• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
১৯ এপ্রিল : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি: ১৪৫১ - দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন। ১৫৩৯ - জার্মান সম্রাট চার্লস ফ্রাঙ্কফুর্টের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেন। ১৭৭৫ - আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু। ১৭৮২ - নেদারল্যান্ডস যুক্তরাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। ১৮৩৯ - লন্ডন চুক্তির মাধ্যমে বেলজিয়ামের স্বাধীনতা লাভ। ১৯১৯ - আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা প্রতিষ্ঠা। ১৯৪৮ - মায়ানমার জাতিসংঘে যোগদান করে। ১৯৫৪ - পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ১৯৫৪ - পাকিস্তান গণপরিষদ কর্তৃক বাংলা ও উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা। ১৯৭৫ - ভারতের প্রথম উপগ্রহ আর্যভট্ট মহাকাশে উ‍ৎক্ষেপণ করা হয়। জন্ম: ১৩২০ - পর্তুগালের রাজা প্রথম পেদ্রো। ১৯৩১ - ফ্রেড ব্রুক্‌স, মার্কিন সফটওয়্যার প্রকৌশলী এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী। ১৯৩৩ - ডিকি বার্ড, ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ছিলেন। ১৯৫১ - অভিনেতা জাফর ইকবাল। ১৯৮৭ - মারিয়া শারাপোভা, রুশ টেনিস খেলোয়াড়। মৃত্যু: ১৮২৪ - লর্ড বায়রন, এ্যাংলো-স্কটিশ কবি। ১৮৮২ - চার্ল্‌স্‌ ডারউইন, ইংরেজ জীববিজ্ঞানী। তিনিই প্রথম বিবর্তনবাদ এর ধারণা দেন। ১৯১৪ - চার্লস স্যান্ডার্স পেয়ার্স, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী ও দার্শনিক। ১৯৫৮ - অনুরূপা দেবী, বাঙালি ঔপন্যাসিক। ১৯৫৮ - বিলি মেরেডিথ, ব্রিটিশ ফুটবলার। ১৯৭৪ - আইয়ুব খান, পাকিস্তানী সেনাপতি ও রাষ্ট্রপতি।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৮

ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়াল
শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিনের মেয়াদ আরও বাড়িয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে গিয়ে ড. ইউনূস স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত আগামী ২৩ মে পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।  এই মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিন শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ একই সময়ের জন্য বৃদ্ধি করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল।  তারা হলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহান। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। এর আগে, গত ৩ মার্চ এই মামলায় তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ান আদালত। সেদিন পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। এরপর গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। একই বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। পরে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৪

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আজ স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের আজ স্থায়ী জামিন আবেদন করার কথা রয়েছে।    মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন বলে নিশ্চিত করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। তাই শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূস মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে সাজার বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের আপিল শুনানি হবে। সকাল ১০টার পর তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেন। ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চার জনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। ওইদিন পর্যন্ত চারজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা। অপর তিনজন হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। গত ৩ মার্চ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে আদালতে ওইদিন ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এ সময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১১

