• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
আরও ২ পোশাক কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ
গাজীপুর টঙ্গীর উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কমফিট বানানা লিফ নামে আরও দুই পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে।     শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফলে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১৩–তে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে কারখানা দুটি পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। সনদ পাওয়ার ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০–এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।  উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং কমফিট বানানা লিফ লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে। ১১০ নম্বরের মধ্যে উইন্ডি অ্যাপারেলস পেয়েছে ৬৯ নম্বর। আর কমফিট বানানা লিফ এর নম্বর ৭৩। বিজিএমইএ তথ্যানুযায়ী, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে বর্তমানে লিড সনদ পাওয়া পরিবেশবান্ধব কারখানা বেড়ে হয়েছে ২১৩। তার মধ্যে ৮০টিই লিড প্লাটিনাম সনদধারী। এ ছাড়া ১১৯টি গোল্ড, ১০টি সিলভার ও ৪টি কারখানা সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে। পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার হাত ধরে ২০১২ সালে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার যাত্রা শুরু হয়। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার ৯টিই বাংলাদেশে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি লাভ করেছে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর এসএম সোর্সিং। ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি ১০৬ পেয়েছে। দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো হচ্ছে ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল, গাজীপুরের নিট এশিয়া ও ইন্টিগ্রা ড্রেসেস, নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস, গাজীপুরের লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং ও লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মানিকগঞ্জের তারাসিমা অ্যাপারেলস। উইন্ডি অ্যাপারেলসের কারখানা গাজীপুরে টঙ্গীতে এবং কমফিট ব্যানানা লিফের কারখানা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াইতে অবস্থিত।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪০

ধর্ষণকাণ্ড : জাবির ৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ২ জনের সনদ বাতিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং দুইজনের একাডেমিক সনদ বাতিল করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান জানান, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মূল অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সহযোগী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি অভিযুক্তদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৭

ব্যবহার সনদ ছিল না বেইলি রোডের সেই ভবনের
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ২০১৯ সালে অভিযান চালিয়েছিল রাজউক। সে সময় ভবন তৈরিতে অনিয়মের কারণে ওই ভবনের অননুমোদিত অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ভবনটিতে ছিল না রাজউকের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট বা ব্যবহার সনদ। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাত তলা ওই ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভবনটিতে অগ্নিনির্গমন পথ ছিল না। সিঁড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারসহ নানা ধরনের মালামাল রাখা ছিল। নিচতলায় আগুন লাগলে ওই সিঁড়ি দিয়ে নামতে পারেনি মানুষ। আটকা পড়ে ধোঁয়ার বিষক্রিয়ায় অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। অপরদিকে রাজউক জানিয়েছে, ভবনটিতে অফিসের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। রেস্তোরাঁর জন্য কোনো অনুমোদন ছিল না। কিন্তু গ্রিন কোজির বিভিন্ন ফ্লোরে রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলার চা-কফির দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম রোববার (৩ মার্চ) গণমাধ্যমকে জানান, নিয়ম ভঙ্গ করায় ওই ভবনকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল, পরে সেখানে অভিযানও চালানো হয়। রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, ওই ভবনটি অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নেয়নি। এছাড়া তারা কিছু আনঅথোরাইজড কনস্ট্রাকশন করেছিল। এ কারণে আমরা অভিযান চালিয়ে ওই অংশটুকু ভেঙে দিই। ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী, ভবন নির্মাণের পর ব্যবহার বা বসবাসের আগে ব্যবহার সনদ বা অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নিতে হয়। একটি ভবন সঠিকভাবে তৈরি হয়েছে কি-না, ভবনটি ব্যবহারের জন্য নিরাপদ কি-না, সেটি নিশ্চিত করার জন্যই দেওয়া হয় অকুপেন্সি সার্টিফিকেট বা ব্যবহার সনদ। রাজউক আরও জানায়, ২০১১ সালে গ্রিন কোজি কটেজ বেইজমেন্টসহ আট তলার অনুমোদন নেওয়া হয়। আবাসিক কাম বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া ওই ভবনটির নিচ তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক এবং উপরের অংশ আবাসিক ব্যবহারের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালে ভবনের কাজ শেষ হয়। রাজউকের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই ওই ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এ কারণে ভবন মালিককে ২০১৯ সালে নোটিস দেওয়া হয়। ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবনের কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হয়।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৮

