• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কাজিরগাঁও রেলপথে চট্টগ্রামগামী সাগরিকা ট্রেনের নিচে শিশুকে নিয়ে ঝাঁপ দিয়ে মায়ের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।   বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে আত্মহত্যার খবর পান স্বজনরা।  নিহতরা হলেন, হাজিগঞ্জ উপজেলার ধড্ডা দেওনজি বাড়ির রফিকুল ইসলামের মেয়ে তাহমিনা আক্তার রিমা ও তার দুই বছরের ছেলে আব্দুর রহমান। রেলওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ মাসুদ আলম ঘটনাস্থল থেকে মা ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।  এদিকে গেলো ২৮ মার্চ হাজীগঞ্জ থানায় প্রবাসী স্বামী মাসুদুজ্জামান হাওলাদারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে আত্মহননকারী গৃহবধূ তাহমিনা আক্তার।  অভিযোগে স্বামী প্রবাসে থাকা অবস্থায় তালাক দেয়ার পরও স্বামী দেশে এসে মুঠোফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। অভিযোগটির তদন্তে কাজ করেন হাজীগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক আবদুর রহমান। অন্যদিকে স্বজনেরা বলছেন, স্বামী মাসুদুজ্জামান দেশে এসে বিষয়টি সুরাহা না করে প্রবাসে চলে যাওয়ায় আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয় তাহমিনা। সে বিয়ের পর থেকে হাজীগঞ্জ উপজেলার ধড্ডা গ্রামে বাবার বাড়ীতে বসবাস করে আসছে। তাদের চার বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামীর বাড়ী একই উপজেলার স্বর্ণা গ্রামের হাওলাদার বাড়ী।
৮ ঘণ্টা আগে

নিজ সন্তানকে বিক্রি করতে বাজারে তুললেন মা!
পঞ্চগড়ে এক মাস বয়সী কন্যা সন্তানকে বিক্রি করার জন্য বাজারে তুলেছেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক মা। এ ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড় শহরের মেডিসিন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত হয়নি।  স্থানীয়রা বলছেন, তার বাড়ি জেলার আটোয়ারী উপজেলায়। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে বেড়াতো। এ দিকে এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন নারী তার কোলে থাকা ১ মাস বয়সের একটি কন্যা শিশুকে ২৫০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছে। দর-কষাকষির মাঝে ওই শিশুকে ক্রয় করছেন এক বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি। এক পর্যায়ে টাকা দিয়ে ওই নারীর শিশু সন্তানকে কোলে তুলে নেন বৃদ্ধ। স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী নিজ সন্তানকে বিক্রির জন্য দাম হাকায়। এরপর শহরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকার বৃদ্ধ মেকানিক ইসমাইল হোসেন শিশুটিকে ২৫০০ টাকার বিনিময়ে ক্রয় করে নেন। আবার বিক্রির বেশ কিছু সময় পর শিশুটিকে ফেরত নেন ওই নারী। এ বিষয়ে ইসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি মেকানিকের কাজ করি। আমি বাজারে বাজার করার সময় দেখি ওই মেয়ে তার সন্তাকে বিক্রি করবে বলতেছে। আমার এক ভাগনির সন্তান নেই। আমি সিউর হয়ে ভাগনির জন্য তার কাছ থেকে বাচ্চাটি ২ হাজার টাকায় ক্রয় করতে চাই। এর মাঝে সে আরো টাকা চাইলে আরও ৫০০ টাকা দিয়ে বাচ্চাটিকে নিজের কোলে নেই। এরপর বাড়ি ফেরার পথে সে আবার দৌড়ে এসে টাকা ফেরত দিয়ে বাচ্চাটিকে নিয়ে নেয়।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:১২

