতৃত্বে দেশটির একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন দেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী। পণ্য রপ্তানির বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। তারা আমাদের সঙ্গে  সম্পর্কের নতুন যুগ সৃষ্টিতে কাজ করতে চায়। সামরিক সহযোগিতা, অস্ত্র চুক্তি, জিসোমিয়া নিয়েও তারা ইতিবাচক। তবে এ বিষয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সরকারি বাহিনীর সংঘাতের কারণে যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংকট তৈরি হচ্ছে, বৈঠকে সেটা তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। আমরা মনে করি, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান। এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত। তারা যেন মিয়ানমারের ওপর বাড়তি চাপ অব্যহত রাখে, সেই আহ্বানও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশর পক্ষ থেকে গাজায় গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার ইস্যুতে কোন আলাপ হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।  ‘এছাড়া র‍্যাবের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৫টি পর্যবেক্ষণ রয়েছে। তবে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। তারা মূল সংস্থাকে এটি দেবে,’ বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এইলিন লুবাখার বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কথা হয়েছে।  অভিন্ন ভাগ্য গড়তে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে চায়।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৭

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ 
বাংলাদেশ নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব ছিল একরম। তবে ভোটের পর পাল্টে গেছে সেই পরিস্থিতি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যেখানে তিনি দুই দেশের মধ্যে ‘নতুন অধ্যায়ের’ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। নতুন অধ্যায়টি কী হবে—সে বিষয়েও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কূটনৈতিক সুত্র বলছে, গত প্রায় ছয় মাস ধরে ঢাকা বা ওয়াশিংটন থেকে কোনও প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য অন্য দেশে সফর করেনি। ওই সময়ে একটি ‘সমঝোতা’ ছিল—নির্বাচনের সময়ে কোনও ধরনের সফর হবে না। নির্বাচন শেষ এবং এখন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ফেব্রুয়ারির শেষে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। দলটির সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালকের বৈঠক করার কথা। পাশাপাশি পররাষ্ট্র সচিবও সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন। কর্মকর্তা পর্যায়ের এই বৈঠকের পরে আরও অনেক বৈঠক নিয়েও আলোচনা চলছে। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি নির্বাচনের পরে ভোট ‘অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি’ বলে বিবৃতিও দেয় দেশটি। কিন্তু কূটনীতিতে সময় ও পরিস্থিতি পাল্টালে আচরণেও ভিন্নতা আসে বলে মনে করেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার মো. শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘একেক সময় একেক দেশের একেক ধরনের অগ্রাধিকার থাকে। একেক সময় একেক দেশ একেক ধরনের আচরণ করে। আমাদের মনে হয় বিষয়টিকে সেভাবে দেখা দরকার।’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিষয়টি চিঠিতে প্রথমেই উল্লেখ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’  মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্বের নতুন অধ্যায়ের কথা বলা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোর প্রথমে উল্লেখ রয়েছে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি। এছাড়া সহযোগিতার আরেকটি ক্ষেত্র হচ্ছে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু। শেষ দিকে অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের অভিন্ন ভিশনের কথা বলা হয়েছে। এর মাঝে রয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানিসহ অন্যান্য সহযোগিতা। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত একটি দেশ হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, যেমন বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এনেছে সরকার। এ প্রসঙ্গে শহীদুল হক বলেন, ‘এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞ সম্পাদনের জন্য বৈদেশিক সহায়তারও প্রয়োজন। শুধু অর্থায়ন নয়, বরং কারিগরি জ্ঞান বা প্রযুক্তি বা শিক্ষাও জরুরি। এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে তারা বাংলাদেশকে পাশে চায়, এটি তারা সবসময় উল্লেখ করে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক আর্কিটেকচারের অনেক উপাদানের একটি হচ্ছে নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশ কিছু কিছু এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে।’ উল্লেখ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতার অধীনে প্রশিক্ষণ, তথ্য আদান-প্রদান, বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা, মেরিটাইম ডোমেইন অ্যাওয়ারনেস, কোস্ট গার্ড শক্তিশালীকরণ, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশ সহযোগিতা করে থাকে। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র তাদের তৈরি অত্যাধুনিক ড্রোন বাংলাদেশকে দিয়েছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়েও কাজ করে থাকে দুই দেশ। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করার যে চেষ্টা ও তাড়না সেটি অন্য যেকোনও বিষয়ের থেকে এখন অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এটি শুধু বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলের স্থিতিশীলতাই এখানে গুরুত্ব পেয়েছে। এ বিষয়ে শহীদুল হক বলেন, ‘স্থিতিশীলতার কথা সবসময় রাষ্ট্রই বলছে। বাংলাদেশ যদি অস্থিতিশীল হয়, তাহলে এ অঞ্চলের অনেক কিছু অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে এটি সহ্য করার ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়ার নেই। এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে দেওয়া উচিত হবে না।’ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ধারাবাহিকতা চলমান থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল সেটি ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে, কিন্তু রেশ থেকে যাবে। ওই রেশটি প্রকাশ পাবে শ্রম অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে। এর প্রভাব হয়তো পড়তে পারে ব্রাসেলস ও জেনেভায়। বিভিন্ন শক্তির মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এখন এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা কোনও একটি পক্ষকে বাংলাদেশ পুরোপুরি সমর্থন দেবে–এই সম্ভাবনা নেই এবং সেটি ঠিকও হবে না।’  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৫

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে দেশে বিচ্ছেদ বাড়ছে
দেশে বিয়ের হারের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বিবাহবিচ্ছেদের হার। আর এর পেছেনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক উঠে এসেছে। এ বিষয়ে গত ৩১ জানুয়ারি ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস–২০২২’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। জানা গেছে, সংস্থাটি এ জরিপে নমুনা হিসেবে তিন লাখের বেশি পরিবারের তথ্য নিয়েছে। জরিপ অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সাধারণ বিয়ের হার বেড়েছে। ২০২১ সালে হার ছিল ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ আর ২০২২ সালে ২৫ শতাংশের কিছু বেশি। সাধারণ বিয়ের হার হিসেবে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রতি এক হাজার মানুষের মধ্যে ওই বছর যত জনের বিয়ে হয়েছে সেটাকে ধরা হয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে বিবিএসের হিসাবে, ২০২১ সালে স্থূল বিচ্ছেদের হার ০ দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ১ ছিল। ২০২২ সালে তা বেড়ে ১ দশমিক ৪ এ দাঁড়িয়েছে। বিবিএস তালাক হওয়া মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে জরিপ করেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রায় ২৩ শতাংশ উত্তরদাতা তালাকের বড় কারণ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে দায়ী করেছেন। এরপর রয়েছে ২২ শতাংশ দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতা। ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে অসামর্থ্য অথবা অস্বীকৃতি, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদিও রয়েছে তালাকের কারণের তালিকায়। ঢাকা বিভাগে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে সবচেয়ে বেশি তালাক হয়েছে, আর কম হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতায় তালাক বেশি বরিশালে, কম সিলেটে। ভরণপোষণ দিতে অসামর্থ্যতার কারণে তালাক বেশি রাজশাহীতে, কম চট্টগ্রামে। পারিবারিক চাপে তালাক বেশি ময়মনসিংহে, কম ঢাকায়। নির্যাতনের কারণেও তালাক বেশি হয়েছে ময়মনসিংহে, কম রাজশাহীতে। যৌন অক্ষমতা অথবা অনীহার কারণে রংপুরে তালাক বেশি হয়েছে। বরিশালে এ ক্ষেত্রে হার শূন্য। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকায় তালাকের ঘটনা বেশি ঘটছে সিলেটে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন সাধারণত বেশি করেন নারীরা। ২০২২ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মোট তালাক হয়েছে ৭ হাজার ৬৯৮টি। এর মধ্যে স্ত্রীরা আবেদন করেছিলেন ৫ হাজার ৩৮৩টি, যা মোট আবেদনের ৭০ শতাংশ। ঢাকা উত্তরের চিত্রও প্রায় একই। সেখানে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনের ৬৫ শতাংশই নারী।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়