• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জামালপুরে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বালতির পানিতে ডুবে ৭ মাস বয়সী রিয়া নামের এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৪ মার্চ) উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নের উত্তর ভাতখাওয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  রিয়া ওই এলাকার নুসু মিয়ার সন্তান। এ ঘটনায় ওই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা জানান, বিকেলে শিশুটি তার দাদা বানেজ উদ্দিনের সঙ্গে খাটে ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় বানেজ উদ্দিন জ্বরে কাতরাচ্ছিলেন। দুপুরে তার মাথায় পানি দেওয়ার পর বালতি খাটের নিচে রাখা ছিল। বিকেলে সকলের অগোচরে ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটি উল্টে বালতির পানিতে পড়ে মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।  তিনি বলেন, শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জেনেছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
২৫ মার্চ ২০২৪, ০২:২৪

নিখোঁজের ৫ ঘণ্টা পর ড্রেনে মিলল শিশুর মরদেহ 
নাটোরের লালপুরে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর বাড়ির পাশের ড্রেন থেকে শাওন আহমেদ (২) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  শাওন গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বেলা ১২টার দিকে শিশু শাওন বাড়ির বাইরে খেলতে বের হয়। অনেকক্ষণ পর শাওন ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে প্রতিবেশী শহিদুল ইসলামের বাড়ির কাছের ড্রেনে তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এ ফোন দেন। পরে পুলিশ এসে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। লালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ‌ গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মরদেহটি উদ্ধার করে। ড্রেনের পানিতে ডুবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহটি তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে। 
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:২০

শরীয়তপুরে বিদ্যুৎপৃষ্টে প্রাণ গেল শিশুর
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎপৃষ্টে সুমাইয়া (৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কাজী কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমাইয়া ওই এলাকার মানিক কাজী ও রুবিনা বেগম দম্পতির মেয়ে। স্বজনরা জানান, সকাল ৯টার দিকে পরিবারের সবাই ঘরের বাইরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সুমাইয়া ঘরেই ছিল। কোনো এক মুহূর্তে ঘরে থাকা বৈদ্যুতিক সুইচের সংস্পর্শে আসলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে পড়ে। পরে স্বজনরা অচেতন অবস্থায় তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহাম্মেদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিদ্যুৎপৃষ্টে এক শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫২

জয়পুরহাটে আগুনে দগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু
জয়পুরহাটে আগুনে দগ্ধ হয়ে তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির। নিহত অর্ক জয়পুরহাট সদর উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের শয়ন মণ্ডলের মেয়ে।  ওসি হুমায়ূন কবির জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অর্ক নিজ বাড়ির বারান্দায় খেলাধুলা করছিলো। এ সময় পূজা দেওয়ার সন্ধ্যাবাতির আগুন লেগে দগ্ধ হয় অর্ক। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মারা যায় শিশু অর্ক। তার মরদেহ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।  শিশুটির মৃত্যুতে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২০:১৯

কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে শিশুর মৃত্যু
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণ গেছে আব্দুলাহ মাহমুদ রিফাত (১১) নামে এক শিশুর। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির বাবা ও ভাই। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।  আহত অপর শিশুটির অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তা ময়ূরী ভিলার সামনে এ ঘটনা ঘটে।   স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন আব্দুল হাই লিটন। ময়ূরী ভিলার সামনে পৌঁছালে একটি কাভার্ডভ্যান মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আব্দুলাহ মাহমুদ রিফাত (১১)।  আহত লিটন ও তার অপর সন্তান ফাহাদকে (১৪) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   এদিকে আহত ফাহাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) শফিউল আলম। একই থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আরিফুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে জানান, দুর্ঘটনার পরপরই রাস্তায় থাকা লোকজন কাভার্ডভ্যান চালককে ধরে মারধর করেছে। তাকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।   এসআই আরিফুর আরও বলেন, যতটুকু জানা গেছে, আগামীকাল মাদরাসা বন্ধ হওয়ায় আব্দুল হাই লিটন তার দুই শিশু সন্তানকে সেখান থেকে নিয়ে মোটরসাইকেল করে বাসায় ফিরছিলেন। কিন্তু পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হারালেন ছোট ছেলেকে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৫

