• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাতে বাড়তে পারে শীতের অনুভূতি
সাধারণত দেশে সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয় জানুয়ারি মাসে। কিন্তু এবার ফেব্রুয়ারিতেও দেশের অনেক এলাকায় শীতের তীব্রতা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখন দেশের ১৯ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মাসের বাকি সময়টাতেও কম-বেশি শীত থাকবে। দিনে সূর্য উঁকি দিলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত এখনও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশায় ছেয়ে থাকছে চারপাশ। এতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখনও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অবস্থান করছে। সেই সঙ্গে দেশের বেশ কিছু জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। যা প্রশমিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি ঢাকায় সর্বনিম্ন ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এতে রাতে বাড়তে পারে শীতের অনুভূতি। পাশাপাশি আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামীকাল সোমবার ও পরদিন মঙ্গলবার (১২-১৩ ফেব্রুয়ারি) দেশের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এই দু’দিনে সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার ডিসেম্বরে সারাদেশেই শীতের তীব্রতা তুলনামূলক কম ছিল। ডিসেম্বরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো বেশি ছিল। কিন্তু জানুয়ারির শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। জানুয়ারি মাসের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল। এ ছাড়া গত মাসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোট চার দফায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। এমনকি দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকায় একসঙ্গেও শৈত্যপ্রবাহ ছিল কয়েক দিন। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ (গত বৃহস্পতিবার) থেকে আবার শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১৯ জেলায়।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৬

পঞ্চগড়ে কমেনি শীতের প্রকোপ
দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও শীতের প্রকোপ কমেনি। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। জানা গেছে, সাধারণত সন্ধ্যার পর থেকে পঞ্চগড়ে শুরু হয় উত্তরের ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাস আর ঘনকুয়াশা। এতে অনুভূত হতে থাকে তীব্র শীত। আর তীব্র শীতের কারণে কাজে বেঘাত ঘটছে খেটে খাওয়া মানুষের। তবে সকালবেলা ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়া মানুষ গরম কাপড় পরে কাজে বের হচ্ছেন। পাশাপাশি অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর কনকনে ঠান্ডা এ জেলায় অব্যাহত রয়েছে। তবে কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৯

‘মায়েদের পিঠা ঘর’ এ বাহারি শীতের পিঠা
নাগরিক কর্মব্যস্ত মায়েরা এবার অংশ নিয়েছেন জাতীয় পিঠা উৎসবএ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মাঠে আয়োজিত জাতীয় পিঠা উৎসবে তাদের স্টলের নাম ‘মায়েদের পিঠা ঘর’। যেখানে গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা বিভিন্ন বাহারি পিঠা উপস্থাপন করা হয়। সাথে তুলে ধরা হয় এই প্রস্তুত প্রণালীও। বুধবার বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মাঠে এই জাতীয় পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর উৎসাহে এই পিঠার স্টল বলে জানান ‘মায়েদের পিঠা ঘর‘ স্টলের  আয়োজকদের অন্যতম নাজনীন খানম। তিনি বলেন, সন্তানদের বড় করা আর সাংসারিক নাগরিক ব্যস্ততার মাঝেও যে আমরা পিঠার মত বাঙালী সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ এখনো তৈরি করতে পারি সেটি মনে করিয়ে দিয়েছেন ঋদ্ধ নাট্যজন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নাজনীন খানম বলেন, সুযোগ পেলে শত ব্যস্ততায়ও আমরা নারীরা অনেক কিছু করতে পারি সেটি প্রমাণ করার প্লাটফর্ম পেয়েছি শিল্পকলা একাডেমীতে। আর ‘মায়েদের পিঠা ঘর’ এ গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা ঐতিহ্যবাহী পিঠা গুলোকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে শহরে বেড়ে ওঠা আমাদের সন্তানরা যাতে গ্রামীণ এ ঐতিহ্যগুলোকে ভুলে না যায়। আরেক আয়োজক লায়লা রওশন বলেন, বিবিখানা পিঠার মত হারিয়ে যেতে বসা পিঠা পুলি আবারো আমরা ফিরিয়ে আনতে পারবো নতুন প্রজন্মের মাঝে। এজন্য জাতীয় পিঠা উৎসবকে ধন্যবাদ দেন তিনি। নিলরুবা খানম বলেন, এ আয়োজন আমাদেরকে ফেলে আসা শীতের শৈশবকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে। সুপর্না দেবী সুমা মনে করেন, এই জাতীয় পিঠা উৎসব ঢাকা বেড়ে ওঠা শিশুদের গ্রামীণ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার অন্যতম মাধ্যম।   চায়না চৌধুরী বলেন, ব্যস্ত জীবনেও সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টিতে রশদ যোগাচ্ছে আমাদের পিঠা উৎসব। ‘মায়েদের পিঠা ঘর’ এর আরেক আয়োজক জায়েদা ইসলাম বলেন, বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা মায়েরা আজ আমাদের এই আয়োজনে বিভিন্ন এলাকার ঐতিহ্যবাহী পিঠা ও সংস্কৃতিকে একই মেলবন্ধনে আনতে পেরেছি। এটাই ‘মায়েদের পিঠা ঘর’ এর বড় অর্জন বলে মনে করেন তিনি। জাতীয় পিঠা উৎসবের উদ্বোধন শেষে স্টল পরিদর্শনে এসে ‘মায়েদের পিঠা ঘর’ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীসহ অন্যরা। এসময়ে তারা ‘মায়েদের পিঠা ঘর’ এর বাহারি আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৮

