• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্থবির হয়ে আছে সৃষ্টিশীল নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড
নাট্য নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের ১০ মার্চ সংগঠনটির ২০২৩-২৫ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন সভাপতি অনন্ত হিরা ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এস এম কামরুজ্জামান সাগর। এই নির্বাচনে একই সঙ্গে প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হন আরও ১৯ জন সদস্য। তবে সেই নির্বাচনের ছয় মাস পার না হতেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ওপর অনাস্থা আনে একই বছরের ১৫ অক্টোবর কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৭ জন সদস্য। ১৯টি কারণ দেখিয়ে এক চিঠিতে অনাস্থা জানানো হয়। মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ডিরক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ চলমান সংকট তুলে ধরতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন অনাস্থাকারী ১৬ জন নির্বাচিত সদস্য। এসময় সমন্বয়কারী শহিদুজ্জামান সেলিম ও এস এ হক অলিকসহ আরও উপস্থিত ছিলেন— প্রযোজক আরশাদ আদনান, প্রযোজক, নির্মাতা, অভিনেতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, নির্মাতা ফরিদুল হাসান প্রমুখ। সেখানে বিভিন্ন পদে নির্বাচিত ১৭ জন সদস্যের নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে। ডিরেক্টর গিল্ডের সভাপতি অনন্ত হীরা বরাবর এই চিঠি পাঠানো হয় ১০ অক্টোবর। সেটি সভাপতি বা তার প্রতিনিধি গ্রহণ করেন ১৫ অক্টোবর। অনাস্থা জানানোর কারণগুলো উল্লেখ্য করতে গিয়ে সেই চিঠিতে লেখেন, ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের নিম্ন স্বাক্ষরকারী সদস্যরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, শপথ গ্রহণের পর থেকে আপনি (সভাপতি), সাধারণ সম্পাদক নানা রকম অগঠনতান্ত্রিক, অসাংগঠনিক, স্বেচ্ছাচারী, বিভ্রান্তিকর, আস্থাহীনতা, সমন্বয়নহীনতা, দায়িত্ববোধের নির্বুদ্ধিতা নির্বাচিত অন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের কাজ করতে না দেওয়া, নির্বাচিত সদস্যদের হেয় করাসহ নানাবিধ অনিয়মে সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। তাই সংগঠন ও গঠনতন্ত্রের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং সংগঠনকে গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরিচালনা করতে, সংগঠনকে এগিয়ে নিতে এবং আপনাদের অগঠনতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের হাত থেকে সংগঠনকে বাঁচাতে আপনার (সভাপতি) ও সাধারণ সম্পাদকের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করছি। আট পাতার এই চিঠিতে বিভিন্ন সময়ে ঘটা ঘটনার কথা উল্লেখ করে অনাস্থার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। স্বাক্ষরিত ১৭ জনের তালিকায় আছেন সংগঠটির সহ-সভাপতি কায়সার আহমেদ, মনোজ সেনগুপ্ত ও আশরাফুল আলম রন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদা আক্তার লাজুক ও ফিরোজ খান, অর্থ সম্পাদক আবু রায়হান জুয়েল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জহির খান, প্রশিক্ষণ ও আর্কাইভবিষয়ক সম্পাদক শুভ্র খান, আইন ও কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক তারিক মুহাম্মদ হাসান, দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাইদুর রহমান এবং কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম শহিদুল ইসলাম রুনু, গাজী আপেল মাহমুদ, দীন মোহাম্মদ মন্টু, নাসির উদ্দিন মাসুদ, ফিরোজ আহমেদ দুলাল, শাহীন মাহমুদ ও সৈয়দ আওলাদ। অনাস্থা দিয়ে আস্থা ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন কমিটির ১৭ জন। কিন্তু মতের অমিলে সেই আস্থা ফিরে আসেনি। ২১ জন নিয়ে গঠিত কমিটি এখন দুই ভাগে বিভক্ত! স্থবির হয়ে আছে প্রায় আটশো জন সৃষ্টিশীল নির্মাতাদের প্রাণের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। অনাস্থা আনা ১৭ জনের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ দেন এবং সেইসঙ্গে তাদের ৮ জনের সদস্যপদ স্থগিত করেন সভাপতি অনন্ত হীরা ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর। এখানেই শেষ নয়, অনাস্থা আনা ১৭ জনের পদ কো-অপ্ট করে নতুন করে ১৭ জন নিয়ে হীরা ও সাগর কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। যা আইন বহির্ভূত বলে মনে করছেন অনাস্থাকারীরা। চলমান সংকট সমাধানে গত বছরের ২৪ নভেম্বর মুক্ত আলোচনা সভা করা হয়। সেখানে সাধারণ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সংকট নিরসনে গাজী রাকায়েত, সালাউদ্দিন লাভলু, শহিদুজ্জামান সেলিম, রোকেয়া প্রাচী, এস এ হক অলিক, সৈয়দ শাকিল ও ইমরাউল রাফাতকে সমন্বয়কারী সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিলেও ফলপ্রসূ হয়নি। সমন্বয়কারীদের