• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব শেষ হওয়ার আগে ইরানে হামলা করবে না ইসরায়েল’
ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব পাসওভার শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ৩০ এপ্রিলের আগে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলা চালানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইসরায়েলের গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। এক মার্কিন কর্মকর্তা এবিসি নিউজকে এ তথ্য জানান। তবে তিনি স্বীকার করেন, এই সময়সীমা যেকোনো সময় বদলাতে পারে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা চালালে হিতে-বিপরীত হতে পারে। ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পাসওভার উৎসব সোমবার সন্ধ্যা (২২ এপ্রিল) থেকে শুরু করে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এবিসি নিউজ ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে আরও জানায়, গত শনিবার রাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল অন্তত দুইবার পাল্টা হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিলেও শেষ মুহূর্তে সে পরিকল্পনা বাতিল করে। ইসরায়েলি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এ তথ্য জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। এই আলোচনার পরই তিনি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা পাল্টা হামলার পরিকল্পনা বাতিল করেন। এবিসির প্রতিবেদন মতে, পশ্চিমা কূটনীতিকদের ধারণা, ইসরায়েল অবশ্যই ইরানকে জবাব দেবে। তবে এর মাত্রা কম হবে। বুধবার এক্সিওসের অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে হামলা অনুমোদন পেলেও তা ‘কারিগরি কারণে’ বাস্তবায়ন করা হয়নি। বৃহস্পতিবার আবারও যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ও উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। 
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৯

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জয়ের ধারায় ফিরল রাজস্থান
এবারের আইপিএল আসরের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে জয়রথ ছুটিয়ে চলছিল রাজস্থান রয়্যালস। সবশেষ গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে শেষ বলের হারে ছেদ পড়ে তাদের দূরন্ত গতিতে। এবার সেই দুঃখ তারা ভুলেছে পাঞ্জাব কিংসকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে। আরও একটি শেষ ওভারের রোমাঞ্চ শেষে ফিরেছে জয়ের ধারায়। সেইসঙ্গে চার পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষস্থানটাকে পোক্ত করে নিয়েছে আরও একটু।  আট উইকেটের বিনিময়ে পাঞ্জাবের করা ১৪৭ রান রাজস্থান পেরিয়েছে ১ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে। চাপের মুখে ১০ বলে অপরাজিত ২৭ রান করে দলকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন শিমরন হেটমায়ার। রান করায় মন্থর গতিতে এগিয়েছে দুই দলই। আজ চোটের কারণে পাঞ্জাব দলে ছিলেন না শিখর ধাওয়ান। রাজস্থান রয়্যালসও পায়নি তাদের ড্যাশিং ওপেনার জস বাটলারকে। তার অভাবে ১৪৮ রানের ছোট লক্ষ্যটাকে একটা সময় বেশ বড় মনে হয়েছে রাজস্থানের জন্য। কাঙ্খিত রান আসেনি পাওয়ার প্লেতে। বাটলারের জায়গায় সুযোগ পাওয়া তরুণ তানুস কতিয়ান ৩১ বলে ২৪ রান করে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে ক্রিজ ছেড়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়েছেন তিনি। তবে ছন্দে ফেয়ার আভাস দিয়েছেন রাজস্থানের আরেক ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল। ১৩৯.২৯ স্ট্রাইকরেটে ২৮ বলে করেছেন ৩৯ রান।  ১২তম ওভারে কাগিসো রাবাদার চতুর্থ বলে হারশাল প্যাটেলকে ক্যাচ দিয়ে যখন মাঠ ছাড়ছিলেন জয়সোয়াল, তখন ২ উইকেট হারিয়ে রাজস্থানের সংগ্রহ ৮২ রান। কিন্তু দারুণ এ ভিত্তিটা কাজে লাগাতে পারেনি রাজস্থানের ইন ফর্ম মিডলঅর্ডার। সঞ্জু স্যামসন (১৮), রিয়ান পরাগ (২৩), ধ্রুব জুরেলের (৬) কেউই ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি।  