• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
২০০ বই নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গেলেন নববধূ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক নববধূ শ্বশুরবাড়িতে প্রায় দুই শত বই নিয়ে গেছেন। স্বপ্ন দেখছেন শ্বশুর বাড়ির একটি কক্ষে ‘বউ-শাশুড়ির বই ঘর’ নামে একটি লাইব্রেরি গড়বেন। ওই লাইব্রেরিতে এলাকার বউ শ্বাশুড়িসহ স্কুল-কলেজের ছাত্রীরা এসে বই পড়বে।  সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নববধূ মেহেরুন নেছা মুমু বাবার বাড়ি থেকে বই নিয়ে উপজেলার চর ফলকন গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে আসেন। বই ছাড়াও বাহারি পদের দেশীয় পিঠাও নিয়ে আসেন। ওইসব পিঠা প্রতিবেশী ও আত্নীয়-স্বজনদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়েছেন মুমুর শ্বাশুড়ি কামরুন নাহার। মুমু চর ফলকন গ্রামের ডা. অবাদুল হক চেয়ারম্যান বাড়ির মহিউদ্দিনের মেয়ে। একই গ্রামের রমজান আলী মৌলভী বাড়ির মাকছুদুর রহমানের ছেলে তরুণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমরান হোসেন নিখিলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সে ঢাকার ইডেন কলেজের ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মুমুর বউভাতের আয়োজন হয়। বউভাত অনুষ্ঠানের একদিন পরেই শ্বশুর বাড়িতে বই নিয়ে আসেন এ নববধূ।  মুমুর পরিবার ও স্বজনরা জানায়, বই পড়তে তার ভালো লাগে। বই সংগ্রহ ও পড়া তার প্রিয় শখ। শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে আসা সব বই তার পড়া হয়েছে। এসব বইয়ের বেশির ভাগই তার বিভিন্ন সময়ের জমানো টাকায় কেনা। অল্প কিছু বই জন্মদিনসহ বিভিন্ন দিবসের উপহার, ৮-১০টি বই তার স্কুল-কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুরস্কার হিসাবে পাওয়া।  মুমুর মা ছালেহা বেগম জানান, তার মেয়ের প্রিয় শখ বই পড়া। শাড়ি-চুড়ি, কসমেটিকসে আগ্রহ নেই। ছোট বেলা থেকেই টাকা জমিয়ে বই কেনা ছিল তার অভ্যাস। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার সময় মেয়ের সংগ্রহে থাকা সকল বই নিয়ে যায়।   নববধূর শ্বাশুড়ি কামরুন নাহার বলেন, আমার মেয়ে নেই, দুই ছেলে। ছোট ছেলে বুয়েটে পড়ে, বাড়িতে আমি একা। বড় ছেলের সুবাদে একটা মেয়ে পেয়েছি। এই লক্ষ্মী মেয়ে আসার সময় অনেক বই নিয়ে আসে। এতে আমি খুবই খুশি হয়েছি। এখন থেকে আমিও টাকা জমিয়ে বউকে বই কিনে দেবো। নববধূ মেহেরুন নেছা মুমু বলেন, বই কেনা, বই পড়া আমার শখ। বই উপহার পেতে আমার খুব ভালো লাগে। অনেক দিন থেকে জমানো বইগুলো বাবার বাড়িতে রেখে আসতে মন চাইছিল না; সঙ্গে করে নিয়ে আসলাম। স্বপ্ন দেখছি শ্বশুর বাড়িতে ‘বউ-শাশুড়ির বই ঘর’ নামে একটি লাইব্রেরি গড়বো। এলাকার সকল বউ-শাশুড়ি বই পড়বে। শ্বশুর মাকছুদুর রহমান বলেন, ছেলের বউ বাবার বাড়ি থেকে আসতে বই নিয়ে আসছে; বিষয়টি খুবই দারুণ। এমন ছেলের বউ পাওয়া সৌভাগ্য।
০২ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৮

শ্বশুরবাড়ি থেকে সরকারি কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোণা সদর উপজেলায় শ্বশুরবাড়ির পুকুর পাড়ের একটি গাছ থেকে মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৫) নামে এক সরকারি কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে চল্লিশা ইউনিয়নের বামনমোহা গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  দেলোয়ার হোসেন সদর উপজেলার কাইলাটী ইউনিয়নের কাওয়ালিকোনা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি ঢাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরে পিএ পদে চাকরি করতেন। গত দুই মাস আগে নেত্রকোণা গণপূর্ত অফিসে যোগদান করেন।  দেলোয়ারের স্ত্রী কবিতা আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে কখন এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমি জানি না। সকালে লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে গিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।  এ বিষয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি আবুল কালাম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫২

স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠালেন বাবা  
দুটি পরিবারের দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিলো তাদের সন্তান চিকিৎসক হবেন। চিকিৎসক হয়ে বিয়ে করে ফিরবেন হেলিকপ্টারে চড়ে। অবশেষে দুটি পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে হেলিকপ্টারে চড়ার মধ্য দিয়ে। পারিবারিকভাবে বিয়ে শেষে নববধূ তার শশুর বাড়ি আর বর তার নিজ বাড়ি ফিরেছেন হেলিকপ্টারে চড়ে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নড়িয়া বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে উড়াল দেন বর-কনে। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, নুরুজ্জামান বেপারী মেয়ে ডা. নীলিমা আফরিন নওমীর সঙ্গে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে ডা. তৌফিকুল ইসলামের বিয়ে ঠিক হয়। দুজন ঢাকার বেসরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন। শুক্রবার দুপুরে নড়িয়া পৌর এলাকায় আতাউর রহমান কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে দুই পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। পরে শনিবার দুপুরে কনের বাড়ি থেকে প্রথমে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি চড়ে নড়িয়া বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আসেন নব দম্পতি। সেখান থেকে তারা হেলিকপ্টারে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় আশেপাশের এলাকা থেকে হাজারো উৎসুক জনতা হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় জমায়। কনের বাবা নুরুজ্জামান বেপারী বলেন, আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল মেয়েকে চিকিৎসক বানানোর পাশাপাশি বিয়ে শেষে হেলিকপ্টারে করে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো। আজ সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বিয়ে শেষে আমার মেয়ে হেলিকপ্টার করে তার শ্বশুরবাড়িতে গেছেন। সবাই আমার মেয়ে ও জামাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।  এ বিষয়ে বর ডা. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ছোট বেলা থেকে বাবা-মায়ের দুটি স্বপ্ন ছিল। প্রথমে আমাকে চিকিৎসক বানাবে পরে বিয়ে শেষে বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি নিয়ে যাবে। বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কনে নীলিমা আফরিন নওমী বলেন, এর আগে কখনো প্লেন বা হেলিকপ্টারে উঠিনি। এ প্রথম আমি হেলিকপ্টারে চড়বো। আমার একটু অন্যরকম লাগছে। স্থানীয় একজন জানান, আমাদের এলাকায় এই ধরনের বিয়ের অনুষ্ঠান আগে কখন হয়নি। হেলিকপ্টারে করে কনেকে নিয়ে বর যাচ্ছে নিজ বাড়ি। আগে কখনো সামনে থেকে হেলিকপ্টার দেখিনি তাই এখানে এসেছি এক নজর দেখতে। প্রথমে তারা ঘোড়ার গাড়িতে করে মাঠে আসেন। এরপর হেলিকপ্টারে করে চলে যান।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়