• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ঈদ ঘিরে সক্রিয় অপরাধী চক্র, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সক্রিয় হয়ে উঠছে অপরাধীরা। বিশেষ করে বাণিজ্যিক বা শপিং মল এলাকার অপরাধীরা ওঁৎ পেতে থাকে। সুযোগ পেলেই সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারী চক্র ছাড়াও চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তৎপরতা বাড়ছে। আরেক গ্রুপ জড়িত জাল টাকার সাথে। ঈদে এই চক্র জাল টাকা ছাড়ানোর পাঁয়তারা করে। এ ব্যস্ত সময়ে কেনাকাটার ভিড়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে জাল নোটের কারবারিরা। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ঠেকাতে এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে চলছে কঠোর অভিযান। এরপরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অগোচরে ঘটে নানা অপরাধ। ডিএমপি বলছে, রাজধানীরর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তৎপরতা ঠেকাতে মাঠে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিএমপি আরও বলছে, রাজধানীর বড় বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিং মলে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও। এমন কড়া নজরদারির মধ্যেও অপহরণ, ডাকাতি,  চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ে লিপ্ত হচ্ছে কিছু চক্র। তবে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি লিটন কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বড় বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিং মলে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকা চিহ্নিত করে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের টহল টিমসহ বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। তিনি আরও বলেন, ছিনতাই ঠেকাতে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখছি, যেখানে গ্যাপ রয়েছে সেগুলো ধরেও কাজ করছি। আমাদের বড় একটি অংশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ঈদকে ঘিরে যেন কোনও বিশৃঙ্খলা না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ‌র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। ঈদে লোকজনের চলাচল বেড়ে যায়। অনেকে আগেভাগে গন্তব্যে পৌঁছাতে চায়। মার্কেটগুলোতে ভিড় হয়। সব কিছু মাথায় রেখে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে র‌্যাব। ‌ তিনি আরও বলেন, ঈদে জালনোটের কারবার যারা করে তাদের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখছে র‌্যাব। ‌ র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক অনলাইনে নজরদারি করছে। এছাড়া চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে সড়ক-মহাসড়কে কাজ করছে র‌্যাবের বিভিন্ন ইউনিট।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৮

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিরোধে সক্রিয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিরোধে সক্রিয় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কেউ যাতে জালিয়াতির আশ্রয় নিতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় নজরদারি করা হচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপির সাইবার ইউনিটগুলোও এ বিষয়ে কাজ করছে। যেকোনো জালিয়াতি প্রতিরোধে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এদিকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছতার সঙ্গে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে  সম্প্রতি পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর।  চিঠিতে বলা হয়, দেশের সরকারি ১৮টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজসহ মোট ১৯টি ভেন্যুতে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিগত দিনে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কিছু কুচক্রীমহল, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি কোচিং সেন্টারের নামে বা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা ব্যক্তিগতভাবে মেডিকেল কলেজে ভর্তির নিশ্চয়তা দেয়। এই কুচক্রীমহল, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজরা অভিভাবকদের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে স্বচ্ছ পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অহেতুক হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা জাতীয়ভাবে অনুষ্ঠিত একটি সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর পরীক্ষা। এ জন্য সব কুচক্রী মহলের দিকে কড়া নজরদারি বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি বা প্রতারণা ঠেকাতে ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন্স) নাসিয়ান ওয়াজেদ পুলিশের সবগুলো ইউনিটকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কেউ জালিয়াতির চেষ্টা করলে বা অর্থের বিনিময়ে ভর্তি করানোর আশ্বাস দেওয়া ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিপ্তর সূত্র জানায়, চলতি শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে বছর পাঁচ হাজার ৩৮০টি আসনে ভর্তির জন্য পরীক্ষা নেওয়া হবে। গতবারের তুলনায় এবার সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে এক হাজারের বেশি সিট বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে মোট ছয় হাজার ৩৪৮ আসন রয়েছে। চলতি বছর এমবিবিএস কোর্সে মোট ১১ হাজার ৭২৮টি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সুযোগ পাবেন। এর বাইরে আর্মড ফোর্স মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন ৩৭৫ জন শিক্ষার্থী।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়