• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিল্পপতির সংসার ছাড়তে গরিবের মেয়ের সংবাদ সম্মেলন
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নেশাগ্রস্ত এবং বিকৃত স্বভাবের স্বামী দীপের সংসার ছাড়তে মশলা বিক্রেতার মেয়ে প্রিয়ন্তী সাহা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ভাঙ্গা উপজেলা পৌর সদরের চৌধুরীকান্দা গ্রামে নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। জানা গেছে, প্রিয়ন্তীর স্বামী দীপ একজন শিল্পপতির ছেলে। আর প্রিয়ন্তীর বাবা কুমারেশ সাহা ভাঙ্গায় ফুটপাতের পাশে মশলা বিক্রি করে সংসার চালান। সংবাদ সম্মেলনে  প্রিয়ন্তী জানান, আমার বাবা-চাচাদের অনেক লোভ দেখিয়ে আমাকে বিয়ে করে দীপ। আমার বাবা সুখের কথা ভেবে আমাকে বিবাহ দেন ভাঙ্গা বাজারের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী রবিন সাহার ছেলে দীপের সঙ্গে। বিবাহ হয় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। হিন্দু ধর্মের রীতি-নীতিতে অনেক কিছু করতে হয়, যা দীপ প্রথম রাতেই বিবাহ সম্পন্ন না করে নেশায় আসক্ত হন। সে আমাকে একা রেখে নেশা করতে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়, ফিরে আসে ভোররাতে। তাই নেশাগ্রস্ত স্বামীর সঙ্গে কোনোভাবেই আমার সংসার করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন স্ত্রী প্রিয়ন্তী। তিনি জানান, তাকে জোর মদপান করতে হতো। মদ না খেলে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে টয়লেটের মধ্যে আটকে রাখত। এছাড়া আমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড নিয়ে সে সেটা চেঞ্জ করে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছেড়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে। এ নিয়ে আমি ভাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেছি। প্রিয়ন্তীর মা শিখা সাহা জানান, নেশাগ্রস্ত ছেলে দীপ আমার মেয়ে প্রিয়ন্তীর জীবনটা বিপন্ন করে ফেলেছে। ছেলে যে এমন নেশাগ্রস্ত তা জানলে কিছুতেই তার কাছে বিয়ে দিতাম না মেয়েকে। এছাড়া দীপের পরিবার অনেক ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রিয়ন্তীর চাচা গোপাল সাহা জানান, নেশাগ্রস্ত ছেলের কাছে আমার ভাতিজি মেধাবী শিক্ষার্থীকে প্রিয়ন্তীকে বিয়ে দেওয়ার পর তার জীবনটা বিপন্ন করে ফেলেছে। আমরা এর বিচার চাই।   দীপের চাচা রাজকুমার সাহা জানান, আমার ভাইয়ের একমাত্র ছেলে দীপ। আমরা অনেক আনন্দ করে বিয়ে করিয়েছিলাম, কিন্তু দীপ মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। মনে করেছিলাম বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে।  এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন আল রশিদ বলেন, দীপের বিরুদ্ধে আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। দীপ তার স্ত্রীকে দিয়ে মদপানসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করাতে জোর করত। পরে তার স্ত্রী প্রিয়ন্তীকে আমরা উদ্ধার করে ওর বাবা-মায়ের হাতে দিয়েছি। এরপরও স্বামী দীপ কোনো অন্যায় করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৫

ঈদের দিনেই শেষ বিল্লালের সুখের সংসার
