• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পর্তুগালে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের প্রথম সফল আয়োজন
এবারই কোনো সংগঠন পর্তুগালের লিসবনে প্রথম বাংলা নববর্ষ উদযাপন করল।   রোববার (১৪ অক্টোর) পহেলা বৈশাখ দুপুর ১২টা থেকে ভেন্যুটি উন্মুক্ত ছিল। যেখানে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সপরিবারে অংশ নেন। অনুষ্ঠানমালায় ছিল শিশুদের দেশীয় ছড়া, আবৃত্তি ও নববর্ষ নিয়ে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং আগত নারীদের নিয়ে ছিল বালিশখেলা। এই আয়োজনের বিশেষ চমক ছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে সবার জন্যে পান্তা-ইলিশ ও দেশীয় ভিন্ন স্বাদের ভর্তার আয়োজন। এ ছাড়াও নাচ ও গানে অতিথিদের মাতিয়ে রাখতে আয়োজকদের কোনো কমতি ছিল না। আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং আরও বড় পরিসরে পরবর্তীতে এমন আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও স্থানীয় রাজনীতিবিদ রানা তাসলিম উদ্দিন, বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান সাগর ও সদস্য সচিব শিপলু আহমেদ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের আরটিভি প্রতিনিধি আনোয়ার এইচ খান ফাহিম, সময় টিভি প্রতিনিধি তারিকুল হাসান আশিক, পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রনি মোহাম্মদ, সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, বর্তমান সভাপতি রাসেল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক শহীদ আহমদ সহ প্রেস ক্লাবের সদস্যরা। ব্যবসায়ী মো. জহিরুল ইসলাম, লেখিকা ফৌজিয়া খাতুন রানা, ব্যবসায়ী মাসুম আহমেদ, পর্তুগাল সাহিত্য সংসদের সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবুল আসাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ, কমিউনিটির তরুণ উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী আবু ইমন, যুবনেতা আহমেদ লিটন, সাংবাদিক এস.এম আজাদ, টিপু, আসাদ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব গোলাম মাহমুদ আযম, সোহেল আহমদ, ইমরানুল হক ইমু, শিহাব আহমেদ, আমির আলী, মাসুম আহমেদ, ব্যবসায়ী নাঈম হাসান ও আব্দুল কাদের জিলানী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের আয়োজক তরুণ উদ্যোক্তা রনি হুসাইন, বলেন পর্তুগালের সকল প্রবাসীদের নিয়ে ভবিষ্যতে  আরও বড় পরিসরে এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। সেই সাথে ঘোষণা করেন আজ থেকে নতুন ভাবে বাংলাদেশের সকল জাতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো খোলা মাঠে বড় পরিসরে আয়োজন করে, এখানে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধারার জন্য কাজ করবেন তারা। তিনি দলমত নির্বিশেষে এমন আয়োজন সফল করতে কমিউনিটির সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩২

‘ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সফল ইরান’
ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সফলতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। রোববার (১৪ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম ইরনা। আইআরজিসি প্রধান বলেন, ইসরায়েলে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে, সেগুলোর সবগুলোর সম্পর্কে তথ্য জানা যায়নি। তবে সেগুলোর একটি অংশ নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। মাঠপর্যায় থেকে যেসব তথ্য-প্রমাণ এসেছে তাতে দেখা গেছে, ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সফলতা পাওয়া গেছে। তিনি জানান, ইসরায়েলে আরও বড় পরিসরে হামলা চালানোর সক্ষমতা রয়েছে ইরানের। তবে সে পথে হাঁটেনি তেহরান। চলতি মাসের শুরুতে দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালাতে ইসরায়েলের যে স্থাপনাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, শুধু সেগুলো নিশানা করেই হামলা চালানো হয়েছে। হোসেইন সালামি বলেছেন, ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলের শিক্ষা নেওয়া উচিত। এখন ইসরায়েল যদি ইরানের হামলার পাল্টা জবাব দেয়, তাহলে তেহরান আরও শক্তিশালী হামলা চালাবে। তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে ইরান। বিশ্বের যেকোনো অংশে ইরানের স্বার্থ, সম্পদ, উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ও নাগরিকদের ওপর ইসরায়েল কোনো হামলা চালালে ইরানের তার মাটি থেকে দেওয়া হবে এর জবাব দেবে। এদিকে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তার দাবি ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। এতে ইসরাইলের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে, ইরানের দাবি, হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৫

ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর বেগম জিয়া এবং তার পুত্রসহ পাকিস্তানে ক্যান্টনমেন্টে আরাম-আয়েশে থাকে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর। এটি যখন আজ পরিষ্কার হয়ে গেছে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিধায় তারা এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। জিয়াউর রহমানের মতো খলনায়ককে আজ নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর মিথ্যাচার করেছে। ৭৫ এর পরের প্রজন্মকে তারা (বিএনপি) স্বাধীনতার আসল ইতিহাস জানতে দেয়নি। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে পেরেছে।  হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি মিথ্যাচার করে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা তখন কোথায় ছিল, অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আওয়ামী লীগ সরকার যার রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম; যিনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ। এই সরকারের অধীনেই জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ৪০০ টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেছেন। যদিও কোনো সম্মুখ সমরে কখনো যাননি। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণার একজন পাঠকমাত্র। জিয়া নিজেও কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি, যেটি নিয়ে বিএনপি এখন মিথ্যাচার করে। আলোচনা সভায় সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ ও চিকিৎসক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।  
২৯ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৬

‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন আছে বলেই নির্বাচনে শক্তিধর রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রও সফল হয়নি’
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শ এদেশের সব মানুষের অন্তরে আছে বলেই বিগত নির্বাচনে শক্তিধর রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রও সফল হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।  শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতির বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাঙালি অস্তিত্বের উৎস বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। উপাচার্য বলেন, যে দলের জন্ম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু, যে দলের অস্তিত্বের মধ্যে আছে বঙ্গবন্ধু, যে দলের উৎস হলো বাঙালি জাতীয়তাবাদ আর অসাম্প্রদায়িকতা, সেই দলকে কখনও ধ্বংস করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার এমনকি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক অনুসারীদের হত্যা করলেও যে আদর্শ মানুষের অন্তরে আছে, সে আদর্শকে কখনই হত্যা করা যায় না। সেটির প্রমাণ হলো আজকে বারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, অর্থনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি সেটি বাস্তবায়ন হতে চলেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন টিকে আছে বলেই এখনও বাংলাদেশ টিকে আছে। এমনকি এ কারণে দেশে এখনও আওয়ামী লীগ টিকে আছে এবং অসাম্প্রদায়িকতা টিকে আছে। এরপর শিক্ষানীতির প্রসঙ্গ টেনে ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের শিক্ষানীতি করার জন্য ড. কুদরত-ই-খুদাকে প্রধান করে কমিশন করেন বঙ্গবন্ধু। ড. কুদরত-ই-খুদা সেদিন যে শিক্ষানীতি দিয়েছিলেন যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন এবং সেই শিক্ষানীতি যদি প্রয়োগ হতো তাহলে বাংলাদেশ আজকে যে অবস্থানে আছে তার বহু আগেই সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক যে স্থিতিশীলতা সেটি বাংলাদেশ অর্জন করতো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি এখন পর্যন্ত বেঁচে থাকতেন, তাহলে শিক্ষাক্ষেত্রেও সিঙ্গাপুরের যে অগ্রগতি, সেটি বহু আগেই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র অর্জন করতো। কিন্তু ঘাতকরা সেটি হতে দেয়নি। ঘাতকরা চেয়েছে বাংলাদেশ হবে পাকিস্তানের মতো অনেকটা মৃত অকার্যকর রাষ্ট্রের মতো। সেই রাষ্ট্রের যে ধ্যান ধারণা ছিল সেই ধ্যান ধারণার মতো বাংলাদেশ চলবে। সেজন্যই ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহকর্মীদের হত্যা করে এবং আওয়ামী লীগ নামক রাজনৈতিক দলকে হত্যা করার পাঁয়তারা করে। সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) হাফিজুর রহমানসহ প্রমুখ।   
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:১২

ইউটিউব দেখে রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল আসলাম আলী
ইউটিউব দেখে রঙিন ফুলকপি চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন পাবনা সদর উপজেলার বিল ভাদুরিয়া গ্রামের কৃষক আসলাম আলী। তার রঙিন ফুলকপিতে পাবনা শহরের এমনকি জেলার অন্যান্য হাটবাজারগুলোর সবজির দোকান ছেয়ে গেছে। লাভও পাচ্ছেন ভালো।  রঙিন ফুলকপি আবাদ করে তিনি বেশ লাভবান হচ্ছেন। তাছাড়া প্রচুর মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে কপি দেখার জন্য ভিঁড় করেন। বেশ ভালোই লাগে। পাবনা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা পারভীন লাবনী বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তারা কৃষক আসলামকে সব সময়ই পরামর্শ ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে আসছেন।  আগামীতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এমন রঙিন কপি আবাদ করে এখানকার কৃষক আরও বেশি লাভবান হবেন এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের। 
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১১

বরই চাষ করে সফল মিজানুর রহমান
বাগানের চারদিকে তাকালে শুধু বরই আর বরই। ছোট গাছগুলো বরইয়ের ভারে নুইয়ে পড়েছে। আপেলের মতো দেখতে লাল টুকটুকে বড় বড় বরই শোভা পাচ্ছে গাছে গাছে। গাছগুলো রোপণের পর নিজেই পরিচর্যা শুরু করেন। সঠিক পরিচর্যায় গাছগুলোতে এ বছর ফল ধরেছে। গাছে গাছে শুধু দুলছে লাল আভা ছড়ানো থোকায় থোকায় বরই। পাকতে শুরু করেছে সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই। বিক্রিও শুরু করেছেন তিনি। আকার, স্বাদে ভালো হওয়ায় বাজারে মিজানুর রহমানের বাগানের বরইয়ের চাহিদাও খুব বেশি। এখন ১০০ টাকা দরে বাজারে বরই বিক্রি করছেন।  বরইয়ের এ বাগান গড়ে তুলেছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্যটিয়াখালীর গ্রামের মিজানুর রহমন। শীতকালীন ফলের মধ্যে বরই অতি পরিচিত ফল। প্রাচীনকাল থেকে এ ফলটির সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিতি। শীতকালীন অন্যান্য ফলের তুলনায় বরই অত্যন্ত সুস্বাদু। বিভিন্ন হাটবাজারে সবত্রই পাওয়া যায় এ মৌসুমী ফলটি। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে ও ফলন ভালো হওয়ায় বরইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে।  একসময় দেশি টক জাতীয় বরই পাওয়া গেলেও কৃষি গবেষণার ফলে আমাদের দেশেই বিভিন্ন ধরনের বরইয়ের উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে। এখন দেশেই বিভিন্ন প্রজাতির বরই পাওয়া যায়। অবশ্য বরইকে অনেকে কুল নামেও চেনে-জানে। দেশি টক জাতীয় বরইয়ের পাশাপাশি রয়েছে নারকেল বরই, আপেল কুল, বাউকুল ও থাইকুল। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। বরই চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হচ্ছে। বরই এমন একটি ফল, যা শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। তবে টক বরইয়ের চাহিদা রয়েছে এক শ্রেণির মানুষের কাছে। এ মুখরোচক ফলটি শীতকালে আমাদের দেশের প্রায় সব অঞ্চলে পাওয়া যায়। শখের বশেও অনেকে বাড়ির ছাদে বরইয়ের চাষ করছেন। খেতে সুস্বাদুর পাশাপাশি পুষ্টিগুণে ভরা। বরইয়ে রয়েছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামসহ নানা উপাদান, যা মানবদেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বরই