• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিল করলেন নিপুণ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিল্পী সমিতির সদস্যপদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে অভিনেতা শ্রাবণ শাহকে। গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা নিজেই। ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে নিপুণের কিছুটা বিরুদ্ধে যাওয়ায় নাকি তার সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। শুধু শ্রাবণই নন, আরও ছয়জনের শিল্পী সমিতির সদস্যপদ নিপুণ বাতিল করেছেন বলে জানা গেছে।  গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে শ্রাবণ বলেন, আমার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হলো জানতে চাইলে নিপুণ আপু তখন একটা স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট দেখায় আমাকে। মূলত স্ক্রিনশট ছিল— আমার ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাস। আসলে চিত্রনায়িকা রত্না আপা আর আমি মিলে মজা করে আলাপ করছিলাম।   রত্না আপা ফেসবুকে লেখেন, দুজন এত ঝামেলায় না জড়িয়ে, একজন সভাপতি আরেকজন সাধারণ সম্পাদক হয়ে যাক। দ্বন্দ্বের অবসান হোক। রত্না আপার এই কথার সূত্রেই আমি লিখেছিলাম, সভাপতি পদে কাউকে না পাওয়া গেলে শেষে জায়েদ খানকে সভাপতি করে প্যানেল ঘোষণা দিয়ে আমাদেরকে সারপ্রাইজ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে না তো? আর সেটাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল। নিপুণ আপু স্ক্রিনশটটি আমাকে দেখিয়ে বললেন, এই স্ট্যাটাসের কারণেই নাকি আমার সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।   অভিনেতা আরও বলেন, এই সামান্য কারণে আমার সদস্যপদ কেন স্থগিত করা হবে। আমি গত ১৯ তারিখে শিল্পী সমিতির সমস্ত চাঁদা পরিশোধ করেছি। আসলে বুঝতে পারছি না শিল্পী সমিতিতে এসব কী চলছে? ব্যক্তি আক্রোশ কেন ঝাড়া হচ্ছে? অন্যদিকে এবার স্বতন্ত্র থেকে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন শ্রাবণ। এটাও  একটা কারণ হতে পারে বলে মনে করেন এই অভিনেতা। এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা নিপুণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোন ধরেননি তিনি। তবে নির্বাহী কমিটির সদস্য চিত্রনায়িকা অঞ্জনা বলেন, কিছু সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু সেসব আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা শুনেছি। প্রসঙ্গত, পরীমণির সঙ্গে আপন মানুষ চলচ্চিত্র করে আলোচনায় আসেন শ্রাবণ। সর্বশেষ কাজী হায়াতের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘জয় বাংলা’ সিনেমায় দেখা গেছে এই অভিনেতাকে।   
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৫

শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই শিল্পীদের মাঝে উত্তেজনা বাড়ছে। শিল্পী সমিতির নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। আগামী ১৯ এপ্রিল এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পেছানো হয়েছিল।  পরে ২৭ এপ্রিল নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। তবে সব জল্পনা কাটিয়ে ১৯ এপ্রিলই অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। মিশা সওদাগরের আবেদনের প্রেক্ষিতেই নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ১৯ এপ্রিল করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন ২০২৪-২৬ মেয়াদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। শিল্পী সমিতির নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। প্রথমে কার্যনির্বাহী সদস্যদের সিদ্ধান্তে ১৯ এপ্রিল নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হলেও পরবর্তীতে কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল তফশিল ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ করেন মিশা। নতুন তারিখ ঘোষণায় বিস্মিত গত দুই মেয়াদের সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগর। নতুন তারিখের ফলে আর্থিক ক্ষতিসহ বহু সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর চিঠি দেন এই অভিনেতা। তার প্রেক্ষিতেই পূর্ব নির্ধারিত তারিখেই হবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন।  এবার নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মিশা সওদাগর-ডিপজলের বিপরীতে লড়বেন মাহমুদ কলি-নিপুণ আক্তার। চলতি সপ্তাহে দুই প্যানেলের চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা হবে বলে জানা গেছে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪২

