• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তীব্র গরমে পুলিশ সদস্যদের প্রতি ১১ নির্দেশনা
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। চলমান এই গরম আরও বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে এবং পুলিশ সদস্যদের সুস্থ থাকতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১১টি নির্দেশনা প্রদান করেছে। নির্দেশনাগুলো হলো- ১. বাইরে দায়িত্ব পালনের সময় ছাতা, ক্যাপ এবং সানগ্লাস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ২. পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ধীরে ধীরে পান করতে হবে এবং ঠান্ডা পানি (বরফসহ/ফ্রিজের পানি) পান পরিহার করতে হবে। ৩. স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ৪. পুলিশ মেস এবং ক্যান্টিনে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে। ৫. বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আধাঘণ্টা পর/দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর হাতমুখ ধৌত বা গোসল করতে হবে। ৬. জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবে। ৭. স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানি পান করা যেতে পারে যদি তা অন্য কোনো কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। ৮. অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৯. অফিস ও আবাসন-ব্যারাকের দরজা-জানালা যথাসম্ভব খোলা রাখতে হবে। ১০. ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের তাপপ্রবাহ চলাকালে সুস্থ থাকার বিষয়টি তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। ১১. তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকতে এবং হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত রোলকলে এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় পুলিশ সদস্যদের অবহিতকরণসহ সচেতন করতে হবে।
২৩ ঘণ্টা আগে

মাথায় গুলি চালিয়ে আনসার সদস্যের আত্মহত্যার অভিযোগ
‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ চিরকুট লিখে নিজ মাথায় গুলি চালিয়ে এক আনসার সদস্য আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।নিজ মাথায় গুলি চালিয়ে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত আনসার সদস্যের নাম আফজাল হোসেন (২৫)। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে কর্তব্যরত ছিলেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে দায়িত্বরত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এ মুহাইমিন আল জিহান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার সময় আমি বাসভবনে ছিলাম না। আফজাল বিকেল ৪টার দিকে ডিউটি শুরু করেন। এর আধা ঘণ্টা পর শটগান দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করেন। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পাই। উদ্ধার করে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। শটগান ও একটি গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান ইউএনও। বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, সোমবার বিকেলে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে দায়িত্বরত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জানান ওসি। এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। তার মাথার বাম পাশে গুলিবিদ্ধ ছিল।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩২

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিনের সদস্য নিহত
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাইপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। অভিযানে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আইএসপিআর জানায়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়া এলাকায় সোমবার অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানে কেএনএফের এক সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এ সময় অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৩ নারী সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, লাল নুন পুই বম (১৮), লাল রুয়াত ফেল বম (২০) ও লাল এং কল বম (২৬)। জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই রুমার ইডেন পাড়ার বাসিন্দা। বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, অপহরণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার তিন নারীকে আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক মো. নুরুল হক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির মামলায় ৭১ জনকে গ্রেপ্তার করল যৌথবাহিনী।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৮

নোয়াখালীতে আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য মো. শরীফ উল্লাহকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে সাইবার ক্রাইম উইং এন্টি টেররিজম ইউনিট।  সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে তাকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে, একই দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।     গ্রেপ্তারকৃত শরীফ মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের মীরআলীপুর গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে।    জানা যায়, সকালে সাইবার ক্রাইম উইং এন্টি টেররিজম ইউনিট ঢাকার একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।  এরপর তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা নেওয়া হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়।  অভিযোগ রয়েছে, আসামি শরীফ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। তিনি ফেসবুক গ্রুপে ইসলামিক আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করে প্রজাতন্ত্রের জানমাল, সম্পত্তি ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্রের লিপ্ত। উগ্রবাদী পোস্ট প্রচার প্রচারণা করার অপরাধ করে আসছেন। দীর্ঘ নজরদারি শেষে ১টি মোবাইল ও ১টি সিমসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।   ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম।  তিনি বলেন, মামলাটি এন্টি টেরোরিজম ইউনিট ঢাকার একটি দল তদারকি করছে।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৮

