• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবকে দুষলেন এ্যানি
বাংলাদেশের মাটিতে এসে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং ভোটকে প্রভাবিত করেছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ২০১৪ সালে সুজাতা সিং বাংলাদেশে এসে বলেছিলেন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। যাদের দিয়ে ব্যালটে সিল মেরে জোর করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসেছে, তাদের দিয়েই বিএনপির নেতাকর্মীদের খুন ও গুম করেছে। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব জীবনযাপন করছে। তিনি বলেন, আমরা হয়তো ৭ জানুয়ারি কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পারি নাই। তবে এ দেশের সাধারণ মানুষ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ত্যাগ, শ্রম আর ঘাম বৃথা যায়নি। এ দেশের জনগণ বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে এ দেশের মানুষে আছে। ২০০৮ সালে দেশে একটি ভোট হয়েছিল। তখন ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিন গং সর্বপ্রথম ভারত গিয়েছিল। তারাই বর্তমান ফ্যাসিবাদী-কর্তৃত্ববাদী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। সেদিনও ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেনি। সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌর, সদর উপজেলা ও চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলের এসব অভিযোগ করেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, আওয়ামী দুঃশাসনের শিকার গুম, খুন হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবার এবং পঙ্গু ও কারানির্যাতিত নেতাকর্মীদের সম্মানে এ আয়োজন করা হয়। সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু ও যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৭

ট্রুডোর নামে ভুয়া জন্মসনদ : ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে জন্মসনদ তৈরির ঘটনায় পাবনার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  একই সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমনের বিরুদ্ধে থানায় মামলার জন্য লিখিত এজাহার দেওয়া হয়েছে।  শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার দুজনকে শোকজ নোটিশ দেন। আর থানায় মামলার এজাহার দেন ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান-২ ফাতেমা বেগম।  সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার জানান, কীভাবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি হলো তার কারণ জানতে চেয়ে আহম্মদপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্লা ও সচিব আওলাদ হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই কার্য দিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  এদিকে জাস্টিন ট্রুডোর জন্মসনদ তৈরি করা কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে আমিনপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান-২ ফাতেমা বেগম।  আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, মামলার এজাহার পাওয়া গেছে। মামলা নথিভুক্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এর আগে পুরো ঘটনা তদন্ত করতে রেজিস্ট্রার জেনারেল যাহিদ হোসেন পাবনা জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, রেজিস্ট্রার জেনারেলের নির্দেশ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপপরিচালক সাইফুর রহমানকে ঘটনা তদন্ত করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:০০

দায়িত্ব অবহেলায় সাপাহার কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার একটি কেন্দ্রে দাখিল ও সমমান পরীক্ষা চলাকালে ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাদের আটকের নির্দেশ দেন এবং বহিষ্কার করেন। একই সঙ্গে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (কেন্দ্র সচিব) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সাপাহার উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সাপাহার উপজেলা সদরের সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা দাখিল পরীক্ষার একটি কেন্দ্র। কেন্দ্রটিতে ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ৭৭৫ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। গতকাল দাখিল পরীক্ষার আরবি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। গতকাল অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের দেওয়া ছবি ও সাক্ষর যাচাই করে ১০টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৫৯ জন পরীক্ষার্থী ভুয়া হিসেবে শনাক্ত হয়। এর মধ্যে আন্ধারদিঘী মহিলা দাখিল মাদরাসার ১৭ জন, তুলশিপাড়া মহিলা দাখিল মাদরাসার ১৪ জন, শিমুলডাঙ্গা দাখিল মাদরাসার ১১ জন, পলাশডাঙ্গা দাখিল মাদরাসার ৮ জন, দেওপাড়া-শিংপাড়া দাখিল মাদরাসার ৩ জন, মানিকুড়া দাখিল মাদরাসার ৩ জন, বলদিয়াঘাট মহিলা দাখিল মাদরাসার ২ জন এবং আলাদিপাড়া দাখিল মাদরাসার ১ জন পরীক্ষার্থীকে অন্যের হয়ে আরবি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।  ইউএনও মাসুদ হোসেন বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগে আমাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে ওই কেন্দ্রে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আগেই ওই কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কক্ষ পরিদর্শকদের সতর্ক করে দেওয়া হয় এবং প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর ছবি ও সাক্ষর মিলিয়ে দেখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। যাচাই-বাছাই করে আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী পাওয়া যায়। এরা সবাই দাখিল পরীক্ষার জন্য নিবন্ধিত প্রকৃত পরীক্ষার্থী হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল। ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর তাদেরকে আটক ও বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই সমস্ত পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আটক পরীক্ষার্থীদের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে বহিষ্কার ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হইনি। আটকের পর ওই সব পরীক্ষার্থীর অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ডেকে তাদের হেফাজতে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে এ ধরণের জালিয়াতির সঙ্গে না জড়ানোর জন্য সতর্ক করা হয়। একই সঙ্গে কর্তব্যে অবহেলার কারণে ওই কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পরীক্ষার সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত হওয়া আটটি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তদন্তে এই জালিয়াতির সঙ্গে যাদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলবে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর বদলি পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামসহ লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়িারি থেকে শুরু হওয়া দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার গতকাল ছিল তৃতীয় বিষয়ের (আরবি দ্বিতীয় পত্র) পরীক্ষা। অন্যের হয়ে দুই বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার পর তৃতীয় বিষয়ের পরীক্ষার দিন তারা ধরা পড়েছে। ইউএনও মাসুদ হোসেন বলেন, বহিষ্কার হওয়া পরীক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত প্রকৃত পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল। এদের কেউ দশম শ্রেণি, আবার কেউ দাখিল পাশ করে একাদশ কিংবা দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে দেওয়া স্বাক্ষর ও ছবি যাচাই করে প্রকৃত নিবন্ধিত পরীক্ষার্থীর সঙ্গে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীর মিল না পাওয়ায় তাদের ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।  আগের দুই বিষয়ের পরীক্ষার্থীতেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে কিনা এবং এর সঙ্গে কক্ষ পরিদর্শকেরা জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। প্রমাণ পেলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  এক কেন্দ্রে ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে ওই কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব ও সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসার সুপারিটেনডেন্ট মোসাদ্দেক হোসেনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, পরীক্ষা কেন্দ্রের ১০৪ নম্বর কক্ষের এক পরিদর্শক ওই কক্ষের পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র যাচাই করার সময় প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক পরীক্ষার্থীর মিল না পাওয়ায় বিষয়টি জানান। এরপর বিষয়টি আমি ইউএনও স্যারকে অবহিত করি। এরপর ইউএনও স্যারের নির্দেশে কেন্দ্রের ৭৭৫ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র যাচাই করে আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৯ জন পরীক্ষার্থীকে ভুয়া হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।  এর মধ্যে ৪৪ জন ছাত্রী ও ১৫ জন ছাত্র। আগের দুই বিষয়েও সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করার জন্য কক্ষ পরিদর্শকদের প্রতি আমার নির্দেশনা ছিল। এখানে আমার প্রতিষ্ঠান থেকেও ৫০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত হইনি।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়