• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গণহত্যার স্বীকৃতি চাইলেন সজীব ওয়াজেদ জয়
২৫ মার্চ ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে নৃশংসভাবে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। স্বাধীনতা দিবসে করা এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে নির্মম গণহত্যার একটি এই ঘটনা (২৫ মার্চ)। এটির পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও এখনও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পায়নি, যা মানবাধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থনকারী বিশ্বশক্তির বিবেকের এক স্পষ্ট ব্যর্থতা। সজীব ওয়াজেদ জয় তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ২৬ মার্চের মধ্য রাতে কুখ্যাত অপারেশন সার্চলাইটের নামে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ঢাকায় এক ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা করে। গণহত্যা, সন্ত্রাসের কারণে শহরে ছড়িয়ে পরে আতঙ্ক। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বাধীনতার উদ্দীপ্ত শিখা নেভাতে পাকসেনারা দেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও সাহসী মানসিকতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যবস্তু করে। নিরস্ত্র হলেও তাদের গণহত্যা করা হয়। এমনকি তাদের যথাযথ দাফনও করা হয়নি। তিনি লেখেন, বেশ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিক সেই ঘটনা পরবর্তীতে প্রকাশ করে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সার্বভৌমত্ব, জাতীয়তা, ভাষা ও সংস্কৃতির আন্দোলনের কারণে পাকসেনারা ভয়ে ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সেই ভয় থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভয়ের বিষয়টি বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে দুই পাক অফিসারের মধ্যে পাঠানো একটি বার্তার মাধ্যমে। ‘বড় পাখি খাঁচায় আছে’, মুজিবকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এভাবেই বার্তা দিয়েছিলেন পাক অফিসাররা। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেন, পাকবাহিনীকে সমর্থনকারী বাহিনী এখনও আমাদের রাজনৈতিক ভূখণ্ডে সক্রিয়। আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধ্বংস করতে প্রস্তুত। তবে আওয়ামী লীগের প্রতি জনসমর্থনের জন্য তারা ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি লেখেন, আসুন ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি। আমাদের বীর যোদ্ধারা যারা দেশের জন্য রক্ত দিয়েছিলেন দেশকে তাদের স্বপ্নের মতো বিশ্বের জন্য একটি মডেলে রুপ দেওয়ার অঙ্গীকার করি।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২১:২৫

জয়ের নেতৃত্বে আইসিটি বিপ্লব হচ্ছে বাংলাদেশে : কাদের
সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে নিরবে-নিঃশব্দে দেশে আইসিটি বিপ্লব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  তিনি বলেছেন, আজকে সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশে আসে, আবার চলে যায়। নিরবে আসে, নিঃশব্দে চলে যায়। কেউ টেরও পায় না। কিন্তু তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটা নিঃশব্দ বিপ্লব হচ্ছে, আইসিটি বিপ্লব। এই বিপ্লবের স্থপতি হচ্ছে জয়। তার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিরবে আবার চলে যাচ্ছে। কোনো সাড়া-শব্দ নেই। এই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর পরিবার। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। সভার সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের বলেন, পঁচাত্তরে যখন ফিরে যাই, জাতির পিতার রক্তাক্ত লাশ পড়েছিল ৩২ নম্বরের সিঁড়িতে, সেই লাশ দুই দিন পর আনা হয় টুঙ্গিপাড়ায়। ৫৭০ সাবান আর রিলিফের কাপড় ব্যবহৃত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর দাফনে। ১৮-১৯ জন লোককে জানাজা পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুকে দাফন দিয়ে তারা ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুকে মানুষ ভুলে যাবে। তাদের হিসাবের অংক কত যে ভুল! আজ টুঙ্গিপাড়া বাঙালির তীর্থকেন্দ্র। তিনি আরও বলেন, আজকে জাতির পিতার কাছে আমরা কী শিখবো? আমাদের রাজনীতিতে আমরা কীভাবে শিক্ষাগ্রহণ করব, আমাদের রাজনীতিতে কী যোগ্যতা প্রয়োজন আমরা সেটা কীভাবে শিখবো? আমি বলবো, এদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস, রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। একটি পরিবার ক্ষমতার ১৫ বছরে ক্ষমতার কোনো বিকল্প সেন্টার এই পরিবার করেনি। এদেশে হাওয়া ভবন নেই। এই পরিবারের সন্তানেরা মেধাবী। যে যেখানে আছে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই পরিবার সততার প্রতীক। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডবোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৩

