• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শুরু থেকেই বিভিন্ন মাত্রার শৈত্যপ্রবাহে জেলার জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় তাপমাত্রা কমতে থাকায় এ জেলায় তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামে শীতের দাপট যেন কোনোভাবেই কমছে না। ঘন কুয়াশার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হিমেল হাওয়া। এ ছাড়াও মেঘের আনাগোনা আকাশে থাকায় শীতের ঠান্ডা আরও বেড়েছে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দিনের বেলায় সূর্যের মুখ দেখা যায় না। তবে গত দুদিন ধরে সকাল দশটার পর সূর্য উঠলেও স্থায়ী হচ্ছে না। কিন্তু রোদের উত্তাপ মেঘের কারণে তেমন নেই বলে মানুষের মাঝে তেমন স্বস্তি নেই। গত কয়েক দিনের টানা শৈত্যপ্রবাহে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। এরপরও দুদিন ধরে শীতকে উপেক্ষা করে কাজে যাচ্ছেন কেউ কেউ। বোরো বীজতলার পাশাপাশি আলুখেতের চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা। আলুর লেট ব্লাইট রোগের কারণে গোঁড়া পচনে আবাদে ঘাটতি হবে বলে আশংকা তাদের। এ ছাড়া জেলার আড়াই শ’ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন শীতের রোগী ভিড় করছেন।  হাসপাতালে বেডের চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান সরদার শিপন জানান, এ পর্যন্ত এ হাসপাতালে ৩৭৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। শুধুমাত্র ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী অর্ধশতাধিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু ও বৃদ্ধ।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৩

শীতে কাঁপছে গাইবান্ধা
ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গাইবান্ধার মানুষ। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় গাইবান্ধায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে তীব্র শীতের কারণে অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এতে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্স ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের।  শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হওয়ায় তাদেরকে ঠান্ডা থেকে দূরে রাখাসহ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন বিরাজ করতে পারে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৯

শীতে কাঁপছে যমুনা তীরবর্তী লোকজন
গত কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন বগুড়ার সারিয়াকান্দির দুর্গম চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষরা। যমুনা নদী সংলগ্ন হওয়ায় এসব এলাকায় শীতের তীব্রতা একটু বেশি। বিভিন্ন সময়ে যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার বেশকিছু এলাকাবাসী তাদের ভিটেমাটি এবং কৃষিজমি হারিয়ে এখন নিস্ব। পেটের ভাত জোগাড় করতে তাদের প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। তাই তারা কিনতে পারেন না ভালো কোনো শীতের গরম কাপড়। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন সম্পূর্ণ নদীগর্ভে। আর ৫টি ইউনিয়নের আংশিক নদীগর্ভে। তাই এ উপজেলার বিশাল আয়তনের জনগোষ্ঠী চরবাসী। চরবাসী এসব এলাকার লোকজন বারবার যমুনা নদী ভাঙনের শিকার হয়ে তাদের ভিটেমাটি এবং কৃষিজমি হারিয়ে কেউ কেউ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। কয়েক দিনের তীব্র শীতে এসব মানুষরা এখন শীতে কাঁপছে।  সজিরন বেওয়া (৭০)। জীবনে ৯ বার যমুনা নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন। ভিটেমাটি এবং কৃষিজমি হারিয়ে এখন বাস করছেন অন্যের জমিতে। কাজলা ইউনিয়নের চর ঘাগুয়া চরে তার বসবাসের অযোগ্য বাড়ি। গত কয়েকবছর আগেই তার স্বামী মারা গেছেন। ৪ ছেলের মধ্যে ১ ছেলেও মারা গেছেন চিকিৎসার অভাবে। ৩ ছেলে অন্যের জমিতে দিন মজুরের কাজ করেন। অনেক কষ্টে এলাকার লোকদের সহযোগিতায় ২ মেয়েকে তিনি বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেদের অভাবের সংসারে তার ভাত হয়নি। সারাদিন অন্যের জমির মরিচ তুলে দিয়ে যা আয় হতো, তা দিয়ে কিনতেন ডাল-চার। বয়সের ভারে আর মরিচ তুলতে পারেন না। এখন বিভিন্ন মানুষের কাছে দশ-পাঁচ টাকা হাত পেতে পেটের ভাত জোগাড় করেন। কয়েক দিনের প্রচণ্ড শীতে তিনি কষ্ট করছেন। শরীরে কোনো গরম কাপড় নাই। গ্রামের চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে বেশ কয়েকবার গরম কাপড় প্রার্থনা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। এদিকে গত কয়েক দিন ধরেই এ উপজেলায় গভীর রাত থেকে শুরু কওে পরদিন প্রায় দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে। কুয়াশার জন্য রাতে ৩০ ফিট দূরের কোনো কিছু চোখে দেখা যায়না। সন্ধ্যা ৭টা হতে কুয়াশা শুরু হয়ে পরদিন দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। কুয়াশার জন্য উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে সকাল ১০টা পর্যন্ত। রাতে প্রচণ্ড কুয়াশার জন্য গাছের পাতা হতে টপটপ করে বৃষ্টির মতো পানি পরছে।  কৃষকরা হালকা শীতের কাপড় পরেই ছুটছে খেতের দিকে, এনজিওকর্মীরা রেইনকোট পরে মোটরবাইকে বেরিয়ে পড়েছে কিস্তি আদায়ের কাজে, গরুর মালিকরা দুধ দোহন করে নিয়ে ছুটছে বাজারের দিকে। দিনমজুর এবং শ্রমিকরা বেড়িয়ে পরেছে তাদের নিজ নিজ কাজে। তবে তাদের শরীরে গরম কাপড়ের অভাব ব্যাপকভাবে লক্ষণীয়। অটোভ্যান শ্রমিকরা শীতের বাতাসকে উপেক্ষা করেই ছুটছেন পেটের দায়ে। বয়স্ক মানুষরা প্রচণ্ড শীতে ঘরবন্দি হয়েছেন। সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, সরকারি যে কম্বলগুলো পাওয়া গিয়েছিল তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরিব-দুঃখী মানুষ খুঁজে বের করে তাদের দেওয়া হয়েছে। চরবাসীদেরও এ সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় কম্বল অপ্রতুল হওয়ার জন্য হয়তো কেউ কেউ বাদ পড়তে পারেন। যারা বাদ পড়েছেন, তাদের জন্যও দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে।  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০০

