• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পেছানো হয়েছে। ২৭ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪-২৬ মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচন। ইতোমধ্যেই নতুন-পুরোনো অনেক তারকারই নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। তবে নতুন খবর হলো এত প্রস্তুতির মাঝেও নির্বাচন স্থগিতের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শিল্পী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বলেন, নির্বাচন পেছানোর জন্য আমাদের কাছে চিঠি এসেছে। আবার নির্বাচন এগিয়ে আনার জন্যও চিঠি এসেছে। তারা তাদের মতো করে যুক্তি তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন। অন্যদিকে সরারসরি নির্বাচন স্থগিত চেয়েও আবেদন করা হয়েছে। শিল্পী সমিতির চলমান মামলার কাগজসহ কমিশনে আবেদন করেছেন। আমরা নির্বাচন কমিশন মিটিং করে একজন আইনজীবী নিয়েছি। তার পরামর্শ নেব। বিষয়টা আদালতের ওপর নির্ভর করছে। ১৯ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে সম্প্রতি ২৭ এপ্রিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খসরু। নতুন এই তারিখ ঘোষণায় বিস্মিত গত দুই মেয়াদের সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগর। নতুন তারিখের ফলে আর্থিক ক্ষতিসহ বহু সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছেন এই অভিনেতা। এবারের নির্বাচনে মিশা সওদাগর (সভাপতি পদপ্রার্থী) ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল (সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী) থাকবেন এক প্যানেলে। অন্যদিকে, মাহমুদ কলি (সভাপতি পদপ্রার্থী) ও নিপুণ আক্তার (সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী) থাকবেন এক প্যানেলে।
২১ মার্চ ২০২৪, ২১:১৬

মুক্তির অনুমতি পেল ‘ডেডবডি’
সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ার মধ্য দিয়ে এবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির অনুমতি পেল প্রযোজক ও পরিচালক এমডি ইকবালের নতুন সিনেমা নাম ‘ডেডবডি’। সম্প্রতি বিনা কর্তনে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে সেন্সর বোর্ডে সদস্যরা সিনেমাটির গল্প ও নির্মাণের প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে সিনেমাটির পরিচালক ও প্রযোজক এমডি ইকবাল বলেন, সেন্সর ছাড়পত্র হচ্ছে টেস্ট পরীক্ষার মতো, আর মুক্তির পর চূড়ান্ত পরীক্ষা। আমরা খুশি যে, চূড়ান্ত পর্বে পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি। এখন দেখা যাক, দর্শকদের কাছ থেকে সেই পরীক্ষার রেজাল্টে কী আসে! তবে, আমি আশাবাদী, সীমিত বাজেট আর আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় বানানো দেশীয় চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচনা করে দেখলে ভালো লাগবে।’ ইকবাল আরও বলেন, ওমর সানী বলেছেন সিনেমাটি নিয়ে ঈদে আসতে। আমি তো প্রায় ঈদেই আসি। এবারও আসছি নতুন সিনেমা নিয়ে। এই সিনেমাটিতে অভিনয় করবেন ওমর সানী, মিশা সওদাগর, শ্যামল মওলা, জিয়াউল হক রোশান, রাশেদ মামুন অপু, কলকাতার অভিনেত্রী অন্বেষা রায় এনি ও মিষ্টি জাহান প্রমুখ।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫১

মনে হচ্ছে মা সর্বত্রই আমাকে দেখছেন : মিশা সওদাগর
ঢাকাই সিনেমায় দর্শকপ্রিয় খলনায়ক মিশা সওদাগর। খল অভিনয়ে তিনি নিজেকে এতোটাই জনপ্রিয় করে তুলেছেন যে, সাফল্যে তার ধারেকাছেও কেউ নেই। তিন দশকের বেশি সময়ের অভিনয় জীবন তার। এই বর্ণাঢ্য সময়ে আট শতাধিক সিনেমায় অভিনয়ের রেকর্ড। পাশাপাশি পরপর দুইবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আসছে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন এই অভিনেতা। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব মিশা সওদাগর। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নানা ধরনের পোস্ট দিয়ে থাকনে তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তার মায়ের কথা স্মরণ করেন। তিনি লিখেন, আজ প্রায় ৩৬ বছর পর সেহরির পরে চা খেলাম। এটা ছিল আমার মার অভ্যাস। আমি যখন ইন্টারমিডিয়েট দিই তখন আমার মা মারা যায়। মার মৃত্যুর পর আর এই অভ্যাসটা কখনো মনে করিনি। আজকে আবার অজান্তে মনে পড়ে গেল চা খেলাম। মনে হচ্ছে মা আমার আশপাশে সর্বত্রই আমাকে দেখছেন। হয়তো বা আমি তাকে দেখতে পাচ্ছি না বুঝতে পারছি না। পৃথিবীর সকল মা ভালো থাকুক। প্রসঙ্গত, মিশা সওদাগর অভিনীত বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় আছে। পাশাপাশি নতুন আরও বেশ কয়েকটি ছবির শুটিং নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় যাচ্ছে তার। 
১৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:২২

কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই পেছাল নির্বাচনের তারিখ, বিস্মিত হয়ে মিশার চিঠি
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পেছানো হয়েছে। ২৭ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪-২৬ মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচন। তবে নতুন এই তারিখ ঘিরে অভিযোগ রয়েছে, কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই ২৭ তারিখ নির্ধারণ করে তফশিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনারের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খসরু। নতুন এই তারিখ ঘোষণায় বিস্মিত গত দুই মেয়াদের সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগর। নতুন তারিখের ফলে আর্থিক ক্ষতিসহ বহু সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছেন এই অভিনেতা। চিঠিতে মিশা সওদাগর উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৯ এপ্রিল ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী ইতোমধ্যেই আমরা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য একটি প্যানেলের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কিন্তু কার্যনির্বাহী পরিষদের কোনো সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ব্যতীত আকস্মিকভাবে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে বিজ্ঞ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গত ০৪ মার্চ, ২০২৪ তারিখে স্বাক্ষরিত ও ঘোষিত তফসিল দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছি। তফসিলে গঠনতান্ত্রিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে উল্লেখ করে এই অভিনেতা চিঠিতে আরও লেখেন, তফসিলে তারিখ পরিবর্তনে কার্যনির্বাহী পরিষদের কোনো সভার সিদ্ধান্তের উল্লেখ না থাকা, এমনকি তফসিলে সম্মানিত সভাপতিরও কোনো স্বাক্ষর না থাকায় সাংগঠনিক ও গঠনতান্ত্রিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে সাধারণ সদস্যগণসহ আমরা মনে করছি। তদুপরি আমরা পেশায় অভিনয় শিল্পী হিসেবে কার্যনির্বাহী পরিষদ ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ইতোমধ্যেই বিভিন্ন চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালককে শুটিং ডাবিংয়ের শিডিউলও প্রদান করেছি এবং সে অনুযায়ী নির্বাচনের শিডিউলও স্থির করেছি। উপরোক্ত কারণে তফশিল পেছালে আমাদের আর্থিক ক্ষতিসহ বহু সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। সর্বশেষ নির্বাচন কমিশনারের চেয়ারম্যান বরাবর অনুরোধ জানিয়ে মিশা চিঠিতে উল্লেখ করেন, বিষয়টির সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে কার্যনির্বাহী পরিষদের ঘোষণার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও নির্বাচনে আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচনের তারিখ অপরিবর্তিত রেখে সংশোধিত তফসিল ঘোষণার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে শিল্পী সমিতির প্রধান নির্বান কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিশাসহ আরও কয়েকজনের আবেদন পেয়েছি। অনেকেই বিদেশ যাবেন এবং ঈদের পর নির্বাচনে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যে মিটিং করে আমরা একটা সিদ্ধান্তে নেব। এবারের নির্বাচনে মিশা সওদাগর (সভাপতি পদপ্রার্থী) ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল (সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী) থাকবেন এক প্যানেলে। অন্যদিকে, ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। সে কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুণ আক্তার। নিজের প্যানেলের সভাপতির খোঁজে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অনন্ত জলিলের একটি বক্তব্য ঘিরে সমালোচনায় পড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলম। অনন্ত জানান, ইলিয়াস কাঞ্চন, শাকিব খান ও ফেরদৌস আহমেদ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনাগ্রহ জানানোর পর তাকে সভাপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তাব দেন নিপুণ, সঙ্গে প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবাল, খোরশেদ আলম খসরু, সামসুল আলম প্রমুখ। ফলে একটি প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তা হলো, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনার কেন এক প্রার্থীর হয়ে সভাপতি খোঁজার মিশনে নামবেন? জবাব দিলেন খসরু। তার ভাষ্য, আসলে এই ঘটনা অনেক আগের। তখনও আমি নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পাইনি। ফলে এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। এখন আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত। সুতরাং নিরপেক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৬

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে যা বললেন জায়েদ খান
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল নির্বাচনী মাঠে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন শিল্পীরা। এবারের নির্বাচনে কেউ সরে দাঁড়াচ্ছেন, আবার কেউ আগের প্যানেল থেকে সরে অন্য প্যানেল গড়ছেন। ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রের মুভিলর্ডখ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর এক হয়ে নির্বাচন করছেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে আলোচিত নায়ক জায়েদ খান অংশ নিচ্ছেন কিনা টা নিয়ে এতদিন নানা কথা হয়েছে। অবশেষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে মুখ খুললেন এই নায়ক। তিনি জানান নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তিনি।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০