মতিঝিল আইডিয়ালের গভর্নিং বডির সদস্য নির্বাচিত মহি উদ্দিন
মহি উদ্দিন (মাহি)। গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার হাইলজোর গ্রামে। পার্শ্ববর্তী হাইলজোর স্কুল ও কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাঠ শেষ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষে ২০১০ সালে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পড়ান বাংলা বিষয়ে। ইংরেজিতেও সমান দক্ষ তিনি। তার মেধা, দক্ষতা, আন্তরিকতা ও পরোপকারী কাজের মাধ্যমে অল্প সময়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন মহি উদ্দিন।   শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির ২০২৪ সেশনের নির্বাচন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে শিক্ষকদের ভোটে তিনি বিপুল ভোটে শিক্ষক প্রতিনিধি (স্কুল শাখা) নির্বাচিত হন। তার এই বিজয়ে স্কুল, পরিবার ও বন্ধু মহলে আনন্দের ধুম পড়েছে। সবাই তাকে মোবাইল ফোন ও মেসেঞ্জারে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। বিজয়ের পর রাতেই তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এই বিজয় আইডিয়ালের শিক্ষক বৃন্দের।’ মহি উদ্দিন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এই বিজয় আমি আমার শিক্ষক সহকর্মীদের উৎসর্গ করলাম, যারা আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। সবার কাছে দোয়া চাই আমি যেন আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। আমি নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা বাস্তবায়নের জন্য যথাসাধ্য কাজ করে যাব। এ জন্য চাই সবার আন্তরিক সহযোগিতা। মহি উদ্দিন দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় বসবাস করেন। মহি উদ্দিনের বাবা মোমতাজ উদ্দীন একজন কৃষক ও ধর্মপরায়ণ মানুষ। মা মমতাজ পারভীন গৃহিণী। চার ভাইবোনের মধ্যে মহি উদ্দিন সবার বড়।      নির্বাচনের অন্যান্যা ফলাফল দাতা সদস্য পদে কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল; সাধারণ অভিভাবক সদস্য (উচ্চ মাধ্যমিক স্তর) পদে অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন ও মো. শাখাওয়াৎ হোসেন; সাধারণ অভিভাবক সদস্য (মাধ্যমিক স্তর) পদে শিব্বির আহমেদ ও মোহাম্মদ আলী, সাধারণ অভিভাবক সদস্য (প্রাথমিক স্তর) পদে মো. শাহাদাৎ ঢালী, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন করছেন ফাহমিদা আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া সাধারণ শিক্ষক সদস্য (কলেজ শাখা) পদে মোহাম্মদ ফেরদাউস এবং সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন উম্মে ফাতিমা। জানা গেছে, চূড়ান্ত বৈধ প্রার্থী তালিকায় ৩৩ জন অভিভাবক, শিক্ষক ও দাতা সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে সাধারণ অভিভাবক সদস্য (মাধ্যমিক স্তর) পদে সর্বোচ্চ ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া, দাতা সদস্য পদে দুইজন, অভিভাবক সদস্য পদে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৩ জন, প্রাথমিক স্তরে ৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ প্রার্থী। কলেজ শাখার সাধারণ শিক্ষক সদস্য পদে দুইজন, স্কুল শাখার ৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২ জন শিক্ষক।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১০

মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ : একদিনে বিজিপির আরও ২৪ সদস্য বাংলাদেশে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে টিকতে না পেরে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আর ১১ সদস্য পালিয়ে এসেছে। এ নিয়ে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) একদিনে নতুন করে আরও ২৪ জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বিকেলে টেকনাফের ঝিমংখালীর সীমান্ত দিয়ে তিনজন ও নাইক্ষ্যংছড়ির হাতিমারাঝিরি সীমান্ত দিয়ে আটজন নতুন করে আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগে ভোরে টেকনাফের নাফ নদীতে বিজিপির আরও ১৩ সদস্য এসে কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ নিয়ে শুক্রবার আসা ২৪ জনসহ মোট ২৮৫ জন ১১-বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের অধীনে আশ্রয়ে রয়েছেন। বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১-বিজিবি) অধীনে থাকা ২৮৫ জনের মধ্যে বিজিপি ছাড়াও সেনা সদস্যও রয়েছেন। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে গত বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন পালিয়ে আসে। মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করছিল ১৮ জন। এর আগে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে এই দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। তারও আগে রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির ১৪ জন সদস্য। তিনি আরও বলেন, এর আগে থেকে এখানে ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিলেন। যাদের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিলো।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৫৩

পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ১১ বিজিপি সদস্য
মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১১ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রাখা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) টেকনাফের ঝিমংখালী দিয়ে তিনজন এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার হাতিমারাঝিরি দিয়ে আটজন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, আজ নতুন করে আরও ১১ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার নাফ নদী সীমান্ত অতিক্রম করে ১৩ জন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড বিজিপি সদস্যদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১৩ বিজিবি) নিকট হস্তান্তর করেন।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৫৪

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ১৩ বিজিপি সদস্য
মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে টেকনাফের নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে কোস্ট গার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, নাফ নদী সীমান্ত অতিক্রম করে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। এসময় তারা কোস্ট গার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে কোস্ট গার্ড বিজিপি সদস্যদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১৩ বিজিবি) নিকট হস্তান্তর করে। বর্তমানে মোট ২৭৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে আছেন।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪২

নাইক্ষ্যংছড়ি দিয়ে রাতে বাংলাদেশে ঢুকল বিজিপির ৫০ সদস্য
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে রাতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) আরও ৫০ জন সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢুকল ৬৮ জন। এনিয়ে ৩ দিনে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ৮৪ জন সেনা-বিজিপি সদস্য।  বিজিবি সূত্রে জানা যায়, এর আগে মঙ্গলবার সকালে (১৬ এপ্রিল) নাইক্ষ্যংছড়ির রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২ জন এবং জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন ঢোকেন। এরপর দুপুরে বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে ঢোকে আরও ১ জন। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ঢোকেন আরও ৫ জন।  আর সবশেষ রাত ১১ টার দিকে সীমান্ত পিলার ৪৪ এবং ৪৫ দিয়ে ঢুকে পড়ে আরও ৫০ জন। এ নিয়ে একদিনেই আশ্রয় নেয় ৬৮ জন। এ ৬৮ জনের মধ্যে বিজিপি ও সেনা সদস্য রয়েছে। তবে কোনো বাহিনীর কত জন সদস্য তা এখনও বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এরা এখন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে রয়েছে। জানা গেছে, দেশটির অভ্যন্তরে বিজিপি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাতে টিকতে না পেরে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিজেদের তত্ত্বাবধানে রেখেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ইসলাম বিষয়টি তখন নিশ্চিত করেছেন বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল। তিনি জানান, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। এর আগে গত ১২ মার্চ বিজিপির ১৭৭ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০১

সেনা অভিযানে কেএনএফের ৮ সদস্য আটক, অস্ত্র উদ্ধার 
বান্দরবানের দোপানিছড়াপাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৮ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বেশ কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বান্দরবান রিজিয়নের ১৬ ইস্ট বেঙ্গলের ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুংসাং পাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীব। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের গোপন খবর পেয়ে এলাকাটি ঘেরাও করে সেনা সদস্যরা। পরে আটজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন ও ২টি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।  এর আগে, গত ২ এপ্রিল রাতে তারাবিহ নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।  এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে আটটি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, দুটি এসএমজি, চারটি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এর পরদিন থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।  এর রেশ কাটতে না কাটতেই ওইদিন মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়। সবগুলো ঘটনার সঙ্গেই কেএনএফ জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কেএনএফের সঙ্গে শান্তি সংলাপ চলাকালে সমঝোতা স্মারকের শর্ত অমান্য করে সংগঠনটির সামরিক শাখার সদস্যরা ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করায় সরকার ও কেএনএনফের সঙ্গে আলোচনা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি’। এই সন্ত্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়