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় পাঁচজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বিল্লাল হোসেন (৩০)। স্ত্রী (মুক্তা ২৬) ও সন্তান মাইশাকে (৩) নিয়ে গাজীপুরের গাছার বড়বাড়ি এলাকায় থাকতেন তিনি। সংসারে টানাপোড়েন থাকলেও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুখেই ছিলেন বিল্লালের। সেই পরিবারটি যেন আজ শুধুই স্মৃতি। কারণ যে পাঁচজন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ছিলেন বিল্লাল, তার স্ত্রী ও সন্তান। বিল্লাল গাজীপুরে ফুটপাতে জামা-কাপড় বিক্রি করতেন। কখনও বা বিক্রি করতেন কসমেটিকস সামগ্রী। আনন্দেই কাটছিল তার জীবন। গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যেতে আজ সদরঘাটের লঞ্চঘাটে এসেছিলেন বিল্লাল ও তার পরিবার। পন্টুনে দাঁড়িয়ে লঞ্চে ওঠার অপেক্ষা করছিলেন তারা। বিল্লালের কোলে ছিল ছোট্ট মাইশা। আরেক হাতে স্ত্রী মুক্তার হাত ধরা ছিল। হঠাৎ লঞ্চের সঙ্গে পন্টুনে বাঁধা মোটা রশি ছিঁড়ে গিয়ে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। বিল্লালের বোনজামাই মো. মিজান বলেন, বিল্লালের ছোট্ট মেয়ে মাইশা বাড়ি ফিরছিলেন। কত আনন্দ করার সখ ছিল তার! কীসের আনন্দ, কীসের ঈদ! গোটা পরিবারই চলে গেল। ছোট ভাইয়ের কাছে দুর্ঘটনার খরব পাই। সদরঘাট ছুটে গিয়ে দেখি রক্তে সব ভেসে গেছে। এরপর হাসপাতাল মর্গে এসেছি। তিনি বলেন, আমাদের পোড়া কপাল! যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতায় সর্বনাশ হয়ে গেল। এই দুর্ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ এদিকে এ ঘটনায় দুই লঞ্চের চালক এবং ম্যানেজারসহ পাঁচজনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন নৌ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস। আটকরা হলেন- ফারহান লঞ্চের দুই চালক ও ম্যানেজার এবং এমভি তাসরিফের দুই চালক। গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় ফারহান লঞ্চের দুই চালক ও ম্যানেজার এবং এমভি তাসরিফের দুই চালকসহ মোট ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাদের আটকের পর ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলার পর বিস্তারিত জানানো হবে। এর আগে, এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর আগে, রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে বার্দিং করার সময় তাসরিফ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে তার আঘাতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারে মা-বাবাসহ তাদের শিশু মেয়ে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- পিরোজপুরের মোটবাড়িয়ার বিল্লাল হোসেন (২৫), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও শিশু মেয়ে মাইশা (৩), ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিতপুরের রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালী সদরের মো. রিপন হাওলাদার(৩৮)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা নদী বন্দর (সদরঘাট) এর যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, সদরঘাটের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ মিডফোর্ড হাসপাতালে রাখা আছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ঢাকা থেকে ভোলাগামী তাশরিফ-৪ লঞ্চের ধাক্কায় ৫ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। লঞ্চটি ঘাটে বেঁধে রাখা ছিল, হঠাৎ রশি ছিঁড়ে যাত্রীদের ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে। সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সযোগে আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে তারা মারা যান।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১১