‘পুতুল সরকার না পাওয়া পর্যন্ত তাদের কোনও ভোটই পছন্দ হবে না’
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সোমবার (১৮ মার্চ) তিনি এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র যতদিন বাংলাদেশে একটি পুতুল সরকার বসাতে না পারবে, ততদিন পর্যন্ত কোনও নির্বাচনই তাদের পছন্দ হবে না।” ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে এনডিআই ও আইআরআই প্রতিবেদন প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয়। ওই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি অংশ নেয়নি। ফলে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এনডিএ ও আইআরআইর প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনের আগে পরে সহিংসতা কম হয়েছে। তার কারণ হিসাবে নির্বাচনী প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতি এবং দেশের নিরাপত্তায় সরকারের বাড়তি নজরকে চিহ্নিত করেছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

বইমেলায় মারুফ হোসেন সজীবের ‘অলিতে গলিতে’
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তরুণ চিত্রনাট্যকার ও নির্মাতা মারুফ হোসেন সজীবের গল্পের বই ‘অলিতে গলিতে’। এটি তার প্রথম বই। প্রচ্ছদ করেছেন জুলিয়ান। বইটি প্রকাশ করছে দুয়ার প্রকাশনী। এর মুদ্রিত মূল্য রাখা হয়েছে ২৭০ টাকা। বইটি রকমারি ডটকমসহ বইমেলায় প্রকাশনীর ৩৫৭ নাম্বার স্টলে পাওয়া যাবে। বইটি সম্পর্কে লেখক মারুফ হোসেন সজীব বলেন, বইটি ১১টি ছোটগল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে। শহরের অলিগলির ছোট ছোট গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে। গল্পে আছে প্রেম, সংসার, সমাজের বিভিন্ন ধরনের অবক্ষয়ের ছোটাছুটি। ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে লেখা প্রতিটি গল্পই আশা করি পাঠকদের ভালো লাগবে। প্রসঙ্গত, ‘বিলোপ’ নাটকের চিত্রনাট্যের জন্য পেয়েছেন মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার-২০২১ ও দুই ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ট নাট্যকার ও শ্রেষ্ট নাট্যপরিচালক হিসেবে ‘চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২১।  
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০২

‘একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠা ‍ও আত্মবিকাশের দিন’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ বলেছেন, মায়ের ভাষার অধিকার ও রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল বীর বাঙালি জাতির লড়াই-সংগ্রাম আর বীরত্বের গৌরবগাঁথা অধ্যায়। শহিদের রক্তে রঞ্জিত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠা, আত্মবিকাশ ও আত্ম-বিশ্লেষণের দিন।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা লিখেন তিনি। সজীব ওয়াজেদ জয় স্ট্যাটাসে লিখেছেন, পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসন ও শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিসত্তা বিনির্মাণের প্রথম সোপান। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে না হতেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’ কেড়ে নিতে চায়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হয়ে ওঠে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার ছাত্র-জনতা। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট ও হরতালের আহ্বান করা হয় উল্লেখ করে তিনি আরও লেখেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই হরতাল কর্মসূচির নেতৃত্ব প্রদান করেন। যার ফলে তার ওপর পুলিশি নির্যাতন চালানো হয় এবং ওইদিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের পর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠন করা হয়। সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ২৪ জন নেতৃবৃন্দকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক এই উপদেষ্টা আরও লেখেন, ১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু আটকাবস্থায় গোপনে বৈঠক করে ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন ও সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি ১৯৫২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জেল হাসপাতালে থেকে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ২১ ফেব্রুয়ারি হরতাল ডেকে গণপরিষদ ঘেরাও করার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে জানিয়ে পোস্টে সজীব ওয়াজেদ লেখেন, কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত সংঘবদ্ধ ছাত্র-জনতাকে কোনোভাবেই দাবিয়ে রাখা যায়নি। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বাংলার আকাশ-বাতাস। ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয় রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অগণিত শহিদের রক্তে। ভাষা আন্দোলনের গতিবেগ দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরীণ রাখে। তবে জেলে অবস্থানকালেই বঙ্গবন্ধু ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রতিষ্ঠা’ ও ‘রাজবন্দীদের মুক্তি’র দাবিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের অনশন করেছিলেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের ওই পোস্টে সকল ভাষা শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে জয় লিখেছেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?’
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৩

