• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাজস্থানকে ২ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় এনে দেন বাটলার
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিকে ম্লান করে ৬ এপ্রিল নায়ক হয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলার। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন তিনি। এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের সুনিল নারিনের সেঞ্চুরিকে বিফল করে দিলেন বাটলার। নারিনের সেঞ্চুরির সুবাদে কলকাতার ৬ উইকেটে ২২৩ রান করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। জবাবে পাল্টা শতক হাঁকিয়ে রাজস্থানকে ২ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় এনে দেন বাটলার। ৬০ বলে করেন ১০৭ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। প্রথমে ইডেন গার্ডেনসে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ঝড় তোলেন নারিন। রাজস্থানের বোলারদের তুলোধুনো করে ঝড়ো ব্যাটিং এ সেঞ্চুরি তুলে নেন ক্যারিবীয় এই ব্যাটার। ৫৬ বলে করেন ১০৯ রান। ১৩ বাউন্ডারির সঙ্গে মারেন ৬টি ছক্কা। এছাড়া আংক্রিস রঘুভানশী ১৮ বলে করেন ৩০ রান। যার ফলে ২২৩ রানের বড় স্কোর দাঁড়ায় কলকাতার। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন বাটলার। নিজের কবজায় রাখেন চলতি আইপিএলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ৯ বাউন্ডারি আর ৬ ছক্কার মারে ১০৭ রানের ইনিংসে ছিল তার। শেষ দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলার। বাটলারকে সঙ্গে রিয়ান পরাগ পেয়েছেন ৩৪ রান ও রভমান পাওয়েল পেয়েছেন ২৬। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৪

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে তীরে এসে তরী ডুবল বাংলাদেশের
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে টাইগারদের তিন রানে হারিয়েছে লঙ্কানরা। এতে ১-০ তে এগিয়ে গিয়েছে সফরকারীরা। সোমবার (৪ মার্চ) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিকরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ২০৭ রানের লক্ষ্য দেয় শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ২০৩ রান তুলতে পারে শান্ত-লিটনরা। এতে ৩ রানের জয় পায় লঙ্কানরা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় বলে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরেন লিটন কুমার দাস। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও। ১১ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তাওহীদ হৃদয় আউট হন ৮ রান করে। এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন নাজমুল হাসান শান্ত। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেনি টাইগার অধিনায়ক। ২২ বলে ২০ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। শান্ত আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মারকুটে ব্যাটিংয়ে ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন দেশ সেরা এই ফিনিশার ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অভিষিক্ত জাকের আলী। ফিফটি পূরণের পর বেশি সময় পিচে থাকতে পাইনি মাহমুদউল্লাহ। ৩১ বলে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শেষ দিকে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন অভিষিক্ত জাকের। ২৫ বলে ফিফটি তুলে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখে জাকের। ১১ বলে ১৬ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শেখ মাহেদী। শেষ দিকে ৩৪ বলে ৬৮ রান করে জাকের আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় টাইগাররা। ২ বলে ৪ রান করে ম্যাচে রোমাঞ্চকর করলেও শেষ পর্যন্ত ৩ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার হয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাসুন শানাকা ও বিনুরা ফার্নান্দো দুই করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও থিকশানা ও পাথিরানা একটি করে উইকেট নেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই চার মেরে রানের খাতা খোলে লঙ্কান ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো। পরের বলেই এই ডান হাতি ওপেনারকে ফিরিয়ে ভালো শুরু এনে দেয় শরিফুল। ফার্নান্দোর বিদায়ের পর কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন কামিন্দু মেন্ডিস।  তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৪ বলে ১৯ করেন তিনি। সাদিরা সামারাবিক্রমাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার কুশল মেন্ডিস। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকে লঙ্কানরা। ২৯ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন কুশল মেন্ডিস।  অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন সামারবিক্রমাও। ৪৩ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। এরপর তাণ্ডব শুরু করে চারিথ আসালাঙ্কা।  শেষ পর্যন্ত আসালাঙ্কার ২১ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও ইনিংস এবং সামারাবিক্রমার ৪৮ বলের অপরাজিত ৬১ রানে ভর করে তিন উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের বড় পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। এতে ২০৭ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৭:২৪

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে কুমিল্লাকে হারিয়ে রংপুরের তৃতীয় জয়
হার দিয়ে আসর শুরু করে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা নতুন কিছু নয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে। গত আসরেরও প্রথমে টানা তিন ম্যাচ হেরেও শিরোপা জিতেছিল তারা। চলতি আসরেও চার ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে কোচ সালাউদ্দিনের শিষ্যরা। চতুর্থ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৮ রানে হেরেছে কুমিল্লা। বিদেশি খেলোয়াড়রা সবাই এখনও না আশায় বিপাকে পড়েছে তারা। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দেয় রংপুর রাইডার্স। জবাব দিতে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তুলতে পারে তারা। এতে ৮ রানের জয় পায় রংপুর রাইডার্স। জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি কুমিল্লা। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ডাক আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ইনিংস বড় করতে পারেনি আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানও। ২১ বলে ১৭ রান করে নবিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাকিবের হাতে কাটা পড়েন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। এরপর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৪২ বলে নিজের ফিফপি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। দুজনের ব্যাটে ভরকে জয়ের পথে এগিয়ে জেতে থাকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শেষ চার ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য দরকার ছিল। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ৫৫ বলে ৬৩ রান করে ক্যাচ আউট হন অঙ্কান। এতে রানে গতি কমে যায় কুমিল্লার। পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার খুশদিল শাহও। আট বলে ১৩ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। শেষ দুই ওভারে কুমিল্লার যখন ৩৬ প্রয়োজন। তখন তাদের এক মাত্র ভরসা ছিল তাওহীদ হৃদয়। তবে ১৯তম ওভারে ৭ রান খরচা করে হাসান মাহমুদ। এতে ৬ বলে কুমিল্লার লক্ষ্য দাঁড়ার ২৯ রান। শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রথম বলে ডাবল নিতে গিয়ে রান আউটে শিকার হন হৃদয়, এতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় কুমিল্লা। বাউন্ডারি লাইন থেকে নবির ছোড়া বল সরাসরি স্ট্যাম্পে আঘাত লাগে, সাজঘরে ফেরেন তিনি। দ্বিতীয় বলে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন আমির জামালও। পরের দুই বলে ছক্কা হাঁকান জাকের আলী। শেষ দুই বলে ৬ রান তুললেও শেষ রক্ষার হয়নি কুমিল্লার। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তুলতে পারে তারা। এতে ৮ রানের জয় পায় রংপুর রাইডার্স। ৪ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকের আলী। রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন আজমতুল্লাহ ওমারজাই। এ ছাড়াও সাকিব আল হাসান, হাসান মাহমুদ ও মোহাম্মদ নবি একটি করে উইকেট নেন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৪

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বরিশালকে হারাল কুমিল্লা