শীতের মধ্যেই ঢাকাসহ যেসব বিভাগে আজ বৃষ্টি ঝরবে
বেশ কয়েক দিন ধরে কুয়াশা আর তীব্র শীতে কাঁপল পুরো দেশ। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য উঁকি দেওয়ায় কিছুটা কমেতে শুরু করেছে শীতের অনুভূতি। তবে দেশের বেশকিছু জেলার ওপর দিয়ে এখনও বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ; যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।  এ ছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ তিন বিভাগে আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, মৌলভীবাজার ও ফেনী জেলাসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। পাশাপাশি আজ খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গা এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু’এক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এই অবস্থায় আজ সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পাশাপাশি পূবালী লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ ছাড়া মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এই অবস্থায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।  এ ছাড়া পরদিন শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি, বজ্রসহ সৃষ্টি হতে পারে।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৭

তীব্র শীতের মধ্যেও যেসব জায়গায় হতে পারে বৃষ্টি
তীব্র শীতের মধ্যেও দেশের চার বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যহত হতে পারে। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের বেশির ভাগ স্থানে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক পরিবহন চলাচল ব্যহত হতে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৭

যেদিন থেকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে
চলতি মাসের শুরু থেকে হাড় কাঁপানো শীতের পর গত দুদিন রোদ উঠে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছিল। কুয়াশার দাপটও তেমন একটা দেখা যায়নি। কিন্তু রোববার (২১ জানুয়ারি) দিনগত রাত থেকে উত্তরের হিমেল বাতাসে ফের জেঁকে বসেছে শীত। ইতোমধ্যে দেশের ২২ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এরমধ্যে চার বিভাগে দেওয়া হয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রাও সামান্য কমবে। ঘন কুয়াশার দাপটও দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে। অর্থাৎ সোমবার দিনগত রাত থেকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে।  এ ছাড়া একই সময়ে যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সোমবার দিন-রাতে তাপমাত্রা প্রায় একইরকম থাকলেও মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৪০ জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫

জয়পুরহাটে শীতের তীব্রতায় কাঁপছে মানুষ
শীতের তীব্রতায় অসহনীয় হয়ে উঠেছে জয়পুরহাটের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। টানা কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। বাতাসের সঙ্গে হাড়কাপানো শীত জেলার সর্বত্র কুয়াশার সঙ্গে দমকা বাতাস বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের প্রকোপ।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। আরও পড়ুন : শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে ফের দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস   তিনি জানান, তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাওয়ায় আজ সোমবার ( ২২ জানুয়ারি) জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জয়পুরহাট জেলায় আলাদা কোন আবহওয়া অফিস না থাকলেও নওগাঁর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আজ সকাল ৯টায় জয়পুরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এ দিকে জেলায় শীতের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বেড়ে গেছে। সরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। গত কয়েকদিন থেকে দেখা মিলছে না সূর্যের। এতে বস্তিবাসী ও ছিন্নমূল মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিশেষ করে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। তবু জীবিকার তাগিদে ছুটছেন তারা। আরও পড়ুন : চলতি মৌসুমে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড   সদর উপজেলার পুরানাপৈল এলাকার সাদ্দাম হোসেন বলেন, সকাল থেকে তীব্র শীতের মধ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। কিন্তু আমাদের তো করার কিছু নেই। জীবিকার তাগিদে বের হতেই হবে। রিকশা চালক হাতেম আলী বলেন, অনেক বাতাস আর শীত। এতে রিকশার যাত্রী পাওয়া যায় না। আমাদের আয় অনেক কমে গেছে। 
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৩

তীব্র শীতে রাজশাহীর সকল স্কুলে ছুটি
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় রাজশাহীর সকল মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো রোববার (২১ জানুয়ারি) ও সোমবার (২২ জানুয়ারি)  দুইদিন আর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও শুধু রোববার (২১ জানুয়ারি) একদিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে রাজশাহীর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেই সেখানকার স্কুলগুলো বন্ধ রাখার জন্য সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী রাজশাহীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত এল। শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার (মাউশি) রাজশাহী অঞ্চলের উপপরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী রোববার ও সোমবার রাজশাহীর তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকবে। তাই মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী এ দুই দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকবে। এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, তারা রোববার প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রোববারের আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে সোমবারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদি দেখা যায় সোমবারও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে সেদিনও জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৫

