• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
শিক্ষিকা খুনে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যুদণ্ড
পাকিস্তানে এক শিক্ষিকাকে খুনের অপরাধে দুই ছাত্রীকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরেক ছাত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন স্থানীয় একটি আদালত। গত মঙ্গলবার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের আদালত এ রায় ঘোষণা করে। খবর আরব নিউজ। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ডেরা ইসমাইল খানের জামিয়া ইসলামিয়া ফালাহুল বিনাত কলেজের রাজিয়া হানফি, আয়েশা নওমানি এবং ওমরা আমান। ২০২২ সালের মার্চে তাদের শিক্ষিকা সাফুরা বিবিকে হত্যার দায়ে সেসময়ই ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কলেজ গেইটের সামনে সাফুরাকে পিটিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করেন তারা। পরে পুলিশের কাছে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তানসির আলী বলেন, আদালত রাজিয়া হানফি ও উমরা আমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে এবং তাদের প্রত্যেককে ২০ লাখ রুপি জরিমানা করেছে। মামলার তৃতীয় আসামি আয়েশা নওমানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আয়েশা নওমানিকে যাবজ্জীবন দেওয়ার কারণ অপরাধ সংঘটনের সময় তার বয়স ১৮ বছরের কম ছিল। স্পষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই আদালত এই রায় দিয়েছে। তবে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী আসাদ আজিজ বলছেন, এই মামলাটি স্পর্শকাতর। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৭

বেইলি রোডের আগুনে ভিকারুননিসার শিক্ষিকা ও তার মেয়ের মৃত্যু
রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাতী শাখার শিক্ষিকা লুৎফুন নাহার লাকি (৪৭) ও তার মেয়ে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতি তাজরিন (২৩)।   বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন এম. এ. এইচ গোলাম মহিউদ্দিন।   তিনি জানান, তার স্ত্রী দাঁতের ব্যথায় ভুগছিলেন। দাঁত দেখাতে হাসপাতালে যান মেয়েকে নিয়ে। ফেরার পথে কাচ্চি খেয়ে আসার পরামর্শ দেন মহিউদ্দিনই। এখন স্ত্রী-মেয়ের মৃত্যুর জন্য তিনি নিজেকে অপরাধী মনে করছেন। কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম হোসেন বলেন, নিহতদের স্বজনেরা যাদের শনাক্ত করেছেন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রেস্টুরেন্টটিতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট। পরবর্তীতে ইউনিট বাড়ার পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে ৩ প্লাটুন সাধারণ আনসার ছাড়াও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১ প্লাটুন আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়। তারা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে কাজ করে। এছাড়াও উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও। একপর্যায়ে ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত সোয়া ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এ ঘটনায় ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৭

হিজাব না পরা শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়া শিক্ষিকা বরখাস্ত
মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখানে হিজাব ও ওড়না না পরে ক্লাসে আসায় শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়া শিক্ষিকা রুমিয়া সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) তাকে বরখাস্ত করে রাজানগরের সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রশাসন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণির ক্লাস চলাকালে ঘটনাটি ঘটে। এ সময় হিজাব ও ওড়না না পরায় ৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে নেন রুমিয়া সরকার। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় বিচার দাবি করছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া ফরিদ আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছি। মেয়েদের সামান্য চুল কাটা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আজ বৃহস্পতিবার আবার বসবো। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ জানান, যেসব ছাত্রীদের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে উপজেলা প্রশাসন ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ওই শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।  
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১১

হিজাব না পরায় শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দিলেন শিক্ষিকা
মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখান উপজেলায় হিজাব ও ওড়না না পরে ক্লাসে আসায় শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দিয়েছেন এক শিক্ষিকা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার রাজানগরের সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, এদিন সপ্তম শ্রেণীর ক্লাস চলাকালে ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় ৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে নেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মিয়া ফরিদ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সপ্তম শ্রেণির জীব বিজ্ঞান ক্লাসে ঘটনাটি ঘটেছে। হিজাব ও ওড়না না পরায় শিক্ষার্থীদের ভয় দেখানোর জন্য বায়োলজির শিক্ষিকা রুনিয়া সরকার ৩ থেকে ৪ জন শিক্ষার্থীর চুল অল্প কিছুটা কেটে দেয়।  তিনি আরও জানান, এটা শিক্ষিকা অন্যায় করেছেন। আমি তখন বিদ্যালয়ে ছিলাম না, পরে জেনেছি। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন। আগামীকাল আমি প্রতিষ্ঠানে যাব এবং ঘটনা জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’  অভিযুক্ত শিক্ষিকা রুমিয়া সরকারের মোবাইলে ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহম্মেদ জানান, আমি ওই বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে বিষয়টি জেনেছি। আগামীকাল ওই স্কুলে যেয়ে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নেব। 
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২

শিক্ষার্থীদের হিজাব কেটে দিলেন শিক্ষিকা
কুমিল্লার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের তিন শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মিরন নাহার নামে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষিকার পদত্যাগের দাবিতে নানান স্লোগান দিতে থাকে তারা। শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ২১ জানুয়ারি নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে দিয়েছেন আমাদের নার্সিং কলেজের শিক্ষিকা মিরন নাহার। পরে শিক্ষার্থীদেরকে হিজাব কেটে ছোট করে পরার কথা বললে তারা দ্বিমত পোষণ করেন। কিন্তু ওই শিক্ষিকা তাদের কোনো কথার তোয়াক্কা না করেই বারবার হিজাব কাটার কথা বলেন ও বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নার্সিং কলেজের শিক্ষিকা মিরন নাহার বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমার এটি করা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে আমি অনুতপ্ত। শিক্ষার্থীদেরকে নিয়মের মধ্যে আনার জন্য আমি এটি করেছিলাম। তবে হিজাব কেটে দেওয়া আমার ঠিক হয়নি। আমি দ্রুতই আমাদের শিক্ষকদেরকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টির একটি সুষ্ঠু সমাধান করব। এ বিষয়ে কুমিল্লা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরী খানমকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করল তাকে পাওয়া যায়নি।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়