শাকিবের সঙ্গে বিয়ে ও সংসার নিয়ে বুবলীর বিস্ফোরক মন্তব্য
শাকিব খান ও বুবলীকে নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না। কিছুদিন পর পর নতুন নতুন ইস্যুতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তারা। প্রেম বিয়ে সন্তান, এরপর বিচ্ছেদ শাকিব-বুবলী ভক্তদের এ খবর অজানা নয়। দীর্ঘ সময় ধরেই এক ছাদের নিচে থাকছেন না দুজন। এমনকি শাকিব বুবলী সম্পর্কে যেখানে গণমাধ্যমে কথা বলতেই নারাজ, সেখানে বুবলী এ প্রসঙ্গে সরবই বলা চলে। এ কথার প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ‘বলা না-বলা’ অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানটিতে বুবলী জানান, তাদের বিয়ের বয়স ছয়-সাত বছর। পূবাইলে দুজনের সংসার ছিল, যা অনেকেই জানতেন। বিয়ে প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, আমাদের বিয়ে পূবাইলে শাকিব খানের বাড়িতেই হয়েছে। কাজি ছিলেন। আমাদের বিয়ের বয়স ছয়-সাত বছর। পূবাইলে আমাদের সংসার ছিল। ওখানকার সবাই জানেন। কাছের ডিরেক্টর-প্রোডিউসার সবাই জানেন। আর যা ছড়ানো হচ্ছে, তার আসলে কোনো ভিত্তি নেই। সবটাই গুজব।  মোহরানার প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, বিয়ের কিছুদিন পরই মোহরানা শোধ করে দিয়েছেন শাকিব। বিয়ের পর তাজমহল-আজমির শরিফ যাওয়া হয়েছে। আমরা যেহেতু ব্যস্ত থাকি, সেহেতু যখন একসঙ্গে বসে খাবার খেতাম, সেই ক্ষণটিও আমাদের জন্য অনেক সুন্দর সময় হয়ে যেত।  বুবলীর ভাষ্য, আমরা টাইম নিচ্ছি। আমাদের ডিভোর্স হয়নি। একটি দাম্পত্য সম্পর্কে অনেক ভুল বোঝাবুঝি হয়। শেহজাদকে নিয়ে একা সংগ্রাম করছি। সেখান থেকে সন্তানের বাবা হিসেবে তাকে কখনো অসম্মান করিনি। আমি কখনোই আক্রমণ করিনি, বরং সব সময় কিছু হলে তার জবাব দিয়েছি। আমি চাই বীর সুস্থ পরিবেশে বেড়ে উঠুক। গণমাধ্যমে একটি খবর এসেছিল, শাকিবের বাসা থেকে আমাকে বের করা হয়েছিল। কিন্তু এটা কখনোই ঘটেনি। শাকিবের বাসার সবাই আমাকে সম্মান করে।  প্রসঙ্গত,শবনব বুবলীকে সবার অগোচরে বিয়ে করেন শাকিব খান ২০১৮ সালে। তাদের সংসার আলো করে আসে পুত্রসন্তান শেহজাদ খান বীর। 
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০২

সংসার নিয়ে মুখ খুললেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয় গুণে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। অনেক তারকাই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বললেও ঋতুপর্ণাকে খুব একটা কথা বলতে দেখা যায় না। এবার নিজের সংসার নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।    সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে নিজের কাজ এবং সংসার জীবনের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন ঋতুপর্ণা। এসময় অভিনেত্রী বলেন, নারীরা অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে সামলাতে পারে। কিন্তু পুরুষরা সেটা পারে না। এ ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে রয়েছে। ঋতুপর্ণা বলেন, আমার দাদি মাকে দেখেছি, রান্নাঘর থেকে বাইরের জগত সব একা হাতে সামলাতেন। তার কিন্তু স্নাতক স্তরের পড়াশোনাও ছিল না। কিন্তু আমার মনে হয় নারী হিসেবে এমন সহজাত ক্ষমতা ছিল তার, যে একসঙ্গে অনেক দায়িত্ব নিতে পারত। আর এই ক্ষমতা কিন্তু সময় বা পরিস্থিতির জন্য তৈরি হয় না। নারীদের ভেতরেই থাকে।  