নিপুণের চামচা হয়ে গেছে রিয়াজ : নানা শাহ
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পেছানো হয়েছে। ২৭ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪-২৬ মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচন। ইতোমধ্যেই নতুন-পুরনো অনেক তারকারই নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন।  এবার নায়িকা নিপুণের প্যানেল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন নানা শাহ। তিনি মিশা-ডিপজল প্যানেলে যোগ দিয়েছেন। তার ভাষ্য, নিপুণ কথা রাখেননি। নিপুণের প্যানেলে গিয়ে ভুল করেছিলেন। এবার নিপুণের পাশাপাশি নায়ক রিয়াজকেও কটাক্ষ করে মন্তব্য করলেন নানা শাহ। এই অভিনেতা বলেন, আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আমি যুদ্ধের সময় দৌড়িয়েছি, তাদের খাবার দিয়েছি। গুলি কাঁধে নিয়ে দৌড়িয়েছি। এগুলো বলে আমার লাভটা কি? আমি আজ এ কারণে বলছি যে, আমাকে আড়াইশো-তিনশ লোকের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। কারণ আমি যুদ্ধ করা একটা মানুষ। নায়ক রিয়াজকে উদ্দেশ্য করে করে নানা শাহ বলেন, রিয়াজকে আমি খুব পছন্দ করি। আমার মনে হয় ও ব্যক্তিত্বহীন একটা ছেলে। নিপুণের পিছে পিছে যখন হাঁটে তখন আমার মনে হয় সে ব্যক্তিত্বহীন। আর হিরো হিসেবে এখন তাকে চিন্তাই করি না। কারণ, হিরো হতে হয় দুই জায়গায় বাস্তবেও তাকে হিরো হতে হয়। স্ক্রিনে যে হিরো বাস্তবেও সে হিরো। না হলে তাকে হিরো মানায় না। সে এখন নিপুণের চামচা হয়ে গেছে- এটা খুব কষ্টদায়ক! আমি রিয়াজ-ফেরদৌস একসঙ্গে ফিল্মে ঢুকেছি। আমার কল্পনায় আসে না রিয়াজ নিপুণের পিছে পিছে হাঁটবে! রিয়াজের পিছনে নিপুণ হাঁটবে এটা আমি চাই। ইনশাল্লাহ এটা হবে। রিয়াজ বুঝতে পারবে। এদিকে, সম্প্রতি চাউর হয়েছে শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন হবে না। তবে নানা শাহ বলেন, কেউ নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। তা হতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, আমি শুনছি নির্বাচন বন্ধ করে দেবে। এসব ফালতু কথা বলে কোনো লাভ নেই। নির্বাচন হবেই। আমরা সব শিল্পীরা মিলে নির্বাচন করব। কেউ যদি বাধা দেয়, নির্বাচন বানচাল করতে চায় আমরা তাকে বাধা দেব। কিন্তু শিল্পী সমিতির নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। এবারের নির্বাচনে মিশা সওদাগর (সভাপতি পদপ্রার্থী) ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল (সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী) থাকবেন এক প্যানেলে। অন্যদিকে, মাহমুদ কলি (সভাপতি পদপ্রার্থী) ও নিপুণ আক্তার (সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী) থাকবেন এক প্যানেলে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৭

শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পেছানো হয়েছে। ২৭ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪-২৬ মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচন। ইতোমধ্যেই নতুন-পুরোনো অনেক তারকারই নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। তবে নতুন খবর হলো এত প্রস্তুতির মাঝেও নির্বাচন স্থগিতের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শিল্পী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বলেন, নির্বাচন পেছানোর জন্য আমাদের কাছে চিঠি এসেছে। আবার নির্বাচন এগিয়ে আনার জন্যও চিঠি এসেছে। তারা তাদের মতো করে যুক্তি তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন। অন্যদিকে সরারসরি নির্বাচন স্থগিত চেয়েও আবেদন করা হয়েছে। শিল্পী সমিতির চলমান মামলার