• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জার্মানির ‘জনশক্তির অভাব’ কতটা মেটাতে সক্ষম বাংলাদেশিরা?
জার্মানিতে এখন আলোচনার বড় বিষয় হলো ‘জনশক্তির অভাব’৷ ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতিটি কর্মীর অভাবে ভুগছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা হাহাকার করছেন৷ ইউরোপ জুড়েই চলা এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য সুযোগ হতে পারে কি? এই এক সপ্তাহ আগে জার্মানির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হাবেক বললেন, তার দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কর্মীর অভাব৷ তার সরকার এ বছর অর্থনীতি ০.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করছে, যা আগের বছর ছিল ১.৩ শতাংশ৷ এর কারণ অবশ্য কয়েকটি৷ উৎপাদক দেশটির জন্য সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাস, ভূ-রাজনীতির প্রভাব ও হার না মানা মূল্যস্ফীতি৷ কিন্তু পূর্বাভাসে এত কম প্রবৃদ্ধি হিসেবের আরেকটি কারণ কর্মী সংকট৷ জার্মানিতে এই মুহূর্তে সাত লাখ কর্মীর অভাব রয়েছে৷ নভেম্বরের শেষ দিকে জার্মান চেম্বার অফ কমার্সও বলছিল যে দেশের অর্ধেক সংখ্যক কোম্পানিতে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে৷ হাবেকের ব্যাখ্যায় সেদিন দেখা গেল, কর্মী সংকটের কারণে প্রবৃদ্ধি ০.৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.২ শতাংশ হিসেব করতে হচ্ছে৷ এই সাত লাখ সংখ্যাটি আর দশ বছরের মধ্যে ৭০ লাখে পরিণত হবে বলে জার্মান সরকারের ধারণা৷ অর্থাৎ, জার্মানির শ্রমবাজারে ২০৩৫ সাল নাগাদ ৭০ লাখ কর্মীর অভাব তৈরি হবে৷ এর বড় কারণ, এখানকার জনসংখ্যার একটা বড় অংশ বয়স্ক নাগরিক৷ তারা অবসরে যাবেন৷ তাই এই কর্মী সংকট যে শুধু দক্ষ কর্মীর, তা নয়৷ সে কারণেই হাবেকের হাহাকার ছিল এমন, আমাদের হাত আর মাথা দরকার৷ জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টিফটুং ভিসেনশাফট উন্ড পলিটিক বা এসডাব্লিউপির হিসেবে, সামাজিক ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সেবা, নির্মাণ, তথ্য প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত- এসব খাতে যেমন জনশক্তির ঘাটতি আছে, তেমনি আছে গৃহকর্মী ও অন্যান্য সহযোগী কর্মীর অভাবও৷ এই জনশক্তির অভাব স্থানীয়দের দিয়ে পূরণ সম্ভব হবে না বলে এরই মধ্যে বোঝা হয়ে গেছে সরকারের৷ তাই তাদের নির্ভর করতে হবে অভিবাসীদের ওপর৷ জার্মানিতে নাগরিকত্বের নিয়ম সহজ করা থেকে শুরু করে অন্য দেশ থেকে শিক্ষার্থী ও কর্মী আনার ব্যাপারে সরকার কট্টরপন্থীদের আপত্তি সত্ত্বেও নানা নীতি গ্রহণ করছে৷ বিশেষ করে জার্মানিসহ ইউরোপের সহযোগী দেশগুলো থেকে আরো বেশি কর্মী আনা এখন তাদের জন্য কৌশলগত গুরুত্বে অগ্রাধিকারে রয়েছে৷ সে কাজটি তারা খুব ভালোভাবে করতে পারছে, বললে ভুল হবে৷ তবে এ পরিস্থিতি বাংলাদেশের মতো জনশক্তি রপ্তানি করে আয় করা দেশগুলোর জন্য একটা সুযোগ বলা যেতে পারে৷ দক্ষিণ এশিয়ার এই জনবহুল দেশটি ২০২৩ সালে রেকর্ড ১৩ লাখ জনশক্তি রপ্তানি করেছে৷ গত বছর তারা ১৩৭টি দেশে জনশক্তি রপ্তানি করেছে৷ এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এখনো বাংলাদেশের শ্রমশক্তির প্রধান গন্তব্য৷ অন্যদিকে, ইউরোপের দেশগুলোতে অনিয়মিত পথে সাগর পাড়ি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশিরা আসার চেষ্টা করছেন৷ কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে বছরের পর বছর ধরে তারা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন৷ অথচ বাংলাদেশ যদি ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে একটা কৌশলগত অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে এবং সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এমন উদ্যোগ নেয়া যায় যে, ইউরোপের বাজারের জন্য দরকারি কাজগুলোর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং ভাষা শেখার পর তারা এখানে এসে কাজে যোগ দিতে পারবেন, তাহলে এসব প্রশিক্ষণে নিজ খরচেই আগ্রহীরা যোগ দিতে পারেন৷ এখন সেই সুযোগ কতটা ভালোভাবে কাজে লাগানো যায় তা বাংলাদেশের দায়িত্ব৷ ভারত ঠিকই তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে নানাভাবে এই শ্রমবাজারে তাদের জায়গা তৈরি করে নিচ্ছে বা নিয়েছে৷ তাই অংশীদার হিসেবে জার্মানির কাছে বা ইউরোপের কাছে তাদের গুরুত্বও বেশি৷ দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও দরকার৷ বাংলাদেশের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে ইউরোপের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা দরকার৷ আবার স্কুল পর্যায়েই বিদেশি ভাষা শেখার সুযোগ রাখা দরকার৷ স্কুল-কলেজ পর্যায়ে কোনো একটি ভাষা শিখলে তা সার্বিক গ্রেড পয়েন্ট ফলাফলের ওপর যেন প্রভাব রাখে তেমন ব্যবস্থা রাখা দরকার৷ তবে সবার আগে প্রয়োজন এই মুহূর্তের চাহিদা মেটানো৷ জার্মানিতে এখন মাংস কাটার লোক থেকে শুরু করে ট্রাক ড্রাইভার, নার্স, ডাক্তার, গৃহকর্মী, কৃষক, তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সবই দরকার৷ তাই এখন থেকে শুরু করে আগামী দশ বছরে যে কর্মশক্তির ঘাটতি তৈরি হবে এখানে, তাতে বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে অবদান রাখতে পারেন তা দেখা দরকার৷
০১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৮

চার্জ ছাড়াই ৫০ বছর চলতে সক্ষম যে ব্যাটারি!
