• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অভিনেতা রুমির মৃত্যুতে ফেসবুক যেন শোক বই
ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ অলিউল হক রুমি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবরে ফেসবুক যেন হয়ে উঠেছে এক শোক বই। টাইমলাইনজুড়ে হাহাকার, রুমি ভাই আর নেই! জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, ‘ভেবেছিলাম একটু সুস্থ্য হয়ে ওঠেন, আপনাকে দেখতে যাবো। আর দেখা হলো না। এ কেমন বিদায় রুমি ভাই! নিয়তির কাছে সকলেই হার মানে, মানতে হয়। তবে আপনি একটু তাড়াতাড়িই চলে গেলেন। অন্যলোকে শান্তিতে থাকুন রুমি ভাই। শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।’ অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে রুমির একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় মুখ অলিউল হক রুমি ভাই কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’ অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‘চলে গেলেন রুমি ভাই! মৃত্যুটা কত সহজ, জীবনটাই অনেক বেশি কঠিন। এই প্রথমবার, এমন খবর শুনে, সবাইকে জানাবার জন্য লিখতে যেয়ে, লিখলাম আর মুছলাম অসংখ্যবার! আপনার ছবির সাথে কোন ভাবেই ‘শেষ বিদায়’ এর কিছু লিখতে পারছিলাম না রুমি ভাই! সব সম্ভব! মাত্র দেড়/ দুই মাস, সব চেষ্টা শেষ হল! কোন ভাবেই ঠেকানো গেল না কিছু! আপনার পরিবারকে আল্লাহ এ শোক কাটিয়ে উঠার শক্তি দিক, এ প্রার্থনা করি। পরপারে চির শান্তিতে থাকবেন।’ অভিনেত্রী রোজী সিদ্দিকী লিখেছেন, ‘আহা রুমি ভাই। বিদায় বন্ধু সহযাত্রী। আল্লাহ পাক আপনাকে বেহেস্ত নসীব করুন।’ অভিনেতা সাজু খাদেম একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘রুমি ভাই...চলেই গেলেন?’ একটি সেলফি পোস্ট করে অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি লিখেছেন, ‘রুমি ভাই শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন। ভালো থেকেন ওপারে। আমার জন্মদিনের প্রথম যে ফোনটি আসতো সেটা আপনার ফোন। সেই কল টি আর আসবে না। সাব্বির এর সাথে কতো অভিমান কে করবে রুমি ভাই। ক্ষমা করেন ভাই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’  দুঃখের ইমোজি দিয়ে অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ লিখেছেন, ‘রুমি ভাই...’ প্রয়াত অলিউল হক রুমির একটি ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘রুমি ভাই....ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’ কালো রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড দিয়ে অভিনেত্রী শারমিন জোহা শশী লিখেছেন, ‘রুমি ভাই…যাত্রা শুভ হোক।’ একটি সেলফি পোস্ট করে অভিনেতা আমিন আজাদ লিখেছেন, ‘না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রিয় বন্ধু, আমার দীর্ঘদিনের একসাথে পথ চলার সাথী জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।  ওপারে ভালো থেকো বন্ধু।’
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৬

জাতীয় পতাকার নকশাকারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক শোক বার্তায় তিনি প্রয়াত শিব নারায়ণ দাশের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। শিব নারায়ণ দাস বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার অন্যতম এবং মূল নকশাকার। তিনি শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী ও ১ ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নং কক্ষে রাতে পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন শিবনারায়ণ দাস। যা ১৯৭১-এর ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪২

অধ্যাপক জিয়া রহমানের মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের শোক প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক জিয়া রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন। পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক শোক প্রকাশ করে বলেন, অধ্যাপক জিয়া রহমান ছিলেন একজন ছাত্রবান্ধব শিক্ষক ও নিবেদিতপ্রাণ গবেষক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং অপরাধ বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ এই শিক্ষক ছিলেন উদার, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ। তিনি কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন, হল প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতি, একাডেমিক কাউন্সিলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানাই।  উল্লেখ্য, অধ্যাপক জিয়া রহমান শনিবার (২৩ মার্চ) ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৩

ঢাবির অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। অধ্যাপক জিয়া রহমান শনিবার (২৩ মার্চ) ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় তিন দশকের চাকরিজীবনে শিক্ষক সমিতি ও বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন জিয়া রহমান। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৭

আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  শনিবার (১৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক শোক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের এই নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ অনেকেই। এর আগে, এদিন ভোরে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল হাইয়ের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পরিবার সূত্র প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, মরদেহ দেশে আসার পরে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এ নেতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা তুলেছিলেন। তিনি  ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। নবম জাতীয় সংসদে মৎস‌ ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বরেন‌।  
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৪

গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ভাষাসৈনিক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে পৃথক বার্তায় তারা এই শোক প্রকাশ করেন। শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যু দেশের আইন অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এদিকে গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে পৃথক বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও গুণগ্রাহীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এর আগে, সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গোলাম আরিফ টিপু। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪১

গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতির শোক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক শোকবার্তায় তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এর আগে সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গোলাম আরিফ টিপু। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বার্ধক্য ও ঠান্ডাজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (এডমিন) মোখলেসুর রহমান বাদল। গোলাম আরিফ টিপু ১৯৩১ সালের ২৮ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আফতাব উদ্দিন আহমদ ছিলেন জেলা রেজিস্ট্রার। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে টিপু দ্বিতীয়। তিনি কালিয়াচর বিদ্যালয় থেকে ১৯৪৮ সালে মাধ্যমিক ও রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৫০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। একই কলেজ থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্নের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি আইনজীবী, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা আন্দোলন কর্মী ছিলেন।  এ ছাড়া তিনি ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর (অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদায়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৫২ সালে রাজশাহীতে বাংলা ভাষা আন্দোলন মূলত তার নেতৃত্বে সংগঠিত হয়। তিনি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের রাজশাহী অঞ্চলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৮

ফুটবলার রাজিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুতে ক্রীড়ামন্ত্রীর শোক
সন্তান প্রসবের পর স্ট্রোক করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের সদস্য রাজিয়া সুলতানার (২০) মৃত্যু হয়েছে। পুত্রসন্তান জন্ম দেওয়ার পর প্রসবকালীন জটিলতায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন তিনি। রাজিয়ার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রীড়াঙ্গনে। যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন আইসিসি সভায় যোগ দিতে দুবাই রয়েছেন। দেশের বাইরে থাকলেও তিনি রাজিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।  শোকবার্তায় ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ফুটবলার রাজিয়া খাতুন নারী ফুটবলে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তার অকাল মৃত্যু নারী ফুটবলে এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের নারী ফুটবলের উন্নয়নে তার যে অনবদ্য অবদান তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ২০১৮ সালে ভুটানে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৮ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই দলের অন্যতম সদস্য  ছিলেন রাজিয়া খাতুন। চ্যাম্পিয়ন হয়ে  প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন সংবর্ধনা ও ১০ লাখ টাকা। এরপর সিনিয়র দলের সঙ্গে ক্যাম্প করার সুযোগও পান রাজিয়া। তবে ফর্ম খারাপ যাওয়ায় ২০১৯ সালে ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েন তিনি। পরে ফুটবল থেকে সরে যান।  বাংলাদেশের নারী ফুটবল মূলত সাফকেন্দ্রিক। লিগ ফুটবল ছিল না আগে। কয়েক বছরে চালু করা হলেও তা অনিয়মিত। যে কারণে জাতীয় দল ছাড়া খেলার এবং রোজগারের তেমন সুযোগ নেই নারী ফুটবলারদের।  দীর্ঘদিন খেলার বাইরে থাকায় অনেকে ফিটনেস হারান, কারো ফর্ম পড়ে যায়, অনেকে আবার ফুটবলে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। রাজিয়ার ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। 
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৬

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের মৃত্যুতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইহসানুল করিম শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে বিএসএমএমইউর উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গত দেড় মাস ধরে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত সপ্তাহে বিএসএমএমইউতে আসেন তিনি। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ সাল থেকে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করছিলেন ইহসানুল করিম। ২০২২ সালের ১৯ জুন দুই বছরের জন্য নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি। ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ০০:১০

বেইলি রোড ট্র্যাজেডিতে শোক জানালেন ক্রিকেটাররা 
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শোক জানিয়েছেন সাকিব-তামিমসহ বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। শুক্রবার (১মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ নিজ ভেরিফাইড পেজে শোক প্রকাশ ও দোয়ার আবেদন জানিয়েছেন তারা। সাকিব আল হাসান তার ফেসবুক পেজে এক ফটো পোস্টে লেখেন, ‘বেইলি রোড ট্রাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা ও প্রার্থনা।’ তামিম ইকবাল ফেসবুক পেজে নিজের পোস্টে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সতর্ক না হলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের সেরা ওপেনার।    তামিম আরও লেখেন, ‘বেইলি রোডের ঘটনায় রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। আমাদের পরিবর্তন হওয়া উচিত নয়তো তা কখনই বদলাবে না।’ একই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকও। নিজের ফেসবুক পেজে মুশফিক লেখেন, ‘আসসালামুয়ালাইকুম ও জুমা মোবারক সবাইকে। গতকাল দুর্ভাগা অগ্নিকাণ্ডে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বিদেহী আত্মার জন্য প্রার্থনা করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।’ জাতীয় দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ লেখেন, ‘বেইলি রোড ফায়ার ট্রাজেডির খবরে গভীরভাবে শোকাহত। আমার প্রার্থনা ক্ষতিগ্রস্ত ও বিদেহী আত্মার সঙ্গে। যারা আহত হয়েছেন তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।’ আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল ঢাকার বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক অগ্নি দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সকলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ও চিকিৎসাধীন সকলের দ্রুত সুস্থতা করছি। শোকসন্তপ্ত প্রতিটি পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ লেখেন, ‘গতকাল ঢাকার বেইলি রোডের একটি ভবনে ঘটা মর্মান্তিক অগ্নি দুর্ঘটনায় ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং কঠিন সময়ের মধ্যে যাওয়া তাদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। সঙ্গে ভয়ংকর এই অগ্নিকাণ্ডে আহত অবস্থায় হাসপাতালে থাকা সকলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লাগে। মাত্র দুই ঘণ্টায় ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে ৪৩ জনের। আজ শুক্রবার সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুসারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৮:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়