জামিন পেতে ধর্ষকের জমি লিখে দিতে হবে জন্ম নেওয়া সন্তানকে
ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর পিতৃপরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। সেইসঙ্গে জন্ম নেওয়া শিশু সন্তানের ভরনপোষণ দিতে বলা হয় ২১ বছর পর্যন্ত। তবে আসামি সেই রায় না মেনে আপিল করেন হাইকোর্টে, চান জামিনও। তবে শুনানিতে সন্তানের স্বীকৃতি ও সম্পত্তি লিখে দিতে রাজি হলে মিলে জামিন।  বুধবার (২০ মার্চ) দুই মাসের মধ্যে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার কথা ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহুরুল হকের বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য উঠে।  আসাদুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাহফুজুল আলম মুন্না। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল আজিজ মিয়া মিন্টু ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।  আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, রংপুরের মিঠাপুকুরের আসাদুলের সঙ্গে তার চাচাতো বোনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হন ওই নারী। বিয়ের জন্য চাপ দিলে আসাদুল সম্পর্ক ও অনাগত সন্তানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর আসাদুলকে আসামি করে ২০০৭ সালে ধর্ষণের মামলা করেন ভুক্তভোগী।একপর্যায়ে আদালতের আদেশে শিশুর পিতৃপরিচয় নিশ্চিতে ডিএনএ টেস্ট হয়। এতে জানা যায়, ভুক্তভোগীর গর্ভে জন্ম নেওয়া ওই ছেলে শিশুর বাবা আসাদুল। শিশুটির বয়স এখন ১৫ বছর। ২০১৬ সালের রংপুরের বিচারিক আদালত এক রায়ে আসাদুলকে যাবজ্জীবন সাজার রায় দেয়। এরপর সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন তা আইনজীবীরা। এর ধারাবাহিকতায় জামিনের আবেদনের পর গত জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে জামিন পান আসামি।  আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী আরও জানা যায়, দুই মাস আগে যখন জামিন হয় তখন হাইকোর্ট শর্ত দিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশু সন্তানের ভরণপোষণ ও ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিতে হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনতে বুধবার ধার্য করেছিল হাইকোর্ট। দুপক্ষের আইনজীবীসহ স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। ভোক্তভোগী নারীর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, উভয়পক্ষের আইনজীবী ও স্বজনের উপস্থিতিতে বুধবার আদালত নির্দেশ দেন ৫ বিঘা জমি লিখে দিতে হবে। দলিল দাখিলের পর পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে।  তবে ভোক্তভোগী নারী দাবি করেন আসাদুলের সম্পত্তি আরও বেশি রয়েছে। পরে আদালত সিদ্ধান্ত দেন তার প্রাপ্ত সম্পত্তির অর্ধেক লিখে দিতে হবে। আর সম্পত্তি না লিখে দিলে তার জামিন বাতিল হবে। আর এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২১ মার্চ ২০২৪, ১১:৫০

কিশোর গ্যাংয়ে জড়ানোয় সন্তানকে ত্যাজ্য করলেন ইউপি সদস্য
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সন্তান কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ায় তাকে ত্যাজ্য করেছেন মো. সিরাজুল ইসলাম নামে এক বাবা। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) লক্ষ্মীপুর নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে হাজির হয়ে ৩০০ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হলফনামার মাধ্যমে এফিডেভিট করে ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করেন তিনি।  মো. সিরাজুল ইসলাম উপজেলার ৩ নম্বর চরলরেন্স ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) সদস্য বলে জানা গেছে। আর ঘোষিত ত্যাজ্যপুত্র মো. সাগর হোসেন (২২) তার বড় ছেলে।  লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম মাহমুদ এফিডেভিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এফিডেভিটে সিরাজুল ইসলাম উল্লেখ করেন, সাগর হোসেন তার আপন সন্তান। সাগর এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ইতোমধ্যে তার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। তাছাড়া তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমাজে সম্মানহানি হচ্ছে সিরাজুল ইসলামের।  এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে সিরাজুল ইসলাম কিছুদিন আগে নিজেই সন্তান সাগরের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সে কিছু দিন কারাগারে থাকার পর সবকিছু ভুলে ভালো হয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তিনি নিজেই সন্তানের জামিন করান। কিন্তু জেল থেকে বের হয়ে ফের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়ে সাগর এবং এলাকায় প্রকাশ্যে বহু অপরাধ কর্মকাণ্ড চালায়।  এক পর্যায়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে ধারাল দা ছেনি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয় সে। সর্বশেষ পরিবারের কাউকে না জানিয়ে একজন বয়স্ক ও দুই সন্তানের জননীকে বিয়েও করে। এ পরিস্থিতিতে নিজের ও পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করেছেন বলে এফিডেভিটে জানিয়েছেন সিরাজুল। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আজ থেকে সাগরের কোনও ধরনের কর্মকাণ্ড, দায়-দেনা ও অপরাধের জন্য আমি ও আমার পরিবারের কেউ দায়ী থাকবে না। এখন থেকে সে আমার সন্তান নয়।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:০৭

