• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়ে সাকিবের মন্তব্যের সত্যতা প্রকাশ তামিমের
গত বছর বিশ্বকাপের বিমানে ওঠার আগে দেশের বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। যেখানে সতীর্থ তামিম ইকবালের বেশ কয়েকটি বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে অনেক সমালোচনার শিকার হতে হয় এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। সে সময় তামিম ইকবালের হঠাৎ করে অবসর ও অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়েও কথা বলেছিলেন সাকিব। তিনি বলেন, আমি তো প্রায় এক বছর আগে থেকেই শুনছি, যে অধিনায়কত্ব করবে না। এটা নিয়ে ড্রেসিং রুমেও অনেক কথা হতো।  ‘আমার যতটুকু মনে পড়ে, কোনো এক সিরিজে কেউ একজন বলেছিল যে ভাই নেতৃত্ব ছাড়লে আগেই ছেড়ে দেন। সামনে বিশ্বকাপ আছে তাই যে আসবে সে কিছুটা সময় পাবে।’ সাকিবের এমন মন্তব্যের পর অনেকেই তার দিকে আঙ্গুল তুলেছিল, যে অধিনায়কত্ব দেওয়ার জন্য পিছন থেকে ষড়যন্ত্র করেছেন তিনি। তবে আট মাস পর সাকিবের সেই মন্তব্যে সত্যতা প্রমাণ করেছেন তামিম নিজেই। সোমবার (১১ মার্চ) দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রকাশ করা হয় তামিম ইকবালের একটি সাক্ষাৎকার। সেখানে তার অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন এই টাইগার ড্যাশিং ওপেনার। তামিম বলেন, এটা হঠাৎ করে নয় আমি যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি, তারপর জালাল ভাইয়ের বাসাতেও আমি বলেছি। আর মানুষ একটা জিনিস ভুল জানে। আমরা অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়টি হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এমন ঘটনাও ঘটেছে আমাকে থ্রেট দেওয়া হয়েছে, তুমি এমন করলে আমরা অন্য অধিনায়ক দেখবো।  সুতরাং তামিমের অধিনায়কত্ব ছাড়া বিষয়টি হঠাৎ করে নয় তা প্রমাণ হয়। নেতৃত্ব নিয়ে বিসিবি এবং কোচের সঙ্গে আগে থেকেই একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল তামিমের সঙ্গে। যার ফলেই অধিনায়কত্ব ছাড়েন তামিম।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩২

শিক্ষক মুরাদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে : ডিএমপি
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রীর ‘শ্লীলতাহানির প্রাথমিক সত্যতা’ মিলেছে। শিক্ষক মুরাদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ভিকটিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছে। তদন্ত শেষ করে আসামিকে বিচারের আওতায় আনা হবে। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। আসামি এসব অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।   মহিদ উদ্দিন বলেন, একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কেউ আশা করে না। ২৬ ফেব্রুয়ারি একজন বাদী লালবাগ থানায় আসেন। তিনি অভিযোগ করেন, গত বছর তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় গণিতের শিক্ষক মুরাদ হোসেনের ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ত। তখন মুরাদ ওই ছাত্রী ও তার সহপাঠীদের সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করেন। অনেক ছাত্রী এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।   তিনি বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি তাকে বরখাস্তের সুপারিশ না করে বদলির সুপারিশ করে। ১০ ফেব্রুয়ারি মুরাদকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি মুরাদের শাস্তির দাবিতে ছাত্রীরা আজিমপুর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। মামলার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে আমরা রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে  আসামিকে গ্রেপ্তার করি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামির আইনজীবী চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে কারাবিধি অনুসারে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়