বিপিএলের দশম আসরটা হার দিয়ে শুরু করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয়েছিল বিপিএলের সবচেয়ে সফল দলটি। এই ম্যাচে হড্ডাহাড্ডি লড়াই করে বরিশালকে ৪ উইকেটে হারিয়ে আসরের প্রথম জয় পেয়েছে কুমিল্লা। এতে টানা দুই ম্যাচ হারল ফরচুন বরিশাল। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় কুমিল্লা। ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন-হৃদয়দের ১৬২ রানের লক্ষ্য দেয় তামিম-রিয়াদরা। জবাব দিতে নেমে ১ বল ও চার উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে দিতে নেমে ভালো শুরু করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও লিটন কুমার দাস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি রিজওয়ান। ১৪ বলে ১৭ রান করে আউট হন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। পরের বলেই ওয়েল্লালাগেকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তাওহীদ হৃদয়। এতে দলীয় ২৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা। এরপর ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন লিটন। তবে ১৯ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ডান হাতি ব্যাটার। এক প্রান্ত আগলে রেখে দলে এগিয়ে নেওয়া চেষ্টা করতে থাকেন ইমরুল। ৩৯ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে ১৭তম ওভারে আব্বাস আফ্রিদিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন ইমরুল কায়েস। ৪১ বলে ৫২ রান করেন তিনি। এর পরপর দুই ছক্কা হাঁকিয়ে কুমিলার জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখে জাকের আলী। শেষ ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। প্রথম বলেই সিঙ্গেল নিয়ে রান আউট হন খুশদিল শাহ। ৭ বলে ১৪ রান করেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার। ১৯তম ওভারে তৃতীয় বলে ওভার বাউন্ডারি ও চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মেরে কুমিল্লাকে জয় এনে দেন ক্যারিবীয় ব্যাটার ম্যাথু ওয়াল্টার ফোর্ড। শেষ পর্যন্ত জাকের আলীর ২০ বলে ২৩ রান এবং ওয়াল্টার ফোর্ডের ৪ বলে ১৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ১ বল ও চার উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফরচুন বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন দুনিথ ওয়েল্লালাগে। এ ছাড়াও আব্বাস আফ্রিদি ও খালেদ আহমেদ একটি করে উইকেট নেন।  
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৪৫

শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে দ্বিতীয় সুপার ওভারে ভারতের জয় 
পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে প্রথম সুপার ওভার মিস হলেও দ্বিতীয় সুপার ওভারে আফগানদের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিয়েছে ভারত। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের জন্য শেষ ওভারে আফগানিস্তানের দরকার ছিল ১৯ রান। তারা করতে পারে ১৮। ভারতের ২১২ রানের জবাবে তাদের স্কোরও ২১২। এরপর প্রথম সুপার ওভারে আফগানরা করে ১৬, ভারতও একই রানে গিয়ে আটকা পড়ে। দ্বিতীয় সুপার ওভারে প্রথম দুই বলে চার ও ছক্কার পরও ভারত করতে পারে স্রেফ ১১ রান। তবে আফাগানরা এ  রান নিতে না পারলে জয় পায় ভারত। এর আগে মুকেশ কুমারের এলোমেলো বোলিং আর গুলবাদিন নাইবের দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচ হয় ‘টাই’। সেখান থেকেই ম্যাচে রোমাঞ্চ, উত্তেজনা ও নাটকীয়তার মাত্রা যেন আরও বেড়ে যায়। ‘টাই’ হওয়া ম্যাচ যে সুপার ওভার হয় তাতেও ম্যাচের জয়-পরাজয় নির্ধারণ করা যায় না। সুপার ওভারেও ম্যাচ হয় ‘টাই’। আরেকটি সুপার ওভারে খেলতে হয় দুদলকে। অবশেষে দ্বিতীয় সুপার ওভারে জয়-পরাজয়ের মাধ্যমে আলাদা করা যায় দুদলকে। লেগ স্পিনার রাভি বিষ্ণইয়ের দারুণ বোলিংয়ে আফগানিস্তানের হৃদয় ভাঙে ভারত। যেখানে প্রথম সুপার ওভারে আফগানরা করে ১৬, ভারতও সে রানই করে। দ্বিতীয় সুপার ওভারে প্রথম দুই বলে চার ও ছক্কার পরও ভারত করতে পারে স্রেফ ১১ রান। তবে আফগানিস্তান দ্বিতীয় সুপার ওভারে লড়াই জমাতেই পারেনি। বিষ্ণইয়ের প্রথম বলের পর তৃতীয় বলেও উইকেট হারায় তারা। মাঝে করতে পারে স্রেফ ১ রান। বিষ্ণই শেষের নায়ক হলেও ভারতের মূল নায়ক অধিনায়ক রোহিত শার্মা। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে পাঁচটি সেঞ্চুরির কীর্তি গড়ে ৬৯ বলে অপরাজিত ১২১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। সঙ্গে রিঙ্কু সিংয়ের ৩৯ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের খুনে ইনিংসের সুবাদে ৪ উইকেটে ২৪ রানের বিপর্যয় থেকে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। পরে প্রথম সুপার ওভারেও আজমাতউল্লাহ ওমারজাইয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ বল ছক্কায় উড়িয়ে জয়ের সমীকরণ ২ বলে ৩ রানে নামিয়ে আনেন রোহিত।  পরের বলে এক রান নেওয়ার পর স্বেচ্ছায় মাঠ ছেড়ে যান তিনি। যেটির কেতাবি নাম ‘রিটায়ার্ড আউট’। মূলত ডাবল নেওয়ার ভাবনায় রোহিতের জায়গায় নন স্ট্রাইকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয় রিঙ্কুকে।  