• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এতে করে পড়াশোনায় ব্যাঘাত, ঘুমে সমস্যা ও পানি সংকটসহ নানান সমস্যায় অতিষ্ঠ হয়ে দিন পার করছেন বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। ভোগান্তি হতে মুক্তি পেতে ২৪ ঘণ্টা জেনারেটর সুবিধা দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা।  জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের দুটি ও মেয়েদের তিনটি হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিত্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধের দিনে এ ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। রমজান মাসে প্রায় সবগুলো বিভাগে ক্লাস ও কিছু কিছু বিভাগে সেমিস্টার চলায় এই দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের নির্বিঘ্নে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। হলগুলো ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনগুলোতেও একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে একাডেমিক কার্যক্রমেও প্রভাব পড়ছে বলে জানা যায়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিডি দফতর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল অর্ডারের একটি নির্দিষ্ট সময় জুড়ে জেনারেটর সুবিধা চালু রাখা হয়। অফিসিয়াল অর্ডারের চেয়ে বেশি সময় জেনারেটর চালু রাখতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে এবং অনুমতি পেলে পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন তারা। দুর্ভোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের এক আবাসিক ছাত্রী আরটিভিকে বলেন, পরীক্ষা দিয়ে এসে দেখি কারেন্ট নাই। রুমমেট এর থেকে শুনলাম আরও ঘণ্টা খানেক আগে কারেন্ট গিয়েছে। গরমের মধ্যে শরীর অনেক খারাপ করে। সন্ধ্যার সময় কারেন্ট আসে। মাঝখানে ১০ মিনিটের জন্য এমনি এসে আবার চলে যায়। পরদিন নেক্সট এক্সিমের প্রিপারেশন এর জন্য ল্যাপটপ অন করে বসি। কারেন্ট আবার চলে যায়। ওয়াইফাই  না থাকলে মোবাইল ডাটা দিয়ে তো এতক্ষণ চলা সম্ভব না। অনেককিছু সার্চ করা লাগে। ল্যাপটপ এর চার্জ শেষ হয়ে বন্ধ ও হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রচুর বিরক্তি কাজ করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক স্পিকার আবদুল মালেক উকিল হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, গতবছর পরীক্ষার সময় আমরা পড়াশোনা করেছি তখন লোডশেডিং ছিল না যেটা এই বছর দেখা যাচ্ছে। পাঁচ মিনিট পরপর বিদ্যুৎ আসে আর যায়, যার কারণে আমরা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছি না। পরীক্ষা থাকায় উপায় না পেয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে আমাদের পড়তে হচ্ছে যা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জন্য দুঃখজনক। বঙ্গমাতা হলের এক আবাসিক ছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রথমত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে অসহ্য গরম লাগে, হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে। পানি সরবরাহের সমস্যা হয়, ফলে পানি সংকট দেখা দেয়। এছাড়া ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোতে চার্জ থাকে না, ফলে রমজানের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। ওয়াইফাই সুবিধা ও থাকে না। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে পানির সমস্যাতেও ভোগান্তি হচ্ছে উল্লেখ করে বিবি খাদিজা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, খাদিজা হলের পানির লাইনগুলো এমনভাবে করা যে পানি আগে সামনের ব্লকে যায় এরপর পিছনের ব্লকে আসে। দেখা যায় সকালে ক্লাসে যাওয়ার সময় পানি নাই আবার দুপুরে এসেও পানি নাই। মাঝে যেই সময় হঠাৎ অল্প একটু আসে তখন যারা থাকে তারা পায় বা অনেক সময় দেখা যায় জানেও না। গতবছর পুরো গ্রীষ্মকাল এইভাবেই গেছে। সব হলে পানি থাকলেও খাদিজা হলের পিছনের ব্লকে দেখা যায় নাই। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন, বিদ্যুৎ তো সরকারের হাতে, তারা কতক্ষণ দিবে না দিবে এটার ওপর আমাদের হাত নেই। বিদ্যুৎ সরকারের হাতে থাকলেও জেনারেটর সুবিধাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে। তবে কেন এ সুবিধা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় দেয়া হচ্ছে না। এ প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, আমাদের অফিসিয়াল একটা অর্ডার আছে কয়টা থেকে কয়টা জেনারেটর চালু রাখবো বা কতক্ষণ চালু থাকবে। আর এর চেয়ে বেশি সময় জেনারেটর চালু রাখতে হলে অর্থের ব্যাপার আছে। ভিসি স্যার বা ট্রেজারার স্যার হচ্ছেন এটার অথোরিটি। উনারা যদি অনুমতি দেয় অতিরিক্ত সময় চালানোর তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, আমাদের একটা জেনারেটর নষ্ট। ঐটা ঠিক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.দিদার-উল-আলম বলেন, আমরা অফডেতে হল এবং আবাসিক এলাকায় দিনের বেলায় জেনারেটর এর ব্যবস্থা করছি। দিনের বেলায় জেনারেটর থাকবে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলে দেওয়া হয়েছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৮