অভিনেত্রী আরও বলেন, দাদি মা তার মেয়েদের খুব ভালোভাবে শিক্ষিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মস্থলে কাজের ক্ষেত্রেও শতভাগ সহায়তা ও সাপোর্ট করেছে। তারা প্রত্যেকেই ভালো ভালো জায়গায় কাজ করেছে। শুধু তিনি নন, আমার মাকেও দেখেছি একসঙ্গে অনেক দায়িত্ব নিতে। অনেক দিক সামলাতে। তবে মেয়েদের নিজের সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। আমি যদি অসহায়, দুর্বল হিসেবে সকলের সামনে নিজেকে জাহির করি, মানুষও আমাকে ওই চোখেই দেখবে।  তখন আমাকে ঘিরে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের পরিবেশ তৈরি হবে। আমার ভালো লাগা, ইচ্ছা সব আমাকেই দেখতে হবে। না হলে তো কিছুই করা যাবে না। সময়ে এক এক করে প্রিয়জন হারিয়ে যাবে। মানুষ আরও বিচ্ছিন্ন হবে। কিন্তু এ নিয়ে যদি সারাক্ষণ মনখারাপ করি তাহলে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনব। কোনো নারীই যেন করুণার পাত্র হিসেবে নিজেকে তৈরি না করে।   নিজের সংসার নিয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে কাজ শুরু হয়ে যায় আমার। আমার শাশুড়ি মা হাসপাতালে। তার সব দায়িত্ব আমার। মেয়ের খবর রাখা। ছেলেকে ফোন করা। সংসারের নানান কাজের পাশাপাশি সবই চলছে।   তিনি বলেন, আমি এখন মর্যাদা নিয়ে খুব ভাবি। মানুষের কাছে সবকিছু থাকলেও সে মর্যাদাহীন হলে বিপদ। আমি মাটিতে পড়লে নিজেকেই নিজে উঠিয়ে নিয়ে চলি। সংসার আর কাজ দুটোতেই বিশ্বাস করি। ইন্ডাস্ট্রিতেও দীর্ঘদিন ধরে একা যুদ্ধ করছি। বড় প্রযোজনা সংস্থারা যে আমার সঙ্গে আছে, এমনও নয়। আমি নিজেই নিজের জায়গা তৈরি করেছি। নতুনদের সুযোগ দিয়েছি। আমি আমার সবটা দিয়ে কাজ করি। কান্না মুছে হাসি ফিরিয়ে আনি। আমি বৃদ্ধি করতে না পারি, সৃষ্টি তো করি। না হলে থমকে যাব।  সূত্র : আনন্দবাজার   
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:১১

সংসার ভাঙার গুঞ্জন নয়নতারার!
দক্ষিণী সিনেমার ‘লেডি সুপারস্টার’ ডাকা হয় নয়নতারাকে। দুর্দান্ত অভিনয় গুণের মাধ্যমে অজস্র অনুরাগীর হৃদয়ে আসন করে নিয়েছেন তিনি। এবার তাদের মন খারাপের পালা। গুঞ্জন উঠেছে সংসার ভাঙতে চলেছে অভিনেত্রীর। এ ইঙ্গিত পাওয়া গেছে নয়নতারার সোশ্যাল হ্যান্ডেল থেকে। নিজের ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রী লিখেছেন, সে চলে গেল সারা জীবনের মতো। ও বলল আর আমি অশ্রুভেজা চোখে মেনে নিলাম। প্রিয় তারকার এমন পোস্ট দেখে নড়েচড়ে বসেছেন ভক্তরা। নানারকম প্রশ্ন করেছেন তারা। তবে বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয়বার কিছু বলেননি।  ভিগনেশ শিবানের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেম করেছেন নয়নতারা। তারপর ২০২২ সালের জুন মাসে চারহাত এক হয়। অক্টোবরেই সারোগেসির মাধ্যমে যমজ পুত্রের অভিভাবক হন তারা। একই বছরে এতকিছুর জন্য স্বামীকে বারবার কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।  সদ্য গত হওয়া ভালোবাসার দিনও স্বামী ভিগনেশের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় নয়নতারার। কিন্তু তার দিন কয়েকের মধ্যেই কী এমন ঘটল তা বুঝতে পারছেন না অনেকেই।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৮

একটি এসএমএসে ভাঙে মাহির সংসার
বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকার। দ্বিতীয় বিয়ের পর স্বামী ও একমাত্র ছেলে ফারিশকে নিয়ে বেশ ভালোই যাচ্ছিল তার দিন। কিন্তু সেই সংসারেও বেজে ওঠে ভাঙনের সুর। হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে বসেন মাহি। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন মাহির স্বামী রাকিব সরকার।  সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকিব জানিয়েছেন, ‘গত বছরের জুন মাস থেকে আমরা আলাদা থাকছি। আমি ও মাহি উত্তরায় আলাদা বাসায় থাকতাম। একটি এসএমএসকে কেন্দ্র করেই আমাদের দুজনের দুরত্ব বাড়ে। এরপর আলাদা থাকতে শুরু করে মাহি। তিনি বলেন, ‘আমার মোবাইলে আসা আমারই পরিবারেরই একজনের একটি এসএমএসকে কেন্দ্র করে মাহির মন খারাপ হয়। এরপর সে আমার বাসা থেকে তার মায়ের বাসায় চলে যায়।’ রাকিব সরকার বলেন, ‘মাহি বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাকে একাধিকবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। একটা পর্যায়ে আমি নিজেই মাহির সঙ্গে তার মায়ের বাসায় উঠি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের সদস্যরা মিলেও বোঝাতে পারিনি। একসময় একটু বুঝেছে, আবার আরেক সময় উল্টে গেছে। এভাবেই আলাদা থাকার দিনগুলো চলে আসছি। যেটি বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়াচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাহির পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত এসেছে, তা এখন ৯৯ ভাগই বিচ্ছেদের পথে। এক ভাগ নিয়েও আমি আশাবাদী। চেষ্টা করে যাচ্ছি সংসারটা টিকিয়ে রাখতে। কারণ আমি মাহিকে বিয়ে করি পরিবারের অমতে। বিভিন্ন বাধা থাকা সত্ত্বেও তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি।’ প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান তিনি। পরে ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি।
০৩ মার্চ ২০২৪, ০০:৫৩

কারওয়ান বাজারে মাছ কেটে সংসার চালান অভিনেত্রী তটিনী!
রাজধানী কারওয়ান, জীবিকার তাগিদে অনেকেই মাছ কাটার কাজ করেন এখানে। সাধারণত ভোরবেলা এখানে মাছের বাজার বসে। প্রতিদিনই একটি মেয়ে ভোরবেলা মাছ কাটেন। বিনিময়ে কিছু টাকা পান। আর তা দিয়েই যান্ত্রিক এ শহরে সংসার চলে।  ঠিক এমননি একটি গল্প নিয়ে নির্মাণ হয়েছে ‘রঙিন আশা’ নাটক। নাটকে মাছ কাটার কাজ করা মেয়েটির চরিত্রে অভিনয় করেছেন তটিনী। কাজটি করতে গিয়ে দারুণ সব অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। বলেন, তিন দিন ভোরে আড়তে প্রায় দুই ঘণ্টা করে শুটিং করেছি। প্রতিদিনই ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠে কারওয়ান বাজারে যেতে হতো। বাজারের মধ্যে উৎসুক শত শত মানুষের ভিড়ের মধ্যে শুটিং চালিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল। শুটিং দেখার জন্য সাধারণ মানুষের কৌতূহল বেশি। তাতে আবার লোকেশন কারওয়ান বাজারের মাছের আড়ত। বুঝতেই পারছেন, কী ধরনের ঝামেলা গেছে। তটিনী আরও বলেন, দৃশ্যগুলোতে সত্যি সত্যি মাছ কেটেছি। আমার তো এ ধরনের কাজে অভিজ্ঞতা ছিল না। বাসায় মাছ কেটেছি কয়েক দিন। একদিন শুটিং করতে গিয়ে বিপদেও পড়েছিলাম। বাসায় ইলিশ মাছ কেটে প্র্যাকটিস করে গিয়ে শুটিংয়ের সময় আমাকে পাঁচ কেজি ওজনের মাছ কাটতে দিয়েছিল। হা হা হা...। মাছ কাটা মেয়ের চরিত্রটিকে বাস্তবে তুলে আনতে সত্যিকারের কারওয়ান বাজারের মাছের আড়তকেই বেছে নিয়েছেন পরিচালক রাফাত মজুমদার। তবে কাজটি সহজ ছিল না তার কাছে। পরিচালক বলেন, যখন