• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘রমজানে জিনিসপত্রের দাম যাতে না বাড়ে, আমরা সজাগ আছি’
রমজানে জিনিসপত্রের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য সরকার খুব সজাগ আছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। মজুতদারদের বিরুদ্ধে এবার খুবই সতর্ক সরকার। কোনোভাবেই পণ্য মজুত করে ভোক্তাদের কৃত্রিম সংকটে ফেলতে দেওয়া হবে না। রমজান মাস আসছে, জিনিসপত্রের দাম যাতে না বাড়ে এ বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমরা তিন মন্ত্রী (খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী) মিটিং করেছি, যখনই প্রয়োজন হবে আমরা আবার বসব। প্রয়োজনে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও মিটিং করব। ছোট ব্যবসায়ীরা যাতে বিপদে না পড়ে সেটা কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। শিগগিরই পেঁয়াজ ও আলুর দাম আরও কমে আসবে। এর আগে, কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্ট্যান বর্নের নেতৃত্বে ইউএস কৃষি বিভাগের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি ও কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস পৃথক বৈঠক করেন।  মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি মিশরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।  তিনি বলেন, একসময় মিশরে পাটের চাষ হতো, এখন হয় না। বর্তমানে মিশরে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণের ভালো ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। আমরা মিশরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে চাই। এক্ষেত্রে জাত, বীজ ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রয়োজন। মিশরের প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে। সেটিকে কাজে লাগিয়ে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য মিশরকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী। কানাডার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠালসহ শাক-সবজি নেওয়ার অনুরোধ করেন কৃষিমন্ত্রী। এ ছাড়া কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে কানাডার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। এসব বিষয়ে সক্রিয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস। বাংলাদেশের কৃষিকে আরও বেশি রপ্তানিমুখী করা এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে আম, আনারস প্রভৃতির জুস রপ্তানি করা যেতে পারে বলে জানান তিনি। ইউএস কৃষি বিভাগের প্রতিনিধিদল বৈঠকে বাংলাদেশে সয়াবিন রপ্তানি এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩১

‘অন্যদের সজাগ করলেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি হুমায়ুন’
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটের পাটুরিয়া ৫ নং ফেরিঘাটের কাছে ৯টি ট্রাক নিয়ে ফেরি রজনীগন্ধার ডুবির ৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি দ্বিতীয় মাস্টার (যন্ত্রচালক) হুমায়ুন কবিরের (৩৯)। ফেরি ডুবির সময় অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাড়ে ফিরলেও নিখোঁজ আছেন হুমায়ুন। তবে ফেরিতে থাকা ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ট্রাকের চলক ও হেলপার। হুমায়ুনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে তার। ২০১১ সালে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি শুরু করেন হুমায়ুন। সাত মাস আগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে ফেরিতে যোগ দেন। হুমায়ুন কবীর বিআইডব্লিউটিসি ওয়াকার্স ইউনিয়নের আরিচা আঞ্চলিক কমিটির দক্ষিণ (পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া) শাখার সভাপতি ছিলেন। আরও পড়ুন : স্বার্থের জন্য নির্বাচনের আগে ইস্যু তৈরি করেছিল আমেরিকা : ড. মোমেন   বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালালউদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিতে থাকা সবাইকে আত্মরক্ষার জন্য হুমায়ন সজাগ করলেও তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। ফেরিটি যখন ডুবছিল হয়তো কোনো কিছুর চাপায় নিচে ফেরির মধ্যে আটকে গেছেন। ৩৬ ঘণ্টায়ও তার কোনো খোঁজ না মেলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মহসিন ভুঁইয়া। এদিকে, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারের কাজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে স্থগিত করা হয়। বুধবার দুটি ও বৃহস্পতিবার একটি ট্রাক উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম। বুধবার সকাল ৮টার দিকে রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি ডুবে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম মালবোঝাই ট্রাকটিকে উপরে তুলে নিয়ে আসে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) খালেদ নেওয়াজ। আরও পড়ুন : ৯০ হাজার সেনা নিয়ে ন্যাটোর বিশাল সামরিক মহড়া   ফেরি ডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিনকে প্রধান করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এই দুর্ঘটনার অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের পাটুরিয়া প্রান্তে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় নোঙর করে রাখা ফেরি রজনীগন্ধা। এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ফেরিটির দ্বিতীয় যন্ত্রচালক  হুমায়ূন কবীর এখনো নিখোঁজ আছেন।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়