পরে রোভম্যান পাওয়েল ২ চারে ৫ বলে ১১ রান করে ম্যাচের সমীকরণটা ৬ বলে ১০ রানে নামিয়ে দিয়ে আউট হন। বাকি কাজটা সারেন আরেক ক্যারিবীয় শিমরন হেটমায়ার। অর্শদীপ সিংয়ের করা শেষ ওভারের প্রথম ২ বলে কোনো রান না এলেও তৃতীয় ও পঞ্চম বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ১ বল বাকি থাকতেই রাজস্থানকে এনে দেন রোমাঞ্চকর জয়। অন্যদিকে ধাওয়ান না থাকায় শনিবারের ম্যাচে অধিনায়কত্বের পাশাপাশি ওপেনিংয়েও বদল আনতে হয় পাঞ্জাবকে। কিন্তু টপ অর্ডারের পারফরম্যান্সে তেমন বদল আসেনি। টপ অর্ডারের অন্যতম ভরসা জনি বেয়ারস্টো আজও ব্যর্থ। তরুণ অর্থব তাইদেও বিশেষ কিছু করতে পারেননি। দুজনই আউট হয়েছেন ১৫ রান করে। ১০ রানে থেমেছেন তিনে নামা প্রভসিমরান সিং। ধাওয়ানের বদলে আজ অধিনায়কত্ব করা স্যাম কারেনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৬ রান করে আউট হয়েছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। পাঞ্জাবের রান তখন ৯.৩ ওভারে ৪ উইকেটে মাত্র ৫২। শশাঙ্ক সিং ৯ রানে যখন আউট হলেন পাঞ্জাবের রান ৫ উইকেটে ৭০। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, খুব ভালো খেললেও পাঞ্জাবের রান ১৫০ হবে না। শেষ পর্যন্ত করেছে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান করে পাঞ্জাব। জিতেশ শর্মা ২৪ বলে ২৯ রান করে পাঞ্জাবের রানটাকে একশ'র ওপারে নিয়ে যান। বাকি কাজটা করেন লিয়াম লিভিংস্টোন ও আশুতোষ শর্মা। লিভিংস্টোনের ব্যাট থেকে ১৪ বলে আসে ২১ রান, আর আশুতোষের ব্যাট থেকে ১৬ বলে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩১ রান। ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন দুজনই। ০ রানে লিভিংস্টোনের ক্যাচ ফেলেছেন উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসন। আর ৯ রানে থাকতে জীবন পান আশুতোষ; তার ক্যাচ ফেলেছেন সেই স্যামসনই। রাজস্থানের হয়ে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ, ২ উইকেট নিয়েছেন পেসার আবেশ খানও। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট, কুলদীপ সেন, যুজবেন্দ্র চাহাল।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৭

বর্ষবরণে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি 
দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ। পুরনোকে বিদায় জানিয়ে আসছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবেন বাঙালি। বৈশাখকে বরণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।  নববর্ষ বরণে ঢাবির চারুকলা অনুষদের দেয়ালে ইতোমধ্যে বিভিন্ন চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। দেয়ালে দেয়ালে ফুটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক, বুড়িগঙ্গার নৌকা, মা ও প্রকৃতির বিভিন্ন চিত্র। শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রে ঠাঁই পেয়েছে ফুল, মাছ, নৌকা, বাঘ, ময়ূরসহ নানা ফুল-পাখি। দর্শকরা ঘুরে ঘুরে চারুশিল্পীদের আঁকা বিভিন্ন চিত্র দেখছেন। এ ছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য চারুকলার ভেতরে চলছে মুখোশ, পুতুল ও ছবি আঁকার কাজ।  চারুকলার শিল্পী ইলহাম গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করি, বাকি কাজ রাতের মধ্যেই শেষ হবে। এদিকে ঢাবির চারুকলা অনুষদ থেকে রোববার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। রোববার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্ক ঘুরে টিএসসিতে এসে শেষ হবে। এ ছাড়া বিকেল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। এদিকে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলায় জেলায় বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এবার তাদের পহেলা বৈশাখের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠানটি হবে যশোরে। এ ছাড়া খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নেত্রকোনা, বরিশালে নববর্ষ পালনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, ছায়ানটের বর্ষবরণ সফল করতে আমরাও সহযোগিতা করছি। বর্ষবরণে উদীচী কার্যালয়ে ঘরোয়াভাবে আনন্দ আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে। নববর্ষ আয়োজনের নিরাপত্তা সম্পর্কে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর জানান, পহেলা বৈশাখ বাঙালির ঐতিহ্য। বর্ষবরণ প্রস্তুতির শুরু থেকেই এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পহেলা বৈশাখের সব আয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ছায়ানটের অনুষ্ঠানকে নির্বিঘ্ন করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রমনা পার্কে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এ ছাড়া আশপাশের ভবনের সিসি ক্যামেরাগুলোও আমরা মনিটরিং করব।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৪

