• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সংশোধনী আসছে কাবিননামায়  
হাইকোর্টের নির্দেশে মুসলিম বিয়ে নিবন্ধন ফরম বা কাবিননামা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। চলতি মাসেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে এ নিয়ে। সংশোধনীতে কাবিননামার ফরম থেকে নারীর জন্য অবমাননাকর ‘কুমারি’ শব্দটি বাদ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বরের বর্তমান স্ত্রী কতজন, তা-ও জানাতে হবে সংশোধিত ফরমে। এর আগে বরের বিয়ে বা বউ আছে কি না, এমন তথ্য চাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে,  চলতি মাসেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। এরই মধ্যে খসড়া (সংশোধিত) ফরম প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া নিকাহ রেজিস্ট্রারদের (কাজি) শিক্ষাগত যোগ্যতা আলিম থেকে বাড়িয়ে ফাজিল এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সুবিধাজনক স্থানে নিজ খরচে একাধিক অফিস স্থাপনের পরিবর্তে একটি কাজি অফিস করতে বিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪-এর আলোকে ২০০৯ সালে নিকাহনামা বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। নিকাহনামা ফরমে ২৫ ধরনের তথ্য চাওয়া হয়। ফরমের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কি না’ তথ্য চাওয়া হয়। ২০২২ সালে এক রায়ে এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন ও সংশোধন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। খসড়া ফরমে এটি সংশোধন করে ‘কন্যা অবিবাহিত, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কি না?’ লেখা হয়েছে। এছাড়া বর্তমান নিকাহনামা ফরমের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে জানতে চাওয়া হয়, ‘বরের কোনো স্ত্রী বর্তমানে আছে কি না এবং থাকিলে অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য বর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ মোতাবেক সালিশি কাউন্সিলের অনুমতি লইয়াছে কি না?’ খসড়া ফরমে এই অনুচ্ছেদে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘বর বিবাহিত, অবিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত কিংবা বিপত্নীক কি না? স্ত্রী থাকিলে কতটি এবং অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য বর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ মোতাবেক সালিশি কাউন্সিলের অনুমতি লইয়াছে কি না?’ এ ছাড়া বরের যে কজন স্ত্রী বর্তমান থাকবে, তাদের বিষয়েও তথ্য দিতে হবে নতুন ফরমে।  উল্লেখ্য, কাবিননামা ফরম সংশোধন চেয়ে ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নারীপক্ষ ও মহিলা পরিষদ। এর প্রেক্ষিতে ওই বছরই সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট রায়ে মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে কাবিননামায় ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে থাকা ‘কুমারী’ শব্দটি লেখা বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করেন।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৯

ই-পাসপোর্টে যেসব সংশোধনী এলো
ই-পাসপোর্টে তিনটি সংশোধন এনেছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।  সম্প্রতি অধিদপ্তরের পাসপোর্ট শাখার সহকারী পরিচালক মো. সাদ্দাম হোসেন সাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ দপ্তরটির ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে, এই সংশোধনী গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে। যেসব সংশোধনী এলো— ১. স্বামী-স্ত্রীর নাম ই-পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যের অংশে পাসপোর্টধারীর নামের সঙ্গে বাবার নাম, মায়ের নাম, স্বামী বা স্ত্রীর নাম আর স্থায়ী ঠিকানা যা সংশোধন করা হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্টে ‘স্পাউসেস নেম’ ঘরটি আর নেই। এর বদলে ‘লিগ্যাল গার্ডিয়ান’ লেখা রয়েছে। তবে সেটি শুধুমাত্র শুধু দত্তক সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ‘লিগ্যাল গার্ডিয়ান নেম’ অন্তর্ভুক্তকরণের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইনত অভিভাবকের অনাপত্তি সনদ আর তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি প্রমাণপত্র হিসেবে আবেদনের সময় জমা দিতে হবে। ২. বিস্তারিত ঠিকানা ই-পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্য ও জরুরি যোগাযোগসংক্রান্ত অংশ দুটিতে ‘অ্যাড্রেস’ বা ঠিকানার ঘর আছে। সেখানে জরুরি যোগাযোগের জন্য যে ব্যক্তিকে মনোনীত করা হয় তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দরকার হয়। এতদিন যেটি দুই লাইনে ৪৮ শব্দের মধ্যে লিখতে হতো, এখন থেকে তা তিন লাইনে বা ৯৬ শব্দে ঠিকানা উল্লেখ থাকবে। ৩. কিউআর কোড থাকছে না ই-পাসপোর্টের প্রথম পাতায় জরুরি তথ্যের নিচে কিউআর কোড যুক্ত করা হয়েছিল। সেটি আর থাকছে না।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়