এগারো বছর পর জন্ম নেওয়া যমজ সন্তানকে হত্যা করল ইসরায়েল
দীর্ঘ ১১ বছর পর মা হয়েছিলেন ফিলিস্তিনি নারী রানিয়া আবু আনজা। তিন দফা ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সন্তান ধারণের চেষ্টার পর জমজ সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তবে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মুহূর্তের মধ্যেই তার দুই সন্তান নিহত হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। গত শনিবার রাত ১০টার দিকে ওই পরিবারের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, শনিবার ওই নারীর শিশু ছেলে, মেয়ে ও স্বামীসহ পরিবারের ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন। এখনো বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে ওই পরিবারের আরও ৯ জন। গাজা-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর জন্ম নেওয়া উইসাম ও নাঈমকে রোববার দাফন করা হয়।  সন্তানের ব্যবহৃত একটি কম্বল বুকে জড়িয়ে রোববার রানিয়া জানান, তিনি তার বাচ্চা এবং স্বামীর জন্য চিৎকার করে ওঠেন। তারা সবাই মৃত। সন্তানদের নিয়ে তাদের বাবা চলে গেছে। মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য বন্ধ্যত্ব সমস্যা ঘুচানোর জন্য আমি দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা নিয়েছিলাম। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল গাজার আবাসিক ভবনগুলোতেও নিয়মিত বিমান হামলা চালিয়েছে, এমনকি রাফাতেও। যদিও গত অক্টোবর মাসে ইসরায়েল রাফাকে নিরাপদ জোন ঘোষণা করেছিল। এখন রাফাই হচ্ছে ইসরাইলের পরবর্তী স্থল অভিযানের টার্গেট।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪২

দুই সন্তানকে নিয়ে বিষপানে মায়ের মৃত্যু
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক গৃহবধূ তার দুই শিশু তাবাচ্ছুম (৬) ও ফাতেহাকে (৪) বিষপান করিয়ে নিজেও বিষপান করেন। এতে ওই মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাকিলার শ্রীপুর উত্তরে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে তার দুই শিশু মেয়ে।  চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সূত্র জানায়, বিষপান করা ওই গৃহবধূর নাম তানিয়া আক্তার (২৭)। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন। তবে তাবাচ্ছুম ও ফাতেহা এখনও চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তানিয়ার স্বজন আছমা বেগম বলেন, মালেয়েশিয়া প্রবাসী কাউসারের স্ত্রী তানিয়া। প্রায় বছরখানেক আগে কাউসার বিদেশে গেছেন। আর এই সময়ে তাদের দূরুত্বে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে মনক্ষুণ্ন ছিলেন তানিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে তানিয়া এই বিষপানকাণ্ড করেন। এ বিষয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু শিশুরা এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১২

শিশু সন্তানকে নিয়ে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী, থানায় অভিযোগ দায়ের   
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের উত্তর কৌশল্যা বড় বাড়ির সৌদি প্রবাসী মো. গিয়াস উদ্দিন স্ত্রী শাহনাজ আক্তার ঝর্ণা গত ৫ ফেব্রুয়ারি  রাজাপুরের ভাড়া বাসা থেকে তার ছয় বছরের কন্যা সন্তানসহ নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন নিয়ে উধাও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে  জানা যায়, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের তাহিরপুর ভূঁইয়া বাড়ির আবুল কাশেমের মেয়ে শাহনাজ আক্তার ঝর্ণার সঙ্গে প্রায় ১৩ বছর পূর্বে প্রবাসী মো. গিয়াস উদ্দিনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ছয় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের ৫ বছর আগে থেকে মো. গিয়াস উদ্দিন সৌদি আরব থাকতেন। বিয়ের পর প্রায় ১৩ বছর ধরে প্রবাস জীবনের সব টাকা স্ত্রীর নামে ব্যাংকে ও বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতেন মো. গিয়াস উদ্দিন। স্বামী বিদেশ থাকা অবস্থায় এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হন তার স্ত্রী। বিষয়টি জানাজানি হলে মো. গিয়াস উদ্দিনের ছয় বছরের মেয়ে তাসলিমা আক্তার চাঁদনি, ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণ ও সংসারের আসবাবপত্র নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১২টায় রাজাপুরের ভাড়া বাসা থেকে পালিয়ে যান ওই গৃহবধূ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে প্রবাসী মো. গিয়াস উদ্দিনের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সৌদি প্রবাসী মো. গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী পলাতক শাহনাজ আক্তার ঝর্ণা এবং তার মেয়ে তাসলিমা আক্তার চাঁদনির খোঁজ কেউ দিতে পারলে সন্ধান দাতাকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে গিয়াস উদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আবুল হাসিম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় অভিযোগ করেন বাদী। মামলাটি তদন্তের জন্য এস আই আরিফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি সরেজমিনে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪১

