• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগণই এখন সংখ্যালঘু : প্রধানমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এখন কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণই সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার (৪ মার্চ) সংসদ ভবন কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আইনজীবী ডক্টর পায়াম আখভান। এ সময় এসব কথা তুলে ধরে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা।    আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আইনজীবীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তার স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন এখন সেখানকার অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে জটিল বলে মনে হচ্ছে। রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা, ডক্টর পায়াম আখভানকে বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের আগমনে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ এখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। তারা আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একটা অংশ ইতোমধ্যে অস্ত্র, নারী ও মাদক পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের জন্য এটি বড় উদ্বেগের বিষয়। সাক্ষাতে ‘জলবায়ু ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে’ বিভিন্ন রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামতের জন্য আইসিজে-তে বাংলাদেশের আইনগত উপস্থাপনা প্রস্তুত করতে সহায়তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ড. পায়ম আখভানকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ড. পায়ম আখভানও এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ এখন জলবায়ু ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে বিশ্বনেতা হয়ে উঠেছে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫০

সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও জলবায়ু নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে চলছে নতুন একটি প্রদর্শনী। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ‘কনটেমপ্লেশন’ শিরোনামে এ দলীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা মানজারেহাসীন মুরাদ, স্থপতি সাইফুল হক, এখন টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক তুষার আবদুল্লাহ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা শবনম ফেরদৌসী। আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ নিয়মিত আয়োজন করে নানা ধরনের প্রদর্শনী। এর মধ্যে আলোকচিত্র প্রদর্শনীও অন্যতম। তবে এবারের প্রদর্শনীটি একটু ভিন্ন ঘরানার। এতে মূলত দলীয় অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ প্রদর্শনীতে ঠাঁই পাচ্ছে প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও শিক্ষক আবীর আবদুল্লাহ পরিচালিত দুটি আলোকচিত্র কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের আলোকচিত্র। কনটেমপ্লেশন মূলত ১৫ জন ফটোগ্রাফারের একটি দলীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী। তারা সবাই স্বনামখ্যাত আলোকচিত্রী আবীর আবদুল্লাহর শিক্ষার্থী। আবীর আবদুল্লাহর কাছে আলোকচিত্রের একটি কোর্স করেছিলেন সবাই। এ ১৫ জনের মোট ১৫০টি ছবি নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে কনটেমপ্লেশন। আলোকচিত্রীরা ছবি তুলেছেন নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, নিজের প্রতিবিম্ব, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও অন্যান্য। পাশাপাশি এসেছে পরিবেশ ও পরিস্থিতি। জলবায়ু পরিস্থিতিকেও তুলে আনা হয়েছে ছবির মাধ্যমে। প্রত্যেক আলোকচিত্রী একটি নির্দিষ্ট বিষয় বেছে নিয়েছেন এবং এর মধ্য দিয়ে নিজের মুনশিয়ানা তুলে ধরেছেন ছবিতে।  ছবির মাধ্যমে বিমূর্ত নানা ভাব প্রকাশের পাশাপাশি চলমান পরিস্থিতিকেও তুলে ধরা হয়। আলোকচিত্রের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য বাস্তবকে মূর্ত করে তোলা। প্রদর্শনীর অনেক ছবিতেই তা থাকছে। আলোকচিত্রীর নিজের মুখের প্রতিবিম্বের পাশাপাশি শ্রমিকের মুখের রেখায়ও ক্যামেরা ধরেছে নানা গল্প। সেসব গল্পই সাজানো থাকবে দেয়ালে। প্রদর্শনীটি চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত লা গ্যালারি উন্মুক্ত থাকবে দর্শকের জন্য।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়