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি : ৯ বছরেও শেষ হয়নি বিচার
২০১৫ সালে বর্ষবরণ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় বেশ কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আট লাঞ্ছনাকারীকে শনাক্ত করা হয়। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলায় সাত আসামিকে খুঁজে না পেয়ে পরের বছর কামাল নামে এক ব্যবসায়ীকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরের বছরের জুন মাসে আসামি কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত। কিন্তু অভিযোগ গঠনের প্রায় ছয় বছর পরও ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও তারা সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসছেন না। সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আলোচিত মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম ঝুলে রয়েছে।  জানা গেছে, ঘটনার প্রায় দুই বছর পর কামাল নামে একজনকে আসামি করে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলাটিতে ৯ জনের সাক্ষী নেওয়ার পর সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৩১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। এ দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত ১৩ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। এদিন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মামলাটি রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৫ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণে নতুন দিন ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, আগামী পহেলা বৈশাখের আগে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হবে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস। প্রতিবেদনে আসামি খুঁজে না পাওয়ার কথা বলা হয়। তবে ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার। ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক ব্যবসায়ী কামালকে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৯ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, তদন্তে আট লাঞ্ছনাকারীর মধ্যে একজনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। অন্য সাতজনকে খুঁজে না পাওয়ায় তাদের চার্জশিটে নাম অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের খুঁজে পাওয়া গেলে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হবে। এ মামলায় ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। বর্তমানে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে। এ মামলার একমাত্র আসামি কামাল জামিনে রয়েছেন। এ বিষয়ে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বাংলা নববর্ষের উৎসবে নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় করা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। তবে মামলাটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী বাদ পড়ায় আমরা রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে আবার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করি। আদালত ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলাটির পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক করেন। তিনি আরও বলেন, মামলাটিতে কিছু পুলিশ সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আসেননি। তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন জারি করা হবে। তারা সাক্ষ্য দিলে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ করা হবে। আশা করছি, দ্রুতসময়ের মধ্যে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল টিএসসিতে নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। এসময় সেই নারীদের বাঁচাতে গেলে নিপীড়কদের আঘাতে হাত ভাঙে তৎকালীন ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লিটন নন্দী। আহত হন ছাত্র ইউনিয়নের আরও দুই নেতা। পরে ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা বারবার অভিযোগ করলেও পুলিশ প্রথমে স্বীকার করেনি। পরে ফুটেজ দেখে ঘটনার সত্যতা পায় পুলিশ।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৯

