• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শান্ত-বিজয়দের বীরত্বে ডিপিএলের শিরোপা আবাহনীর
চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) টানা ১৩ ম্যাচ জিতে আগেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে আবাহনী লিমিটেড। সবশেষ ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে শান্ত-লিটনরা।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সুপার লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে পাহাড় সমান ৩৪৪ রানের লক্ষ্য দেয় আবাহনী। জবাব দিতে নেমে ৩৫.১ ওভারের খেলা শেষে ১৭২ রান তুলতে গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ। এতে ১৭১ রানের বড় জয় পায় শান্তরা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার আনিসুল হকের উইকেট হারিয়ে ফেলে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। আরেক ওপেনার পিনাক ঘোষ ২০ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন। মাঝে তিনে নেমে ৩৪ বলে ৩৮ রানের ছোট্ট এক ঝড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন হাবিবুর রহমান সোহান। নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেটের পতনের ফলে ম্যাচটা কঠিন হতে থাকে গাজী গ্রুপের জন্য। মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন সাব্বির হোসেন। বাকিদের মধ্যে প্রীতম কুমার ৪২ বলে ১৮ রান করেন।  অন্যদিকে ২৩ বলে ১৪ রান করেন মইন। শেষ পর্যন্ত ৬৮ বলে ৬২ রান করে সাব্বির আউট হলে, ৩৫.১ ওভারে ১৭২ রান তুলতেই অলআউট হয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। এতে ১৭১ রানের জয় পায় আবাহনী। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন রকিবুল ইসলাম। এছাড়া ২টি করে উইকেট তোলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এবং তানজিম হাসান সাকিব। সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবং তানভীর ইসলাম নেন ১টি করে উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নিজের চিরাচরিত ধীরে চলো নীতিতে এগোতে থাকেন নাঈম শেখ। আরেক প্রান্তে লিটন কুমার দাস এগোচ্ছিলেন সাবলীল গতিতে। উদ্বোধনী জুটি থেকে রান এসেছে ৫৭। ৫২ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন নাঈম। লিটনও ফিরেছেন কিছুক্ষণ পরেই। ৪৪ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। এরপর ক্রিজে জোট বাঁধেন নাজুমল হোসেন শান্ত এবং এনামুল হক বিজয়। তাদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এগোতে থাকে দলের ইনিংস। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে এগোতে থাকেন শান্ত-বিজয়। ফিফটির দেখা পেয়েছেন দুজনই। ৫১ বলে ৬৮ রান করে বিজয় আউট হলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। এরপর ৮৪ বলে ১০১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে বিদায় নেন শান্ত। শেষ পর্যন্ত তাওহীদ হৃদয়ের ৪০ বলে ৫৮ রান এবং মোসাদ্দেকের ১৭ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৪৩ রানের বড় পুঁজি পায় আবাহনী।  
৫ ঘণ্টা আগে

শিরোপা স্বপ্নে হোঁচট খেল লিভারপুল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) ‘মার্সিসাইড ডার্বি’তে জিতলে লিভারপুলের সামনে সুযোগ ছিল শীর্ষে থাকা আর্সেনালকে ছুঁয়ে ফেলার। কিন্তু এভারটনের কাছে ২-০ গোলে হেরে শিরোপা রেস থেকে পিছিয়ে পড়ল লিভারপুল। অন্যদিকে প্রায় ১৪ বছর পর ‘মার্সিসাইড ডার্বি’তে জয়ের স্বাদ পেল এভারটন। এতে অলরেডদের শিরোপা স্বপ্ন অনেকটা ফিকে হয়ে গেল। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ঘরের মাঠ গুডিসন পার্ক স্টেডিয়ামে লিভারপুলকে আতিথ্য দেয় এভারটন। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে এভারটনই বাজিমাত করে। ম্যাচের ২৯তম মিনিটেই জেরার্ড ব্রান্থওয়েটের গোলে লিড নেয় স্বাগতিকরা।  গোল শোধে মরিয়া চেষ্টা চালালেও ম্যাচে ফিরতে ব্যর্থ হয় ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন লুইস দিয়াস। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় লিভারপুল। দ্বিতীয়ার্ধের অল্প সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় স্বাগতিকেরা। ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে দারুণ হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডমিনিক কালভার্ট লেউইন। জোড়া গোল হজমের পর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি লিভারপুলের। শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে পরাজয় মানতে হয় অল রেডদের। ফলে ৩৪ ম্যাচ শেষে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই থাকতে হচ্ছে লিভারপুলকে। যেখানে সমান ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে আর্সেনাল। অন্যদিকে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার সিটি।    
