• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অ্যাননটেক্সের ঋণ / সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশে সংকট বাড়বে জনতা ব্যাংকের
অডিটে ঋণ কেলেঙ্কারি ও জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংককে ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী, জালিয়াতির শিকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটিকে অ্যাননটেক্সের কাছে পাওনা ৬ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ হিসেবে শ্রেণিকরণ করতে হবে। ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত ১ এপ্রিল এক চিঠিতে এসব নির্দেশ দিয়েছে। জনতা ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জনতা ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি দাঁড়াবে এবং তা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটিকে আরও সংকটে ফেলবে। সম্প্রতি শেষ হওয়া ফাংশনাল অডিটের ফলাফল অনুযায়ী, অ্যাননটেক্সকে ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা অনুমোদন দিয়েছিল জনতা ব্যাংক এবং ২০২২ সালের জুনে কোম্পানিটির ঋণ নিয়মিত হিসেবে রেকর্ড করেছিল। এক দশকেরও বেশি সময় আগে অনুমোদিত মূল ঋণের সঙ্গে জড়িত জালিয়াতি এবং কেলেঙ্কারির বিষয়টিও অডিটে উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির মাধ্যমে দেওয়া ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে না এবং সুদ মওকুফ করা যাবে না। অ্যাননটেক্সের ঋণকে নিয়মিত ঋণ হিসেবে রেকর্ড করে জনতা মূলত তার খেলাপি ঋণ কৃত্রিমভাবে কমিয়েছে, যদিও এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে। গত ১ এপ্রিল জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো চিঠিতে ঋণের শ্রেণিকরণ ও এর বিপরীতে যথাযথ প্রভিশন রাখতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, তারপর বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে জনতাকে ঋণ আদায়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। জনতা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ৬ হাজার ৫২৮ কোটি টাকার বিপরীতে জনতাকে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হবে, যদিও ব্যাংকটির বোর্ড এখনো তার অনুমোদন দেয়নি। যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, অডিটে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ অনুমোদনের প্রমাণ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশনা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঁচ বছরের জোরাজুরির পর গত বছরের জুলাইয়ে জনতা ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা খতিয়ে দেখতে অডিট প্রতিষ্ঠান আহসান কামাল সাদেক অ্যান্ড সিওকে নিয়োগ দেয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আব্দুল জব্বার।
৮ ঘণ্টা আগে

হাওরের পাকা ধান নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক, শ্রমিক সংকট
সুনামগঞ্জের হাওরে হাওরে পাকা ও আধপাকা ধান ঢেউ তুলছে। সুন্দর এই দৃশ্য মনে দোলা দিলেও জলাবদ্ধতা আর পাহাড়ি ঢলের শঙ্কা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে হাওরের কৃষকদের। মঙ্গলবার রাতে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টিতে দিরাই উপজেলার কালিয়াকুটা হাওরের পূর্ব অংশে প্রায় ২০০ হেক্টর বোরো জমির ফসল  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাইমা, মধুপুর, বেগমপুর, আনোয়ারপুর, গচিয়া ও খেজাউড়া গ্রামের সহস্রাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জলাবদ্ধতা আর শিলাবৃষ্টির শঙ্কার মধ্যে আগেভাগেই জেলার বিভিন্ন হাওরে ধান কাটছেন কৃষক। তবে হাওরের বেশির ভাগ জমির ফসল কাঁচা অবস্থায় থাকায় বিপাকে তারা। অন্যদিকে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ি ঢল, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির কারণে হাওরে পর্যাপ্ত ধানকাটা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বিগত সময়ে বাইরের জেলা থেকে অস্থায়ীভাবে বিপুলসংখ্যক খেতমজুর এলেও এবার তার বিপরীত। কম্বাইন হার্ভেস্টর ও ধানকাটার আধুনিক মেশিন প্রচলনে সনাতন পদ্ধতিতে ধান কাটায় মুনাফা কম পাওয়া শ্রমিকদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। ফলে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে হাওরের পাকা ধান দ্রুত কাটতে ভর্তুকিমূল্যে জেলার ১২ উপজেলার সাড়ে ৮০০ কম্বাইন হার্ভেস্টর মেশিন কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তবে