চারুকলায় বর্ষবরণে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়েই। তাই বৈশাখকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত পুরো জাতি। বর্ষবরণের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এবার নববর্ষ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন তারা। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভেতরে হাতি এবং টেপা পুতুলের বিশাল আকৃতির ভাস্কর্য তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এগুলোর কাঠামো দাঁড় করানো হয়েছে। এখন তাতে কাগজ লাগিয়ে রং করা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন পশু-পাখির আদলের মুখোশ তৈরি হচ্ছে। এর মধ্য বাঘের মুখাবয়ব, প্যাঁচা, ফল এবং রাজা-রানিসহ একাধিক মুখোশ তৈরি করা হয়েছে। রঙিন কাগজের ওপর বিভিন্ন নকশা এঁকে তৈরি করা হচ্ছে এসব মুখোশ। শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিবারই প্রবীণতম ব্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পালন করে। তবে তাদের সঙ্গে অন্যান্য ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীরাও কাজ করছেন। মঙ্গল শোভাযাত্রার আগ পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চলবে। যেহেতু সময় কম, তাই কষ্ট একটু বেশি হচ্ছে, এরপরও কাজটি বেশ উপভোগ করছেন তারা। এবার জাঁকজমকপূর্ণভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গল শোভাযাত্রা উপকমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শোভাযাত্রার আগমুহূর্ত পর্যন্ত প্রস্তুতি চলবে। ঢাকায় যেসব শিক্ষার্থী রয়েছেন, তাদের নিয়েই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন এবারের শোভাযাত্রাও বড় পরিসরে করা যায়। গত ২১ মার্চ বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রার এ প্রস্তুতি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিল্পী হাশেম খান। এ বছর কবি জীবনানন্দ দাশের ‘তিমির হননের গান’ কবিতা থেকে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ চরণটিকে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৮

ঈদের দিনেই শেষ বিল্লালের সুখের সংসার
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় পাঁচজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বিল্লাল হোসেন (৩০)। স্ত্রী (মুক্তা ২৬) ও সন্তান মাইশাকে (৩) নিয়ে গাজীপুরের গাছার বড়বাড়ি এলাকায় থাকতেন তিনি। সংসারে টানাপোড়েন থাকলেও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুখেই ছিলেন বিল্লালের। সেই পরিবারটি যেন আজ শুধুই স্মৃতি। কারণ যে পাঁচজন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ছিলেন বিল্লাল, তার স্ত্রী ও সন্তান। বিল্লাল গাজীপুরে ফুটপাতে জামা-কাপড় বিক্রি করতেন। কখনও বা বিক্রি করতেন কসমেটিকস সামগ্রী। আনন্দেই কাটছিল তার জীবন। গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যেতে আজ সদরঘাটের লঞ্চঘাটে এসেছিলেন বিল্লাল ও তার পরিবার। পন্টুনে দাঁড়িয়ে লঞ্চে ওঠার অপেক্ষা করছিলেন তারা। বিল্লালের কোলে ছিল ছোট্ট মাইশা। আরেক হাতে স্ত্রী মুক্তার হাত ধরা ছিল। হঠাৎ লঞ্চের সঙ্গে পন্টুনে বাঁধা মোটা রশি ছিঁড়ে গিয়ে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। বিল্লালের বোনজামাই মো. মিজান বলেন, বিল্লালের ছোট্ট মেয়ে মাইশা বাড়ি ফিরছিলেন। কত আনন্দ করার সখ ছিল তার! কীসের আনন্দ, কীসের ঈদ! গোটা পরিবারই চলে গেল। ছোট ভাইয়ের কাছে দুর্ঘটনার খরব পাই। সদরঘাট ছুটে গিয়ে দেখি রক্তে সব ভেসে গেছে। এরপর হাসপাতাল মর্গে এসেছি। তিনি বলেন, আমাদের পোড়া কপাল! যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতায় সর্বনাশ হয়ে গেল। এই দুর্ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ এদিকে এ ঘটনায় দুই লঞ্চের চালক এবং ম্যানেজারসহ পাঁচজনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন নৌ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস। আটকরা হলেন- ফারহান লঞ্চের দুই চালক ও ম্যানেজার এবং এমভি তাসরিফের দুই চালক। গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় ফারহান লঞ্চের দুই চালক ও ম্যানেজার এবং এমভি তাসরিফের দুই চালকসহ মোট ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাদের আটকের পর ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলার পর বিস্তারিত