১৬ ঘণ্টা আগে

মুলতানকে কাঁদিয়ে ইসলামাবাদের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়
জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে পর্দা উঠেছে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) নবম আসরের। ফাইনালে সুলতান মুলতান এবং ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের লড়াই দিয়ে পর্দা নেমেছে টুর্নামেন্টের। ফাইনালে মুলতান সুলতানসকে দুই উইকেটে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা ঘরে তুলেছে ইসলামাবাদ। সোমবার (১৮ মার্চ) শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ইসলামাবাদকে ১৬০ রানের লক্ষ্য দেয় মুলতান। জবাব দিতে নির্ধারিত ওভারে দুই উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় ইমাদ-শাদাবরা।  চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো করেন ইসলামাবাদের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিং মুনরো। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি মুনরো। ১৩ বলে ১৭ রান করে আউট হন তিনি। ১০ রান করে ফেরেন আঘা সালমানও। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি শাদাব খানও। ৮ বলে ৪ রান করে দলের অধিনায়ক বিদায় নিলে চাপে পড়ে ইসলামাবাদ। এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন গাপটিল। ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই কিউই ব্যাটার। পরের বলে রান আউট হন তিনি। ২২ বলে ৩০ রান করে আউট হন আজম খানও। ৩ বলে ৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন হায়দার আলী। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে ১ করা ফাহিম আশরাফকে ফিরিয়ে ইসলামাদকে চাপে ফেলে মুলতান। শেষ ১২ বলে ইসলামাবাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯ রান। ১৯তম ওভারে ১১ রান তুলে ম্যাচ সহজ করে ইমাদ ওয়াসিম। শেষ পর্যন্ত ইমাদের ১৭ বলে ১৯ রান এবং নাসিম শাহর ৯ বলের ১৭ রানের ইনিংসে ভর করে দুই হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। মুলতান সুলতানসের হয়ে খুশদিল শাহ ও ইফতেখার আহমেদ দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও ডেভিড উইলি, মোহাম্মদ আলী এবং উসামা মীর একটি করে উইকেট শিকার করেন এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মুলতানের। ৬ বলে ৬ রান করে ওপেনার ইয়াসির খান আউট হলে ৩ বলে ৬ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ডেভিড উইলি। উসমান খানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি মুলতান দলপতি। ২৬ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি জনসন চালর্সও। ৪ বলে ৬ রান করে আউট হন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। তবে পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন উসমান খান। ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন এই তারকা ব্যাটার। ৪০ বলে ৫৭ রান করে উসমান আউট হলে উইকেট মিছিল শুরু করে বাকিরা। খুশদিল শাহ (১১), উসামা মীর (৬), আব্বাস আফ্রিদি (১) এবং শূন্য রান করে ফেরেন ক্রিস জর্দান। শেষ দিকে ব্যাট হাতে একাই লড়াই করেন ইফতেখার আহমেদ। এই ডান হাতি ব্যাটারের ২০ বলের হার না মানা ৩২ রানের ইনিংসে ভর করে নয় উইকেটে ১৫৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় সুলতান মুলতান। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট শিকার করেন ইমাদ ওয়াসিম। তিন উইকেট শিকার করেন শাদাব খান। পিএসএলের উদ্বোধনী আসরে ২০১৬ সালে প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিলো ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয় এবং ২০২৪ সালে তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুললো আসরের সব থেকে সফল দলটি।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ০২:১৯

ভারতকে হারিয়ে শিরোপা বাংলাদেশের
