• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নরসিংদীতে প্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে গুলি ও গলা কেটে হত্যা 
নরসিংদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে জনসম্মুখে এক ইউপি সদস্যকে গুলি ও গলা কেটে  হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া বাজারে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  নিহত মো. রুবেল আহম্মেদ ওরফে বডি রুবেল আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি বৈয়ূম গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে।  স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নরসিংদীর আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য নিহত রুবেল আহাম্মেদ ওরফে বডি রুবেল দুপুরে পাকুরিয়া বাজারে আসেন। কাজ শেষে পৌনে ২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। ওই সময় প্রাইভেটকারে করে একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পরপর ৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে দুর্বৃত্তরা তার শরীরের ওপরে বসে গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।   এ দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে ইউপি সদস্যের হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ ভিড় করেন। হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।  এলাকাবাসীর একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, গতবার আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিহত রুবেল আহাম্মেদের সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইমরুল। ওই সময় দু’প্রার্থীর মধ্যে একাধিকবার হামলা, মামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়ে নিহত রুবেল বিজয়ী হন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমরুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও চরমে পৌঁছে।  এর জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা।   হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করেছেন মাধবদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৫

পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে আসামি ছিনতাই, মা-ছেলেসহ গ্রেপ্তার ৩ 
ময়মনসিংহের ত্রিশালে তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত মা ও ছেলেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা তিনজনই পুলিশের ওপর হামলা মামলার আসামি। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া মা ও দুই ছেলেকে সংশ্লিষ্ট মামলায় ময়মনসিংহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।  আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয় বলে জানিয়েছেন ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন।   আসামিরা হলেন- উপজেলার ধানীখোলা দক্ষিণ ভাটিপাড়া শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মা আমিনা খাতুন ওরফে বেদেনা (৬০) ও তার দুই ছেলে হারুন মিয়া (৪৪) এবং নাঈম মিয়া (২২)। এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে ত্রিশাল ও ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। থানা পুলিশ জানায়, গত ১৭ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আমিনা খাতুন ওরফে বেদেনাকে ধরতে যায় ত্রিশাল থানা পুলিশের একটি টিম। এ সময় আসামিকে গ্রেপ্তারের পর তার দুই ছেলে হারুন মিয়া ও নাঈম মিয়া দা নিয়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এএসআই ইসমাঈল, এএসআই গোলাম রসুল এবং এএসআই মো. রাকিবকে (৩৯) কুপিয়ে জখম করে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৮ মার্চ ত্রিশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করে। 
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৭

পাবনায় সর্বহারা পার্টির সাবেক সদস্যকে গুলি করে হত্যা
পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুরে চরমপন্থী দল সর্বহারা পার্টির সাবেক এক আঞ্চলিক নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  রোববার (১৭ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের মানিকনগর বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত আব্দুর রাজ্জাক শেখ (৩৮) গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়ণপুর গ্রামের মৃত আজিজুল শেখের ছেলে। রাজ্জাক নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (লাল পতাকার) আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অন্যান্য চরমপন্থীর সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি।  পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যায় ইফতার করে তারাবিহ এর নামাজের পর চা খাওয়ার জন্য মানিকনগর বাজারে যান আব্দুর রাজ্জাক। এরপর সেখানকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তিনি। এমন সময় দুটি মোটরসাইকেলযোগে ৫-৬ জন মুখোশধারী যুবক এসে তাকে পরপর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় গুরুতর আহতাবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।    পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে এমনভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন পুলিশের কর্মকতা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। তিনি বলেন, নিহত আব্দুর রাজ্জাক নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। ঘটনার পরপরই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সেটি এখনো জানা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:১২

পালিয়ে আসা ১৭৯ বিজিপি সদস্যকে রাখা হলো বিজিবি স্কুলে
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ১৭৯ সদস্যকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ১১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ক্যাম্প সংলগ্ন বর্ডার গার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি তথ্যভান্ডার তৈরির কাজ চলছে। এর পর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিজিপি সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। এর আগে সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপির মোট ১৭৯ জন সদস্যকে নিরস্ত্রীকরণ করে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ মুজাহিদ উদ্দিন জানান, ১১ মার্চ প্রথমে সকালে ২৯ জন ও পরে রাতে ১৫০ জন মিলে সর্বমোট আসা ১৭৯ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বর্ডার গার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাদের পরিচয় শনাক্তকরণ কাজ চলছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যসহ ৩৩০ জন সেনা। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার উখিয়ার ইনানী নৌ–বাহিনীর জেটিঘাট দিয়ে তাদের মিয়ানমারে পাঠানো হয়। আর ১১ মার্চ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন আরও ১৭৯ জন।
১৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:১৮

তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যকে খুন করে মাটিচাপা
যশোরের বেনাপোলে তৃতীয় লিঙ্গের এক সদস্যের মাটিচাপা দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম রেশমা। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে বেনাপোলের কাগজপুকুর প্রাইমারি স্কুল থেকে ১০০ গজ দূরে একটি সীমানা প্রাচীরের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, আজ সকালে স্থানীয়রা স্কুলের অদূরে একটি আমবাগানের পাশে নতুন কবর দেওয়ার মতো কিছু দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। দুপুরে গর্ত খুঁড়ে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি সুমন ভক্ত। তিনি বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। তবে কে বা কারা, কী কারণে খুন করেছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ২০:৩২