‘দেশে শ্রমজীবী শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখ, ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮ হাজার’ 
দেশে বর্তমানে ৩৫ লাখ ৪০ হাজার শ্রমজীবী শিশু রয়েছে এবং ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুরা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ খাতে কাজ করছে। ৫টি খাতে ৩৮ হাজার ৮ শিশু কাজ করছে, যার ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশই ছেলে শিশু। সবচেয়ে বেশি কাজ করে অটোমোবাইল ওয়ার্কশপে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় শিশুশ্রম ২০২২’ এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  বিবিএস জানায়, শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন চুক্তি এবং কাঠামোগত উন্নয়নসংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিশুশ্রম নির্মূলে কৌশল নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্যগুলোকে সামনে রেখে জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ এবং সেক্টরভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শিশুশ্রম জরিপ ২০২৩ পরিকল্পনা করা হয়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ এবং সেক্টরভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শিশুশ্রম জরিপ ২০২৩ এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী জনসংখ্যার শ্রমশক্তি, কর্মসংস্থান এবং বেকারত্বের ওপর তথ্য সংগ্রহ করা। জরিপের ফোকাল পয়েন্ট মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন খাঁন জানান, দেশে পরিচালিত জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ শিশুশ্রম সংশ্লিষ্ট চতুর্থ জরিপ যা শ্রমজীবী শিশু, শিশুশ্রম এবং বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম সংশ্লিষ্ট তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করবে। জেনেভায় ২০১৮ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত আইসিএলএস ( ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ লেবার স্টাটিসটিসিয়ানস) সম্মেলনে গৃহীত শিশুশ্রম সম্পর্কিত পদ্ধতি অনুসরণ করে এ জরিপটি পরিচালনা করা হয়। জরিপে ১ হাজার ২৮৪টি প্রাথমিক স্যাম্পলিং ইউনিট (পিএসইউ) থেকে ৩০ হাজার ৮১৬টি খানা (১২টি নন-রেসপন্স খানাসহ) নির্বাচন করা হয় এবং ৬৪টি জেলা থেকে স্যাম্পল বেসিস তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছিল। এই জরিপের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মে পর্যন্ত পরিচালিত হয়। তিনি আরও জানান, প্রতিবেদনে জাতীয় গণনার সঙ্গে শ্রমজীবী শিশু, শিশুশ্রম এবং ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুসারে, ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৩ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন (৩৫ লাখ ৪০ হাজার) শ্রমজীবী শিশু রয়েছে। যার মধ্যে ১.৭৬ মিলিয়ন শিশু শ্রমের বাইরে এবং ১ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন শিশুশ্রমে রয়েছে। এর মধ্যে ১.০৭ মিলিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম রয়েছে। পল্লী এলাকায় ২.৭৩ মিলিয়ন শ্রমজীবী শিশু রয়েছে এবং শহরাঞ্চলে রয়েছে ০.৮১ মিলিয়ন, শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা পল্লী এলাকায় ১.৩৩ মিলিয়ন এবং শহরাঞ্চলে ০.৪৪ মিলিয়ন। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা পল্লী এলাকায় ০.৮২ মিলিয়ন এবং শহরাঞ্চলে ০.২৪ মিলিয়ন রয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট যে, ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ খাতের উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে শ্রমজীবী শিশুদের সবচেয়ে বড় অংশ নিয়োজিত রয়েছে অটোমোবাইল খাতে। পল্লী ও শহর বিবেচনায় এই খাতে কর্মরত শিশুর ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ পল্লী এবং ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ শহর এলাকায় বসবাস করে। এ জরিপের মাধ্যমে একটি শ্রমজীবী শিশু ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টর সমূহে কাজ করার সময় কি কি ধরনের বিপজ্জনক কাজ করতে পারে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। আনুমানিক ১৯ দশমিক ১ শতাংশ ছেলে এবং ৭ দশমিক ৭ শতাংশ মেয়ে শিশু ভারী বোঝা বহন, মালামাল টানার কাজে, অধিক ওপর বা ফ্লোর হতে অতি উচ্চতায় উঠে কাজ করে প্রায় ৮ দশমিক ১ শতাংশ  ছেলে এবং ০ দশমিক ৩ শতাংশ মেয়ে শিশু।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিআইনেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জরিপের ফোকাল পয়েন্ট মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন খাঁন।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৩

কবিরাজি চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কবর থেকে তোলা হলো মরদেহ
শরীয়তপুরে জাজিরা উপজেলায় কবিরাজের চিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আল ইসলাম নামের সেই শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা হলে আদালতের নির্দেশে এক মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ মার্চ) শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে তোলা হয় আল ইসলামের মরদেহ। নিহত আল ইসলাম (২৯ দিন) জাজিরা ইউনিয়নের খোসাল শিকদার কান্দি গ্রামের রাসেল মাঝির ছেলে। পুলিশ জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঠান্ডাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ২৯ দিনের শিশু আল ইসলামকে প্রথমে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার পরিবার। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সদর হাসপাতালেও আল ইসলামের উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। শিশুটির মা-বাবা তাকে ঢাকার নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় জাজিরা উপজেলার কবিরাজ মাহমুদ আকন কান্দি যিনি রহিম খান ওরফে রহিম ফকির নামে পরিচিত তিনি শিশুটির বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘ঢাকা নেওয়ার দরকার নেই। এটা কবিরাজি চিকিৎসা। তুমি আমার কাছে নিয়ে আসো। আমি তোমার ছেলেকে সুস্থ করে দেব।’  পুলিশ আরও জানায়, তার কথায় বিশ্বাস করে বাবা রাসেল মাঝি শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে শিশুটিকে রহিম ফকিরের কাছে নিয়ে যান। এরপর রহিম ফকির শিশু আল ইসলামকে প্রতিদিন ৩ বার কবিরাজি চিকিৎসা প্রদান করেন। ফকিরের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আল ইসলাম মারা যায়। পরে শিশু আল ইসলামের বাবা রাসেল মাঝি ৫ জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় মামলা দায়ের করলে আদালত শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশকে। পুলিশ শিশুটি দাফনের ১ মাস ৩ দিন পর জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুর রহমানের উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠান। শিশুটির বাবা রাসেল মাঝি কান্নজড়িত কণ্ঠে বলেন, কেউ যেন ফকিরের (কবিরাজ) কথা বিশ্বাস না করে। ফকির আমার ছেলেকে শেষ করে দিছে। আমি এর বিচার চাই। জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে শিশু আল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের পর আল ইসলামের মরেদহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১২ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

