• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘ইসরায়েলি ভাস্করের পুরস্কার নিয়ে গণহত্যাকে সমর্থন করেছেন ড. ইউনূস’
ইসরায়েলি ভাস্করের কাছ থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পুরস্কার পাওয়াকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, এই পুরস্কার গ্রহণ করে ড. ইউনূস ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো গণহত্যাকে সমর্থন করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খুব অবাক হয়েছি..... এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’ হাসান মাহমুদ বলেন, গাজার এই পরিস্থিতিতে অধ্যাপক ইউনূস একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। এটা কী? এটার কী মানে? এর মানে কি তারা গাজায় ইসরাইলি হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করছে? তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূসকে ইউনেস্কো পুরস্কৃত করেনি, এটা ইউনূস সেন্টার মিথ্যা প্রচার করেছে। ইউনূস সেন্টারের মিথ্যাচারের ঘটনা এটিই প্রথম নয়, এর আগেও তারা একই ধরনের মিথ্যাচার করেছে বলে মন্তব্য করেন ড. হাছান। এর আগে, গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘দ্যা ট্রি অব পিস’ পুরস্কার দেয়নি ইউনেস্কো। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো একটি পুরস্কার দিয়েছে বলে সংবাদ প্রচার হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশন এ বিষয়ে কিছু জানে না। এরপর বিষয়টি নিশ্চিত হতে বাংলাদেশ কমিশনের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। সদর দপ্তর জানিয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ ধরনের কোনো সম্মাননা ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস নিশ্চিত করেছে, তাদের প্যারিস সদরদপ্তর এরকম কোনো পুরস্কার সম্পর্কে অবগত নয়। এবং ১১তম বাকু ফোরামে ইউনেস্কোর কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধিত্বও ছিল না।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৭

২০৩২ সাল পর্যন্ত জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
এলডিসি উত্তরণ পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা সুসংহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা উত্তরণের মেয়াদ ২০২৯ সালের পরিবর্তে ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাইমন কভেনির নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের আইরিশ প্রতিনিধিদল সোমবার (১৮ মার্চ) গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জানান, প্রধানমন্ত্রী এজন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন যাতে ইইউ বাংলাদেশের জন্য ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা, বিশেষ করে জেনারেলাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) বৃদ্ধি করে। আয়ারল্যান্ডকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ইইউ সদস্য দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। তিনি ইইউ প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের স্বার্থের বিষয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে আয়ারল্যান্ডের প্রতি অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করার জন্য আইরিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিন থেকে চার বিলিয়ন ভোক্তার বাংলাদেশকে একটি সম্ভাব্য বড় মার্কেটিং হাব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের মতো বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতিশীল খাতে আয়ারল্যান্ডের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে। শ্রম ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শ্রম ইস্যু নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলো এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে কোনো ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ থাকবে না। এ সময় আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট খোলার জন্য তিনি এখানে এসেছেন উল্লেখ করে আইরিস মন্ত্রী বলেন, এই কার্যালয়টি দু’দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সহায়ক হবে। সাইমন কভেনি বলেন, আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও খাদ্য শিল্পে (কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প) প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চায়। তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ড জাতিসংঘ ও ইইউ ফোরামে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে প্রচুর বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে উল্লেখ করে সফররত মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, তারা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আয়ারল্যান্ড তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে। তবে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা জোরদার, তাদের উপার্জনশীল কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করার ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী ও আরও উন্নত ঘরের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধ কখনও কখনও দেখা যায়, কারণ সেখানে অনেক অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী রয়েছে- যারা এখানে দীর্ঘদিন অবস্থানের কারণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে শরণার্থীদের জন্য স্থায়ী ঘর নির্মাণের নজির নেই, তবে ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য বাংলাদেশ মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সেখানে যেতে চাইলে আমরা ভাসানচরে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিছু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বেসরকারি সংস্থা ও দেশের বিরোধিতার কারণে ভাসানচরে আবাসন প্রকল্পটি সফল হচ্ছে না। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল মাসুদ জামিল খান উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৬