জানানো হবে। এর আগে, এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর আগে, রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে বার্দিং করার সময় তাসরিফ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে তার আঘাতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারে মা-বাবাসহ তাদের শিশু মেয়ে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- পিরোজপুরের মোটবাড়িয়ার বিল্লাল হোসেন (২৫), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও শিশু মেয়ে মাইশা (৩), ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিতপুরের রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালী সদরের মো. রিপন হাওলাদার(৩৮)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা নদী বন্দর (সদরঘাট) এর যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, সদরঘাটের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ মিডফোর্ড হাসপাতালে রাখা আছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ঢাকা থেকে ভোলাগামী তাশরিফ-৪ লঞ্চের ধাক্কায় ৫ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। লঞ্চটি ঘাটে বেঁধে রাখা ছিল, হঠাৎ রশি ছিঁড়ে যাত্রীদের ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে। সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সযোগে আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে তারা মারা যান।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১১

উয়েফা চ্যাম্পিনস লিগ / ড্রয়ে শেষ রিয়াল-সিটির লড়াই
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলের হাইভোল্টেজ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ল বিশ্ব ফুটবলের সেরা দুই ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ৩-৩ গোলের ব্যবধানে শেষ হয় ম্যাচ।  উত্তেজনায় ঠাঁসা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি মৌসুমে রিয়াল-সিটির শেষ আটের প্রথম লেগে উত্তাপ ছিল প্রতিটি মুহূর্তেই। ম্যাচের শুরুতেই রিয়ালের জালে আঘাত হানেন সিটি তারকা বার্নান্দো সিলভা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোল করে সিটিজেনদের এগিয়ে নেন পর্তুগিজ এই মিডফিল্ডার। তবে দ্রুতই ম্যাচে ফেরে রিয়াল মাদ্রিদ। সেটাও আবার সিটির কল্যাণে। ১২ মিনিটে সমতায় ফেরে রিয়াল। কামাভিঙ্গা জোরালো শট সিটি সেন্টার ব্যাক রুবেন ডায়াজের গায়ে লেগে জড়ায় ম্যানসিটির জালে। দুই মিনিটের ব্যবধানে রদ্রিগো এগিয়ে নেন রিয়াল মাদ্রিদকে। প্রথমার্ধে দু’দলের লড়াইটা সমান তালে হলেও ২-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে আরও জমে ওঠে লড়াই। ৬৬ মিনিটে মাদ্রিদের ডি বক্সের বাইরে থেকে ফিল ফোডেনের দূরপাল্লার শটে সমতা আনে ম্যানচেস্টার সিটি। এরপর ম্যাচের গতি কমিয়ে মাঠে নিজেদের আধিপত্য বাড়িয়ে নিয়ে ৭১ মিনিটে লিড নেয় ম্যানসিটি। ৩-২ এ এগিয়ে যায় গার্দিওলার শিষ্যরা। খেলার ৭৯ মিনিটে তৃতীয় গোলের দেখা পায় রিয়াল মাদ্রিদ। ফেদরিকো ভালভার্দের গোলে সমতা নিয়ে ঘরের মাঠে প্রথম লেগ শেষ করে কার্লো আনচেলত্তি দল।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৪

শেষ মুহূর্তে ট্রেনে অতিরিক্ত চাপ, ছাদে চড়েই ঢাকা ছাড়ছেন অনেক যাত্রী
ঈদযাত্রায় শেষ মুহূর্তে ট্রেনগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। স্টেশনে রাত থেকেই অপেক্ষা করতে গেছে ঘরমুখো মানুষদের। ট্রেনের ভেতরে চড়তে না পেরে অসংখ্য মানুষ ছাদে উঠে বাড়ির উদ্দেশে রওনা করছেন। যেকোনো মূল্যেই তাদের বাড়িতে যেতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়ে হলেও ঈদ আনন্দ উদযাপন করতে বাড়িতে যাচ্ছেন তারা। বাড়ির উদ্দেশে তাই নারী, পুরুষ, শিশুসহ ছাদে উঠেই ঘরমুখো যাত্রীরা ঢাকা ছাড়ছেন।  অতিরিক্তি যাত্রীর কারণে টিকিট কাটার পরও অনেকে নিজ সিটে বসতে পারেননি। ট্রেনের ভেতরে যেন পা ফেলার জায়গা নেই। ট্রেনের ছাদে চড়া এক যাত্রী বলেন, বাড়ি তো যেতে হবে। টিকিট নেই। দেশের জনগণের তুলনায় ট্রেনের সক্ষমতা খুবই কম। বাসে গেলে আরও ভোগান্তিতে পড়তে হবে। সেজন্য ঝুঁকি জেনেও ট্রেনের ছাদে করেই গ্রামে যেতে হচ্ছে। আরেকজন যাত্রী জানান, তিনি তার স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। টিকিট না পাওয়ায় এবং ভেতরে জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়েই তিনি ছাদে চড়ে রওনা দিয়েছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৯