রোগব্যাধি থেকে দূরে রাখতে সন্তানকে যা খাওয়াবেন
শীতের বিদায় এবং বসন্তের আগমনের সন্ধিক্ষণ হলো রোগজীবাণুর সক্রিয় হয়ে ওঠার পক্ষে একদম আদর্শ সময়। ছোটদের ইমিউনিটি বড়দের তুলনায় কম। যার ফলস্বরূপ খুব সহজেই একাধিক জীবাণু ছোটদের শরীরে রোগের বাসা বাঁধতে পারে। তাই বিপদ ঘটার আগেই ছোট্ট সোনার ইমিউনিটি বাড়িয়ে নিতে হবে। আর সেই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে কয়েকটি অত্যন্ত উপকারী জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার। তাই এসব খাবার সম্পর্কে জেনে আপনার সন্তানের খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন-  ১. চিকেন: বাচ্চারা চিকেন খেতে খুবই ভালোবাসে। আর তাদের এই ভালোবাসারই আপনাকে ফায়দা তুলতে হবে। কারণ ১০০ গ্রাম চিকেনে রয়েছে ১ মিলিগ্রাম জিঙ্ক। তাই দেহে এই খনিজের ঘাটতি মেটাতে চাইলে নিয়মিত ছোট্ট সোনাকে মুরগির মাংস খাওয়াতেই হবে। তবে শুধু জিঙ্ক নয়, এর পাশাপাশি ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনেরও সন্ধান মেলে এই খাবারে।  ২. মাটন: মাটন হলো জিঙ্কের খনি। জানলে অবাক হবেন, ১০০ গ্রাম মাটন থেকে প্রায় ৪.৮ গ্রাম জিঙ্ক মিলতে পারে। এর পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন বি, আয়রন এবং প্রোটিনের ভাণ্ডার। তাই সন্তানের ইমিউনিটিকে চাঙ্গা করে তুলতে চাইলে তাকে মাঝেমধ্যে রেডমিট খাওয়াতে ভুলবেন না যেন। তবে ভুল করেও যেন ছোট্ট সোনাকে বেশি মাটন খাওয়াবেন না। কারণ এতে রয়েছে অত্যধিক পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা কিনা একাধিক বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই এই বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখুন। ​৩. মসুর ডাল​: আমাদের অতি পরিচিত মসুর ডালে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনের পাশাপাশি জিঙ্কেরও সন্ধান মেলে। আর সবথেকে বড় কথা, এই ডাল সহজপাচ্যও বটে। তাই সন্তানের শরীরে এই খনিজের ঘাটতি মেটাতে চাইলে তার পাতে প্রতিদিন মসুর ডাল অবশ্যই রাখতে হবে। তবে শুধু মসুর ডাল নয়, এর পাশাপাশি মুগ থেকে শুরু করে কলাই, ছোলার ডালেও বেশ কিছুটা পরিমাণে জিঙ্ক রয়েছে। তাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এইসব ডালও আপনার সন্তানের খাবারের তালিকায় জুড়ে দিতে পারেন। ৪. বাদাম: সন্তানের শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি মেটাতে চাইলে তাকে নিয়মিত বাদাম খাওয়াতে ভুলবেন না যেন। এই কাজটা করলেই বাড়বে তার ইমিউনিটি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমন্ড, ওয়ালনাটের মতো বাদামে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান ছোট্ট সোনার বুদ্ধি বাড়ানোর কাজে সহযোগী। তাই সন্তানের বুদ্ধির গোড়ায় জোর দিতে চাইলে তাকে প্রতিদিন কয়েকটি আখরোট এবং ওয়ালনাট খাওয়াতে ভুলবেন না যেন। ৫. ডিম​: একটা ডিমে প্রায় ০.৫ গ্রাম জিঙ্ক থাকে। সেই সঙ্গে এতে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি সহ একাধিক উপকারী উপাদানের ভাণ্ডার যা কিনা ইমিউনিটি বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের পরিবর্তনে কার্যকরি। তাই সন্তানকে প্রতিদিন একটা করে ডিম খাওয়াতে ভুলবেন না যেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৫