কাগজসহ কমিশনে আবেদন করেছেন। আমরা নির্বাচন কমিশন মিটিং করে একজন আইনজীবী নিয়েছি। তার পরামর্শ নেব। বিষয়টা আদালতের ওপর নির্ভর করছে। ১৯ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে সম্প্রতি ২৭ এপ্রিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খসরু। নতুন এই তারিখ ঘোষণায় বিস্মিত গত দুই মেয়াদের সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগর। নতুন তারিখের ফলে আর্থিক ক্ষতিসহ বহু সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছেন এই অভিনেতা। এবারের নির্বাচনে মিশা সওদাগর (সভাপতি পদপ্রার্থী) ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল (সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী) থাকবেন এক প্যানেলে। অন্যদিকে, মাহমুদ কলি (সভাপতি পদপ্রার্থী) ও নিপুণ আক্তার (সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী) থাকবেন এক প্যানেলে।
২১ মার্চ ২০২৪, ২১:১৬

ফের নির্বাচনের মাঠে নায়িকা পলি
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যেনো আলোচনা ও উন্মাদনা শেষ নেই। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে শিল্পীদের মাঝে উত্তেজনা। ইতোমধ্যেই নতুন-পুরোনো অনেক তারকারই নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে নির্বাচনের নতুন তারিখ। এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন চিত্রনায়িকা পলি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মাহমুদ কলি-নিপুণ আক্তার প্যানেল থেকে নির্বাচনে লড়বেন তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নায়িকা নিজেই। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে আছি। অনেকগুলো সিনেমা করেছি। সিনিয়র শিল্পী হিসেবে দারুণ অভিজ্ঞতা আছে। তাছাড়া ফিল্ম ক্লাব নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব পালন করছি। বিগত অভিজ্ঞতা এ নির্বাচনে কাজে লাগানো যাবে। গত নির্বাচন থেকে বেশ চর্চায় শিল্পী সমিতি। এই অস্থির সময়ে নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত কতটুকু যুক্তিসঙ্গত মনে হয়? উত্তরে পলি বলেন, যে কোনো নির্বাচনে তর্ক-বিতর্ক থাকবেই। আলোচনা না হলে জমে না। এগুলো নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। আশা রাখছি, এবার সুস্থ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হবে। যেহেতু আমি সদস্য পদে নির্বাচন করছি জয়ী হলে নির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব। এর আগে পলি দ্বিতীয়বারের মতো চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্টদের সংগঠন বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। খুলনার মেয়ে পলি ২০০১ সালে মোহাম্মদ হোসেনের ‘ফায়ার’ সিনেমায় প্রয়াত মান্নার নায়িকা হিসেবে অভিষেক ঘটে। এর পর তিনি ১১৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে রাজধানীর গুলশানে বসবাস করছেন।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২০:০৭

অবশেষে সভাপতি খুঁজে পেলেন নিপুণ!
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নিজ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী খুঁজে পেলেন আলোচিত চিত্রনায়িকা ও আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুণ আক্তার। এবার তিনি মাহমুদ কলিকে নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন মিশা-ডিপজল’র বিপক্ষে। একটি বিশেষ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে৷ এ বিষয়ে রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন নিপুণ। এর আগে মাহমুদ কলি শিল্পী সমিতির দুই দফা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন পর আবারও সমিতির নির্বাচনে দেখা যাবে তাকে। এদিকে, বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েন নিপুণ। হন্যে হয়ে সভাপতি খুঁজে বেড়ান তিনি। সেই তালিকায় ছিলেন—শাকিব খান, ফেরদৗস আহমেদ, অনন্ত জলিল ও আহমেদ শরীফ। তারা সবাই নিপুণকে ফিরিয়ে দেন। এমন অবস্থায় নিপুণের পাশে এসে দাঁড়ালেন মাহমুদ কলি। আগামী এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল প্যানেল