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময় শেষেও ১-১ গোলের সমতায় ছিল ফাইনাল ম্যাচ। এরপর টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে ভারতকে হারিয়ে শিরোপার স্বাদ নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। রোববার (১০ মার্চ) কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় ভারত। এরপর গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠে বাংলাদেশ।  পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও ম্যাচের ৭০তম মিনিটে মৌমিতার গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এরপর আর কোনো গোল না হলে টাইব্রেকারে গড়ায় ফাইনালের ভাগ্য।  টাইব্রেকারের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। লাল-সবুজের অন্যতম ভরসা সুরভীর শট বামপাশে ঝাপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন ভারতীয় গোলরক্ষক। অন্যদিকে প্রথম শট থেকেই গোল আদায় করে নেয় ভারতীয় দল। তবে ভারতের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শট টানা সেভ করে বাংলাদেশকে নিরাপদে রাখেন ইয়ারজান বেগম। মূলত তিনি শিরোপা জয়ের নায়ক। পাঁচটি শটের মধ্যে তিনটিই সেভ করেন তিনি। বিশেষ করে ভারতের শেষ শট রুখে দিয়ে লাল-সবুজ শিবিরকে শিরোপা উল্লাসে মাতিয়েছেন ইয়ারজান। অন্যদিকে ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক এক মিনিট আগে গোলরক্ষক পরিবর্তন করেন ভারতীয় কোচ। এতেই বাড়তি সুবিধা পায় দলটি। আর ভারত প্রথমে শট নেওয়ায় আরেকটু বিপাকে পড়ে বাংলার বাঘিনীরা। টাইব্রেকারে মারিয়াম ও থুইনি মারমার গোলে ২-১ ব্যবধানে লিড নেয় বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ শটে সমতায় ফেরে ভারত। টাইটান উত্তেজনায় রূপ নেওয়া ফাইনালের ফল আসে পঞ্চম শটে। শেষ শটে সাথী মুন্ডার গোল আর গোলরক্ষকের সেভে ৩-২ স্কোরলাইনে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় কমলাপুরে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারত। ওই ম্যাচেও নির্ধারিত সময়ে ১-১ ছিল স্কোরলাইন। এরপর টাইব্রেকারে ১১টি করে গোল করে দুই দলই। এরপর ম্যাচ কমিশনারের নিয়ম-বর্হিভূত টস নাটকীয়তা শেষে যুগ্ম শিরোপা ঘোষণা করে সাফ।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৬

বরিশালের প্রথম শিরোপা উল্লাস
বিপিএলের দশম আসরে অনেকগুলো সমীকরণের বেড়াজাল পেরিয়ে প্লে-অফ খেলার সুযোগ পেয়েছিল ফরচুন বরিশাল। টানা চার ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল। আসরের সব থেকে সফল ও শক্তিশালী দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে প্রথমবার ট্রফি জিতেছে বরিশাল। শুক্রবার (১ মার্চ) টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বরিশাল। প্রথমে ব্যাট করে বরিশালকে ১৫৫ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। জবাব দিতে নেমে ৬ বল এবং ছয় উইকেট হাতে থাকতেই প্রথমবার বিপিএলের শিরোপা জিতলো দক্ষিণ অঞ্চলের দলটি। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বরিশালকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেয় তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৬ রান। ২৬ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তামিম। মঈন আলীর বলে বোল্ড আউট হন তিনি। তামিমের আউটের পর বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি মিরাজও। মঈন আলীকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন তিনি। ২৬ বলে ২৯ রান করে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। তিনে ব্যাট করতে এসে মুশফিকতে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন কাইল মায়ার্স। ৩০ বলে ৪৬ রানে মায়ার্স আউট হলেও ততক্ষণে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বরিশাল। ১৭ বলে ১৩ রান করে আউট হন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত মিলারের ৮ ও মাহমুদউল্লাহর ৭ রানে ভর করে ৬ বল এবং ছয় উইকেট হাতে থাকতেই প্রথমবার বিপিএলের শিরোপা জিতলো দক্ষিণ অঞ্চলের দলটি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে মোস্তাফিজ এবং মঈন আলী দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
০২ মার্চ ২০২৪, ১১:১৫