হার্ভেস্টর মেশিন হাওরের উঁচু এলাকার ধান কাটতে সহায়ক হলেও তুলনামূলক নিচু উর্বর জমির ধান কাটতে না-পারায় বিপাকে কৃষক। তাই সনাতন পদ্ধতিতে ধান কাটতে শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে কৃষকদের। পর্যাপ্ত শ্রমিক না পাওয়ায় হাওরের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। শান্তিগঞ্জ উপজেলায় খাই হাওরের কৃষক সিজাউল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর সিলেটের কানাইঘাট এলাকা থেকে ধানকাটা শ্রমিক আসেন। এবারও ১০ জন শ্রমিক আসার কথা ছিল। গতকাল ফোন দিয়ে তারা আসবে না বলে জানিয়েছেন। এখন হাওরের ধান কাটা নিয়ে চিন্তায় আছি। কীভাবে এত ধান কাটব। সদর উপজেলার কৃষক রহমত মিয়া বলেন, হার্ভেস্টর মেশিন পানিতে বা নরম জমিতে ধান কাটতে পারে না। তাই নিচু এলাকায় জমির ধান কাটার জন্য শ্রমিকের ওপর নির্ভর করতে হয়। এখন আগের মতো শ্রমিক পাওয়া যায় না। আকাশের অবস্থাও ভালো না। কবে কী হয়, বলা যায় না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০ হাজার শ্রমিক সুনামগঞ্জে ধান কাটতে এসেছেন। জেলায় ২ লাখ শ্রমিক রয়েছে। তাছাড়া অস্থায়ী ভিত্তিতে আরও ৩০ হাজার অনিয়মিত শ্রমিক ধান কাটার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। একই তথ্য জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, এবার হাওরে শ্রমিক সংকট দেখা দেবে না। বুধবার পর্যন্ত জেলায় ৪০ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা হয়েছে। প্রতিদিন ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৬

সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ : অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নই। ইতোমধ্যে সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশ। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংস্কারে সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো কাজে লাগছে। মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে স্বস্তি ফিরলেও যারা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে তারা খুশি না। আগামী অর্থবছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমবে আইএমএফের এমন পূর্বাভাসে চিন্তার কিছু নেই। এ সময় অর্থনৈতিক উত্তরণের ধারা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭

রাজধানীর পানি সংকট নিরসনে কাজে নামছে ওয়াসার ১০ মনিটরিং টিম
শুষ্ক মৌসুমে রাজধানীতে পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে সব মডস জোনের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে ঢাকা ওয়াসা। মহানগরীতে পানির সমস্যা সমাধানে এসব টিম আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত পানি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম মনিটরিং করবে। শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা ওয়াসা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ঢাকা ওয়াসার সচিব প্রকৌশলী শারমিন হক আমির একটি অফিস আদেশের মাধ্যমে এই ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করে দেন। এ ব্যাপারে ঢাকা ওয়াসার সচিব প্রকৌশলী শারমিন হক আমির জানান, গঠন করা ১০টি মনিটরিং টিম জোনভিত্তিক পাম্পগুলো নিয়মিত এবং আকস্মিক পরিদর্শন করবে। পাম্প চালকরা যথাযথ নিয়ম মেনে দায়িত্ব পালন করছেন কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হবে এ টিমগুলো। পরিদর্শনকালে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করবে তারা। তিনি আরও বলেন, পরিদর্শনের সময় এসব মনিটরিং টিম যদি কোনো ত্রুটি পায় কিংবা পাম্প বন্ধ পায় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ১০টি টিমের আহ্বায়করা সাপ্তাহিক প্রতিবেদন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে দাখিল করবেন। টিমগুলো আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিন-চার দিন ধরে রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপাড়া, বাড্ডা, নতুন বাজার, রামপুরা, মেরুল, ডিআইটি, মালিবাগ, বাসাবো, মুগদা, মান্ডা,  লালবাগ, রায়েরবাগ, পুরান ঢাকা, দক্ষিণ খান এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ঠিকমতো পানি পাওয়া যাচ্ছে না এসব এলাকায়। রমজান মাসে এমন পানির সংকটে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৮

জাতিসংঘে ফের রোহিঙ্গা সংকট উত্থাপন বাংলাদেশের
বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের বিষয়টি ফের জাতিসংঘে উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদ আয়োজিত এক উন্মুক্ত বৈঠকে এ বিষয়টি জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর, বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর এর প্রভাব নিয়ে উন্মুক্ত বৈঠকটি হয়। মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, রাখাইনে সাম্প্রতিককালে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও ব্যাহত হচ্ছে। এসময় তিনি প্রত্যাবাসন ইস্যুতে প্রকৃত রাজনৈতিক ইচ্ছা প্রদর্শন ও ২০১৭ ও ২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক প্রত্যাবর্তন চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে আঞ্চলিক সংস্থাসমূহ এবং আঞ্চলিক ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে রাখাইনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা এবং ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তনকারীদের সফলভাবে পুনর্বাসনে সহায়তা করার জন্য অর্থপূর্ণ এবং কার্যকর ভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার অনুরোধ জানান।  স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, রাখাইনে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করা জরুরি যা মূলত মিয়ানমারের বিদ্যমান বৈষম্যমূলক আইনি ও রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে অন্তর্নিহিত। যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন ২৬৬৯ উল্লেখ করা হয়েছে। এই অন্তর্নিহিত সমস্যাসমূহের সমাধান করা না গেলে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক প্রচেষ্টাসমূহের সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। রেজ্যুলেশন বাস্তবায়নের বিষয়ে নিয়মিত রিপোর্টিং, রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং রাখাইনে সংকট সমাধানে বিভিন্ন সময়ে গৃহীত চুক্তি ও সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে জোর দেন মুহিত। মিয়ানমারের অন্য সকল জাতিগোষ্ঠীর মত রোহিঙ্গারাও যেন সমাজে সমান মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন সে লক্ষ্যে উপযুক্ত এবং টেকসই পরিবেশ তৈরিতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের যথাযথ ভূমিকার ওপর জোর দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির কারণে বাংলাদেশ যে নেতিবাচক সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। রাখাইন পরিস্থিতির প্রতি নিয়মিত দৃষ্টি রাখা এবং রোহিঙ্গা সংকটের একটি পূর্ণাঙ্গ ও টেকসই সমাধানে দ্রুত ও অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানান। রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন জাতিসংঘের রাজনৈতিক এবং শান্তি বিনির্মাণ বিষয়ক সহকারী মহাসচিব খালিদ খিয়ারি এবং মানবিক সহায়তা সমন্বয় অফিসের পরিচালক লিসা ডাউটন। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ছাড়াও সভায় মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। সভায় বক্তব্য প্রদানকারী অন্যান্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিবৃন্দ মিয়ানমারে সম্প্রতি সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে রাখাইন সংঘাতের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং সকল বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং অভ্যন্তরীণ ভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। দেশে দশ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এতে যে মানবিক নেতৃত্বের নিদর্শন রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশ, বক্তারা তার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা নিরাপদে নিজ গৃহে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য সকলকে আহ্বান জানান।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৫