মাছের বাজার বসে, সেই ভোরবেলাকেই আমরা শুটিংয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলাম। সত্যিকারের শত শত ক্রেতা–বিক্রেতার ভিড়ের মধ্যেই শুটিং করেছি। একটি সত্যিকারের মাছ কাটার দোকান ভাড়া করেছিলাম। ওই দোকানে বসেই তটিনী মাছ কাটার কাজ করে শুটিং করেছেন। আগে থেকে না জানতে পারলে তটিনীকে চেনা, জানার উপায় ছিল না। মনে হচ্ছিল সত্যিকারেরই মাছ কাটার কাজ করে মেয়েটি। মৎস্য আড়তের মধ্যে এত মানুষের ভিড় সামলে সঠিকভাবে কাজটি করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। নাটকের গল্পে তটিনীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার। দুজন স্বামী–স্ত্রী। চরিত্রে খায়রুল বাশার কারওয়ান বাজারে ভ্যান চালান। পরিচালক জানিয়েছেন আগামী মাসের শুরুর দিকে একটি ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি প্রচারিত হবে। নাটকটির লিখেছেন অপূর্ণ রুবেল।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৭

‘বিপিএল না হলে আমাদের সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাবে’
কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মান নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টকে রীতিমতো সার্কাসের সঙ্গেই তুলনা করেছিলেন লঙ্কান এই মাইন্ডমাস্টার। তিনি এও মন্তব্য করেছিলেন, বিপিএল দেখতে দেখতে মাঝেমাঝেই টিভি বন্ধ করে দেন তিনি। তবে হেডমাস্টারের কথায় সুর মেলাতে পারলেন না উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উল্টো বিপিএলের এবারের উন্নতির কথা জানালেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। ইতিবাচক বার্তায় মুশির মন্তব্য, বিপিএলের কল্যাণেই অনেক ক্রিকেটারের সংসার চলে। মুশফিকের ভাষ্যমতে, প্রথমত বিপিএল না হলে আমাদের সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। এটা ভাই মোদ্দা কথা। বিপিএলে যে পারিশ্রমিক পায়, জাতীয় দলে কেউ যদি টপ-পেইড স্যালারি হয়; ২-৩ বছর খেলে তাহলে হয়তো ইনকাম করতে পারবেন। এটার মান যদি খারাপ হয়, এটা কোন দিক দিয়ে করেন। কেউ চাইবে না এখানে এসে খারাপ খেলে পরের বছর আনসোল্ড থেকে টিভিতে বসে খেলা দেখবে। মুশি যোগ করেন, কোয়ালিটি অনেক উঁচুতে। হ্যাঁ, এটা বলতে পারেন যে এক বা দুটা পিচ একটু এদিক-সেদিক হতে পারে। এই বছর অনেক ভালো ছিল পিচ। খেলার কোয়ালিটি অনেক ভালো হয়েছে আগের তুলনায়। যারা বলেছে তারা কোন মর্মে বলেছেন তাদের জিজ্ঞেস করেন। বিপিএলের কোয়ালিটি বলেন সবকিছু উন্নত হয়েছে। এ সময়ে সংবাদ সম্মেলনে তরুণদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এ প্রসঙ্গে মুশির মন্তব্য, না, না। আপনার (সাংবাদিক) সঙ্গে আমি একমত না। তারা অবশ্যই অনেক সামর্থ্যবান। তারা যদি সুযোগ পায়… যেমন হৃদয় সে কিন্তু জাতীয় দলে তিনে খেলে না। ৪,৫,৬ এ-ও খেলে। কুমিল্লাতে তিনে খেলছে। সে তার প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। জুনিয়র তামিম ওপেন করছে। উইকেটকিপার এই ব্যাটার যোগ করেন, আমার মনে হয় সুযোগ দিলে তারাও সামর্থ্যবান এবারের বিপিএলেও অনেক দেশি আছে যারা ভালো ভালো ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেছে। হ্যাঁ টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকতা একটু কঠিন। যে অবদান রাখছে তা যেন দলের জয়ে হয়।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৩

টিউশনি করে সংসার চালাতে হচ্ছে নায়িকা শিরিন শিলাকে!