শীতে রেঁধে নিন শিমের মজাদার ৩ পদ
শীতে রেঁধে নিন সবুজ রঙা শিমের ৩ পদ শীতের বাজারে পছন্দের সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নাম হলো শিম। স্বাস্থের জন্য শিম খুবই উপকারি একটি সবজি। এ সবজিটি ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, ক্যালশিয়াম এবং আয়রনে পরিপূর্ণ। শিম খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে। পাশাপাশি এই খাবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে দেয়। যেহেতু এই খাবারে মিনারেল রয়েছে, এটি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। এই উপকারি সবজিটি নানা রকম পুষ্টিগুণের পাশাপাশি খাবারকে সুস্বাদু করার গুণও বিদ্যমান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় পাঁচ মিশালি রান্নাতে শিম দিয়ে দেওয়া হয়। তবে আপনি যদি শিমের অন্য কোনও রেসিপি খুঁজে থাকেন, তাহলে ট্রাই করতে পারেন এই কয়েকটি পদ। জেনে নিন রেসিপি- >>> মাছ দিয়ে বানিয়ে নিন শিম ভর্তা। মাছ অল্প পানিতে লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে কাঁটা বেছে নিন। শিম কেটে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে শিম সেদ্ধ, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ, রসুন, লবণ ও মাছ সামান্য নেড়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি বেটে নিন। এতে পেঁয়াজ, সরিষার তেল মাখিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি মাছ দিয়ে শিম ভর্তা। পরিবেশন করতে পারেন গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সঙ্গে। >>> নারকেল দিয়ে শিম পোস্ত বানাতে পারেন। পোস্ত বেটে নিন, নারকেল কুড়ে নিন। কড়াইতে সরিষার তেল গরম করে জিরা, কাঁচামরিচ ফোড়ন দিন। এতে লবণ ও হলুদ দিয়ে শিম ভেজে নিন। এতে পোস্ত বাটা ও নারকেল কোড়া দিয়ে নেড়ে দিন। তৈরি নারকেল দিয়ে মজাদার শিম পোস্ত। >>> শিমের শীষ ছাড়িয়ে নিন। কড়াইতে সরিষার তেল জিরা ও শুকনো মরিচ ফোড়ন দিন। পেঁয়াজ, রসুন ও টমেটো বাটা ভেজে নিন। এবার লবণ ও হলুদ দিয়ে শিম ভেজে নিন। এতে জিরাগুড়ো ও কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়ো দেবেন। কষানো হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। পরিবেশন করুণ নিজের স্বাদ মত।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৪

মেহেরপুরে শীতে বিপর্যস্ত জীবন, তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি 
তীব্র শীতে কাঁপছে মেহেরপুর। অব্যহত রয়েছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। গতকালের চেয়ে কমেছে তাপপাত্রা।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর অঞ্চলে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তামপাত্রা রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।  এদিকে শৈতপ্রবাহের কবলে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রী আর কর্মীজীবী মানুষের কষ্টের যেন সীমা নেই। সকাল ৯টা পর্যন্ত মেলেনি সূর্যের দেখা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ। প্রতিদিনের আয়ে ভাটা পড়েছে তাদের। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিনপাত করতে হচ্ছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে কোল্ড ইঞ্জুরি ও ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিয়েছে মাঠ ফসলে। বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও সমাধান মিলছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৪