আজ মান্না নেই বলে ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেছে : মিশা সওদাগর
জগতে কিছু মানুষ থাকেন যাদের কোনো মৃত্যু হয় না। বেঁচে থাকেন তাদের কর্ম দিয়ে। চিরকাল অমর হয়েই থাকেন মানুষের মনের মণিকোঠায়। তেমনই একজন অভিনেতা ছিলেন নায়ক মান্না। তিনি ছিলেন খেটেখাওয়া মানুষের নায়ক। অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কথা বলতেন সাধারণ জনগণের। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। আরটিভির পক্ষ থেকে এই নায়কের প্রতি শ্রদ্ধা। নতুন মুখের সন্ধানে প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে সিনেমার জগতে যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নার। ক্যারিয়ারের শুরুতে একক নায়ক হওয়ার সৌভাগ্য তার হয়নি। এ জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। কাশেমমালার প্রেম সিনেমাটি হিট হওয়ার পর মান্নার জীবনের গল্প বদলে যায়। তারপর মান্না হয়ে উঠেছিলেন ঢাকাই সিনেমার যুবরাজ।  এদিকে নতুন মুখের সন্ধানে প্রতিযোগিতার দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। নায়ক মান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন অনেক ছবিতে। এই নায়কের প্রয়াণ দিবসে আরটিভির সঙ্গে কথা হয় মিশা সওদাগরের।  মিশা বলেন, আমার দৃষ্টিতে মান্না মহানায়ক। আর মহানায়ক বলার কারণ এই যে আমাদের চলচ্চিত্রের অনেকের পক্ষে অনেক কিছু করাই সম্ভব হয়নি, যা মান্নার পক্ষে করা সম্ভব হয়েছে। মুখের সন্ধান থেকে মানা আসার পর তিন দুই নাম্বার হিরো, দুই নাম্বার হিরো থেকে নিজেকে চলচ্চিত্রের অপরিহার্য নায়কে পরিণত করেছিল। ও যখন প্রথম প্রযোজনা সংস্থা থেকে ছবি নির্মাণ শুরু করেন প্রথম সিনেমাতেই পরিচালক কাজী হায়াতকে নেন। তাছাড়া একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিল সেটি হলো মৌসুমী আর শাবনূরকে কেউ এক সিনেমায় নিতে পারেনি কখনো। কিন্তু সেটিই করে দেখিয়ে ছিলো নায়ক মান্না। ‘দুই বধূ এক স্বামী’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন মৌসুমী-শাবনূর।  নায়ক মান্নাকে বাংলা চলচ্চিত্রের গবেষক উল্লেখ করে এই খল অভিনেতা বলেন, মৌসুমী-শাবনূরকে এক করার ফলে দুই নায়কার দর্শকই সিনেমাটি দেখেছে। যার ফলে ছবিটি সুপার হিট হয়েছে। তাছাড়া বড় বড় নির্মাতা নিয়ে মান্না সব সময় কাজ করতেন। চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক বেশি চর্চা করতেন তিনি। চলচ্চিত্র নিয়ে মান্না যেই কথাগুলো বলতো অনেক চিন্তাভাবনা করে বলত।  একটা সময় চলচ্চিত্রে পাইরেসি ও অশ্লীলতা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। আর সেই সময় মান্না এককভাবে জীবন দিয়ে লড়ে গেছেন উল্লেখ করে মিশা বলেন, ছবি পাইরেসি বন্ধে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করেছে। কোথাও পাইরেসি হচ্ছে এমন খবর শুনে দেয়াল টপকিয়ে জীবন বাজি রেখে সেখানে গিয়ে তা প্রতিহত করেছে। পরে পাইরেসির সঙ্গে জড়িতদের ধরে এনেছে, পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছে। এ ছাড়া তিনি অশ্লীল ছবি বন্ধে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করে গেছেন। বলতে গেলে এখন তার সেই যুদ্ধের ফল ভোগ করছে। এটা শতভাগ সত্য যে তিনি পাইরেসি ও অশ্লীলতা বন্ধে একেবারে শীর্ষে থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। চলচ্চিত্রের যেকোন ক্রান্তিলগ্নে মান্না একা দাড়িয়ে গেছে।  আক্ষেপ নিয়েই এই দর্শকপ্রিয় অভিনেতা বলেন, আজ মান্না নেই তাই ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকেই বলে ইন্ডাস্ট্রি কোমায় আছে কিন্তু আমি বলবো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি একদম শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ মান্না থাকলে বাংলা চলচ্চিত্রের এমন হাল হতো না।  প্রসঙ্গত, জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ঢালিউডের এই মহাতারকা। মান্নার পরিবারের দাবি, ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মামলা এখনো চলমান। মান্না অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে দাঙ্গা, লুটতরাজ, তেজি, আম্মাজান, আব্বাজান, বীর সৈনিক, শান্ত কেনো মাস্তান, বসিরা, খল নায়ক, রংবাজ বাদশা, সুলতান, ভাইয়া, টপ সম্রাট, চাঁদাবাজ, ঢাকাইয়া মাস্তান, মাস্তানের ওপর মাস্তান, বিগবস, মান্না ভাই, টপ টেরর, জনতার বাদশা, রাজপথের রাজা, এতিম রাজা, টোকাই রংবাজ, ভিলেন, নায়ক, সন্ত্রাসী মুন্না, জুম্মান কসাই, আমি জেল থেকে বলছি, কাবুলিওয়ালা ইত্যাদি। মান্না তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পাশাপাশি আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৪