টনসিল অপারেশনের পর আর ‘জ্ঞানই ফিরল না’ শিশুর
নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকায় আল-হেরা নামে একটি ক্লিনিকে টনসিল অপারেশন করাতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় মোস্তাকিম (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরপরই ক্লিনিকটির চিকিৎসক-নার্সরা পালিয়ে গেছেন। রোববার (১০ মার্চ) সকালে শহরের খানপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মোস্তাকিম সদর উপজেলার বক্তাবলীর মধ্যনগর এলাকার কুয়েত প্রবাসী রমজান আলীর ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। ভুল চিকিৎসায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে বাবা রমজান আলীর অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় আল-হেরা ক্লিনিকে চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুনের তত্ত্বাবধানে টনসিলের অপারেশনের জন্য ভর্তি করানো হয় মোস্তাকিমকে। অপারেশন শেষে বাচ্চার আর জ্ঞান ফেরেনি। সকালে অপারেশন থিয়েটারে মরদেহ রেখে চিকিৎসক, নার্সসহ ক্লিনিকের সবাই পালিয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করেন, চিকিৎসকের অবহেলাতেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারে দাবি করছে পরিবারটি। তবে আল-হেরা ক্লিনিকের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি কবির হোসেনের দাবি, শিশুটিকে অপারেশনের পর তার বাবা বাচ্চাকে জুস ও কেক খাওয়ানোর পর থেকেই সমস্যা দেখা দেয়। তবে ডাক্তারের চিকিৎসায় ভুল ছিল না। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক আব্দুল কুদ্দুস মৃধা জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৪

কুড়িয়ে পাওয়া ককটেলে শিশুর কবজি বিচ্ছিন্ন
যশোরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেলকে বল ভেবে খেলা করার সময় বিস্ফোরণে আরজু (১০) নামের এক শিশুর কবজি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা মাইমুন মেহেদী (৪) নামের আরেক শিশুর নাভি হতে চোখ পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে জেলার মনিরামপুর উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামের পরিত্যক্ত একটি ঘরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ওই গ্রামের ওহিদুল ইসলামের বসতভিটায় চার কক্ষের একটি আধপাকা পরিত্যক্ত ঘরে প্রতিবেশী আসলাম হোসেন রান্নার জ্বালানি রাখতেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসলামের স্ত্রী নিজের ছেলে ও প্রতিবেশী বাবলুর ছেলেকে নিয়ে জ্বালানি রাখতে যান। শিশু দুটি একটি লাল স্কচটেপে মোড়ানো ছোট খেলনা সদৃশ বস্তু পায়। তারা বল মনে করে সেটি নিয়ে খেলার জন্য ছুড়ে মারে এতে আরজুর ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয় আর মেহেদীর নাভি হতে চোখ পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হয়। এলাকাবাসী তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা খারাপ দেখে চিকিৎসক তাদের যশোর সদর হাসপাতালে পাঠান। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এসময় ওই পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৯টি বোমা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।
০৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৭

সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনা, সংকটাপন্ন শিশুর জীবন
এবার হবিগঞ্জে সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনার সময় তামিম আহমেদ (১২) নামের এক শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন। তাকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি বাজারে অবস্থিত কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। গত ১৫ দিন আগে অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করেছে প্রশাসন। জানা গেছে, বুধবার বিকেলে উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস শহীদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে তামিম আহমেদকে খতনার জন্য বাজারে আনা হয়। এ সময় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সুহুল আমিন ও চিকিৎসক ডা. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আব্দুস শহীদকে ৫ হাজার টাকায় তামিমের খতনা করে দেওয়ার কথা বলে। এরপর হাসপাতালের তালা খুলে তামিমকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান তারা। হঠাৎ শিশুর চিৎকারে তার পরিবার অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখেন মালিক ও চিকিৎসক তামিমকে চড় মারছেন। তারা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী আহত শিশুকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠান। এ সময় হাসপাতালের মালিক স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে খবর প্রকাশ করলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন।  বুধবার রাতেই আহত শিশুর চাচা হারুন মিয়া নবীগঞ্জ থানায় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও চিকিৎসকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, খতনা করার সময় আমার ভাতিজার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার জানান, অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১৫ দিন আগে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছিল। কী জন্য প্রতিষ্ঠানটি খুলে এমন ঘটনা ঘটানো হলো তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, আহত শিশুর চাচা একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা এখনও শিশুটিকে দেখতে পারিনি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়