অর্থনীতির সংকট কাটতে শুরু করেছে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনার ভয়াবহ ছোবলে বিশ্ব স্থবির হয়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকটের কালমেঘ ছেয়ে গিয়েছিল, সেই মেঘ ক্রমশ কাটতে শুরু করেছে। পরপর কিছু আশাব্যঞ্জক খবরের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আশান্বিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। পরিস্থিতির কারণে সরকারের মধ্যেও স্বস্তি দেখা দিয়েছে। একাধিক কারণে সরকার মনে করছে, বড় ধরনের অর্থনৈতিক চাপের মুখে আপাতত নেই। রেমিট্যান্স আয় ও রপ্তারি বৃদ্ধির কারণে ডলার সংকট অনেকটা কেটে গেছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। সংকট কেটে যাওয়া খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৫ থেকে কমে ১১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর এতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেটে গেছে। এদিকে, চলতি ব্ছরের মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১৯৯ কো‌টি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এ ছাড়া রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, শেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮১ লাখ ১০ হাজার ডলার।  এ পরিস্থিতিতে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতিনিধি এসেছিল। তারা বলেছে, আমরা অপেক্ষা করছি প্রপোজালের জন্য। বাংলাদেশ আগে প্রপোজাল দিক, তারা টাকা দেবে। কাজেই এরকম একটা নিশ্চয়তা পাওয়ার পর আর বড় ধরনের সন্দেহ নেই। কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই।  অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দেশ চলছে। দেশের মানুষের যেসব আইটেম দরকার সেগুলো সবই আসছে। যারা ভেবেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের ধারণাও ভুল প্রমাণ হয়েছে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৬

অর্থনৈতিক সংকট কেটে গেছে : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণে ডলার সংকট অনেকটা কেটেছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেটে গেছে। যারা দেশকে শ্রীলঙ্কা হবে ভেবেছিল, তাদের ধারণাও ভুল প্রমাণ হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক বাজেট বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই কথা বলেন। বৈঠকে ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লা মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বেশ কিছু বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রস্তাবগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি। এ সময় আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতিনিধি এসেছিল। তারা বলেছে, আমরা অপেক্ষা করছি তোমাদের প্রপোজালের জন্য। তোমরা আগে প্রপোজাল দাও, টাকা আমরা দেবো, টাকার কোনো অভাব নেই। কাজেই এরকম একটা নিশ্চয়তা পাওয়ার পর আর তো কোনো সন্দেহ নেই। কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ (বিএনপি) বলেছিল আর এই তো হয়ে গেল, শ্রীলংকা হলো বলে। শ্রীলঙ্কা হয়েছে? হয় নাই তো। আমরা টিকে আছি এবং আগামী বাজেট প্রণয়নের কাজ চলছে। আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, দেশ তো চলছে। দেশের মানুষের যেসব আইটেম দরকার সেগুলো সবই আসছে। সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে। হ্যাঁ, দামটা নিয়ে একটু ইয়ে আছে কোনোটা বাড়ছে, কোনোটা কমছে। সেগুলো তো আছে। মুক্ত বাজার অর্থনীতি যেভাবে চলে সেভাবে চলছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৮

প্রধানমন্ত্রীর কারণে দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে দেশের কোনো মানুষ খাদ্য সংকটে নেই। সরকার টিসিবির মাধ্যমে সারাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে সল্প মূল্যে খাদ্য পণ্য বিক্রি করছে। এ ছাড়াও সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় খাদ্য পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার সৈয়দ আব্দুল জব্বার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ছয়তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এ সময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী পরে দেলদুয়ার উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে ক্লাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ (৪র্থ) প্রকল্প এর অর্থায়নে ৭০টি বিদ্যালয়ে ড্রামসেট এবং নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করেন।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৬

তারল্য ঘাটতি / ব্যাংকে এখন ডলারের চেয়ে টাকার চাহিদা বেশি