এবার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিলেন মিশা সওদাগর
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল নির্বাচনী মাঠে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন শিল্পীরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে প্যানেল গঠনের প্রস্তুতি। কিছুদিন আগে শোনা যাচ্ছিল ডিপজল-রুবেল মিলে হচ্ছে এক প্যানেল। তবে এবার জানা গেল নতুন খবর। আসন্ন নির্বাচনে একজোট হয়েছেন মিশা সওদাগর ও ডিপজল। আসন্ন নির্বাচনে একই প্যানেল থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল নিজেই।  ডিপজল বলেন, প্যানেল নিয়ে এখনও কথা চলছে। তবে কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। মিশা যদি সভাপতি প্রার্থী হতে চান আমার কোনো আপত্তি নেই, আবার আমিও যদি সভাপতি হই- এতে তার কোনো আপত্তি নেই। এখন দেখা যাক, কে কোন প্রার্থী হই। এদিকে অভিনেতা ডিপজলের প্যানেল থেকে নির্বাচন করার বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ডিপজল ভাইয়ের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ হয়েছে। এখনই কিছু বলতে চাচ্ছিনা। তবে আশাকরি ভালো কিছুই হবে।  এদিকে, এবারের নির্বাচনে বতর্মান সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার প্যানেল গঠন করছেন কি-না তা এখনও চূড়ান্ত নয়। সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন নিপুণ, তাই তিনি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে থাকছেন কি-না এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে তিনি আগেই বলে ছিলেন এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চমক রাখছেন তিনি।  প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে আসন্ন নির্বাচনের প্রধান কমিশনার ও আপিল বিভাগ চূড়ান্ত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রধান কমিশনার হিসেবে থাকছেন খোরশেদ আলম খসরু। তিন সদস্যর এই বোর্ডে অন্য দুই সদস্য হলেন এ জে রানা ও মোহাম্মদ নিশাদ। আপিল বিভাগে প্রধান হিসেবে রয়েছেন শামসুল আলম। তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে রয়েছেন ক্যামেরাম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মজনু ও নির্মাতা সেলিম আজম।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৬

ভোট দিতে পারবেন না মিশা সওদাগর
রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা। এই নির্বাচন ঘিরে অন্য সবার মতো বিনোদন জগতের তারকাদের মাঝেও রয়েছে বাড়তি উচ্ছ্বাস। অনেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। তারকাদের অনেকে ভোট দিতে গ্রামের বাড়ি যাবেন। অনেকে আবার ঢাকার ভোটার।   ঢাকাই সিনেমার দাপুটে খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে বিভিন্ন সময় নির্বাচনী প্রচারে দেখা গিয়েছে। কিছুদিন আগে ঢাকা ১৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নৌকার প্রচারে তাকে দেখা গিয়েছে। সর্বশেষ তাকে দেখা গিয়েছে ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নায়ক ফেরদৌসের প্রচারে।  ঢাকার ছেলে মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, আমি ঢাকা-১৮ আসনের ভোটার। এই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন কিংবদন্তি রাজনীতিক সাহারা খাতুন। দেশে থাকলে আমি সব সময় ভোট দিতে যাই। এবার ভোটের তারিখ আগে থেকে জানা ছিল না। যে কারণে টিকেট কেটে রেখেছিলাম। আমি বর্তমানে নিউইয়র্ক আছি। ফলে ভোট দিতে পারব না। মিস করবো। এবার ভোট যুদ্ধটা আমার কাছে উৎসব মনে হয়েছে। দেশে থাকলে অবশ্যই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতাম। সেটা ভীষণ মিস করবো। এর আগে ফেরদৌসের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে মিশা সওদাগর ভোটারদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ফেরদৌস আমার ছোট ভাই, আপনারা ওরে ভোট দিয়েন। অনেকেরই অনেক ভালো গুণ আবার খারাপ গুণ থাকে। কিন্তু ফেরদৌসের মধ্যে কোন খারাপ গুণ নেই। ফেরদৌস যে এত বড় একজন নায়ক তারপরেও ২৭ বছরের ক্যারিয়ারে তার কোনো স্ক্যান্ডাল নেই।   
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়