দাবি, তাদের উপেক্ষা করেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের কার্যক্রম চলমান রেখেছেন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য শহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, ১৬ জন নির্বাচিত সদস্য আমাদের আমন্ত্রণ করেছিল সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য। নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো সদস্য এমন সভা ডাকতে পারেন। এসময় প্রায় তিনশো সদস্যদের উপস্থিতিতে সেই সভায় কয়েকজনকে নিয়ে সমন্বয়কারী করা হয়। যারা উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে চলমান সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখবেন। আমাদের সিনিয়র উপদেষ্টা মুস্তফা মনোয়ার, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, ম হামিদ এর সঙ্গে আলাপ করলে তারা আমাদের সমাধানের জন্য বলেন। দুই পক্ষের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু অতীব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, চার জন মিলে সংগঠনের অফিস দখল করে রেখেছেন। অফিসে চলমান সমস্যা নিয়ে মিটিং করতে পারিনি৷ সদস্যদের চাঁদায় অফিস ভাড়া হয় কিন্তু এই চারজন তাদের ব্যক্তি স্বার্থে তা ব্যবহার করছে। নিজেদের প্রয়োজন ছাড়া তালাবদ্ধ রাখেন। বহুবার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। তিনি আরও বলেন, সংগঠনের ব্যানারে তারা আগামী ৯ মার্চ একটি পিকনিকের আয়োজন করেছেন। যেখানে সমস্যা সমাধানের খবর নেই সেখানে এই চারজন অন্যায় ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।  নাট্য নির্মাতাদের সবচেয়ে পুরনো সংগঠনটির সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। তিনি বলেন, এই সংগঠনের সঙ্গে অনেক আগেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছি। গিল্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেদের মতো করে সংগঠনটি চালাচ্ছে। তারা কারো কথার তোয়াক্কা করছে না৷ যে কয়জনকে কো-অপ্ট করা হয়েছে তা নিয়মনীতি ছাড়াই। এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনে এমনটা চলতে দেওয়া যায় না। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি নিয়ে ডেকেছিলাম তারাও বিষয়টি সমাধান করতে চায়। কিন্তু আমাকে জানায় পিকনিকের আয়োজন করে ফেলেছে। পিকনিকের পরে বিষয়টি নিয়ে বসতে চায়। পিকনিকের আগে তাদের বসার আহ্বান জানাই। আমি চাই চলমান সংকট সুস্থ সমাধান হোক অতি দ্রুত। পিকনিকের আগে তাদের পছন্দ মতো লোকজন নিয়ে যাতে সমস্যার সমাধান করে। সমাধান করে সবাই মিলে পিকনিক করার আহ্বান করছি৷ আগে সমাধান জরুরি। এসময় আরশাদ আদনান বলেন, নির্বাচিত সদস্যদেন বাদ দিয়ে সিলেক্টেডদের নিয়ে কিভাবে পিকনিক করে? এটা কি সম্ভব? সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর অনেক মিথ্যা কথা বলে। কথায় কথায় মিথ্যা বলে। ডিরেক্টরস গিল্ডের চলমান সংকট নিরসন এসময় সংবাদমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন এই প্রযোজক। এক বার্তায় জানানো হয়, নির্বাচনের পর থেকে অনিয়ম, অগঠনতান্ত্রিক ও অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের কারণে বর্তমান সভাপতি অনন্ত হিরা, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক (বিনা ভোটে) শামীম রেজা জুয়েল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সবুজ খান, কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য সৈয়দ আওলাদ সহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধেও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। এমনটা চলতে থাকলে ডিরেক্টরস গিল্ড নামের সংগঠনটি বিলীন হয়ে যাবে, যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। এই বিশৃঙ্খলা ও নাজুক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করার প্রত্যয়ে দ্রুত সমাধান প্রত্যাশা করছি।  
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৮

ক্যাম্পাসে নির্যাতিতদের গল্প তুলে ধরবে ‘সোচ্চার’
গত এক দশক কিংবা তারও আগ থেকে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের গল্প তুলে ধরা এবং নির্যাতনের ঘটনা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘সোচ্চার-টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ’। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মানবাধিকার সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে। সোচ্চারের নির্বাহী পরিচালক ড. মাহফুজুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন সংগঠনটির আরেক নির্বাহী পরিচালক রাহনুমা সিদ্দিকি। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও মানবাধিকার কর্মী নুর খান লিটন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী, জাস্টিস অ্যাব্রোড ইউকের ডিরেক্টর ব্যারিস্টার মাইকেল পোলাক। বক্তব্য রাখেন বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতিত শিক্ষার্থী মুকুল আহমেদসহ ক্যাম্পাসে নির্যাতিত কিছু ভিক্টিম। অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আমি বুয়েটে আবরার ফাহাদের মৃত্যুসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছি। এটা আমাকে এত বেশি বিমূঢ় করেছে। সোচ্চারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, ‘সারা পৃথিবীতে কোন রাষ্ট্রে এমন বর্বর ঘটনা ঘটে না। সারা পৃথিবীতে যত ছাত্র সংগঠন আছে তারা এভাবে অপারেট করে না।’ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা পড়ে তারা দেশকে গড়ে তুলবে। এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে, যাতে কেউ প্রতিবাদ করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করে। তারা হলে আসন সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে কাজগুলো করে থাকে।  তিনি বলেন, এই দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয় কিন্তু এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশি আসন সমৃদ্ধ হল নির্মাণ করার ক্ষমতা সরকারের নেই। এসব খাতে সরকার টাকা ব্যয় করে না। তারা এটা করতে চায় না। আবাসিক সংকট থাকার কারণে যারা একটু অসচ্ছল পরিবার থেকে পড়তে আসে তারা বাধ্য হয়ে তাদের দাসত্ব গ্রহণ করে। এমন একটি সংস্থার মাধ্যমে যদি সাধারণ শিক্ষার্থীরা পরিত্রাণ পায় তবে সবাই এটাকে সাধুবাদ জানাবে।  অনুষ্ঠানে সংগঠনটির রিসার্চ এন্ড ইভালুয়েশন ডিরেক্টর শিব্বির আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসে নির্যাতিতদের না বলা গল্পগুলো নীরবতা ভেঙে আমরা সামনে নিয়ে আসতে চাই এবং তাদের গল্পগুলো আমরা শেয়ার করতে চাই। গত এক দশক ধরে কিংবা তারও আগে যারা নির্যাতিত হয়েছে তাদের গল্পগুলো আমরা সোচ্চারে প্রকাশ করব। তিনি বলেন, একইসঙ্গে আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করব। আমরা বিশ্বাস করি, একদিন না একদিন এসব ঘটনার বিচার পাবে নির্যাতিতরা। শিব্বির আহমেদ আরও বলেন, যদিও সংগঠনটির কাজের পরিধি আরও বড়। তবে প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পাস টর্চারের ভিকটিমদের পাশে দাঁড়ানো, টর্চার বন্ধে অ্যাডভোকেসি করা এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই সংগঠনটির পথ চলার সূচনা হচ্ছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৮

ইমরান খানকে কারাগারে রেখেই পাকিস্তানে ভোটগ্রহণ
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। তবে নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খানের অনুপস্থিতি। একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তিনি কারাগারে বন্দী। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম বিবিসির পৃথক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। ইমরান খান কমপক্ষে ১৪ বছর কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) পায়নি। বিবিসি জানায়, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, সহিংসতা এবং কারচুপির অভিযোগের মধ্যেই নতুন সরকার গঠন করতে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের কোটি কোটি নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রায় দুই বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইমরান খানকে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয় ও তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধাও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনের লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।  নির্বাচনে লড়াইয়ে এগিয়ে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজলের (জেইউআই-এফ) নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক রয়েছে। করাচিতে জামায়াতে ইসলামির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তবে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি থেকে প্রার্থী বাছাই করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ দলটির ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক ব্যবহার করা নিষিদ্ধ হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার তাদের ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন। এদিকে নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তানের কিছু এলাকায়। বুধবার পৃথক বোমা ও গ্রেনেড হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, পকিস্তানে এবারের নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশটির জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৪২টি। এর মধ্যে ২৭২ আসনে সরাসরি ভোট হয়। আর ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এর মধ্যে ৬০টি আসন নারীদের ও ১০টি আসন অমুসলিম প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়