নির্বাচন করবেন। প্রসঙ্গত, মাহমুদ কলি ছিলেন আশি ও নব্বই দশকের নায়ক। তার পারিবারিক নাম মাহমুদুর রহমান উসমানী। তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রনির্মাতা আজিজুর রহমান বুলি’র ছোট ভাই। মূলত ভাইয়ের হাত ধরেই তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। এরপর দেখিয়েছেন অভিনয়ের মুন্সিয়ানা। মাহমুদ কলি’র প্রথম চলচ্চিত্র ‘মাস্তান’। তিনি এই চলচ্চিত্রে সহ-অভিনেতার ভূমিকায় ছিলেন। এরপর ১৯৭৮ সালে অশোক ঘোষ নির্মিত ‘তুফান’ চলচ্চিত্রে মূল নায়কের ভুমিকায় অভিনয় করেন। মাহমুদ কলি ৬১টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫০

নিপুণের প্যানেলে ভাঙন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যেনো আলোচনা ও উন্মাদনা শেষ নেই। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে শিল্পীদের মাঝে উত্তেজনা। ইতোমধ্যেই নতুন-পুরোনো অনেক তারকারই নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে নির্বাচনের নতুন তারিখ। এবারের নির্বাচনে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর থাকবেন এক প্যানেলে। অন্যদিকে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।  একজন রাজনীতিবিদের অনুরোধে গতবার সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জানিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, নিপুণ শুধু আমাকে না, আমার ছেলেকেও ম্যানেজ করেছে। তবু আমি দাঁড়াতাম না। আমাদের দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদ অনুরোধ করেছিলেন। কারণ, তার প্রতি আমার একটা ভালোবাসা-শ্রদ্ধা রয়েছে, যার কারণে আমার এ জায়গায় আসতে হয়েছে। ইলিয়াস কাঞ্চন ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর  বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার সভাপতি খোঁজে আছেন। শাকিব খান থেকে শুরু করে প্রস্তাব দিয়েছেন অনন্ত জলিলকেও। কিন্তু সবাই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত তিনি সভাপতি পাননি তবে বার বারই বলছেন নির্বাচনে চমক নিয়ে আসছেন তিনি।   এদিকে নিপুণের প্যানেলে ভাঙন দেখা যাচ্ছে। গেলবার যাদের নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন তাদের অনেকেই এবার নিপুণের সঙ্গ ত্যাগ করছেন। কেউ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না আবার কেউবা মিশা-ডিপজল প্যানেলে নাম লিখিয়েছে ইতোমধ্যে। যাদের মাঝে ইতোমধ্যে জানা গেছে গেলবার কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ছিলেন নায়িকা শাহনূর। এবার তিনি নাম লিখিয়েছেন অন্য প্যানেলে। কারণ হিসেবে এই নায়িকা বলেন, কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ দায়িত্ব দেয়ার পর অনেক কিছুই তারা তাদের একক সিদ্ধান্ত করেছে। কাউকে জিজ্ঞাসা করার মনে করেননি। একজনের সিদ্ধান্তই কমিটিতে চূড়ান্ত ছিল।  শাহনূর আরও বলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়া সত্ত্বেও দুই বছর সমিতির মিটিং ছাড়া আমাকে ডাকেনি এবং কিছুতে রাখেনি। সবকিছু থেকে আমাকে দূরে রাখা হয়েছে। শিল্পীদের প্রাপ্য সম্মান চাই। গত দুই বছরে আমরা শিল্পীরা যে, সম্মান হারিয়েছি তা ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে চাই। যার কারণে এই প্যানেলে আসা। ওই কমিটি থেকে দুই বছর তেমন কিছুই করতে পারিনি। এই কমিটিতে থেকে একসঙ্গে সবাই মিলে কাজ করব।  এদিকে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদে কার্যকরী পরিষদে ছিলেন অভিনেতা নানা শাহ। তিনিও এবার নাম লিখিয়েছেন মিশা-ডিপজল প্যানেলে। বেশ আক্ষেপ করেই এই অভিনেতা বলেন, আগেরবার আমি ও ডি এ তায়েব নিপুণের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম। ভালো কিছু কাজের আশা করেই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম। তারা কথা দিয়েছিল সিনেমা নির্মাণ করবে। একটি কথা মনে রাখবেন শিল্পী সমিতি কিন্তু সিনেমা নির্মাণ করতে পারে না। কিন্তু নিপুণ কথা দিয়েছিল ৬টি সিনেমা নির্মাণ করবে। আমি তার কথা অনুযায়ী এগিয়ে ছিলাম। দুটি সিনেমা এন্টি করেছিলাম। কিন্তু তারা আমার পাশে কেউ আসেনি। আমরা শিল্পীরা সম্মান ও ভালোবাসা চাই। এটা যখন আমরা হারিয়ে ফেলি তখন খুব কষ্ট পাই। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে আমাদের অনেক শিল্পী এখন বেকার। তাদের জন্য শিল্পী সমিতি দুই বছর কি করতে পেরেছে? দুই বছরে শিল্পী সমিতির সফলতা দেখছি না।  দুই বছরে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের কাজের সফলতা না দেখলেও অদ্ভুত সফলতা দেখেছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের টেলিভিশনের নায়ক চঞ্চল চৌধুরী ভারতে পুরস্কার পেয়েছে সেটি নাকি শিল্পী সমিতির আবেদন। এখানে শিল্পী সমিতি কী? এটি তো তার কর্মে পেয়েছে। কাজ করতে হবে, এরকম অদ্ভুত কথা বলে লাভ নেই। ওই কমিটিতে আমরা গিয়ে ভুল করেছি। তাই এবার আগেই ঠিক করেছি মিশা-ডিপজল প্যানেলে আসব। যারা কিছু করতে পারবে তারাই এই প্যানেলে আছে। এদিকে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদে সহ-সভাপতি ছিলেন অভিনেতা  ডি এ তায়েব। তিনিও বেশ সাবেক প্যানেলের কর্মকান্ডে বিরক্ত হয়েই এবার মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত  নিয়েছে।  কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদে কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচন করে ভোটে পরাজিত হলেও কো-অপ্টের মাধ্যমে কমিটিতে জায়গা পান চলচ্চিত্র অভিনেতা সীমান্ত আহমেদ। তবে নিজের প্যানেলের সভাপতির ওপর অনেকটাই বিরক্ত এই অভিনেতা। জানান, ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্য দুই বছর কাজ করতে পারেননি তারা।  সীমান্ত বলেন, সভাপতির অনুমতি ছাড়া তো কিছু করা সম্ভব না। আমরা কমিটিতে আসার পর সেভাবে আসলে কিছু করা হয়নি, করতে পারিনি। যখন শিল্পীরা বলে তোমাদের অনেক আশা নিয়ে ভোট দিয়েছি, তখন তাদের কিছু বলতে পারি না। শিল্পীদের জন্য কিছু করতে না পারায় তাদের মুখ দেখাতে পারি না। নিপুণের প্যানেলের সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। তিনি সহ-সাধারণ সম্পাদকের পদে নির্বাচন করে জয়ী হন। তিনি সম্প্রতি ক্ষোভ ঝেড়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দেন। এদিকে তিনি নির্বাচন করছেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। তবে কেন নির্বাচন করবেন না তা পরিষ্কার করেননি এই নায়ক। জানা যায় অনেকটা ক্ষোভ আর অভিমান নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এদিকে  নিপুণের প্যানেলের দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আরমান গত নির্বাচনে নিপুণের হয়ে কাজ করেছেন। এবার তিনি ডিপজল-মিশা প্যানেলে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইমনও নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।  নিপুণের প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। সদ্য নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচণে অংশ নিচ্ছেন না। নিপুণ তাকে সভাপতি পদে নির্বাচনের অনুরোধ করলে তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।    
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৪

আমরা নিপুণের প্যানেলে গিয়ে ভুল করেছিলাম : নানা শাহ (ভিডিও)
আগেরবার আমি ও ডি এ তায়েব নিপুণের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম। ভালো কিছু কাজের আশা করেই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম। তারা কথা দিয়েছিল সিনেমা নির্মাণ করবে। একটি কথা মনে রাখবেন শিল্পী সমিতি কিন্তু সিনেমা নির্মাণ করতে পারে না। কিন্তু নিপুণ কথা দিয়েছিল ৬টি সিনেমা নির্মাণ করবে। আমি তার কথা অনুযায়ী এগিয়ে ছিলাম। দুটি সিনেমা এন্টি করেছিলাম। কিন্তু তারা আমার পাশে কেউ আসেনি। আমরা শিল্পীরা সম্মান ও ভালোবাসা চাই। এটা যখন আমরা হারিয়ে ফেলি তখন খুব কষ্ট পাই। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে আমাদের অনেক শিল্পী এখন বেকার। তাদের জন্য শিল্পী সমিতি দুই বছর কি করতে পেরেছে? দুই বছরে শিল্পী সমিতির সফলতা দেখছি না। আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলেছেন চলচ্চিত্র অভিনেতা নানা শাহ। দুই বছরে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের কাজের সফলতা না দেখলেও অদ্ভুত সফলতা দেখেছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের টেলিভিশনের নায়ক চঞ্চল চৌধুরী ভারতে পুরস্কার পেয়েছে সেটি নাকি শিল্পী সমিতির আবেদন। এখানে শিল্পী সমিতি কী? এটি তো তার কর্মে পেয়েছে। কাজ করতে হবে, এরকম অদ্ভুত কথা বলে লাভ নেই। ওই কমিটিতে আমরা গিয়ে ভুল করেছি। তাই এবার আগেই ঠিক করেছি মিশা-ডিপজল প্যানেলে আসব। যারা কিছু করতে পারবে তারাই এই প্যানেলে আছে। আগের প্যানেলে প্রযোজক ছিল না। কিন্তু এই প্যানেলে প্রযোজক-পরিচালক ও শিল্পী তিনটিই আছে। ডিপজল, মিশা, আমি, রোজিনা, তায়েব, জ্যাকি আলমগীর প্রযোজক। আমরা বলব না কি করব, কাজে দেখাব। আমরা কোন অন্যায় চাই না, বিভাজন চাই না। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি কিন্তু এখন কেমন যেন এক অদ্ভুত পরিস্থিতি হয়েছে। সম্প্রতি চাউর হয়েছে শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন হবে না। তবে নানা শাহ বলেছেন কেউ নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। তা হতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, আমি শুনতেছি নির্বাচন বন্ধ করে দিবে, হবে না। এসব ফালতু কথা বলে কোন লাভ নেই। নির্বাচন হবেই। আমরা সব শিল্পীরা মিলে নির্বাচন করব। কেউ যদি বাধা দেয়, নির্বাচন বানচাল করতে চায় আমরা তাকে বাধা দেব। কিন্তু শিল্পী সমিতির নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। প্রযোজক-পরিচালক এবং সনি সিনেমা হলের মালিক মোহাম্মদ হোসেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমিতিতে ঝামেলা তৈরি করছে। সে কথা উল্লেখ করে তার কাছে অনুরোধ জানিয়ে ‘মাটি ও মানুষ’ সিনেমার এই নায়ক বলেন, মোহাম্মদ হোসেনের কাজ হচ্ছে ঝামেলা তৈরি করা। প্রযোজক সমিতি নষ্ট করে এসেছে শিল্পী সমিতি নষ্ট করতে। তার কাছে আমার হাত জোর অনুরোধ—দয়া করে আপনি বাড়ি চলে যান। আমাদের শিল্পীদের নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। আপনি সিনেমা বানান। আমাদের নিয়ে কেন খেলছেন? দয়া করে আপনি আমাদের শিল্পীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করবেন না। সম্প্রতি নিপুণের সভাপতির খোঁজে মাঠে নেমে সমালোচনায় জড়ান আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলম। তাদের কাছে আশা ব্যক্ত করে নানা শাহ বলেন, নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে বিতর্ক শুনেছি। কিন্তু তাদের কাছে আশা করব, এরকম বিতর্ক যেন আর না হয়। তারা সুস্থ ও সুন্দর একটি নির্বাচন পরিচালনা করবেন সেই আশা ব্যক্ত করছি। গত নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের ইশতেহারে প্রথম গুরুত্ব ছিল এফডিসিতে প্রধানমন্ত্রীকে আনার বিষয়টি। কিন্তু তারা তা পারেনি। সে প্রসঙ্গে এই অভিনেতা বলেন, মুখে তো অনেক কথাই বলা যায়। আমরা একটি কথাই বলতে চাই—সব শিল্পী এক হব এবং সবাই একসঙ্গে হয়ে বাঁচার চেষ্টা করব। যাতে আমাদের কষ্ট না হয়। সবাই যেন ভালো থাকতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করি, প্রধানমন্ত্রী নিজে আনন্দের সঙ্গে বলবেন—আমার বাবা এই এফডিসি তৈরি করেছেন। আমি নিজে গিয়ে একদিন শিল্পী সমিতি গিয়ে বসব। আমাদের আনার শক্তি নেই। এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে বেশ কয়েক জন শিল্পীদের দৌড়ঝাঁপ ছিল চোখে পড়ার মতো। এসব শিল্পীদের উদ্দেশ্য ‘আনন্দ অশ্রু’ সিনেমার এই অভিনেতা বলেন, একজন শিল্পীকে সারা বাংলাদেশ চিনে। আর একজন এমপিকে একটা এড়িয়ার লোক চিনে। আমাদের কিছু শিল্পী বোকা তারা এমপি হওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। অভিনয় চালিয়ে যান আপনাকে সারা বাংলাদেশের মানুষ চিনবে। আপনি কেন এমপি হওয়ার জন্য দৌঁড়াচ্ছেন। সর্বশেষ সবার কাছে দোয়া চেয়ে নানা শাহ বলেন, আমরা যারা এক হয়েছি তারা যেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এক থাকতে পারি সবাই দোয়া করবেন। প্রসঙ্গত, নানা শাহ ১৯৮২ সালে আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘মাটি ও মানুষ’ সিনেমাতে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তারপর হাসিবুল ইসলাম মিজানের ‘প্রেমের কসম’ ও হাফিজ উদ্দিনের ‘বাজিগর’ সিনেমাতে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করার পর দর্শকদের ভালোবাসা কুড়ান। এরপর ‘পৃথিবী আমাকে চায় না’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘তুমি আমার ভালোবাসা’সহ বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করেন তিনি। চলচ্চিত্রে প্রথমে নায়ক চরিত্রে ক্যারিয়ার শুরু করলেও খল নায়ক চরিত্রে কাজ করে দর্শকপ্রিয়তা পান নানা শাহ।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৪