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাবে তুরস্ক
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তুরস্ক। একই সঙ্গে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অন্যান্য ইস‌্যু‌তেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে দেশটি। রোববার (৩ মার্চ) তুরস্কের আনতালিয়ায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের স‌ঙ্গে বৈঠক ক‌রেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠ‌কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ শাখার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী এবং তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই নিজ দেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ফিদান।  বৈঠকে আনতালিয়া ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফিরতি চিঠি হাকান ফিদানকে হস্তান্তর করেন হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানান তিনি।  এ সময় ড. হাছান মাহমুদ দুই দেশের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদের প্রস্তাব করেন। যেখানে বাংলাদেশি কৃষক ও বিশেষজ্ঞরা তুরস্কে মৌসুমি চাষ করবেন এবং ফলনের পর বাংলাদেশে ফিরে যাবেন। তার এ প্রস্তাবের প্রেক্ষি‌তে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান জানান, তুরস্ক বিষয়টি পরীক্ষা করবে এবং আগামী জুলাই মাসে ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তরের পরবর্তী পরামর্শের সময় এটি নিয়ে আলোচনার সু‌যোগ র‌য়ে‌ছে।  এ সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে দেওয়া প্রশংসাপত্রের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এবং ফোরামে উপস্থিতির জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ফিদান। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করা ও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে তার দেশের অব্যাহত সমর্থনেরও আশ্বাস দেন। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধ করতে এবং আরব দেশগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে তুরস্কের আরও বৃহত্তর ভূমিকা কামনা করেন ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠকে উভয় নেতা আশা প্রকাশ করেন যে, ইউক্রেনের যুদ্ধ শিগ‌গিরই শেষ হবে এবং জ্বালানি, এলএনজি ও ফসলের দাম কমবে, যা এখন উভয় দেশের পাশাপাশি উন্নয়নশীল বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বৈঠকে তুরস্কের স্বাধীনতার শতবর্ষ এবং বাংলাদেশ ও তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে হাকান ফিদানকে অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের সংগ্রাম থেকে শক্তিশালী অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম জাতির বন্ধুত্বের উষ্ণ বন্ধন প্রতিনিয়ত দৃঢ়তর হচ্ছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ০২:২৭

জাতীয় দলে ফিরতে অধিনায়ক শান্তর সমর্থন চান সাইফউদ্দিন
সাকিব আল হাসান সরিয়ে শান্তকে জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরু হবে নাজমুল হাসান শান্ত অধ্যায়। তাই জাতীয় দলে ফিরতে টাইগার অধিনায়কের সমর্থন আশা করেছেন তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। ইনজুরির কারণে দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে রয়েছে সাইফউদ্দিন। ইনজুরি ভালোভাবে না সেরে ওঠাই চলমান বিপিএলের ঢাকা ও সিলেট পর্বে খেলতে পারেননি তিনি। তবে মাঝপথে ফিরেছেন  ফিরেছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ২৪ রান দিয়ে ১ উইকেট পান তিনি। ওই ম্যাচে ২ চার ও সমান ছক্কায় ১৮ বলে ৩০ রান করেন সাইফউদ্দিন।   পরের ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে নামার সুযোগ না পেলেও বল হাতে নেন তিন উইকেট। সবশেষ ম্যাচে ব্যাট ও বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। এর আগে ব্যাট হাতে ৬ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।  তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলে জায়গা হয়নি তার। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে ফরচুন বরিশালের অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাইফউদ্দিন। সেখানে তিনি বলেন, গতকালকে ফোনে ওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি অনেক খুশি কারণ, সেই বাল্যকাল থেকে বয়সভিত্তিকে খেলে আসছি, দীর্ঘদিন আবাহনীর হয়ে খেলছি। আমাকে ও ভালো বুঝবে। ওর সামনে আমি অনেকগুলো সেরা ইনিংস সেটা ব্যাটিং হোক, বোলিং হোক করে দেখিয়েছি। আমার বিশ্বাস ও আমাকে সমর্থন দেবে দলে ফেরার ক্ষেত্রে।  শ্রীলঙ্কা সিরিজে না থাকলেও জতীয় দলে ফেরা নিয়ে সাইফউদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগে আমি ইনজুরি থেকে উঠে এসেছি তাই হয়ত শ্রীলঙ্কা সিরিজে পরিকল্পনায় রাখেনি। আমি আশাবাদী যদি আরও ভালো খেলি। যেহেতু শ্রীলঙ্কা সিরিজ মিস হয়েছে, সামনে বিশ্বকাপের আগে যে সিরিজ থাকবে সেখানে হয়ত বিবেচনা করবে। সেই লক্ষ্যে আমি আমার সেরাটা দিয়ে অনুশীলন করার চেষ্টা করব, নির্বাচকদের নজরে আসার চেষ্টা করবো।  ‘সত্যি বলতে আমার তো আর হারানোর কিছু নেই, পাওয়ার অনেক কিছু ছিল। ইনশাআল্লাহ আমি আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করতেছি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যেমন নিজের সেরাটা দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায় আমিও ওই চিন্তা ভাবনা নিয়েই মাঠে নেমেছি। যদিও আমি আমার সেরাটা দিতে পেরেছি কি না জানি না। তবে চেষ্টা করছি আরও ভালো করতে নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে সামনে নিয়ে যেতে। ’ সবশেষ ২০২২ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে সাইফউদ্দিন। এরপর থেকেই দলের বাইরে রয়েছেন তিনি।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৭

