• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
১৫০ টাকায় পাওয়া যাবে তরমুজ
বাংলাদেশ এসএমই ফোরামের উদ্যোগে ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায়  ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এর আওতায় ৪ থেকে ৬ কেজি ওজনের একটি তরমুজ ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবন চত্বরে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় বাংলাদেশ এসএমই ফোরামের সভাপতি চাষি মামুন বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের মাঠ থেকে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে কৃষি পণ্য বিক্রয়ের জন্য দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল। বাংলাদেশ এসএমই ফোরাম উদ্যোগ নিয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করে আজকের প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, কৃষকের ১০০ টাকার তরমুজ ভোক্তা পর্যায়ে ৮০০ টাকা বিক্রি হওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। মধ্যস্বত্বভোগীদের বাদ দিয়ে উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য পৌঁছানোসহ সরবরাহ চ্যানেলের সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, অধিদপ্তর ভোক্তার স্বার্থে উদ্যোক্তাদের সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এ মহৎ উদ্যোগ সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২২:২১

টাকা ফিরে পেতে অপেক্ষা বাড়ছে ইভ্যালি গ্রাহকদের
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে লগ্নিকৃত টাকা ফিরে পেতে অপেক্ষা বাড়ছে গ্রাহকদের। কারণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে প্রতিষ্ঠানটির টাকা ফেরত কার্যক্রম।   চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধিকারী মোঃ রাসেলের টাকা ফেরত কার্যক্রম শুরুর ঘোষণায় আশা ফিরে পেয়েছিলেন হাজারো গ্রাহক। প্রথম দফায় ১৫০ জন গ্রাহক নিজেদের টাকা ফেরতও পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দ্বিতীয় দফায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচাক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামানের উপস্থিতে ফেরত দেওয়া হয়েছে ১০০ জন গ্রাহকের পাওনা। এরপরই আসে দুঃসংবাদটি।    ভোক্তা অধিকারের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে আয়োজিত পাওনা টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মহাপরিচাক জানিয়ে দেন, আজকেই হয়তো শেষবারের মতো ইভ্যালির অভিযোগ নিষ্পত্তি কিংবা টাকা ফেরত দেয়ার কার্যক্রম হচ্ছে। ইভ্যালির সব মামলা নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত হয়তো গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার এই কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলও। ভোক্তা অধিকারের ডিজি বলেন, গণমাধ্যমের নেতিবাচক খবর প্রকাশের জন্য রাসেলকে অনুষ্ঠানে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। যাদের অভিযোগ ২০ হাজার টাকার ভেতরে ধারাবাহিকভাবে তেমন ১০০ জনের টাকা আজ ফেরত দিচ্ছে ইভ্যালি।   এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত কার্যক্রম শুরুর সময় মোহাম্মদ রাসেল জানিয়েছিলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে যারা অভিযোগ করেছেন, তারাও টাকা ফেরত পাবেন এবং যারা করেনি তারাও টাকা পাবে। কিন্তু ইভ্যালি থেকে অর্ডার করে পণ্য না পেয়ে যারা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন এমন গ্রাহকরাই দ্বিতীয়বারেরর মতো টাকা ফেরত পেয়েছেন মঙ্গলবার। অধিদপ্তরে প্রায় ৭ হাজার ৫০০টি অভিযোগ রয়েছে এখনও।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫১

ইফতারের জন্য বেলের শরবত ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন যেভাবে 
রমজানে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনি ক্লান্ত বোধ করেন। ইফতারে তাই পর্যাপ্ত ফল, ফলের রস ও শরবত খাওয়া জরুরি। এজন্য ইফতারিতে রাখতে পারেন বেলের শরবত। এটি হজমের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা সমস্যার সমাধান হিসেবে চমৎকার কাজ করে। কিন্তু যারা প্রতিদিন বেলের শরবত তৈরি করা ঝামেলা মনে করেন তারা চাইলে রোজার আগেই বেলের শরবত করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। তাহলে আর প্রতিদিন বেলের শরবত তৈরি করার ঝামেলা থাকবে না।  জেনে নিন সংরক্ষণের পদ্ধতি-  উপকরণ:  ১. বেল পরিমাণমতো ২. টকদই ১০০ গ্রাম ২. পানি ৩. বরফকুচি সামান্য ৪. চিনি পরিমাণমতো ৫. লবণ ও তেঁতুল সামান্য পদ্ধতি:  প্রথমে দুই থেকে তিনটি বেল নিন। এবার পরিমাণমতো পানি দিয়ে বেল ভালো করে চটকে ছেঁকে নিন। এরপর সুবিধামত ছোট-ছোট বা বড় বোতলে বেলের শরবত ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন।  এবার ইফতারের কিছুক্ষণ আগে ফ্রিজ থেকে বোতল নামিয়ে রেখে দিন। এবার তেঁতুল অল্প পানিতে ভিজিয়ে কাঁথ বের করে নিন। এরপর বেলের মধ্যে টকদই, লবণ, চিনি ও তেঁতুলের কাঁথ ভালো করে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল দারুন স্বাদের স্বাস্থ্যকর বেলের শরবত। বরফকুচি দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৩