আবারও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হলেন সজীব ওয়াজেদ জয়
আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।  রোববার (২১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগের সরকারেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর এই পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। ওইদিন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস রানা তার পদত্যাগের তথ্য নিশ্চিত করেন। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে টানা চতুর্থবার ও সবমিলিয়ে পঞ্চমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পঞ্চম মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনার সঙ্গী হন ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীর ছয়জন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়। গত মন্ত্রিসভার মতো নতুন মন্ত্রিসভায়ও ড. মসিউর রহমান, ড. গওহর রিজভী, ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, সালমান ফজলুর রহমান, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং সাবেক মুখ্যসচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। উল্লেখ্য, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৩

নির্বাচন ঘিরে সন্ত্রাসই বিএনপি-জামায়াতের জনবিচ্ছিন্নতার প্রমাণ: সজীব ওয়াজেদ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যাসহ যাবতীয় সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত প্রমাণ করেছে যে তারা জনবিচ্ছিন্ন। রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোটের দিন সন্ধ্যা ৭ টা ১৩ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স প্লাটফর্মে নিজের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট থেকে এই বার্তা দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বার্তায় তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে তিন মাস ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। এই তিন মাসের নাশকতায় অন্তত ৯ জন নিরীহ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। একশোর বেশি যানবাহন পুড়েছে এবং রাষ্ট্রের শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরপর বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাস পোড়ানো, পুলিশ হত্যা, রেল লাইন তুলে ফেলা, সড়ক অবরোধ কীভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে! কতটা জনবিচ্ছিন্ন হলে নির্বাচন বয়কট করতে পারে এবং বিদেশি শক্তির কাছে ধর্ণা দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারে তারা। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই প্রমাণ করে, বিএনপি-জামায়াতকে বর্জন করেছে তারা। আরেকটি পোস্টে ভোটের দিন চট্টগ্রামে ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনার একটি ভিডিও আপলোড করে সজীব ওয়াজেদ মন্তব্য করেন, গণতন্ত্রকে রুখে দিতেই বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে ভোটের দিনও। কিন্তু গণতন্ত্রকে রুখে দেওয়ার সেই অপচেষ্টা নস্যাত করে দিয়েছে তরুণ ভোটাররা বলে জানান তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স প্লাটফর্মে অপর এক পোস্ট করে এ মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। ওই পোস্টে এক নারী ভোটারের ভিডিও আপলোড করে তিনি লিখেছেন, 'আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং সহিংসতামুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ চেয়ে ভোট দিয়েছি- দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা, সারা দেশে উৎসবের মেজাজ।' সজীব ওয়াজেদ এরপর লিখেন, ভোটারদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখতে বিএনপি-জামায়াত কয়েক মাস ধরে যে সহিংসতা  চালিয়েছ, তা উপেক্ষা করেছে দেশের জণগণ। ভোটে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা গেছে নতুন ভোটারদের। এছাড়া কষ্ট করে ভোটকেন্দ্রে এসেছেন বয়স্করাও। বিশেষ করে ভোটাধিকার প্রয়োগে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা এবং একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠণ উভয়ের জন্যই ভোটাধিকার প্রয়োগ করাকে অপরিহার্য বলে মনে করেন তারা। বেশ কিছু বিদেশি পর্যবেক্ষক ইতিমধ্যেই দেখতে পেয়েছেন যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের দিন উৎসবের আমেজে মজেছিল সারা দেশ।  এই পোস্টে শেয়ার করা ওই ভিডিওতে মধ্যবয়সী এক নারী ভোটারকে উচ্ছ্বসিতভাবে বলতে দেখা গেছে, 'গণতন্ত্রকে লাইনচ্যুত করার জন্য এবং আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়ার জন্য বিএনপি জামায়াতের অবরোধ। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি।'
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়