বরিশালের প্রথম নাকি কুমিল্লার পঞ্চম শিরোপা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের নয় আসরের মধ্যে সর্বোচ্চ চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সবশেষ দুই আসরে টানা শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা। এবার তাদের সামনে হ্যাটট্রিক শিরোপার হাতছানি। ফরচুন গ্রুপ বরিশালের মালিকানা হওয়ার পর দুই আসরে মধ্যে একটিতে ফাইনাল খেলেছিল। তবে শিরোপা জিততে পারেনি তারা। তাই ফরচুন বরিশালের সামনে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। প্রথমবার শিরোপা জয়ের মিশনে থাকা বরিশালের ফাইনালে আসার রাস্তাটা খুব একটা সহজ ছিল না। গ্রুপ পর্বে ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করে তারা। এলিমিনেটরে চট্টগ্রামকে উড়িয়ে তাদের নতুন যাত্রা শুরু হয়। এরপর কোয়ালিফায়ার রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পায় তামিম ইকবালের দল। বরিশালে সবচেয়ে বড় পুঁজি অভিজ্ঞতা। জাতীয় দলের একাধিক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন বরিশাল শিবিরে। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে দেখা যেতে পারে মিরাজ অথবা সৌম্য সরকারকে। দুইজনই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। তিনে খেলবেন কাইল মায়ার্স। সবমিলিয়ে দলটার টপ অর্ডার নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি দিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। চারে দেখা যাবে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে। পাঁচে আছেন ডেভিড মিলার। এই প্রোটিয়া ব্যাটার হতে পারেন ট্রাম্পকার্ড। মিডল অর্ডারে আরেক ভরসার নাম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মিডল অর্ডারকে মজবুত করেছে। ফিনিশিংয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ অথবা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনরা নিজেদের সামর্থ্যের প্রামণ দিয়েছেন। তাছাড়া জেমস ফুলার ও ওবেদ ম্যাকয়রাও ব্যাট চালাতে পারেন। সবমিলিয়ে লম্বা ব্যাটিং লাইন আপ তাদের। অন্যদিকে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে হেরে আসর শুরু করেছিল কুমিল্লা। প্রথম ৪ ম্যাচে তাদের নামের পাশে ছিল ৪ পয়েন্ট। তখন প্লে-অফ নিয়েই শঙ্কা ছিল কুমিল্লার। তবে এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। টানা ৫ জয়ে ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডে এক পা দিয়ে রাখে কুমিল্লা। শেষ পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে তারা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে টেবিল টপার রংপুর রাইডার্সকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে প্রথম সুযোগেই ফাইনাল নিশ্চিত করে কুমিল্লা। এটা কুমিল্লার পঞ্চম ফাইনাল। এর আগে চার বার ফাইনাল খেলে চারবারই শিরোপা জিতেছে। অর্থাৎ ফাইনালে হারের রেকর্ড নেই তাদের। অতীত পরিসংখ্যানের মতোই এবারের ফাইনালেও প্রতিপক্ষের বড় পরীক্ষা নিতে পারে কুমিল্লা। দলটার প্রধান শক্তির জায়গা ব্যাটিং অর্ডারে বেশ কয়েকজন হার্ডহিটার। ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গী হতে পারেন সুনীল নারিন। মূলত লিটনের ওপরই থাকবে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেবার দায়িত্ব।  তিনে খেলবেন ইনফর্ম তাওহীদ হৃদয়। এই তরুণ ব্যাটার হতে পারেন কুমিল্লার ট্রাম্পকার্ড। মিডল অর্ডারে দেখা যেতে পারে জনসন চার্লস, মঈন আলী ও আন্দ্রে রাসেলকে। নিজেদের দিনে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন এই তিন ক্রিকেটার। লোয়ার মিডল অর্ডারে দেখা যাবে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জাকের আলী অনিককে। কুমিল্লার স্পিন বিভাগে নেতৃত্ব দেবেন তানভীর ইসলাম। এই অফ স্পিনারকে সঙ্গ দেবেন মঈন আলী। পেস বোলিংয়ে চোট থেকে ফিরে খেলতে পারেন মোস্তাফিজ। তার সঙ্গে দেখা যেতে পারে মুশফিক হাসানকে। আর রাসেলের সার্ভিস পাবে ভিক্টোরিয়ান্সরা। আর দলটার স্পিন বিভাগের নেতৃত্বে থাকবেন তাইজুল ইসলাম। তার সঙ্গে আছেন মেহেদি মিরাজ। আর পেস বিভাগে ওবেদ ম্যাকয়, ফুলার, সাইফুদ্দিনদের সঙ্গে আছেন মায়ার্সও। শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে ফরচুন বরিশাল। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৬

শিরোপা বুঝে পেল বাংলাদেশের মেয়েরা, দুই স্বীকৃতি সাগরিকার