নিপুণের জন্য বড় নেতার অনুরোধে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করেন ইলিয়াস কাঞ্চন
দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদের অনুরোধে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। তবে নিপুণের হয়ে অনুরোধ করা সেই বড় রাজনীতিবিদের নাম বলেননি তিনি। খবর রয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী নেতা নিপুণের হয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনকে নির্বাচনে আসার অনুরোধ করেছিলেন। একজন রাজনীতিবিদের অনুরোধে গতবার সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, নিপুণ শুধু আমাকে না, আমার ছেলেকেও ম্যানেজ করেছে। তবু আমি দাঁড়াতাম না। আমাদের দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদ অনুরোধ করেছিলেন। কারণ, তার প্রতি আমার একটা ভালোবাসা-শ্রদ্ধা রয়েছে, যার কারণে আমার এ জায়গায় আসতে হয়েছে। কমিটি নিয়ে তুলকালাম হয়ে যাওয়ার পরও পদত্যাগ না করার কারণ জানিয়ে চিত্রনায়ক কাঞ্চন বলেন, আসলে পদত্যাগ জিনিসটি ভালো নয়। আমার তরফ থেকে কোনো ক্রটি আমি করিনি। ভালো হতো আমাদের সবাই যদি এক মানসিকতার হতো। বছরে অন্তত একটি সাধারণ সভার নিয়ম আছে, কিন্তু আমরা সেটিও করতে পারিনি। আসলে এত অনিয়ম যে একা একটা মানুষ তো আর সব করতে পারে না। প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে মিশা-ডিপজল এক প্যানেল হয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। অন্যদিকে নিপুণের নির্বাচন করার কথা রয়েছে তবে এখন পর্যন্ত তিনি তার প্যানেলের জন্য সভাপতি খুঁজে পাননি। 
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৬

স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন নাসরিন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যেনো আলোচনা ও উন্মাদনা শেষ নেই। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে শিল্পীদের মাঝে উত্তেজনা। ইতোমধ্যেই নতুন-পুরোনো অনেক তারকারই নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে নির্বাচনের নতুন তারিখ। আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচনে লড়বেন অভিনেত্রী নাসরিন। বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় এফডিসিতে অবস্থিত শিল্পী সমিতির অফিসে আলাপকালে এ কথা জানান নাসরিন নিজেই। তিনি বলেন, আমি স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করছি এবং কার্যকরী পরিষদে আমি থাকতে চাই। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আমি অনেক আশাবাদী। এর আগেও আমি নির্বাচন করেছি এবং সেখানে জয়লাভ করেছি। কথা প্রসঙ্গে নাসরিন বলেন, গত নির্বাচনেও আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমাকে করতে দেওয়া হয়নি। একটি প্যানেল আমাকে নির্বাচন করতে বাধা দেয়। আমি তাদের নাম বলতে চাই না। এবার আর পিছু হাঁটতে চাই না। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে লড়ব। প্রসঙ্গত, শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তে আগামী ১৯ এপ্রিল (শুক্রবার) নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং ছাড়াই নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করে শিল্পী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার। নতুন এই তারিখ ঘোষণায় বিস্মিত গত দুই মেয়াদের সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগর। নতুন তারিখের ফলে আর্থিক ক্ষতিসহ বহু সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বরাবর চিঠি দিয়েছেন এই অভিনেতা।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়