একটি ইলেকট্রনিকস পণ্য কেনার পর ৫০ বছরের জন্য চার্জ দিতে হবে না। এটি নিঃসন্দেহে অভাবনীয় একটি ঘটনা। নিকেল–৬৩ আইসোটোপ এবং হিরার সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহার করে পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি বানিয়েছে চীনা কোম্পানি বেটাভোল্ট। ৫০ বছর আয়ুষ্কালের বিভি ১০০ নামের পারমাণবিক ব্যাটারিটি দ্রুত বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।  কোম্পানিটি বলছে, তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে এই ব্যাটারি চালিত স্মার্টফোন। যে স্মার্টফোনে কখনো চার্জ দিতে হবে না। এছাড়া এমইএমএস সিস্টেম, এআই সেন্সর, ছোট ড্রোন, ব্যাটারি মহাকাশ, এআই ডিভাইস, চিকিৎসা ও রোবটে ব্যবহার উপযোগী পারমাণবিক ব্যাটারি তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তারা। বেটাভোল্ট জানিয়েছে, এখন পাইলট পর্যায়ে রয়েছে বিভি ১০০ উৎপাদন। ২০২৫ সালে তারা ১ ওয়াট সংস্করণের পারমাণবিক ব্যাটারি বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। ব্যাটারিটির দুটি অনন্য বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছে চীনা কোম্পানিটি। প্রথমটি হচ্ছে, রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই ৫০ বছর নিরাপদে ব্যবহার করা যাবে ক্ষুদ্রাকৃতির ব্যাটারিটি। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, কোম্পানিটি এখন তাদের চতুর্থ প্রজন্মের হিরার সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহার করছে। আর এটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের হিরার সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহৃত হয়েছে।  কোম্পানিটি জানিয়েছে, বিভি ১০০–এর পরবর্তী সংস্করণ ১ ওয়াট শক্তির হবে। যেটি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এটি শক্তিশালী ডিভাইসগুলোর জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। এ জন্য বেটাভোল্ট বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে এমন ডিভাইসের জন্য ডিউটেরিয়াম, স্ট্রনটিয়াম–৯০ ও প্রমিথিয়াম–১৪৭ এর মতো আইসোটোপগুলো যাচাই করছে। এগুলোর উচ্চ শক্তিস্তর সঙ্গে সঙ্গে এগুলোর আয়ুষ্কাল ২৩০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৫

আমরা দেশি-বিদেশি সব চাপ মোকাবিলায় সক্ষম : কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় বিদেশ থেকে চাপ আছে। আর দেশে তো আছেই। তবে আমরা সব চাপ মোকাবিলা করতে সক্ষম। কারণ জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো চাপই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়। রোববার (১৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের জীবনে রাজনীতি বলুন, অর্থনীতি বলুন সবক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে কোনো চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়। অনেকেই ভেবেছে নির্বাচন করতে পারব না। কিন্তু তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমরা যখন পদ্মাসেতুর কাজ শুরু করেছিলাম তখন কেউ ভাবেনি এটা শেষ করা সম্ভব হবে। বিশ্বব্যাংকও পাশে ছিল না। কিন্তু আমরা পদ্মাসেতু করতে পেরেছি। মেট্রোরেল দিয়ে যে এই শহর সমৃদ্ধ হবে এ কথাও কেউ ভাবেনি। কিন্তু সেটাও শেখ হাসিনার সরকার উপহার দিয়েছে। সামনে আমাদের আরও অনেক কাজ আছে। এসময় ওবায়দুল কাদের বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর নতুন করে নির্বাচনের দাবিকে মামা বাড়ির আবদার বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়