শীতের শুষ্কতায় শিশুর ত্বক রুক্ষ, যা করবেন
শিশুর ত্বক অনেক বেশি নরম, সংবেদনশীল। শীতের শুষ্কতায় সেই ত্বক স্নিগ্ধতা ও পুষ্টি হারায়। শীতের শুষ্কতায় চামড়ায় টান ধরে, ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। শীতের বাতাস শিরশিরে ঠান্ডা, তার ওপর শিশুরা সূর্যের তাপ পায় কম। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে ঠান্ডা লাগা, সংক্রমণ, চর্মরোগ ও অন্য শীতকালীন রোগ পেয়ে বসে। এ সময় অনেক মায়েরা কীভাবে সন্তানের খেয়াল রাখবেন, তা বুঝে উঠতে পারেন না। জেনে নিন শিশুকে শীতল আবহাওয়ায় সুস্থ রাখবেন যেভাবে-  শীতকালে শিশুদের তেল মালিশ খুবই প্রয়োজন। যে তেল আপনার শিশুর শরীরে স্যুট করবে, তা দিয়েই করুন। অলিভ আর অশ্বগন্ধা নাকি ত্বকের জন্য খুবই ভালো। চামড়া নরম থাকে। আবার টোনও করে ভালো। শিশুদের গোসল করানোর সময় পানি যেন হালকা উষ্ণ থাকে। বেশি উষ্ণ পানিতে ত্বকের পাতলা আস্তরণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। রোদ পেয়ে শিশুকে অনেকক্ষণ ধরে গোসল করাবেন না। এতে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে। শিশুদের প্রতিদিনের গোসল না করালেও চলে, এমনটাই মত কিছু বিশেষজ্ঞর। তারা মনে করেন, দুদিনে একবার শিশুকে গোসল করালেই যথেষ্ট।  শুধু গোসলের আগে তেল দিলেই হবে না, তারপর গা ভালো করে মুছে নিয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ক্রিম দিতে হবে। ক্রিমের উপাদান দেখে কিনবেন। তাতে যেন অ্যালোভেরা, আমন্ড তেল ও দুধ থাকে। এক্ষেত্রে আবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ক্রিমটি কিনতে পারেন। শিশুর তোয়ালে, লেপ কিংবা পরনের গরম পোশাক বাছার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। এগুলো যেন খসখসে না হয়। যদি তা হয় তাহলে শিশুর নরম চামড়ার ক্ষতি হতে পারে। খুব মোটা কিছু দিয়ে শিশুকে চাপা দেবেন না, এতে অস্বস্তি হতে পারে। এমন কিছু ব্যবহার করবেন যা নরম, আবার গরমও।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৩

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা
কুড়িগ্রামে গত দুদিন ধরে কিছুটা তাপমাত্রা বাড়লেও প্রচন্ড শীতে ঠান্ডার প্রকোপ কমেনি। হাড় কাঁপানো শীতে নাজেহাল জেলাবাসী।  শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যা গত দুই দিনের চেয়ে আরও ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।  তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বাড়লেও শীতের ঠান্ডার তীব্রতা কমেনি। এরপর শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকালেও প্রচন্ড কুয়াশায় ছেয়ে গেছে গোটা জনপদ। এ অবস্থায় মাঘের শুরুতে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জেলার মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে স্থবিরতা। গত এক সপ্তাহ পর শুক্রবার দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ তেমন না থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি মেলেনি।  তাপমাত্রা মৃদু শৈত্য প্রবাহে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ তাপমাত্রা এভাবে বাড়তে থাকলে রোববার আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানায় শিক্ষা বিভাগ। এদিকে, ঠান্ডার প্রভাব না কমায় শ্রমজীবি নিম্ন আয়ের খেটেখাওয়া মানুষগুলো পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকেই পেটের দায়ে শীতকে উপেক্ষা করে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।  শহরের গোড়স্থানপাড়ায় অপেক্ষারত শ্রমিক নবিদুল মিয়া ও জলিল মিয়া জানান, এত ঠান্ডার কারণে কাজে যেতে পারছি না। হাত পা টাটায় আর সর্দি কাশিতো লাগি আছে। তাও পেট চালাইতে হামারগুলাক কাজে যাওয়া নাগে।  এছাড়াও কেউ কেউ বাড়ির পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীতের ঠান্ডা নিবারণে চেষ্টা করছে। আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধের ঘটনা ঘটলেও শীতের ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে এ চেষ্টা। অন্যদিকে, গবাদি পশুগুলোর ঠান্ডায় মারাত্মক কষ্টে পড়তে হয়েছে। জেলার রাস্তার পাশে ফুটপাতে শীতের কাপড় কেনার হিড়িক পড়েছে সাধারণ নিম্ন আয়ের ও মধ্যবিত্তের। হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অ্যাজমাসহ নানা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়