৪০০ পুলিশ সদস্যকে পদক পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এবার সর্বাধিক সংখ্যক ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হলো পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪। এ সময় জীবন উৎসর্গকারী নয়জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ৬০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামলূক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ২১০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ পদকে ভূষিত করা হয়। বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা- এই চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। যারা এ পদকে ভূষিত হন তাদের নামের শেষে বিপিএম-পিপিএম উপাধি যুক্ত হয়। বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রমে এসেছে গতিশীলতা এবং কর্মচাঞ্চল্য। পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির সংযোজন, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশেষায়িত নতুন নতুন ইউনিট গঠনসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মঅধিবেশনে গত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৪

ভারতে সাবেক সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যা 
ভারতের হরিয়ানায় নাফে সিং রাঠি নামে সাবেক এক সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক দল হরিয়ানা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদলের (আইএনডিএল) প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নাফে সিংকে বহনকারী গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় এক বন্দুকধারী। এতে তিনি ছাড়াও প্রাণ হারান তার সঙ্গে থাকা আরও এক নেতা। সেইসঙ্গে গুরুতর আহত হন আরও দুজন। তাদের অবস্থাও বেশ আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আইএনডিএল মিডিয়া সেলের প্রধান রাকেশ সিংয়ের বরাত দিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার হরিয়ানার ঝাঝর জেলায় নিজের এসইউভি করে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন নাফে সিং রাঠি। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ একটি গাড়িতে করে সাবেক এই লোকসভা সদস্যের গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় এক বন্দুকধারী। পর মূহুর্তেই বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যান তিনি। আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী ব্রহ্ম শক্তি সঞ্জিবানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, হাসপাতালে পৌঁছানো মাত্রই মৃত্যু হয় নাফে সিং রাঠির। তিনি বাহাদুরগড়ের সংসদ সদস্য ছিলেন। সেখানেই এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে গেছেন আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তারা এখন সিসিটিভি ফুটেজ থেকে হত্যাকারীকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছেন। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণই এবং তার কাছের লোক কালা জাথেদিকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সম্পত্তির দ্বন্দ্ব নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। হরিয়ানার রাজনৈতিক অঙ্গনে খুবই পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন নাফে সিং। দুইবার রাজ্যটির আইনসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৮

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে নিপুণ চাকমা চোগা (৩৫) নামে এক ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বোধিপুর এলাকায় হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য জেএসএস (এমএন লারমা) গ্রুপকে দায়ী করছে ইউপিডিএফ। তবে হত্যাকাণ্ডের দায় অস্বীকার করেছে জেএসএস (এমএন লারমা) গ্রুপ।  ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) বঙ্গলতলী এলাকার সমন্বয়ক আর্জেন্ট চাকমা হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার রাতে বোধিপুর এলাকায় একটি অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল নিপুণ চাকমাসহ ইউপিডিএফ এর বেশ কয়েকজন সদস্য। হঠাৎ মোটরসাইকেল চালিয়ে সেখানে এসে হাজির হয় প্রতিপক্ষের দুই সন্ত্রাসী। এরপর ব্রাশ ফায়ার করে পালিয়ে যায় তারা। অতর্কিত এ হামলায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় নিপুণ চাকমার।  এদিকে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাঘাইছড়ি উপজেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ)। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে দলটি। তবে, নিপুণ চাকমা হত্যার সঙ্গে জেএসএস (এমএন লারমা) কোনভাবেই জড়িত নয় দাবি দলটির বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি জ্ঞানজীব চাকমার। তিনি বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ড ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে ঘটতে পারে।  এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঘাইছড়ি থানার সার্কেল অফিসার ও রাঙ্গামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আউয়াল বলেন, এলাকাটি দুর্গম এবং রাত হওয়ায় এখনও ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছাতে পারেনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিস্তারিত জানা যাবে। উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকের মাচালং ব্রীজ পাড়ায় ইউপিডিএফ এর দুই সদস্য দীপায়ন চাকমা ও আশিষ চাকমাকে একই উপায়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় সন্তু লারমারপন্থী জেএসএস গ্রুপকে দায়ী করে ইউপিডিএফ। পরে নিহত দীপায়ন চাকমার স্ত্রী এশিয়া চাকমা বাদী হয়ে সাজেক থানায় মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। 
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩০

রায়পুরায় র‌্যাবের ৩ সদস্যকে কুপিয়ে আসামি ছিনতাই
নরসিংদীর রায়পুরায় মাদকবিরোধী অভিযানের সময় র‌্যাবের উপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা  র‌্যাবের তিন সদস্যকে কুপিয়ে আহত করে ইউনুস আলী (৪০) নামে এক মাদক মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের সোনাকান্দী এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ইমরান হোসেন (৩৫) নামে  র‌্যাব-১১ এর এক কনস্টেবলের নাম পাওয়া গেলেও বাকিদের তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার র‌্যাব-১ ও নরসিংদীর র‌্যাব-১১ এর একটি যৌথ দল মাদকবিরোধী অভিযানে নিলক্ষা ইউনিয়নের সোনাকান্দি এলাকায় যায়। এসময় নিলক্ষা ইউনিয়নের সোনাকান্দী গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী ইউনুস আলীকে (৪০) আটকের পর নিয়ে আসার সময় তার আত্মীয় স্বজন ও তার পক্ষের লোকরা ব্যারিকেড দিয়ে র‌্যাব সদস্যদের উপর হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় হামলাকারীদের কোপে র‌্যাবের কনস্টেবল ইমরান হোসেনের হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আরো দুই র‌্যাব সদস্য গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামসুল আরেফিন বলেন, র‌্যাবের  মাদকবিরোধী অভিযানে আসামি ধরে নিয়ে আসার সময় তাদের উপর হামলা হয়েছে। এতে তিন র‌্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়