কাঁদতে কাঁদতে নিজ সন্তানকে নিয়ে যা বললেন মাহি
আবারও বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় সংসার ভাঙল এই অভিনেত্রীর। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এ খবর জানিয়েছেন ঢালিউড অভিনেত্রী নিজেই। ভিডিওতে সংসার ভাঙার বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি নিজ সন্তানকে নিয়ে কথা বলেন মাহি। কথা বলতে গিয়ে শেষের দিকে আবেগ সংবরণ করতে পারেননি মাহি। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার যে ছোট বাবুটা। আমার ফারিস আমার কলিজার টুকরা। ছোট বাচ্চাটাকে অনেকে অনেক কথা বলেন। ওকে নিয়ে কিছু লিখবেন না। কোনো বাচ্চাকে নিয়েই লিখবেন না। আমার আর ফারিসের জন্য দোয়া করবেন। প্রফেশন থেকে অনেক দূরে। নতুন করে কাজ শুরু করব। আমার বাচ্চাটা বড় করব। সবাই দোয়া করবেন ফারিসকে নিয়ে আমার চলার পথটা যেন মসৃণ হয়। তিনি আরও বলেন, আমি জানি আমার এ ভিডিও দেখে হয়তো অনেকে অনেক কথা বলবেন। অনেক রকমের বাজে কমেন্ট করবেন। এই কমেন্টগুলো আমার বুকে তীরের মতো বিধবে। কষ্ট হয়। কিছু বলি না। কিন্তু লিখেন না। আমি কষ্ট পাই। ভিডিওর শুরুতেই মাহি বলেন, আমি ও রাকিব খুব ভালো বোঝাপোড়া থেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু জীবনের একটা পর্যায়ে এসে মনে হয়েছে আমাদের একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। তাই আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা আলাদা থাকছি। মাহি বলেন, আসলে কি কারণে একটি ছাদের নিচে দুইটি মানুষ কেনো ভালো নেই সেটি তৃতীয়পক্ষ কেউ বলতে পারবে না সেই দুইজন মানুষ ছাড়া। আর তাই সব কিছু মিলিয়েই দুজন দুজনের প্রতি সম্মান জানিয়েই আলাদা হচ্ছি। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। এটি মাহি ও রকিবের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এর আগেও ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান মাহি। 
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১২

হাসপাতালে দুধের সন্তানকে অন্যের কোলে দিয়ে উধাও মা
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুধের সন্তানকে অন্যের কোলে দিয়ে উধাও হয়েছেন মা। এ ঘটনায় শিশুটিকে নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে তাকে শিশু ওয়ার্ডে রেখে দেখভাল করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে অন্য এক রোগীর মায়ের কাছে তিন মাসের কন্যাসন্তানকে দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান মা। সরেজমিনে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডে স্টাফ হাসি বেগমের তত্ত্বাবধানে থাকা শিশুটি কিছু সময় পরপর কান্না করছে। হাসপাতালের লোকজন জানান, এদিন বিকেলে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় বারান্দায় বসেছিলেন নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেলেকে নিয়ে আসা মাসুদা। এ সময় এক নারী তার কাছে কিছুক্ষণের জন্য রাখতে বলেন বাচ্চাটিকে। সন্ধ্যা নামলেও শিশুটির মায়ের খোঁজ মেলেনি। পরে মাসুদা বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে কর্তৃপক্ষ শিশুটির দায়িত্ব নেয়।  হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনদের দাবি, সে কেমন মা যে এভাবে তার দুধের বাচ্চাকে ফেলে রেখে যায়? এমন হীন কর্মকাণ্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়