ঠাকুরগাঁওয়ে ১১৯২ জন শিশুকে শ্রম মুক্ত করেছে ইএসডিও
দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করে সরকারের দায়িত্বশীলদের কাছে নথিপত্র হস্তান্তর করেছে জেলার পাঁচ উপজেলার চেয়ারম্যানরা। শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর বিজয়সরণীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালার হাতে এসব নথিপত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইকো স্যোসাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। এর আগে ঠাকুরগাঁওকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত করতে জেলার পাঁচটি উপজেলার তিনটি পৌরসভা ও ৫৪ ইউনিয়নে একটি প্রকল্প পরিচালনা করে ইএসডিও। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় ও যুক্তরাজ্যের এফসিডিও এর অর্থায়নে প্রকল্পের আওতায় ঠাকুরগাঁওয়ে এক হাজার ১৯২ জন শিশু শ্রমিককে চিহ্নিত করে তাদের শ্রম মুক্ত করে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে ইএসডিও এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. মো. শহিদ উজ জামান বলেন, আমরা এই কার্যক্রমটি শুরু করার আগে পুরো জেলার ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের সার্ভে করেছিলাম। সেই সার্ভেতে আমরা দেখেছি পুরো জেলায় ১ হাজার ১৯২ জন শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে জড়িত রয়েছে। তারপর আমরা জেলার ৫৪টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভার সঙ্গে পৃথকভাবে মিটিং করার পর সেখানে আমরা এক ধরনের কমিউনিটি লেভেল পর্যবেক্ষণ মডেল তৈরি করি। এবং এই শিশুদের শ্রম থেকে মুুক্ত করার দায়িত্ব দেই তাদের। কারণ শিশুশ্রম মুক্ত করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা তাদের সহযোগিতা করি। ১৪ বছর বয়সের নিচে শিশুদের আমরা স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করি এবং ১৪ বছরের বেশি বয়সের যেসব শিশু ছিল, তাদের আমরা নানা ধরনের প্রিভোকেশনাল প্রশিক্ষণ দিয়ে নানা ইতিবাচক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্তি করেছি। এখন এটি যেন আবার বন্ধ না হয়ে যায়, সেজন্য এসব শিশুদের বাবা-মায়ের আয়ের সুবিধার্থে তাদের সরকারের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প ও এনজিও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, শিশুদের শ্রম মুক্ত করা একটি কঠিন কাজ। প্রতিটি এলাকায় গিয়ে শিশুদের বুঝিয়ে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা সহজ কাজ নয়। ইএসডিও এই কঠিন কাজটি করেছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি চাই এই কার্যক্রম চলতে থাকুক। যেহেতু ঠাকুরগাঁওকে শিশুশ্রম মুক্ত করা গেছে, সেহেতু সারা বাংলাদেশও শিশুশ্রম মুক্ত করা হোক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) জাতীয় প্রোগ্রাম কর্ডিনেটর সৈয়দা মুনিরা সুলতানা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুমো পুতিয়ানিন, জাতীয় শিশুশ্রম পর্যবেক্ষণ কমিটির কো-চেয়ারম্যান সালমা আলী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ হাই কমিশনের স্যোসাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভাইজার তাহেরা জাবিন প্রমুখ।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৭

ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঈদের ছুটির আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। সেই সঙ্গে ঈদের আগে কারখানাগুলো কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করতে পারবে না বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২০ মার্চ) সচিবালয়ে আরএমজি সেক্টরসংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের ১৭তম সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালিক ও শ্রমিক নেতারা এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করেছি যে, আগামী ঈদকে সামনে রেখে কোনো ধরনের শ্রমিক অসন্তোষ বা কোনো অঘটন ঘটবে বলে আমরা মনে করি না। তাদের সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে গেছে। যেগুলো সমাধান হয়নি, সেগুলো সমাধানের বিষয়ে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমরা আশা করি আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি বলেন, সভায় উচ্চস্বরে একটা কথাও হয়নি। আমরা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথা বলেছি। তিন পক্ষ মিলে আমরা সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করেছি। আশা করি এ সিদ্ধান্তগুলোর আলোকে আগামী ঈদ শুভ হবে, সুন্দর হবে। বেতন, ঈদ বোনাস কবে পরিশোধ করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, করবে। ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়া হবে। কোনো নির্দিষ্ট তারিখ বেঁধে দেওয়া হয়নি। কোন ইন্ডাস্ট্রির মালিক কখন দিতে পারবে, কখন দিতে পারবে না, সেটা তো আমরা জানি না। আমরা বলেছি ঈদের ছুটির আগে দিতে হবে। শ্রম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না। এটা আমাদের কড়া নির্দেশনা। পোশাক কারখানার মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা বেতন ও বোনাস পরিশোধের সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। শিল্প পুলিশ, শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বিতভাবে মাঠে কাজ করবে, সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পোশাক শ্রমিকদের রেশন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটা আমি চেষ্টা করবো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে অবহিত করলে তিনি এটা গ্রহণ করবেন। আমরা শ্রমিকদের জন্য রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ। আমি আশা করি, যথাসম্ভব শিগগিরই আমি এটা চালু করবো ইনশাআল্লাহ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বোর্ডের সভায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানে আইনমন্ত্রী এবং আমি বক্তব্য রেখেছি। তারা আমাদের দাবি গ্রহণ করেছেন। ভোটের মাধ্যমে তারা সেটা গ্রহণ করেছেন। বেশির ভাগ দেশ বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো আমাদের ভোট দিয়েছে। আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য বিশাল একটা বিজয়। সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ পোশাক কারখানার মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৩:১১