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা শিরিন শিলা। অভিনয়ের চেয়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডেই আলোচনায় থাকেন তিনি। এই নায়িকা কিছুদিন আগে জানিয়েছেন বরিশালের ছেলে বিয়ে করবেন না,  প্রতিদিন দুইশো প্রেমের প্রস্তাব পান। এদিকে গেল ১৯ জানুয়ারি ‘শেষ বাজি’ নামে একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে শিরিন শিলার। এর মধ্যে নতুন একটি ছবির শুটিং শুরু করলেন এই নায়িকা। ছবির নাম ‘যাযাবর’। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি)  থেকে গাজীপুরের লোকেশনে শুটিং শুরু হয়েছে ছবিটির। এতে একজন স্কুলশিক্ষকের মেয়ের চরিত্র অভিনয় করছেন শিলা।  প্রসঙ্গত, ‘হিটম্যান’ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে পা রাখেন শিরিন শিলা। তবে প্রথম সিনেমায় নায়িকা হিসেবে নয় একটি পার্শ্বচরিত্র ও আইটেম গানে পারফর্ম করেন তিনি। সম্প্রতি মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘ঘর ভাঙা সংসার’ সিনেমাতে অভিনেতা ডিপজলের সঙ্গে জুটি বেধেছেন এই অভিনেত্রী। পাশাপাশি কাজ করছেন  ‘দ্য রাইটার, ‘ভালোবাসি তোমায়’ ও ‘ব্যাচেলর ট্রিপ’ ছবিতে।  মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘নদীর জলে শাপলা ভাসে, ‘ডাইরেক্ট অ্যাটাক’সহ বেশ কয়েকটি ছবি। 
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৪

সংসার ভাঙার পর নতুন পরিচয়ে আসছেন এশা
সংসার জীবনে পা রাখার পরই অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন এশা দেওল। কিন্তু সেই সংসারই টিকল না অভিনেত্রীর। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ১২ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তিনি। তবে সংসার ভাঙার পর এবার নতুন পরিচয়ে আসছেন এশা।    শিগগিরই রাজনীতিতে নাম লেখাচ্ছেন এশা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রীর মা বলিউডের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনী। গত ৩ বছর ধরে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। হেমা মালিনী জানান, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে কাজ করার জন্য তাকে সবসময় সমর্থন করেন ধর্মেন্দ্র। অভিনেত্রীর ভাষ্য, পরিবার সব সময় আমার সঙ্গে থাকে। পরিবারের সমর্থনের কারণেই আমি এ কাজ করতে পারছি।   অভিনেত্রী আরও বলেন, ওরা মুম্বাইয়ে আমার বাড়ি দেখাশোনা করে। তাই আমি খুব সহজেই মথুরায় আসতে পারি। তাছাড়া আমি যা করি তাতেই ভীষণ খুশি হন ধর্মেন্দ্র। আমাকে বরাবরই সমর্থন করেন তিনি।  এশার রাজনীতিতে যোগদানের বিষয়ে হেমা মালিনী বলেন, ও যদি চায় রাজনীতিতে আসতে পারে। রাজনীতিতে খুবই আগ্রহী সে। ভবিষ্যতে এই আগ্রহটা থাকলে ও অবশ্যই রাজনীতিতে যোগ দেবে।     সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়