শেষ বলে ২ রানের প্রয়োজনে ইয়াশাসবি জয়সওয়াল অবশ্য ঠিকমতো ব্যাটে খেলতে পারেননি, বল যায় কিপারের কাছে, আসে ১ রান। দ্বিতীয় সুপার ওভারেও রোহিত শুরুটা করেন ফারিদ আহমেদের প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে। কিন্তু রিঙ্কুর বিদায়ের পরের বলে রোহিতও রান আউট হয়ে গেলে ১১ রানেই থমকে যায় ভারত। সেটিই যথেষ্ট হয় বিষ্ণইয়ের দারুণ বোলিংয়ে।  এই স্পিনারের প্রথম বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নাবি। পরের বলে আসে ১ রান। তৃতীয় বলে ক্যাচ তুলে দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তিন ম্যাচের সিরিজ শেষ পর্যন্ত ৩-০ ব্যবধানেই আফগানদের ওয়াটওয়াশ করে জিতে নিল ভারত। মূল ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে আফগানদের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। পাওয়ার প্লেতে রান এসে পড়ে ৫১। ১০ ওভারে তাদের রান ছিল বিনা উইকেটে ৮৫। যদিও এরপরই দ্রুত ৩ উইকেট হারায় আফগানরা। গুরবাজকে (৩২ বলে ৫০) ফিরিয়ে ৯৩ রানের শুরুর জুটি ভাঙেন বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদিপ ইয়াদাভ। গুরবাজের মতো ইব্রাহিমও থামেন পঞ্চাশ ছুঁয়েই (৪১ বলে ৫০)। ওমারজাই ফেরেন শূন্য রানে। এরপর উইকেটে গিয়ে ১৬ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন আফগানিস্তানের আশা বাঁচিয়ে রাখা নাবি। এ দিন ব্যাট হাতে ভালো করতে না পারলেও বাউন্ডারিতে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে ৫ রান বাঁচিয়ে দেন কোহলি। শেষ ২ ওভারে ৩৬ রানের প্রয়োজনে নাজিবউল্লাহ জাদরান চার মেরে শুরু করলেও দারুণ রানিং ক্যাচে এ ব্যাটসম্যানকে ফেরাতেও বড় ভূমিকা রাখেন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার। সবশেষ ৮ বলে দরকার যখন ২৬, আভেশ খানকে ছক্কায় ওড়ান গুলবাদিন। তিনে নামা এই ব্যাটসম্যান শেষ ওভারে মুকেশের দ্বিতীয় বলে মারেন চার। তার আগে-পরে দুটি ওয়াইড দেন ভারতের পেসার। চতুর্থ বলে মুকেশকে ছক্কায় উড়িয়ে সমীকরণ ২ বলে ৫ রানে নামিয়ে আনেন গুলবাদিন। শেষ দুই বলে তার দুটি ডাবলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। ২৩ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এর আগে হালকা ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ১৮ থেকে ৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় ভারত।  জয়সওয়াল ও শিভাম দুবে মিলে ৫ রান করতে পারলেও কোহলি ও স্যামসন পান ‘গোল্ডেন ডাক’ এর তেতো স্বাদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি শূন্যের রেকর্ডে সাচিন টেন্ডুলকারকে (৩৪ বার) তাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন বিরাট কোহলি (৩৫ বার)। ১৪ মাস পর এই সিরিজ দিয়ে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ফিরে প্রথম দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন রোহিত।  সেই রোহিতই এবার ধ্বংসস্তূপ থেকে দলকে টেনে তোলেন, তাকে দারুণ সঙ্গ দেন রিঙ্কু। তাদের ব্যাটে চার-ছক্কা আসে প্রায় প্রতি ওভারেই। শেষ দিকে আফগান বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান দুজন। ৪১ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রোহিত শতকে পা রাখেন ৬৪ বলে। করিম জানাতের শেষ ওভারে রেকর্ড ৩৬ রানসহ শেষ দুই ওভারে আসে ৫৮ রান। রোহিত ও রিঙ্কুর জুটির রান ৯৫ বলে ১৯০, এই সংস্করণে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি, আর ভারতের যে কোনো উইকেটেই সর্বোচ্চ। দলীয়-ব্যক্তিগত রেকর্ড হয়েছে আরও বেশ কিছু। রেকর্ডময় ম্যাচে শেষটা হলো আরও রোমাঞ্চকর, নাটকীয়তায় ঠাসা। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি যেখানে রোহিত-কোহলিদেরই। সংক্ষিপ্ত স্কোর ভারত- ২০ ওভারে ২১২/৪ (জয়সওয়াল ৪, রোহিত ১২১*, কোহলি ০, দুবে, ১, স্যামসন ০, রিঙ্কু ৬৯*; ফারিদ ৪-০-২০-৩, ওমারজাই ৪-০-৩৩-১, কাইস ৪-০-২৮-০, সেলিম ৩-০-৪৩-০, শারাফউদ্দিন ২-০-২৫-০, জানাত ৩-০-৫৪-০) আফগানিস্তান- ২০ ওভারে ২১২/৬ (গুরবাজ ৫০, ইব্রাহিম ৫০, গুলবাদিন ৫৫*, ওমারজাই ০, নাবি ৩৪, জানাত ২, নাজিবউল্লাহ ৫, শারাফউদ্দিন ৫*; মুকেশ ৪-০-৪৪-০, আভেশ ৪-০-৫৫-১, বিষ্ণই ৪-০-৩৮-০, ওয়াশিংটন ৩-০-১৮-৩, দুবে ২-০-২৫-০, কুলদিপ ৩-০-৩১-১) ফল : ম্যাচ টাই, প্রথম সুপার ওভার টাই, দ্বিতীয় সুপার ওভারে জয়ী ভারত সিরিজ : ৩ ম্যাচের সিরিজ ভারত ৩-০তে জয়ী ম্যান অব দা ম্যাচ : রোহিত শার্মা ম্যান অব দা সিরিজ : শিভাম দুবে
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়