ভেজাল ওষুধ বিক্রির চেয়ে মাদকের কারবার ভালো : ভোক্তা অধিকার
মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছে দেশের একটি অসাধু চক্র। ভেজাল পণ্যের রমরমা কারবার থেকে বাদ যাচ্ছে না স্বাস্থ্য সেবার উপকরণও। নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ, ভুয়া চিকিৎসা সরঞ্জাম বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে ভরে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মেসি ও দোকানে। এমন সব নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রিকে মানুষ হত্যার মতো অপরাধ উল্লেখ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ভেজাল ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিক্রির চেয়ে মাদকের কারবার ভালো। একইসঙ্গে হুশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেছেন, যারা নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রি করছেন, তাদের লাইসেন্স অচিরেই বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হবে। এদেশে ডায়াবেটিস রোগী বাড়ছেই। আক্রান্ত রোগীদের জন্য সবচেয়ে জরুরি নিয়মিত ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করানো। ভোগান্তি এড়াতে অনেকে বিভিন্ন কোম্পানির ‘কুইক স্ট্রিপ’ কিনে ঘরে বসেই ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করেন। এর ওপর ভরসা করেই চিকিৎসা, খাদ্যগ্রহণসহ দৈনন্দিন জীবনযাপন করেন। অথচ প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির নকল হচ্ছে দেদার। নকল ডায়াবেটিকস স্ট্রিপসে সয়লাব বাজার। ফলে হাসপাতাল-ক্লিনিকে হরহামেশাই ডায়াবেটিকসের মাত্রা পরীক্ষার ভুলভাল রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে রোগীরা। এমন ঘটনা ৬ ফেব্রুয়ারি হাতেনাতে ধরেন ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।  যে স্ট্রিপগুলো বাজারে সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার মধ্যে অন্যতম ‘আকু-চেক অ্যাকটিভ স্ট্রিপ’। অথচ এ স্ট্রিপটি চোরাইপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। এরপর রাজধানীর নয়াপল্টন, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন এলাকার প্রেস থেকে ব্যাচ নম্বর, বার কোডসহ মোড়ক তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে সেগুলো। আবার, বিদেশ থেকে অনুমোদন ছাড়া ডায়াবেটিস স্ট্রিপ দেশে এনে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নকল মোড়কে বাজারে ছাড়ছে ফার্মা সল্যুশনস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটির পাশাপাশি অন্যরাও এমন কাজ করছে কি না, তার অনুসন্ধান চলছে।  এরই ধারাবাহিকতায় নকল ডায়াবেটিকস স্ট্রিপ বিক্রয় প্রতিরোধে আমদানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিয়ে মতবিনিময় সভা করে ভোক্তা অধিদপ্তর। রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও অংশ নেয়।  সভায় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচলক ডায়াবেটিস মাপার নকল স্ট্রিপ বাজারজাত করার কারসাজির ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ডায়াবেটিসের নকল স্ট্রিপ বিক্রি নিয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে আমাদের একটি টিম তদন্ত শুরু করে। এতে দেখা যায় যে, ফার্মা সলিউশন নামের ওষুধ বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এ স্ট্রিপ আমদানি করে বিক্রি করছে। আকু চেক অ্যাকটিভ নামের স্ট্রিপের মোড়কে ‘মেইড ইন জার্মানি’ লেখা। এটার উৎপাদক নাকি জার্মানির প্রতিষ্ঠান রোস।  সফিকুজ্জামান বলেন, সন্দেহ হবার পর লাজ-ফার্মা থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। লাজ-ফার্মাকে ডেকে আনা হয়। তারা জানায়, এটার আমদানিকারক ফার্মা সলিউশন। ঢাকায় ফার্মা সলিউশনের ৪-৫টা ডিপো রয়েছে। তেজকুনিপাড়ার ডিপোতে অভিযান চালানো হলো। কিন্তু তারা মুখে কুলুপ এটে বসলো।  আকু চেক স্ট্রিপ নিয়ে জার্মানির রোস কোম্পানির সঙ্গেও ভোক্তা অধিকারের যোগাযোগ হয়। প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে, তারা এ ব্যাচধারী কোনো স্ট্রিপ উৎপাদনই করেন না। তাহলে দেশের বাজারে এগুলো কোথা থেকে এলো, গায়েবিভাবে এলো কি না, এমন প্রশ্ন রাখেন ভোক্তার অধিকারের ডিজি।  তিনি বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে যেটা বেরিয়ে এলো, তা হলো এগুলো তারা লাগেজ পার্টির মাধ্যমে দেশে এনেছে। ভারত থেকে নকল এসব স্ট্রিপ কাপড়ের লাগেজের মধ্যে করে আসে। তারা শুধু স্ট্রিপ কৌটায় করে নিয়ে আসে। পরে নয়াপল্টনের প্রিন্ট ওয়ান নামের প্রেসে সব কারসাজি করা হয়। ফার্মাসি খাতে কারসাজি চরম হতাশাজনক উল্লেখ করে সফিকুজ্জামান বলেন, জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। আপনি জাল টাকা উৎপাদন করে যতটা না ক্ষতি করতে পারবেন, তার চেয়ে নকল ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে বেশি ক্ষতি হবে। এর চেয়ে খারাপ কাজ আর কিছু হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রি মানুষ হত্যার মতো অপরাধ। নকল মেডিকেল সামগ্রী বা ওষুধ বিক্রির চেয়ে মাদকের ব্যবসা করা ভালো। চাল-ডালের দাম বাড়ানোর থেকেও অনেক ভয়াবহ অপরাধ এটি। ডায়াবেটিস স্ট্রিপের ভুল রিপোর্টের ফলে ভুল চিকিৎসা পেয়ে মানুষ যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। সভায় উপস্থিত ছিলেন ফার্মা সলিউশনের প্রধান নির্বাহী পল্লব চক্রবর্তী ও প্রিন্ট ওয়ানের সত্ত্বাধিকারী লুৎফর রহমান। তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করেন এবং ক্ষমাও চান। পল্লব চক্রবর্তী নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপের প্যাকেটের বিষয়ে দায় স্বীকার করেন। তবে এ ঘটনায় তার প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মীকে দায়ী করেন। বিভিন্ন যুক্তিও দেন।   লুৎফর রহমান বলেন, ফার্মা সলিউশনকে আমরা বিশ্বাস করে কাজ নিয়েছিলাম। তাদের লেনদেন প্রক্রিয়াও ভালো। আমরা বিশ্বাস করে তাদের কাজ নিয়েছি। দুই ধাপে ১০-১২ হাজার টাকার প্রিন্টিংয়ের বিল পেয়েছি। এরপরও আমাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। তবে আমরা দায় এড়াতে পারি না।  মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী। তিনি বলেন, এলসি জটিলতার কারণে নকল স্ট্রিপ দেশে আসছে। কিন্তু সেটি রোগীর জন্য ভোগান্তি, যা এফবিসিসিআই সমর্থন করে না। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের দায় এফবিসিসিআই নেবে না।  সভায় সবাই নকল স্ট্রিপ আমদানি, তৈরি ও বিক্রি প্রতিরোধের ওপর জোর দেন। অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির দাবি করেন উপস্থিত সবাই। তারা বলেন, বিদেশ থেকে লাগেজের মাধ্যমে যে পণ্যগুলো ঢুকছে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে এই বিষয়ে আরও মনোযোগী হতে হবে। মূল কাজটা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২১

‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার’
সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় এফডিসিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ে এক ছায়া সংসদে এ কথা জানান তিনি। ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। রমজান মাসের চাহিদা বিবেচনায় এরই মধ্যে কয়েকটি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। তবে ভোক্তাপর্যায়ে এর সুফল পেতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালানো হচ্ছে। বাজার মনিটরিংয়ের বিরুদ্ধে কোনো প্রভাবশালী মহলের চাপ নেই। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাসমূহ সমন্বিতভাবে কাজ করছে। বাণিজ্য কূটনীতিকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বাংলাদেশ কোনোভাবেই শ্রীলঙ্কা বা ভেনিজুয়েলা হবে না। তিনি আরও বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তরের যুদ্ধ চলবে। বর্তমানে বিশ্বে ৩৮তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। মানুষের কষ্ট লাগবে সরকার বাজার ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই মধ্যে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু হয়েছে, যা পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে পর্যবেক্ষণ করবে। কেউই রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী নয়। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আমাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ কীভাবে যে জীবন ধারণ করছে সেটা কল্পনা করা যায় না। সাধারণ মানুষের সঞ্চয় তলানিতে নেমে দাঁড়িয়েছে। ধার-কর্জ করে চলছে। মানুষ কষ্টে আছে। মধ্যবিত্তরা দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে নীরব যন্ত্রণায় ভুগছে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা এখন কম লাভে সন্তুষ্টি পাচ্ছেন না। ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা ও অতিলোভ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোর হাতে রুখতে হবে। দ্রব্যমূল্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আয় বাড়লে এবং কর্মসংস্থান তৈরি হলে ভোক্তাদের কষ্ট কম হয়। কিন্তু সবকিছুর দাম বাড়লেও মধ্যবিত্তের উপার্জন বাড়েনি। নতুন কর্মসংস্থান বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে বাজার সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্যকে উসকে দিচ্ছে।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৬