ব্যাংকগুলোর কাছে এখন ডলারের চেয়ে টাকার চাহিদা বেশি। ফলে স্থানীয় মুদ্রা সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রিনব্যাক কিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে সহজে অর্থ ঢালতে বাধ্য হয়েছে। কেননা সব ব্যাংক না থাকলেও বেশিরভাগ ইসলামী ব্যাংকই তারল্য ঘাটতিতে রয়েছে। দেশের মুদ্রা বাজারের সংকট উল্টো দিকে মোড় নিয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। ব্যাংকে ডলার হোল্ডিং বাড়ার সাথে সাথে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার শান্ত হয়েছে এবং টাকার তারল্য চাপের মুখে পড়েছে, যা বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমদানি বিল কমে যাওয়া এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকগুলোর দৈনিক ডলার হোল্ডিং এক মাস আগের নেতিবাচক অবস্থান থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ৫০ কোটি ডলারের মধ্যে উন্নতি করেছে। ডলার হোল্ডিংয়ের বিকাশও দেশের চলতি অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সে প্রতিফলিত হয়, যা গত বছরের একই সময়ের ৪.৬ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি থেকে এফওয়াই ২৪-এর জুলাই-জানুয়ারিতে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি উদ্বৃত্তে পরিণত হয়েছে। তবে, আমদানি বিধিনিষেধের ফলে স্থানীয় মুদ্রার তারল্যের অবনতি ঘটে। যা ব্যাংকিং শিল্পকে নগদ রিজার্ভ রিকোয়ারমেন্টের (সিআরআর) ঘাটতিতে ফেলে দেয়, যা আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।   রিজার্ভের প্রয়োজনীয়তা হল নির্দিষ্ট পরিমাণ তহবিল যা একটি ব্যাংক হঠাৎ আমানত প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা পূরণ করতে সক্ষম হয় তা নিশ্চিত করার জন্য দৈনিক ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে রিজার্ভে থাকে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকিং শিল্পে দৈনিক সিআরআর ঘাটতি ছিল ১৪ হাজার কোটি টাকা থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে। এই সংকট কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তারল্য ঘাটতি পূরণের জন্য উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেও সহজ অর্থ পাম্প করার জন্য একটি মুদ্রা সোয়াপ ব্যবস্থা চালু করতে প্ররোচিত করেছিল। গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই নতুন ব্যবস্থায় ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৩ শতাংশের কম সুদে ১০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছে। কারেন্সি সোয়াপ রেট রেগুলার লোয়িং অ্যারেঞ্জমেন্ট রেপো রেট ৮ শতাংশের অনেক নিচে। ফলে মার্চের প্রথম সপ্তাহে ব্যাংকিং শিল্পে সিআরআর ঘাটতি ১০ হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে আসে। তবে সব ব্যাংক না থাকলেও বেশিরভাগ ইসলামী ব্যাংকই এই তারল্য ঘাটতিতে রয়েছে। ব্যাংকিং খাতের সূত্র বলছে, গত ৬ মার্চ সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতে সিআরআর ঘাটতি ছিল ৮ হাজার কোটি টাকা, কিন্তু শুধু প্রচলিত ব্যাংকগুলোর কাছে আড়াই হাজার কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল, অর্থাৎ ঘাটতির পরিমাণ এসেছে ইসলামী ব্যাংকগুলোর। স্বল্প সুদে টাকা ঢাললেও কিছু ইসলামী ব্যাংক এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্টে নগদ অর্থ রাখতে পারছে না, যার ফলে চেক ডিজঅনার হয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ না থাকায় ফেব্রুয়ারির বেতনের চেক ছাড়পত্র না পাওয়ায় সম্প্রতি একটি করপোরেট হাউজ একটি ইসলামী ব্যাংকের চেক অসম্মানের সম্মুখীন হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার বাজার থেকে স্থানীয় বাজারে সংকটের এই পরিবর্তনটি অর্থের হারেও স্পষ্ট। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবমূল্যায়নে না যাওয়ায় গত তিন মাস ধরে ডলারের আনুষ্ঠানিক বিনিময় হার ১১০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। তবে একই সময়ে বাজারে বিনিময় হার ১২০ টাকার ওপরে স্থিতিশীল রয়েছে। সরকারি রেট ও বাজার দরের পার্থক্য এখনো ১০ টাকার ওপরে থাকলেও ডলারের তারল্য বাড়ায় গত তিন মাসে ডলারের দামের ওঠানামা বন্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানুয়ারিতে ঘোষিত অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) পরামর্শ অনুযায়ী অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ডলারের দামের মধ্যে ব্যবধান হ্রাস করার জন্য একটি ক্রলিং পেগ প্রবর্তনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তবে এখন রমজানের আগে নতুন পদ্ধতিতে না যাওয়ার পরিকল্পনা করছে কারণ এটি ডলারের দাম ১ টাকা বা ২ টাকা বাড়িয়ে দেবে, মুদ্রাস্ফীতি আরও তীব্র করবে। এই নতুন প্রক্রিয়াটি রিয়েল ইফেক্টিভ এক্সচেঞ্জ রেট (আরইইআর) এর সাথে যুক্ত হবে, যা ট্রেডিং অংশীদার দেশগুলির মুদ্রা