শেষ মুহূর্তে মার্কেট-শপিংমলে উপচেপড়া ভিড়
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে রাজধানীর ছোট-বড় মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা।  সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চাঁদনি চক মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, মৌচাক মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে নিউমার্কেটের মূল অংশের ভেতরে। সরেজমিনে দেখা যায়, অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে ঘুরে ক্রেতারা পছন্দের জামা-কাপড়, পাঞ্জাবি-পায়জামা, শার্ট-প্যান্ট, জুতা, শাড়ি, থ্রিপিস, বাচ্চাদের কাপড় কিনছেন। বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে, নারীদের শাড়ি, থ্রিপিসসহ বিভিন্ন পোশাক, জুতা ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানগুলোতে। মিরপুর থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা আব্দুস সালাম বলেন, অফিস খোলা থাকার কারণে এতদিন কেনাকাটা করতে পারিনি। এখন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নিউমার্কেট এসেছি। পাঞ্জাবি আর শাড়ি কিনব। বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখছি। আগামী দুইদিন আরো বেশি ক্রেতার উপস্থিতি হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। নিউমার্কেট ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি ডা. দেওয়ার আমিনুল ইসলাম শাহিন বলেন, এবছর বিক্রি নিয়ে কেউ হতাশ নয়। কমবেশি সবারই ব্যবসা হয়েছে। আবার ঈদের পরেই পহেলা বৈশাখ। সেজন্য ছোটখাটো কিছু গহনাপত্রও মানুষজন কেনাকাটা করেছে। আশা করছি এখনো যে সময়টুকু রয়েছে আরো ভালো বিক্রি হবে। এদিকে ঈদ উপলক্ষে মধ্যবিত্তের শেষ ভরসা হয়ে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাতের দোকানগুলো। শখ ও সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব মিল ঘটাতেই নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ ফুটপাতের দোকানগুলো। পান্থপথের ফুটপাতের দোকানের বিক্রেতা জসিম বলেন, যাদের আয়-রোজগার কম তারাই মূলত ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটা করেন। আমরাও সীমিত লাভে পণ্য বিক্রি করি। কারণ আমরা চাই সবাই আনন্দের সঙ্গে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করুক। ঈদে বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৭

শেষ সময়ের ঈদ কেনাকাটায় উপচেপড়া ভিড়
আর কয়েক দিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। তাইতো ফুটপাত থেকে অভিজাত বিপণী বিতান, সর্বত্রই চলছে শেষ সময়ের কেনাকাটা। মানুষ সাধ্যের মধ্যে প্রিয়জনের জন্য কিনছেন পোশাক, জুতা, কসমেটিকস, অলঙ্কারসহ প্রয়োজনীয় নানা জিনিসপত্র। রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, আড়ং ও যমুনা ফিউচার পার্কে ঘুরে দেখা গেছে, কেনাকাটার ধুম লেগেছে। সব শ্রেণিপেশার মানুষ পছন্দমতো কিনছেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। তবে রয়েছে বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগও। নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, প্যান্ট কিনবো বলে এসেছিলাম। কিন্তু যে দাম শেষ পর্যন্ত কিনতে পারবো কিনা, তার ঠিক নেই। কারণ, অন্য সময়ে যে প্যান্টের দাম থাকে ৫৫০ টাকা তা এখন চাইছে ২২০০ টাকা। এইটা কোন কথা বলেন? একই সুর কলাবাগান থেকে বসুন্ধরা সিটিতে আসা গৃহিনী ফারজানারও। তিনি আরও বলেন, দাম অন্যান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি। তাই সবার জন্য হয়তো কেনাকাটা করা হবে না। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিক্রেতাদের ভাষ্য, দাম খুব বেশি চাওয়া হচ্ছে না। সবকিছুরই দাম বেড়েছে, সেই সঙ্গে পোশাকেরও। এর বাইরে কিছু না। সরেজমিনে দেখা গেছে, ভিড় শুধু পোশাকের দোকানগুলোতেই না। রয়েছে জুতা, অলংকার ও কসমেটিকসের দোকানেও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাসজুড়ে ঈদের কেনাকাটা থাকলেও এখনই এই শেষ মুহুর্তে মূলত উপচে পড়া ভিড় হয় প্রতিবারই। এবারও তাই হয়েছে। সময়-দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে বেচাবিক্রি। আশারাখি, চাঁদ রাত পর্যন্ত এভাবেই জমজমাট বেচাকেনা চলবে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়