‘ভোট বর্জনের আহ্বানে আ.লীগের নেতাকর্মীরাও সমর্থন দিয়েছিলেন’
আমাদের ভোট বর্জনের আহ্বানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সমর্থন দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সেলিমা রহমান বলেন, আমাদের ভোট বর্জনের আহ্বানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সমর্থন দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে পারিনি। ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থানের সময়ের সেই ছাত্র ও সুশীল সমাজ আর নেই।  তিনি বলেন, আজকে ছাত্র সমাজে দেখা যাচ্ছে হেলমেট বাহিনী, দুর্নীতি এবং নানান রকম কর্ম পরিধি। আজকে সুশীল সমাজ দ্বিধা বিভক্ত। সত্যিকার যে মধ্যবিত্ত সুশীল সমাজ ছিল, বাংলাদেশে যে একটা মূল্যবোধ ছিল, সেই মূল্যবোধ ও সমাজ ব্যবস্থা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, গত ৭ জানুয়ারি পরিস্থিতিকে মৌলিকভাবে একটুও পাল্টে দেয়নি। বস্তুগতভাবে আগের মতই আছে অথবা তার চাইতে পরিপক্ব হয়েছে। আন্দোলনকারী দল ও শক্তিসমূহ এটা মনে করছেন যে তারা হারেননি এবং ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমূহ ভবিষ্যৎ আন্দোলনের প্রশ্নে কর্মসূচি দিতে শুরু করেছে। আন্দোলন শেষ হয়নি। বরঞ্চ নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, এখন বিরোধী দল রাস্তায় নামছে, তাদের মধ্যে ঐক্য অটুট আছে এবং শত সহস্র অত্যাচার-নির্যাতনের পরেও সরকার মূল বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে কোনো ফাটল তৈরি করতে পারেনি। এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সরকারের অধীনে আছি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যত স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট সরকার রয়েছে; তাদের কাছ থেকে যেখানে যা প্রয়োজন সেই উপাদান নিয়ে শাসন করছে। তাদেরকে এক কথায় ভূষিত করা দুষ্কর। এই ফ্যাসিস্ট রেজিম টিকিয়ে রাখতে শেখ হাসিনা সবকিছু করতে পারে।’
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৮