নানান নাটকীয়তা শেষে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে যৌগ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ফাইনাল শেষে শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরেছিল সফরকারীরা। তবে অবশেষে ট্রফি বুঝে পেল বাংলাদেশের মেয়ের সদ্য সমাপ্ত এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতার পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পেয়েছেন সাগরিকা। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের সামনের মাঠে বাংলাদেশের মেয়েদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। যেখানে ‍দুই দলই নৈপুণ্য দেখিয়ে ২২ গোল করে ম্যাচ সমতায় রাখে। পরে টস করে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হলে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। কেননা, সাফের নিয়ম অনুসারে টস করে ম্যাচের রেজাল্ট ঘোষণা করার নিয়ম নেই। ফলে প্রতিবাদ করায় ম্যাচ রেফারি ডি সিলভা ক্ষমা চেয়ে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। আবারও টাইব্রেকারের সিদ্ধান্ত দেন তিনি। তবে তা মানতে রাজি হয়নি ভারত। এরপর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যায় সফরকারীরা। এরপর ম্যাচ রেফারি তাদের মাঠের নামার জন্য ৩০ মিনিটের সময় বেঁধে দেন। তবে সেই ৩০ মিনিটের পর প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার ম্যাচের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রেফারি। তবে নির্দিষ্ট কোনো দল নয়, দুই দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেছে রেফারি ডি সিলভা। এর আগে ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিক দর্শকদের চুপ করিয়ে দেয় ভারতের মেয়েরা। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় লিন্ডার পাস থেকে ভারতকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন শিবানী দেবী। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এতে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। চলতি টুর্নামেন্টে ৪টি করে গোল করেন তিনজন। তারা হলেন- সাগরিকা এবং ভারতের পূজা ও শিবানী দেবি। তবে টুর্নামেন্ট জুড়ে দ্যুতি ছড়ানো বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড সাগরিকাই হয়েছেন সেরা খেলোয়াড়। জোড়া পুরস্কার পেয়ে তার মন্তব্য, সকালেই জেনেছি, আমি সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পেয়েছি। টিভিতে নাকি আব্বা-আম্মা আগে দেখেছিল, কিন্তু তারাও আমাকে কিছু বলেনি। আমি জেনেছি আজ সকালে। এই পর্যায়ে (অনূর্ধ্ব-১৯) এটা আমার প্রথম টুর্নামেন্ট। দুই পুরস্কার পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৬

আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ব্রাজিলের শিরোপা জয়
লাতিন আমেরিকার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ মানেই দুই দলের সমর্থক ও খেলোয়াড়দের মাঝে বাড়তি উন্মাদনা। আর সেটি যদি কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল হয়, তাহলে তো কথাই নেই।  কোপা আমেরিকা ফুটসাল টুর্নামেন্টের সুপার ক্লাসিকো ফাইনালে তার প্রমাণ আরও একবার মিলেছে। যেখানে আর্জেন্টাইনদের হারিয়ে শিরোপা উল্লাস করেছে ব্রাজিল। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্যারাগুয়ের অস্কার হ্যারিসন স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সেলেসাওরা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ব্রাজিল। তবে গোল পাচ্ছিল না কেউই। প্রথম গোলের জন্য লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয় সেলেসাওদের। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোল ব্যবধানে শেষ হাসি হেসেছে ব্রাজিল। পুরো আসরে দাপট দেখিয়ে খেলেছে আর্জেন্টিনা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বলিভিয়াকে ৪-০ গোলে এবং পরের ম্যাচে পেরুকেও ৪-১ গোলে হারায় তারা। এরপর উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের পর ব্রাজিলের কাছে হারের তিক্ত স্বাদ পায় আর্জেন্টাইনরা। তবে সেমিতে প্যারাগুয়েকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে তারা। অন্যদিকে পুরো আসরে দুর্দান্ত ছিল ব্রাজিলও। বলিভিয়াকে ৭-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে সেলেসাওরা। উরুগুয়ের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জয়ের পর পেরুকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয় তারা। এ ছাড়া সেমিতে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে সেলেসাওরা।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫২

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ / প্রতিবাদ করে শিরোপা উদ্ধার করল বাংলাদেশ, যৌথ চ্যাম্পিয়ন দুই দল