১২ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ / তীব্র শীতে থমকে গেছে জনজীবন
তীব্র শীতে থমকে গেছে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন। ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যে তেঁতুলিয়ায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ছিল শীত মৌসুমে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিকে পঞ্চগড়, কুড়িগ্রামসহ দেশের ১২ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঢাকায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও দেশের অধিকাংশ জায়গায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পঞ্চগড়ের বাসিন্দা আকবর বলেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে  মনে হয় এটাই ছিল সবচেয়ে বেশি শীত। এত ঠান্ডা যে বাসা থেকে বের হলেই হাত পা বরফ হয়ে আসে।  এই এলাকার বেলাল হোসেন বলেন, ঠান্ডার কারনে বাইরে বের হতে পারছি না। কাজকর্ম করতে পারছি না। বিপদে আছি। জমানো টাকা খরচ করে সংসার চালাচ্ছি। খুব সমস্যার মধ্যে আছি।  আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের কয়েকটি জেলা ও বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আরও অন্তত দুই দিন থাকবে এবং শৈত্যপ্রবাহের আওতা বাড়তে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পার বলেও জানান তিনি। নাজমুল আরও বলেন, আগামী চার দিন দেশের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে। গত কিছু দিন যেমন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ঘন কুয়াশা পড়ছিল, এখন সেই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে গুঁড়িগুঁড়ি বা হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উল্লেখ্য, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। এ ছাড়া তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩১

প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে শীতের প্রভাবে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে এ জেলার মানুষ। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জেলাজুড়ে জবুথবু অবস্থা বিরাজ করছে। ব্যহত হচ্ছে সাধারণ জীবনযাত্রা।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এ জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ফলে জেলার ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া শ্রমিক শ্রেণির লোকজন রয়েছেন চরম বিপাকে।  সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রচণ্ড শীতে নিম্ন আয়ের ও সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে গিয়ে এবং গরম পানি করতে গিয়ে দগ্ধের ঘটনা ঘটলেও মানুষ আগুনের তাপ নিচ্ছেন। দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা তেমনটা বাড়েনি।  এ শীতের প্রকোপে জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগী। এদের অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ।তবে হাসপাতালে বেডের চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় গাদাগাদি করে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় শীতে কষ্টে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষজন। নদী পাড়ে হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছেন এখানকার মানুষ।  এদিকে গত এক সপ্তাহ যাবৎ জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। যা আগামী আরও দুদিন অব্যাহত থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানা গেছে।  জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যে ৬৭ হাজার কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তবে আরও শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সেগুলো বণ্টন করা হবে। 
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৭

মাঘের শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গার জনপদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও তা উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারন করতে দেখা গেছে এসব মানুষগুলোকে। শীতে সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা। তীব্র ঠান্ডায় দেখা দিচ্ছে শীতজনিত নানা রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৯

দিনাজপুরে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন, তাপমাত্রা ৭.৩ ডিগ্রি
দিনাজপুরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে জনজীবনে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।  এদিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া খুব বেশি মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন।  দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, জেলায় বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২২

কনকনে শীতে বিপর্যস্ত সিরাজগঞ্জ, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
ঘন কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাস আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের মানুষের জনজীবন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের আকাশে রোদের দেখা মিললেও বুধবার (২৪ জানুয়ারি) কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে পুরো সিরাজগঞ্জ। যার ফলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় সিরাজগঞ্জের মোট ১৬৭১টি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মোট ৫৮৪টি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ও ৯টায় সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মঙ্গলবার ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। আজ ভোর থেকেই কুয়াশায় ঢাকা পড়ে আছে সিরাজগঞ্জের পথঘাট। দশ হাত পর পর কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহগুলো চলাচল করছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এ কারণে কনকন শীতে শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে। সবচেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষরা। বাঘাবাড়ি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, সকাল ৬টা ও ৯টায় এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আট থেকে দশের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ফলে আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।  তিনি বলেন, আকাশে সূর্য থাকলেও কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও মিলতে পারে।  তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালের চেয়ে অনেকটা বেশি। তবে যেহেতু রোদের দেখা মিলছে না এবং চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে তাই শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।  মাসজুড়েই এমন শীত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।  সিরাজগঞ্জের জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. আফসার আলী বলেন, জেলায় কয়েকদিন হলোই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে রয়েছে। এতে ছোট ছেলেমেয়েদের খুব কষ্ট হয়। যেহেতু তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা আছে তাই জেলার মাধ্যমিক স্তরের সর্বমোট ৫৮৪টি (দাখিল মাদরাসাসহ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরাও স্বস্তিতে রয়েছেন। 
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়