নতুন সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডায় সমর্থন দেবে চীন
বাংলাদেশের নতুন সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে আইন অনুযায়ী বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে চীন। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা, সুবিধা এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির ওপর ভিত্তি করে চীন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত বন্ধুত্ব এবং উন্নত মানের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে (বিআরআই)’ আরও এগিয়ে নিতে নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বেইজিংয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ সমর্থনের কথা জানান। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকায় চীন দূতাবাস নিজেদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় চীন বাংলাদেশকে এবং নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আওয়ামী লীগকে অভিনন্দন জানিয়েছে। বাংলাদেশের বন্ধু ও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে চীন সে দেশের (বাংলাদেশের) নির্বাচনের পর তার আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে দৃঢ়ভাবে সমর্থন দেবে। মুখপাত্র আরও বলেন, চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিকে আরও এগিয়ে নিতে চীন প্রস্তুত রয়েছে। এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করার পরপরই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রদূত চীনা নেতাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ অভিনন্দন জানান তিনি। ঢাকার চীনা দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রদূত নিশ্চিত করেছেন, চীনা নেতারা দীর্ঘ দিনের লালিত সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং গভীর সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-চীনের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে চীন এবং বাংলাদেশ উভয়ই একটি সংকটময় পর্যায়ে রয়েছে। উন্নয়ন আধুনিকায়নে চীন সবসময় বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার এবং নির্ভরযোগ্য বন্ধু হিসেবে পাশে ছিল। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনায় চীন ও বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধার মডেল স্থাপন করেছে। বাংলাদেশে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে চীন বিরোধিতা করে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীন বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করবে। চীন বাংলাদেশে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চীন বাংলাদেশকে সহায়তা করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, বাংলাদেশের ২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নে চীন সহযোগিতা করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে প্রস্তুত। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ক্ষেত্রে আরও উন্নত সহযোগিতা ও অবদান রাখতে পারে চীন-বাংলাদেশ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১টায় পর্যন্ত ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৭টির ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ২২৩টিতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আর জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ১৫১টি বা তার বেশি আসনে যে দল জয়ী হন তারাই সরকার গঠন করেন। যেহেতু আওয়ামী লীগ ১৫১টির বেশি আসনে বিজয়ী হয়েছে। ফলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলটি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এর আগে, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৩

ধর্মঘটে সমর্থন করায় ৪৪ জন কর্মচারীকে বরখাস্ত করল পাকিস্তান
বেলুচিস্তান সরকার বালাচ মোলা বখশ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশে অংশ নেওয়ার অভিযোগে তুরবাত ও কোহলুতে ৪৪ জন সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে। যাদের মধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তাও রয়েছেন। মাকরান বিভাগের কমিশনারের জারি করা একটি অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে তুরবাতের বিভিন্ন বিভাগের ৩০ জন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যে জেলা গোয়েন্দা সমন্বয় কমিটির সাম্প্রতিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যেখানে এই কর্মকর্তাদের সরকার বিরোধী অবস্থান এবং প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের সহায়তা করার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সভায় সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশনার গ্রেড ১ থেকে ১৫ পর্যন্ত ৩০ জন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিবদের কাছে চিঠি দিয়ে গ্রেড ১৬ বা তার বেশি গ্রেডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও, কোহলু জেলার ১৪ জন সরকারি কর্মচারীকে গত মাসে কোহলুতে পৌঁছানোর সময় অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেওয়া এবং লং মার্চে অংশগ্রহণকারীদের সমর্থন করার জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই সরকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বেলুচিস্তান কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা (বিইডিএ) আইন- ২০১১ এর অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হওয়া বেশিরভাগ কর্মচারী শিক্ষা বিভাগের, যারা বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক হিসাবে কাজ করছেন।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৯

হরতালে সমর্থন জানিয়ে শনিবার বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা হরতালে সমর্থন জানিয়ে শনিবার (৬ জানুয়ারি) শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের ভোট বর্জনের পক্ষে গণসংযোগ কর্মসূচি শেষে এ ঘোষণা দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। তিনি বলেন, আজকে ৫ তারিখ। আর দুইদিন বাকি আছে নির্বাচনের। বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় যুক্ত হবে যদি— ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনের নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ হয়। আমি অবৈধ প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব আগামীকাল সন্ধ্যার মধ্যে সংবিধানের ক্ষমতাবলে ৭ তারিখের নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করুন এবং ৯০ দিনের মধ্যে আমাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে অন্তবর্তীকালীন সরকার অথবা জাতীয় সরকার গঠন করে একটি সুষ্ঠ ভোটের আয়োজন করুন। যদি না করেন আমরা ৭ তারিখের ভোট বর্জনের আহ্বান করেছি, আমরা বিশ্বাস করি বাংলার মানুষ ৭ তারিখে আপনাদের নাটকের দর্শক হবে না। এ সময় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকীসহ গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪১