ঝুড়ির বিপরীতে পরিমাপ করা হবে এবং একটি পূর্বনির্ধারিত বিনিময় হার করিডোরের মধ্যে কাজ করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন নির্বাহী বলেন, বর্তমানে আরইইআর সূচক নির্দেশ করে যে ডলারের দাম ১১৪ টাকা হওয়া উচিত এবং এই মূল্য গ্রহণ করার জন্য ১১০ টাকার বর্তমান মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য করতে আরও অবমূল্যায়ন প্রয়োজন, যা মুদ্রাস্ফীতির উপর বিশাল প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে স্থানীয় তারল্য সংকটে ঋণের সুদহার ১২ শতাংশের ওপরে এবং কল মানি রেট ৯ শতাংশের ওপরে উঠে গেছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান আমদানি হ্রাসে শতভাগ মার্জিন, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল কমানো, ডলার সংকটের মধ্যে জোরপূর্বক ঋণ বৃদ্ধি, ওভারকেনাসহ একাধিক কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত শতভাগ মার্জিন মেটাতে এলসি খোলার জন্য আমদানিকারকরা ঋণ নিচ্ছেন, এতে ব্যাংকগুলোর তারল্যের চাপ পড়ছে। ডেফার্ড এলসিতে আমদানিকারকরা এখন আগ্রহী নন। ফলে তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দৃশ্যমান মূল্য পরিশোধ করছেন বলে জানান তিনি। একটি বড় গ্রুপের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ব্যবসায়ী গ্রুপটি বিলম্বিত পেমেন্টে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি করত, কিন্তু এখন তারা দৃশ্যমান মূল্য পরিশোধ করছে। বিলম্বিত পেমেন্টে তারা এক বছর পর পেমেন্ট করতে পারলেও এখন তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে সেই পেমেন্ট করার জন্য, যার ফলে তারল্যের চাপ পড়ছে। তিনি আরও বলেন, ডলার সংকটের কারণে ঋণগ্রহীতারা পরিশোধ করতে না পারায় বাধ্যতামূলক ঋণ ও ওভারকেয়া বাড়ছে, এটিও টাকার তারল্য সংকটের একটি কারণ। আরেকটি বিষয় হলো, ইল্ড রেট ১১ শতাংশের ওপরে থাকায় ব্যাংকগুলো ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে না। ফলে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে আসে।
২০ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৪

রমজানে চিনির কোনো সংকট হবে না : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
মিল মালিকদের কাছে যে পরিমাণ চিনি মজুত আছে, তাতে রমজানে চিনির কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, কিছুদিন আগে একটি চিনির গুদামে আগুন লেগেছে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। বিভিন্ন মিলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের কাছে যে পরিমাণ চিনি মজুত আছে, আশা করছি রমজানে বাজারে চিনির কোনও সংকট হবে না। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তিব্বত মোড়ের পূর্ব কলোনী বাজার সংলগ্ন পলিটেকনিক মাঠে ভর্তুকিমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হাসানস ও অন্যরা। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, বৈশ্বিক বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তারপরও আমরা সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য বিতরণ করে যাচ্ছি। ১৬৩ টাকার তেল দিচ্ছি ১০০ টাকায়, ১৪০ টাকার চিনি দিচ্ছি ৭০ টাকায়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি লোককে প্রতি মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়া হচ্ছে। টিসিবির সেবাগ্রহণকারী গ্রাহকদের তথ্য আবার যাচাই বাছাই করে ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে এই এক কোটি গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে বাজারের চাপটা অনেক কমে যাবে। ফলে সাধারণ ভোক্তারাও সহজে কেনাকাটা করতে পারবে। আহসানুল হক টিটু আরও বলেন, টিসিবির পণ্য কিনতে অনেক সময়ই গ্রাহকদের খুব পরিশ্রম হয়। এই ভোগান্তি কমাতে টিসিবির ডিলারশিপের দোকানগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। এদিকে প্রতিকেজি চিনির দাম একলাফে ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা নির্ধারণ করে গতকাল বুধবার (৬ মার্চ) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। কিন্তু ঘোষণার পরদিনই বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) এ দাম বাতিল করে আগের দাম পুনর্বহালের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। ফলে ৭০ টাকা কেজিতেই চিনি কিনতে পারবেন টিসিবির গ্রাহকরা।  গত রমজানে প্রতিকেজি চিনি ৬০ টাকায় বিক্রি করেছিল টিসিবি।  
০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়