• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আওয়ার ওশান সম্মেলন / দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে আয়োজিত 'আওয়ার ওশান কনফারেন্সে' পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল বৈঠকে দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় তিনি পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সমুদ্রের উপকূলে বসবাসকারী মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।  স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ এপ্রিল) এথেন্সে 'আওয়ার ওশান কনফারেন্সে'র নবম আসরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলে আলোচনায় এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  ১৫ থেকে ১৭ এপ্রিল এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সময় ড. হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনা এবং সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।  বিবিএনজে চুক্তি অনুমোদন এবং মহাসাগরের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের জন্য তহবিল বরাদ্দের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।  বাস্তুতন্ত্রের সার্বিক উন্নয়ন এবং গ্রিন শিপিং (যা তুলনামূলক পরিবেশের ক্ষতি কম করে) ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন দেশ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল।  এই প্যানেল আলোচনায়, গ্রীস, কোস্টারিকা, কেপ ভার্দে, সাও টোমে এবং প্রিন্সেপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও বক্তব্য দেন ।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৫

মেক্সিকোতে সমুদ্র সৈকতে ৮ চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার
মেক্সিকোর ওক্সাকা রাজ্যের সমুদ্র সৈকত থেকে ৮ জন চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।  স্থানীয় সময় শুক্রবার তাদের মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।  নিহতদের মধ্যে সাতজন নারী এবং একজন পুরুষ ছিলেন। খবর বিবিসির এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলছেন, চীনা নাগরিকদের মরদেহ এমন একটি স্থানে পাওয়া গেছে যেখান দিয়ে সাধারণত অবৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। ওই চীনা নাগরিকদের সঙ্গে ছিলেন বেঁচে যাওয়া এমন একজন জানান, গত বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাকবলিত ওই নৌকাটি গুয়াতেমালার সীমান্তবর্তী মেক্সিকোর চিয়াপাস রাজ্য থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। আর নৌকাটি পরিচালনা করছিলেন মেক্সিকোর একজন নাগরিক। দুর্ঘটনায় ৮ চীনা নাগরিকের মৃত্যু হলেও বেঁচে যান তিনি। তবে ওই নৌকার চালকের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা কেউ জানে না। ওক্সাকার প্রসিকিউটর অফিস বলছে, প্লায়া ভিসেন্টে শহরের একটি সমুদ্র সৈকতের কাছে মরদেহগুলো পাওয়া যায়। বর্তমানে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। মেক্সিকোর চীনা দূতাবাসের সঙ্গে যৌথভাবে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করা অভিবাসন প্রত্যাশীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৩ লাখ অভিবাসী অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে। গত বছর মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে ৩৭ হাজারের বেশি চীনা নাগরিককে আটক করা হয়েছিল। দুবছর আগের তুলনায় যা প্রায় ৫০ গুণ বেশি।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩২

গভীর সমুদ্র থেকে প্রথমবারের মতো সরাসরি রিফাইনারিতে এলো তেল
প্রথমবারের মতো গভীর সমুদ্র থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে রিফাইনারিতে এসেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে সরকারের। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।  মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গভীর সাগরে স্থাপিত সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) থেকে প্রথমে মহেশখালি পাম্পিং স্টেশনে এবং সেখান থেকে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে (ইআরএল) ৪০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সফলভাবে পরিবহন করা হয়েছে আজ শুক্রবার। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো গভীর সমুদ্র থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে রিফাইনারিতে এলো। বঙ্গোপসাগরের গভীরে স্থাপিত সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে যুগান্তকারী একটি সংযোজন। এর মাধ্যমে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।  দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমদানীকৃত ক্রুড অয়েল ও ফিনিশড প্রডাক্ট স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে এবং নিরাপদে খালাস করার জন্য ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে সরকারের। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীনস্থ কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫০

গভীর সমুদ্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের সিদ্ধান্ত, বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান
দেশের জ্বালানি সংকট নিরসনে এবার গভীর সমুদ্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর এ জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (ফেব্রুয়ারি ২৭) সন্ধ্যায় সংসদ ভবন কার্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইঞ্জিনিয়ার হানি সালেমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে তার বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম এ সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। মো. নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে দেশে বিনিয়োগযোগ্য পরিবেশ বিরাজ করছে জানিয়ে হানি সালেমকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে দেশের জ্বালানি সংকট নিরসনে তার সরকার গভীর সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য আমাদের বিনিয়োগ দরকার।  এ ছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতি ও খাদ্য উৎপাদন এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। আইটিএফসি প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে বৈঠকে কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্যও বিনিয়োগ আহ্বান করেছেন শেখ হাসিনা।  এদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের সিইও হানি সালেমও। তিনি বলেছেন, অবকাঠামো, আইসিটি, ঋণ ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি খাত এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে আইটিএফসি সর্বাত্মক সহায়তা দেবে।  বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে হানি সালেম বলেন, ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে একটি চমৎকার ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের।  সৌজন্য সাক্ষাতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৫