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ সালে ফাইনাল ম্যাচ ইতিহাসে পাতায় হয়তো স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে যা ঘটেছে তা ফুটবল ইতিহাসে এর আগে কখনও ঘটেনি। এই ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে যৌগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। তবে সব কিছু ছাড়িয়ে আলোচনায় ম্যাচের ঘটনাগুলো। শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিকরা। ফাইনালে ভারত রেফারির সিদ্ধান্ত অমান্য করে মাঠ ত্যাগ করায় নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় টাইবেকারে সময়ে। যেখানে ‍দুই দলই নৈপুণ্য দেখিয়ে ২২ গোল করে ম্যাচ সমতায় রাখে। পরে টস করে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করলে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। কারণ সাফের নিয়ম অনুসারে টস করে ম্যাচের রেজাল্ট ঘোষণা করার নিয়ম নেয়। ফলে প্রতিবাদ করায় ম্যাচ রেফারি ডি সিলভা ক্ষমা চেয়ে তার সিদ্ধান্ত পর পরিবর্তন করেন। আবারও টাইবেকারের সিদ্ধান্ত দেন তিনি। তবে মানতে রাজি হয়নি ভারত। এরপর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যায় ভারতীয় দল। এরপর ম্যাচ রেফারি তাদের মাঠের নামার জন্য ৩০ মিনিটের সময় বেঁধে দেন। তবে সেই ৩০ মিনিটের পর প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার ম্যাচের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রেফারি। তবে নির্দিষ্ট কোনো দল নয়, দুই দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেছে রেফারি ডি সিলভা। এর আগে ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিক দর্শকদের চুপ করিয়ে দেয় ভারতের মেয়েরা। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় লিন্ডার পাস থেকে ভারতকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন শিবানী দেবী।  ১৭ মিনিটের সময় আরও একবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ মিস করে ভারত। ডি-বক্সের মধ্যে একা বল পেলেও ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন ভারতের রাইট উইঙ্গার। এরপর বার বার আক্রমণ করে গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতে যায় ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল শোধ করতে মারিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আক্রমণের পর আক্রমণ করে ভারতের রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রাখে সাগরিকারা। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এতে ম্যাচ গড়ায় টাইবেকারে।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৯

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ / টস জয়ে শিরোপা উল্লাস ভারতের, আপত্তি জানিয়ে মাঠেই বাংলাদেশ
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। তবে ফাইনালে লড়াই করেও শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ১১ জনের টাইবেকার শটের পরও ম্যাচের ফলাফল না আশায়, ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় কয়েন টসের ম্যাধ্যমে। যেখানে কপাল পুড়েছে বাংলাদেশে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় টাইবেকারে সময়ে। যেখানে ‍দুই দলই নৈপুণ্য দেখিয়ে ২২ গোল করে ম্যাচ সমতায় রাখে। পরে টস করে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষনা করলে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। ভারতে উল্লাস করে মাঠ ছাড়লেও মাঠ ছাড়েনি স্বাগতিকরা। এদিন ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিক দর্শকদের চুপ করিয়ে দেয় ভারতের মেয়েরা। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় লিন্ডার পাস থেকে ভারতকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন শিবানী দেবী।  ১৭ মিনিটের সময় আরও একবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ মিস করে ভারত। ডি-বক্সের মধ্যে একা বল পেলেও ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন ভারতের রাইট উইঙ্গার। এরপর বার বার আক্রমণ করে গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতে যায় ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল শোধ করতে মারিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আক্রমণের পর আক্রমণ করে ভারতের রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রাখে সাগরিকারা। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এতে ম্যাচ গড়ায় টাইবেকারে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়