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল
শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ আসামির জামিনের মেয়াদ বেড়েছে। তবে জামিনের মেয়াদ কতদিন বেড়েছে, সেটি এখনও উল্লেখ করা হয়নি। পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।  রোববার (৩ মার্চ) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।  এর আগে, সকালে পূর্বের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের হাজির হয়ে ফের জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূস। জামিন নিতে আসেন গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিন কর্মকর্তা। এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করার আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা কর জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল দায়েরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অপর তিন কর্মকর্তা। সেই আবেদন খারিজ করে রায় দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলি জানান, ২০২০ সালের নভেম্বরে ২০১১ থেকে ২০১৩ দুই বছরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এরপর এনবিআরের কাছে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্ট অর্থ নেই বলে মওকুফ চান। কিন্তু তখন তাদের একটি অ্যাকাউন্টে প্রায় সাড়ে তিন শ থেকে প্রায় চার শ কোটি টাকার মতো ছিল। ফলে এনবিআর অর্থ চেয়ে নোটিশ করে। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। সেটির শুনানি শেষে গ্রামীণ টেলিকমের রিট খারিজ করেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ম অনুযায়ী দাবি করা আয়করের ২৫ শতাংশ টাকা আগে জমা দিয়ে এরপর এনবিআরেরব বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে আদেশ দেওয়া হয়।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫২

শ্রম আইন সংশোধনে তাড়াহুড়ো না করার আহ্বান আইএলও’র
শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে আলোচনা করে করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইএলও’র পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। আইনমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা শ্রম আইনের যে সংশোধন, সেটা করার বিষয়ে বসেছিলাম। এর আগে সংশোধনীর কথা হয়েছিল, সেখানে কিছু নতুন সংশোধনী আনার ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয় আমাকে জানিয়েছিল। সে বিষয়ে আইএলও কিছু বক্তব্য দেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছে। তিনি বলেন, দুদিন আগে আইএলও অনুরোধ জানিয়েছে জেনেভায় আইএলও-এর একটি টিম আমাদের এই মিটিংয়ে থাকতে চায়। আজ চারজনের টিম ছিল। সেখানে প্রত্যেকটা ধারা নিয়ে আলোচনা করি। আমরা চাচ্ছিলাম শ্রম আইনটা এই পার্লামেন্টে পাস করার জন্য। কিন্তু তারা যে পরামর্শ দিয়েছে, সেটা করতে গেলে এই পার্লামেন্টে সেই পরামর্শগুলো ইনকরপোরেট করব কি করব না, সেটার সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। সেজন্য আলোচনা হয়েছে ওনারা যে পরামর্শ দিয়েছেন, সেটা পরে বিবেচনা করা যায়, এখন এই শ্রম আইনটা পাস করা যায়। তখন তারা বলেন তাড়াহুড়ো না করে আমরা আলোচনা করে আরও কিছু করতে পারলে ভালো হবে, সেটা তারা জানালেন। আনিসুল হক বলেন, আমি তাদের পরিষ্কারভাবে একটা কথা জিজ্ঞেস করেছি যে, আইএলও’তে আমাদের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে একটা অভিযোগ চলে যাচ্ছে। প্রত্যেকবারই বলেন যে, এটা মার্চ মাসে সিদ্ধান্ত হবে না, নভেম্বরে যাবে। আবার নভেম্বরে হবে না মার্চে যাবে। আমি সেজন্য বলেছি মার্চ মাসের গভর্নর বডির মিটিংয়ে যদি বলেন, এটা আবার নভেম্বরে যাবে। সেটা তো আমরা নিতে রাজি না। তখন তারা বলেছে, কমপ্রিহেন্সিভ লেবার অ্যাক্ট (সমন্বিত শ্রম আইন) তাদের পরামর্শ মিলিয়ে যদি করতে পারি তাহলে সেটা এই মার্চ মাসে আমাদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা হবে না, বরং আমরা যে আলোচনাগুলো করছি সেটার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আইনমন্ত্রী বলেন, এটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন নীতিনির্ধারকরা। আর তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, আমি যে কথাই বলি না কেন এবং আজকের যে আলোচনা সেটা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা করতে পারব। আজ তারা কী পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, মূল সাজেশন হচ্ছে ধরুন ব্যাপারটা হচ্ছে সংজ্ঞা, সংজ্ঞার মধ্যে তারা বলছেন ‘সি মেন্ট’ যেটা সেটার নাম বদলিয়ে ‘সি ফেয়ার’ নাম করা। তারপরে বলছে ম্যানেজার এবং সুপারভাইজার স্টাফদের ওয়ার্কার বলা, এগুলো আমাদের সাথে তাদের আলোচনা হচ্ছে।  তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে  ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। ব্যাপারটি হচ্ছে আগে কথা ছিল ১৫ শতাংশ শুধু হবে তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে যেসব কারখানা শ্রমিক আছে তাদের। এখন আমরা সেটাও তুলে দিচ্ছি। শ্রমিকদের ব্যাপারে ১৫ শতাংশ কাজ করবে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২১