গাজার গণহত্যায় সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় মার্কিন কর্মকর্তার পদত্যাগ
  ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার কারণে বাইডেন প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করেছেন উর্ধ্বতন এক মার্কিন কর্মকর্তা।  তারিক হাবাশ নামে মার্কিন শিক্ষা বিভাগের ওই কর্মকর্তা বুধবার (৩ ডিসেম্বর) তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ১০ দিন যেতেই একই কারণে পদত্যাগ করেন জোশ পল নামে মার্কিন  স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।  দেশটির শিক্ষা সচিব মিগুয়েল কার্ডোনার কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রে তারিক হাবাশ উল্লেখ করেন, বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের কর্মকাণ্ড গাজার লাখ লাখ নিরীহ জীবনকে বিপদের মধ্যে ফেলেছে। তাদের মদদে ইসরায়েলি সরকার ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকের ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এখন গাজার ভূ-খন্ড থেকে ফিলিস্তিনিদের জাতিগতভাবে নির্মূলের পরিকল্পনায় লিপ্ত তারা। তাই, আমাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।  তারিক হাবাশ একজন ফিলিস্তিনি-আমেরিকান এবং ২০২১ সালে জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিকেই তাকে মার্কিন শিক্ষা বিভাগে নিয়োগ করা হয়েছিল।  ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনে নাকাবার অভিজ্ঞতা গভীরভাবে দাগ কেটে আছে হাবাশের মনে। সে সময় মূল ভূ-খন্ড থেকে বাস্তুচ্যুত সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে ছিল তার পরিবারও। হাবাশ বলেন,  প্রতিদিন আমার সহকর্মী, মিডিয়া এবং আমার নিজের সরকার আমার পরিচয়ের অবমাননা করছে বলে আমার মনে হয়েছে। আমার মনে হয়েছে তারা আমার পরিচয় মুছে ফেলতে চায়।  চিঠিতে হাবাশ আরও বলেন, ৭৫ বছর ধরে আমার আত্মীয়দের তাদের পূর্বপুরুষের বাড়িতে ফিরে যেতে দেওয়া হয়নি। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি কয়েক দশক ধরে দখলদারিত্ব, জাতিগত নির্মূল এবং বর্ণবাদের সম্মুখীন হচ্ছে।এরপরও ইসরায়েলকে বাইডেন প্রশাসন যেভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তা সম্পূর্ণরূপে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অবমূল্যায়ন। আমাদের সরকার এমন একটি সরকারকে নিঃশর্ত সামরিক সহায়তা দিয়ে চলেছে যারা নিরীহ জীবনের পরোয়া করে না।  এদিকে গাজায় যুদ্ধ ইস্যুতে আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট হারাতে পারেন বলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হুঁশিয়ার করেছেন তার নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত ১৭ জন কর্মী।  একইদিন গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে)। আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হবে বলে নিশ্চিত করেছে আইসিজে। এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার আবার বলেছেন, গাজায় গণহত্যা চলছে বলে এমন কোনও কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।  
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৮

মাশরাফীকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল   
শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে সমর্থন জানিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নড়াইল-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল আমির লিটু। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ফয়জুল আমির লিটু তার শহরের নিজস্ব বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছে তরুণ ভোটাররা   তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি লিভারের রোগে আক্রান্ত। তার লিভারের নতুন একটি রিপোর্ট খুব খারাপ এসেছে। এতে তার পরিবার তাকে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। এ ছাড়াও আপিল বিভাগ থেকে গতকাল নির্বাচনে অংশগ্রহণে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বলেও জানান তিনি। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সময় নেই বলে মনে করেন এ প্রার্থী। তাই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে সমর্থন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের জামিন পেছাতে এসেছেন কেন : হাইকোর্ট তিনি আরও জানান, তাকে কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করা হয়নি, তিনি স্বেচ্ছায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি যে কদিন নির্বাচনের মাঠে ছিলেন সে কদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা পেয়েছেন।    এ সময় নড়াইলে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়