অবৈধভাবে ধান মজুত করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
জয়পুরহাটে অবৈধভাবে ধান মজুত করার অপরাধে লোকমান আলী নামে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার শুক্তাহার এলাকায় র‌্যাবের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   তিনি জানান, র‌্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাদ্য দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে একটি  গোডাউনে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোডাউনে প্রায় সাড়ে ৩শ’  মেট্রিকটন ধান মজুদ অবস্থায় পাওয়া গেছে। ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ না থাকায় এবং অবৈধভাবে ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে গোডাউনে ধান মজুদ রাখার দায়ে ব্যবসায়ী লোকমান আলীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে গোডাউনে মজুদকৃত ধান খোলাবাজারে বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়। এ সময় জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. শেখ সাদিক ও সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৯

ভোক্তা অধিদপ্তর ও এসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর 
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও এসোসিয়েশন অব  স্কিনকেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স এন্ড ইম্পোর্টার্স অব বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সমঝোতা স্বারকটি স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান এবং এসোসিয়েশন অব  স্কিনকেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স এন্ড ইমপোর্টার্স অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক আশরাফুল আম্বিয়া। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিমার্ক এইচবি লিমিটেড ও হারলানের পরিচালক চিত্রনায়ক শাকিব খান।   অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, বিদেশি কসমেটিকসের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের তথ্য থাকে না এবং আমদানিকারক কর্তৃক এমআরপি (সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য) প্রদান করা হয় না। এছাড়াও কসমেটিকস পণ্যে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, যা ভোক্তার ত্বকের ক্ষতি করছে। তিনি বলেন, অধিদপ্তর ভোক্তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও সুরক্ষা প্রদান করে। এ ক্ষেত্রে দেশীয়ভাবে প্রসাধনী প্রস্তুতকরণ ও বাজারজাতকরণের উদ্যোগ আমরা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। কেন না এর মাধ্যমে দেশের বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। এসোসিয়েশন অব  স্কিনকেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স এন্ড ইমপোর্টার্স অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, মানসম্মত প্রসাধনী প্রস্তুতকরণ ও বাজারজাতকরণে দেশীয় উদ্যোক্তাদের এসোসিয়েশন অনুপ্রাণিত করবে।  চিত্রনায়ক শাকিব খান বলেন, মানুষ ভালোবেসে প্রসাধনী ক্রয় করে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য ভালোবাসার এ পণ্য যেন ত্বকের ক্যানসারের মতো বিভিন্ন রোগ না নিয়ে আসে। এ সমঝোতার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার কার্যক্রমের সূচনা হলো। আলোচনায় ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালিত অভিযানে কসমেটিকস পণ্যের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরা হয়। এসময় কসমেটিকস পণ্যের মোড়কে আমদানিকারকের তথ্য এবং সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উপাদান, পরিমাণ, ব্যবহারবিধি, উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকা, প্রাইসগান মেশিনের সাহায্যে খুচরা বিক্রেতা নিজেই সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য প্রদান করা, আমদানিকারক কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য কেটে অধিক মূল্য লেখা, বিদেশি পণ্য নকল করে দেশের অভ্যন্তরে তৈরি করে বিদেশি পণ্য হিসেবে বিক্রয় করা হয়, নকল কসমেটিকস পণ্যের ক্ষেত্রে সঠিক মানদণ্ড না থাকা এবং বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ ও অনুমোদনহীন ক্রিমসহ অন্যান্য কসমেটিকস বিক্রয় বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে।  
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৩

গুড় কারখানায় অভিযান, ৫ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকার ধামরাইয়ের ফোর্টনগর এলাকায় ভেজাল গুড় কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে সাভার নামাবাজার-সংলগ্ন এলাকার গৌতম ও শঙ্করের মালিকানাধীন একটি গুড় উৎপাদন কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সাভারের নামাবাজার এলাকায় ভেজাল গুড় উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছিল অসাধু ব্যবসায়ি গৌতম ও শঙ্কর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই গুড় উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তারা আখের গুড়ে খেঁজুরের গুড়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে বাজারজাতসহ নানা ধরনের রং মিশিয়ে গুড় উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাত করতো। যে কারণে কারখানাটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই গুড় উৎপাদন করা কারখানাটিকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সংরক্ষণ করা গুড় ধ্বংস করা হবে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২৩