চাষ করেই এখন মিজানুর রহমান একজন স্বাবলম্বী কৃষক। বরই চাষি মিজানুর রহমান টিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য টিয়াখালীর গ্রামের সাবেক মেম্বার ফকরুদ্দিন ছেলে। তার সংসারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে সিয়াম স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মিজানুর রহমানের বাগানজুড়ে বরই গাছে ভরা। লাল, সাদা আর মেরুন রঙের বাহারি ফলে ভরে গেছে বাগান। কর্মচারীরা ঝুড়িভর্তি করে বিক্রির জন্য গাছ থেকে ছিঁড়ছেন পাকা বরই। পাখির ঠোকর থেকে রক্ষার জন্য পুরো বাগানজুড়ে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে জাল। চলতি মৌসুম শুরু থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগান থেকেই বরই কিনে নিয়ে যান। প্রতিদিন বাগান থেকে কম বেশি বরই কিনে নেন ক্রেতারা। এদিকে বাগানটিতে বরই কিনতে, ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ক্রেতারা। পরে ফেসবুকে জুড়ে দেওয়া ছবি দেখে অন্যরা অনুপ্রণিত হয়ে ছুটে যাচ্ছেন বরই কিনতে বাগানে। এতে কৃষক মিজানুর রহমন মুখে হাসি ফুটে ওঠে এবং ক্রেতাদের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধু হয়ে যান। মিজানুর রহমান জানান, গত ৩ এপ্রিল ২০২৩ সালে চুয়াডাঙ্গা থেকে ৩৫০টি বরই চারা ক্রয় করে ও কৃষি অফিস থেকে ৭৫টি চারা সংগ্রহ করেন। ২৪০০০ টাকার বরই চারা কিনে নিয়ে পৈতৃক ১০০ শতাংশ জমি বরই চাষ শুরু করেন তিনি। সেই কুল বিক্রি করেই তার ভাগ্যের পরিবর্তন করেন। চলতি মৌসুমে বরই বিক্রি করে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন। বরই গাছ ৭-৯ ফুট লম্বা। সেখানে বল সুন্দারী কুল জাতের বরই আবাদ করেন। এক বছরে মিজানুর রহমান পেয়েছেন অভাবনীয় সাফল্য। ছেলের এ সফলতায় গর্ব বোধ করছেন বাবা ফকর উদ্দিন। এই বাগানে ৪২৫টি মতো বরই চারা রয়েছে। মাত্র ৭ মাসের মধ্যেই তাদের বাগানের প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণে বরই ধরেছে। প্রচুর পরিমাণে বরই ধরায় পুরো বাগানটি নেট দিয়ে ঘেরা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বাগানের গাছ থেকে বরই তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। মচমচে স্বাদে সুমিষ্টি হওয়ার কারণে তাদের এক মণ বরই চার হাজার টাকা দরে বিশ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। এই বাগানের উদ্যোক্তারা আশা করেছে চলতি মৌসুমে এখানে থেকে আরও ৩৫-৪০ মণ বরই বিক্রি করবেন। যা থেকে তারা প্রথম বছরেই বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করার সম্ভাবনা দেখছেন। একই সঙ্গে তাদের বাগান থেকে বারোমাসি থাই পেয়ারা আম ও বিক্রি করবেন। বর্তমানে তার বাগান ২০৫ শতাংশ জমি রয়েছে। বরই চাষি মিজানুর রহমান আরও বলেন, প্রথম আমি বরই চাষ করে বুঝতে পারলাম ও অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিভাবে আগামী বছর বরই গাছ পরিচর্যা করতে হবে। কৃষি অফিস থেকে আমাকে অনেক সুপরামর্শ দিয়েছে। আগামি বছর আরও ভালো ফলন ফলাতে পারবো বলে আশা করি। ৭ মাসের মাথায় বরই গাছগুলোতে ভালো ফলন দিয়েছে। গাছ থেকে পাকা বরই সংগ্রহ করেই স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। অনেকেই বাগানে এসে বরই কিনে নিয়ে যান। এ বছর আবহাওয়া শেষের দিকে খারাপ থাকায় ফুল ঝরে পড়েছে ও পাখির আক্রমণে অনেক বরই নষ্ট হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বশির বলেন, মিজানুর যে বরই চাষ করে সফল হবে তা কেউই কখনো কল্পনা করেনি। মিজানুর রহমানের বরই বাগানে ভালোই উৎপাদন হয়েছে। আশা করি, এ বছরই তিনি তার খরচ ওঠাতে পারবেন। বরই কিনতে যাওয়া চাকরিজীবী কামরুজ্জামান কায়েস বলেন, এ ধরনের বরই বাগান কলাপাড়ায় আর কোথাও নজরে পড়েনি। বরইগুলোও খেতে দারুণ মিষ্টি। মিজানুর রহমানের বরই বাগানে সফলতা দেখছেন। তার মতো অন্যরাও যদি ঝুঁকি নেয় উপকূলীয় এ অঞ্চল কাজ করে কৃষিক্ষেত্রে আরও সফলতায় এগিয়ে যাবে। কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, মিজানুর একজন সফল চাষি। তাকে কৃষি অফিস ও এসএসিপি সংস্থা সকল সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ে জোবায়েদা আক্তার সহকারী কৃষি অফিসার আছেন তারা কুল চাষে কৃষকদের সবরকম পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়