মামলা শ্রমিকেরা করেনি : ড. ইউনূস
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে যে মামলা করা হয়েছে, তা শ্রমিকেরা করেনি বলে দাবি করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।  রোববার (২৮ জানুয়ারি) ওই মামলার সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করে আপিল করার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।  ড. ইউনূস বলেন, সকল পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে সরকার মামলা করেনি। অথচ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর তো সরকারি, সরকারের অধীন। এটা তারা করেছে, শ্রমিক তো কোনো মামলা করেনি, সেটা আপনারা (সাংবাদিক) বলেন। তিনি বলেন, আমরা একটা স্বপ্নের পেছনে ছুটেছি। এই স্বপ্নের মধ্যে পড়ে গিয়ে কারও বিরক্তিভাজন হয়েছি। কেন এই মামলা তা আমি বলতে পারব না। ড. ইউনূস কথা বলার পর তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মহল থেকে শুরু করে সব জায়গায় এবং বিদেশিদের কাছেও বলা হচ্ছে সরকার মামলা করেনি। এটা করেছে শ্রমিকরা। কিন্তু ঘটনা সঠিক না। আপনারা জানেন এই মামলা করেছে সরকার। কলকারখানা অধিদপ্তর সরকারের প্রতিষ্ঠান। এর আগে, এদিন বেলা পৌনে ১১টার দিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চার আসামি। আপিলে জামিন আবেদনের পাশাপাশি শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চাওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের জামিন দেন শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনাল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যদিও রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে আসামিদের তখন এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৩

রায় বাতিল চেয়ে আজ আপিল করবেন ড. ইউনূস
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানার বিরুদ্ধে আজ আপিল আবেদন করবেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে ড. ইউনূসসহ সাজাপ্রাপ্ত চারজন আপিল করবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আপিলে ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে মামলায় জামিনও চাইবেন তারা। এর আগে, গত ১ জানুয়ারি আসামিদের ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। রায়ে গ্রামীণ টেলিকমের সব শ্রমিককে তাদের ন্যায্য পাওনা ৩০ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়। রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে আসামিদের এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন একই আদালত। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এরপর গত বছর ৬ জুন মামলার অভিযোগ গঠিত হয়। ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০১

‘সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে’
আগামী অধিবেশনেই সংশোধিত শ্রম আইন পাস হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।  বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, আইএলও’র (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) গভর্নিং বোর্ডের মিটিং আগামী মার্চ মাসে হবে। আমাদের যে অগ্রগতি এবং এই শ্রম আইনের ব্যাপারে কি সব কাজ করছি তার একটা ব্রিফিংয়ের জন্য আজকে মিটিংটা ছিল। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নিয়েছেন। মন্ত্রণালয়কে তিনি কতটা গুরুত্ব সহকারে দেখেন তারই প্রতিফলন এটা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে ব্রিফ করবো। প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করার পরই সবকিছুর আলোচনা আপনাদের সঙ্গে করতে পারি। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কথা না বলে আমি আপনাদের কোনো তথ্য দিতে পারবো না। সংশোধিত শ্রম আইন আগামী সংসদ অধিবেশনে উঠবে এবং পাস হবে কি না- জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, অবশ্যই উঠবে, অবশ্যই পাস হবে। শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করার ব্যাপারে আইনমন্ত্রী জানান, এটা নিয়েও আজকে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। এখানেও যে সিদ্ধান্ত সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী একটা পরিবর্তন এনেছি, আমি খুব শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীকে এটা নিয়ে ব্রিফ করবো। উল্লেখ্য, সব প্রক্রিয়া শেষ করে গত সরকারের শেষ সময়ে সংশোধিত শ্রম আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে গেলেও রাষ্ট্রপতি তা অনুমোদন দেননি। শেষ মুহূর্তে আইনের মধ্যে কিছু ত্রুটি ধরা পড়ায় সেটি অনুমোদন না দিয়ে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়