সরকারকে বিব্রত করতেই চালের মূল্যবৃদ্ধি : ভোক্তার ডিজি
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতেই অযৌক্তিকভাবে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। যারা চালের দাম বাড়াচ্ছে রমজানের আগেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ঝালকাঠির বিভিন্ন বাজারে খোলা তেল বিক্রয়বিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, রমজানে সবগুলো পণ্যেরই চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এ সুযোগে মজুতদারিরা সুবিধা ভোগ করে। ভোক্তা অধিকার মজুতদারিদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ভোক্তা অধিকার গোডাউনগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে। কোথাও যদি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়, এ ধরনের তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোক্তা অধিকার ইতোমধ্যেই পাইকারি বাজারে মনিটরিং করছে। রমজানের শুরুতেই অনেকে এক মাসের পণ্য কিনেন, তাতে বাজারে পণ্যের ওপর চাপ পড়ে। এতে সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগটা গ্রহণ করে দাম বাড়িয়ে দেয়। ভোক্তাদের কাছে পরামর্শ হচ্ছে, একসঙ্গে পণ্য না কিনে ধাপে ধাপে কিনলে বাজারটা অস্থির হবে না।  খোলা তেল মার্কেট থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে জানিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, খোলা তেল পরিহার করতে হবে, বোতলজাত তেলের মধ্যে ভিটামিন এ পাওয়া যাচ্ছে, তাই বোতলজাত করা তেল কিনতে হবে। খোলা তেল কোথা থেকে আসছে, কোন কোম্পানির তা শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাই কাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো, তা-ও বোঝা যাচ্ছে না। খোলা তেল আমরা মার্কেট থেকে উঠিয়ে নেবো। কারণ, এতে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি আছে।  বাজার মনিটরিং শেষে চেম্বার অব কমার্স কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়য় করেন ভোক্তা অধিকারের মহাপারচালক। পরে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মুনাওয়ার, বিভাগীয় উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম ও ঝালকাঠি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাফিয়া সুলতানা।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৫

‘রমজানের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, রমজানের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু বাজারে গিয়ে একসঙ্গে মাসের বাজার করলে সাপ্লাই চেইনে প্রভাব পড়বে। কিন্তু এক সপ্তাহের বাজার করলে সাপ্লাইয়ে তেমন প্রভাব পড়ে না। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের সভা কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এবারের রমজানের আগে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বেতন পেয়ে যাবেন। তখন রমজানের জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে বলে আমরা মনে করি। আমরা রোজার দুদিন আগে সবাই বাজারে চলে যাব। সাধারণত রমজানে সবাই ৪ লিটারের জায়গায় ১০ লিটার তেল ক্রয় করেন। তখন রমজানে বাজারের সাপ্লাই প্রভাব পড়ে। তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের সাপ্লাই কম থাকলে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। রমজানের প্রথম দিকে হঠাৎ করে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, আবার রমজানের মাঝে পণ্যের দাম কমে যায়। অনেক অ্যানালাইসিস করে আমরা জানতে পেরেছি বাজারে রপ্তানি পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু আমাদের চরিত্রের কারণে, বাড়তি পণ্য ক্রয় করার কারণে সাপ্লাই চেইনের প্রভাব পড়তে পারে। বাজার থেকে এক সপ্তাহের পণ্য ক্রয় করলে বাজারের সাপ্লাইয়ের প্রভাব পড়ে না। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ভোক্তার ডিজি বলেন, যেসব ব্যবসায়ীরা বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখবেন তাদের ভোক্তা দিবসে পুরস্কৃত করা হবে। আর যারা বাজার মূল্য বৃদ্ধি করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আমাদের কৌশল পরিবর্তন করেছি। আমরা গোপনে কাজ করছি। এবার আমরা খুচরা ব্যবসায়ী আর পাইকারদের ধরব না। মার্কেট ও বাজার কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, ক্রেতাদের পণ্যের ভাউচার দিতে হবে ব্যবসায়ীদের। ভাউচার নিয়ে ভাঁওতাবাজি চলবে না। ব্যবসায়ীরা আমাদের কমিটমেন্ট দিয়েছেন, ভাউচার দেবেন। কমিটমেন্ট ভঙ্গ করলে আইনি ব্যবস্থা নেব। কথা না রাখলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়