বেড়িবাঁধ সংস্কারে বন উজাড়, ঝুঁকিতে সমুদ্র উপকূলের মানুষ
ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব থেকে সমুদ্র উপকূলকে রক্ষায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে চলছে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা এ প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকলেও হয়েছে তার বিপরীত। বাঁধ নির্মাণে ধ্বংস করা হয়েছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। কাজের মান নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। বাঁধে ব্যবহার করা হয়েছে বালু মিশ্রিত সংরক্ষিত বনের মাটি। উজাড় করা হয়েছে প্রায় শত একর বনভূমি। বনের জমিতে দিঘি কেটে বানানো হয়েছে মাছের ঘের। বন ধ্বংস বন্ধে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও কোনো সুফল আসেনি। উল্টো প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে মামলা, এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। জানা গেছে, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ৪৮নং পোল্ডারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ উন্নয়নের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই। উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প, ফেজ-১ প্রকল্পের আওতায়, প্যাকেজ-২ এর কাজ শেষ করার কথা ছিলো ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি। পরবর্তীতে কয়েক দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার কথা রয়েছে। শুরুতে এ কাজ চিনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআইসিও (সিকো) শুরু করলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি। এরপর স্থানীয় বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সাব-ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। তারপরই শুরু হয় নানা অনিয়ম, ওঠে নানা অভিযোগ। উপকূলের রক্ষাকবচ বেড়িবাঁধ নির্মাণে স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা মাটির পরিবর্তে বালু ব্যবহার করেছে। এমনকি বালু মিশ্রিত মাটি আনা হয়েছে সংরক্ষিত বনের ভেতর থেকে। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে মানুষের জানমালের রক্ষাকবচ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বিশালাকৃতির হাজার হাজার গাছ উপড়ে বড় বড় দিঘি তৈরি করা হয়েছে। বনের মালিকানা দাবিতে এসব দিঘিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মাছ চাষ করছেন। ফলে সমুদ্র বেষ্টিত উপকূলের সবুজ বেষ্টনী দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। ভেস্তে গেছে সরকারের মূল পরিকল্পনা। এসব অনিয়মে জড়িত রয়েছেন পাউবো ও বনবিভাগের কর্তাব্যক্তিরা এমন দাবি ভুক্তভোগীদের। বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসকারীদের অভিযোগের শেষ নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল সিকদার বলেন, বেড়িবাঁধ সংস্কারে যে মাটি ব্যবহার করা হয়েছে এসব মাটি বালু মিশ্রিত। গঙ্গামতি সংরক্ষিত বনের গাছ বেকু দিয়ে উপড়ে ফেলে মাটি আনা হয়েছে। বন উজাড় করে মাটি এনে ব্যবহার করা হয়েছে বেড়িবাধেঁ। এ বিষয় তারা বিভিন্ন সময় বন বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করলেও তারা দেখছি, দেখবো বলে আশ্বস্ত করলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। তার অভিযোগ বন উজাড় করার পেছনে বন বিভাগের কর্মকর্তারাই দায়ী। বনের উপকারভোগী মো. হেমায়েত ফকির বলেন, বাঁধ সংস্কার করতে গিয়ে শত শত একর বনভূমি উজাড় করা হয়েছে। বন বিভাগ শুধু কয়েকটি মামলা করেই তাদের দায়িত্ববোধ শেষ করেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী সাব ঠিকাদাররা বন ধ্বংস করে মাটি এনে বেড়িবাঁধে ব্যবহার করেছে। হাজার কোটি টাকার বনভূমি উজাড় করা হয়েছে দাবি তার। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদের নামে মামলা করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে জীবন নাশের। কুয়াকাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শহিদ দেওয়ান বলেন, সাব ঠিকাদাররা বেড়িবাঁধে সংস্কারে ব্যাপক অনিয়ম করেছে। মাটির চেয়ে বালুর ব্যবহার বেশি করা হয়েছে। রাতের আঁধারে বাঁধের ঢাল থেকে বালু উঠিয়ে বাঁধের মধ্য দিয়ে ওপরে শুধু মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা এ কাজ বন্ধ করে দেন এবং পৌর মেয়রের কাছে অভিযোগ দেন। পরবর্তীতে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপে আবার কাজ শুরু করা হয়। এ ছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিযোগ করেছেন, বন উজাড় করার কারণে ঝড় বন্যার সময় ঝুঁকি বেড়েছে। মাটির পরিবর্তে বাঁধে বেশির ভাগই বালু ব্যবহার করায় বাঁধের স্থায়িত্ব নিয়ে তাদের শঙ্কা রয়েছে। বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, জনবল সংকটের মধ্যেও তারা বন রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সহযোগিতা না পাওয়ায় বন রক্ষায় তারা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেননি। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পর তারা কয়েক দফা পরিদর্শন করেছেন।   পাউবো কলাপাড়া সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, উপকূলীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে বেশ কিছু অভিযোগ ছিলো। সেগুলো সমাধান করেই কাজ চলমান রয়েছে। তবে বাঁধে ২৫ ভাগ বালু ব্যবহার করার বিধান রয়েছে। বাঁধে বনের মাটি ব্যবহারের বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানান, বাঁধে মাটি কিনে ব্যবহার করা হয়েছে। সাব ঠিকাদাররা কোথা থেকে মাটি এনেছে এটা তাদের জানার কথা নয় বললেন পানিউন্নয়ন বোর্ডের এ কর্মকর্তা। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বন রক্ষার জন্য বনবিভাগকে আরও সর্তক থাকতে হবে। তার কাছে এমন অভিযোগ এলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে কয়েকটি ডাম্প ট্রাক ও বেকু জব্দ করা হয়েছে। বনের মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে বনের জমির মালিকানার প্রশ্নে তিনি জানান, কীভাবে তারা বনের জমির মালিক হয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা মামলাসহ নানামুখী উদ্যোগের কথা বললেও ইতোমধ্যে কুয়াকাটার গঙ্গামতি সংরক্ষিত বন, লেম্বুর বনসহ উপকূলের কয়েক শত বনভূমি উজাড় হয়ে গেছে। বনপ্রেমীদের মতে হাজার কোটি টাকার বন ধ্বংস করা হয়েছে। এর দায় কে নেবে এমন প্রশ্ন উপকারভোগীদের। উপকূলের রক্ষাকবচ খ্যাত সংরক্ষিত বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জোর দাবি স্থানীয়দের।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩০