টাকা দিলেই রোহিঙ্গারা পেত নাগরিকত্ব সনদ
টাকা দিলেই রোহিঙ্গারা পেতেন নাগরিকত্ব সনদ। হয়ে যেতেন বাংলাদেশের নাগরিক। মাত্র ৩০ হাজার টাকায় মিলত এনআইডি ও জন্ম নিবন্ধন সনদ। একটি চক্র তাদের ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ সরবরাহ করছে। টাকার বিনিময়ে এসব ভুয়া সনদপত্র দিচ্ছেন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটররা বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। গ্রেপ্তাররা হলেন, দিনাজপুরের বিরল পৌরসভার কম্পিউটার অপারেটর আব্দুর রশিদ, বিরলের রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর সোহেল চন্দ্র, তাদের সহযোগী শহিদুল ইসলাম মুন্না, রাসেল খান ও মোস্তাফিজুর রহমান। তারাই মূলত রোহিঙ্গাদের এসব দোকানে নিয়ে আসতেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সংবাদ সন্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়।  এতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর–রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার রশিদ ও সোহেল পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সচিবের আইডি ব্যবহার করে এনআইডি সার্ভার ও জন্ম নিবন্ধনের সার্ভারে প্রবেশ করে এসব কাজ করতেন। তাদের কাছে গ্রাহক এনে দিতেন মাঠ পর্যায়ে কাজ করা বাকি তিনজন। ডিবি প্রধান বলেন, চক্রটি ভোটার আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরির কথা বলে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহক সংগ্রহ করত। বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে সাইবার টিমের কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে চক্রটির সন্ধান পান তারা। অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, চক্রের মূলহোতা আব্দুর রশিদ দিনাজপুরের বিরল পৌরসভার কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত এবং সোহেল চন্দ্র বিরলের ১০নং রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ওই ইউনিয়নের নাগরিক দেখিয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ বানিয়ে দিতেন। চক্রের অন্য সদস্যরা কাজের ধরণ অনুযায়ী টাকা পেত।  এছাড়াও কুষ্টিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের অন্যান্য পৌরসভা ও ইউনিয়নে তাদের লোকজন রয়েছে। যারা পাঁচ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন দিয়েছেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২১

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৩ পণ্যের জিআই সনদ হস্তান্তর
মন্ত্রিসভার বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ৩ পণ্যের জিআই সনদ হস্তান্তর করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা। শিল্প মন্ত্রণালয়ের নকশা ও ট্রেডমার্ক বিভাগের টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার জিআই সার্টিফিকেট এবং টাঙ্গাইলের শাড়ি বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের কবিতার বই ‘পিতারই প্রতিচ্ছবি’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৮

ধর্ষণের ঘটনায় জাবির ৬ জনের সনদ স্থগিত, ৩ জন বহিষ্কার
স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৬ শিক্ষার্থীর সনদ স্থগিত করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তে চার সদস্যদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সনদ স্থগিত হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের মুরাদ হোসেন, শাহ পরান, মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী, মো. হাসানুজ্জামান ও এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান। পাশাপাশি মুরাদ, সাব্বির ও মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হওয়ার পর গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চার আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইজন পলাতক রয়েছেন। পলাতকরা হলেন- ভুক্তভোগীর পূর্বপরিচিত মো. মামুনুর রশিদ এবং স্বামীকে আটকে রাখায় সহায়তা ও মারধর করা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ। তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়