সুগন্ধা বিচকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ নামকরণের নির্দেশনা বাতিল
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা বিচ ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ এবং কলাতলী ও সুগন্ধা বিচের মাঝখানের এলাকাকে ‘মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ নামকরণের নির্দেশনা বাতিল করা হয়েছে।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. সাহেব উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে, গেল ১৯ ফেব্রুয়ারি তার স্বাক্ষরেই নাম পরিবর্তনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পূর্বে পাঠানো (১৯ ফেব্রুয়ারি) নির্দেশনার ওপর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার জন্য নির্দেশনাক্রমে অনুরোধ করা হলো। একই সাথে পূর্বে পাঠানো পত্রটি বাতিল হলো। এর আগে, সুগন্ধা বিচকে বঙ্গবন্ধু বিচ নামকরণের নির্দেশনা বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশাল এক মানুষের সম্মানে ক্ষুদ্র এই পয়েন্টের নামকরণ নিয়ে দেশজুড়ে এ সমালোচনার জন্ম নেয়। সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন মহল থেকে এমনকি সরকারদলীয় লোকজনও বিষয়টির সমালোচনা করেন।  উল্লেখ্য, সুগন্ধা বিচকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ নামকরণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সোলায়মান মিয়া এ বিষয়ে আবেদন করেছিলেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সুগন্ধা বিচ পয়েন্টের নাম পাল্টে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ রেখে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এবার সেই নির্দেশনা বাতিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৭

সমুদ্র সৈকতে সুগন্ধা বিচের নাম এখন ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ‘সুগন্ধা বিচে’র নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে সুগন্ধা বিচ ও কলাতলী বিচের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গার নামকরণ করা হয়েছে ‌‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা বিচকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সুগন্ধা বিচ ও কলাতলী বিচের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গাকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ নামকরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আগে বিচের নাম পরিবর্তনের এ আবেদন করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়া।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২৯

বাংলাদেশের সমুদ্র ও স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল
বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর এবং দুটি (বাংলাবান্দা ও বুড়িমারী) স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল। সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বাংলাদেশের নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, নেপালের সঙ্গে আমাদের অনেক অ্যানগেইজমেন্ট আছে। নেপালের প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশে লেখাপড়া করছে। চট্টগ্রাম, মোংলা এবং পায়রা বন্দরের ব্যাপারে নেপালের খুব আগ্রহ রয়েছে। নেপাল ভূমি বেষ্টিত একটি দেশ। তারা মূলত মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে চায়। এ ছাড়া তারা বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায়। বন্দর ব্যবহার করে তারা পণ্য আনা-নেওয়া করতে চায়। এসব ব্যাপারে তিনি কথা বলেছেন এবং সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) ব্যক্তিগতভাবে বন্দরগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি চান যাতে দ্রুত এগুলো হয়। আমরাও এটি বাস্তবায়নের গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে এটি নিয়ে কথা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যখন দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি একটি বিষয় উত্থাপন করেছেন যে, আমরা কীভাবে ভারতের ২৩ কিলোমিটার ভূমি ব্যবহার করে নেপালের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারি। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে আমাদের একটা মিটিং হবে, সেখানে এই বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নেপাল এখন ফুলবাড়ী পর্যন্ত আসতে পারে, কিন্তু আমাদেরগুলো যেতে পারে না। এ সংকট নিরসনে আমরা তিন দেশ মিলে কাজ করছি। এটা তারা চায়, আমরাও সেটা চাই। এটা হলে বহির্বিশ্বে ব্যবসা বাণিজ্য আরও বেশি স্মুথ হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৭

পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে ভ্রমণপিপাসু হাজার হাজার পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠছে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্যতায় মন্দাভাব কাটিয়ে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত।  শীতের তীব্রতা কাটিয়ে আগত এসব পর্যটকদের আনন্দ উচ্ছাসে মুখরিত ১৮ কিলোমিটার সৈকতসহ সকল দর্শনীয় স্থান। সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন অনেকেই। কেউ বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন চেনা প্রাকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। ঘুরছেন ঘোড়ায় কিংবা সৈকতের ওয়াটার বাইকে।  সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ হোটেল-মোটেলের কক্ষ ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি দুদিন হওয়ায় হাজার হাজার পর্যটকদের আগমন ঘটেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত অবলোকনের পর পর্যটকরা ছুটে যান রাখাইনদের আদি কুয়া অথবা রাখাইন পল্লীতে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন রয়েছে নজরকাড়া প্যাগোডা। এই প্যাগোডা তথা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার-সংলগ্ন বেড়িবাঁধের পাশে রয়েছে ২০০ বছরের প্রাচীনতম নৌকা। রাখাইন মহিলা মার্কেট, মিশ্রিপাড়ায় অবস্থিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ সীমা বৌদ্ধ বিহার। ইকোপার্ক, লেম্বুরচর, শুটকিপল্লী, সমুদ্রপথে চর বিজয়, ফকিরহাটসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থান। পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনে প্রস্তুত রয়েছে ট্যুরিস্ট বোট, স্পিডবোট। কেউ বিচে ছাতার নিচে বসে সাগরের জল আর সূর্য রশ্মির রঙিন খেলায় মেতে ওঠা অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করে।  ঢাকা থেকে আসা হাবিবুর রহমান রানা বলেন, একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত উপভোগ করার দৃশ্য একমাত্র কুয়াকাটায় দেখা সম্ভব, যা সত্যিই বিমোহিত করার মতো। কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল সি প্যালেসের ম্যানেজার রুবেল বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত বছর তেমন ট‍্যুরিস্ট আসেনি। সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে আমাদের হোটেলের সকল রুম বুকিং হয়েছে এবং অন্যান্য হোটেলেও বেশ পর্যটক রয়েছে।  স্থানীয় ব্যবসায়ী আ. সোবাহান বলেন, এ বছরে আজকেই সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এভাবে পর্যটক আসলে আমরা পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মো. রিমন বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে যাওয়ায় পর্যটক বেড়েছে, তবে শীত কমলে আরও বাড়বে। কুয়াকাটায় হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, এ বছরে আজকে ভাল পর্যটকের আগমন ঘটেছে। প্রায় হোটেলে রুম বুকিং রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, আমরা সর্বদা নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছি। কুয়াকাটার বিভিন্ন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৬

ভারতের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতুর উদ্বোধন
ভারতের মুম্বাইয়ে দেশটির দীর্ঘতম সমুদ্র সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মুম্বাই ট্রান্স হারবার লিংক’ প্রকল্পের অন্তর্গত এই সেতুটি প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির নামাঙ্কিত। নাম ‘সেওয়ারি-নবসেবা অটল সেতু’। প্রায় ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ (সংযোগ সড়কসহ) এই সমুদ্র সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় এক লাখ ৭৮ হাজার টন ইস্পাত। ছয় লেনের এই সেতুর মাধ্যমে প্রায় দেড় ঘণ্টার যাত্রাপথ কমে ২০ মিনিটে দাঁড়িয়েছে। সেতুটির  মাধ্যমে নবি মুম্বই বিমানবন্দর ও মুম্বই বিমানবন্দরের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। পাশাপাশি জওয়াহেরলাল নেহরু বন্দরে পণ্য পরিবহনে সুবিধাও মিলবে। মুম্বাই থেকে পুনে, গোয়া ও কর্ণাটক যাত্রারও সময় কমবে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলেছে, অটল সেতু হলো ভারতের প্রথম সমুদ্র সেতু, যেখানে একটি উন্মুক্ত রোড টোলিং সিস্টেম প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে যানবাহনগুলো না থেমে, প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে টোল বুথের মধ্য দিয়ে যেতে পারবে।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়