চিকিৎসার জন্য টাকা পাবেন শিক্ষার্থীরা
প্রতি দুইমাস পরপর প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে অর্থ সহায়তা পাবেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা। মার্চ-এপ্রিল প্রান্তের আবেদন প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উপবৃত্তি শাখার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সোহাগের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে এককালীন আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। ‘দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান নির্দেশক, ২০২০’ অনুসরণ করে এ অনুদান দেওয়া হবে। চিকিৎসার অনুদান পেতে শিক্ষার্থীকে এই লিংকে ঢুকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী প্রতি দুই মাস অন্তর অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে একজন শিক্ষার্থী তার চিকিৎসা মেয়াদে একবারমাত্র অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। জানা গেছে, আগামী ৩০ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমানের শিক্ষার্থীরা অনুদান পেতে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৯

শিক্ষকরা অনিয়মিত, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যে বিদ্যালয়ে
যে বিদ্যালয়ে দিনের শুরুতে গাওয়া হয় না জাতীয় সংগীত, সে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কীভাবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করবে এই গানটিই আমাদের বাংলাদেশের পরিচয়। জাতীয় সংগীতেই শেষ নয়, বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না শিক্ষকরাও। কোমলমতি শিশুদের হাজিরাও ডাকা হয় বিকেলে। শিক্ষকদের এমন আচরণে শিশুরাই বা কি শিখবে!  খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরের ফাতেমা নগর এলাকায় অবস্থিত বিদ্যালয়টি। পাহাড়ি-বাঙালির সংমিশ্রণে গড়া এই গ্রামটিতে ১৯৮০ সালে গড়ে উঠেছে বড় পানছড়ি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় যে শিশুদের সুশিক্ষায় গড়ার প্রথম কারিগর সেটি হয়তো ভুলেই গেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শিক্ষকদের নানা অজুহাত আর অনিয়মেই ধ্বংস হচ্ছে শিশুদের মেধা। প্রতিটি বিদ্যালয়ে দিনের শুরুতে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়েই পাঠদান শুরু হয়। অথচ এই বিদ্যালয়ের পাঠদান শুরু হয় জাতীয় সংগীত ছাড়াই। যেখানে শিশুদের হাজিরা ডাকার কথা ক্লাসের শুরুতেই, সেখানে হাজিরা ডাকা হয় বিকেল ৩টায়। নানা অজুহাত আর ক্ষমতার বলে শিক্ষকরাও নিয়মিত আসেন না বিদ্যালয়ে। বসে বসেই সরকারি অর্থ গুনছেন তারা। এতে নষ্ট হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের মেধা বিকাশ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না বিদ্যালয়ে। আবার হাজিরা ডাকা হয় বিকেলে। এ ছাড়াও শিক্ষকরা নিয়মিত আসেন না বিদ্যালয়ে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের একটি দল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) হাজির হয় বড় পানছড়ি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তখন বিকেল ৩টা। বিদ্যালয়ে দেখা যায় ৬ শিক্ষকের মাঝে শুধুমাত্র ১ জন শিক্ষক উপস্থিত। তার কাছে বাকিদের কথা জানতে চাইলে জানান ১ জন এসে চলে গেছে, ২ জন ট্রেনিংয়ে, ১ জনের স্বামী অসুস্থ এবং বাকি ১ জন ডেপুটেশনে।  যাকে উপস্থিত পাওয়া যায়, তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলম। তিনি জানান, আমি সকালে আসি। এসে দাপ্তরির কাজও আমিই করি আবার শিশুদের পাঠদানও আমিই করি। কোনো শিক্ষক সকালে এসে আবার চলে যায় দুপুরের আগেই। তাদেরকে নিষেধ করেছি। ওরা ওদের মতো করে আসে আবার চলে যায়। একটি শ্রেণিতে ১ ঘণ্টায় ক্লাস হয়েছে ৫টি বিষয়ের ওপর। এমন মন্তব্যসহ শিক্ষকদের নানা অনিয়ম তুলে ধরে ওই এলাকার মো. আব্দুল জলিল জানান, এই বিদ্যালয়ের পাশেই আমার দোকান। আমি বহুদিন যাবৎ দেখছি যে কোনো শিক্ষক ৯টায় আসলে ১০টায় চলে যায়। আবার ১০টায় আসলে ১১টায় চলে যায়। তারা নিয়মিত স্কুলেও আসে না এবং যাওয়ারও কোনো নিয়ম থাকে না। বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করলে বলে জাতীয় সংগীত হয় না, ক্লাসও ঠিকমতো হয় না। তারপর ১ ঘণ্টায় ১ জন শিক্ষক ৫টা ক্লাস নিছে। কীভাবে নিয়েছে তা আমার মাথায় ধরে না। এ ছাড়াও বিদ্যালয়েই রয়েছে পরিত্যক্ত এক ভবন। সেটি যেকোনো মুহূর্তেই ধসে পড়তে পারে বলে জানায় এলাকাবাসীরা। শিক্ষার এমন নাজেহাল অবস্থা আর কতোদিন। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান কোমলমতি শিশুদের স্বজনরা। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শুক্কুর আলী জানান, শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে আসেন না। জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না। স্কুলে অনিয়ম হচ্ছে। শিক্ষকরা যে যার মতো করে চলে যায়। স্কুল যেন সঠিকভাবে চলে এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পানছড়ি উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এডিন চাকমা জানান, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সরকারেরর নীতিমালায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮

যৌন হয়রানি : তদন্তে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্তে কমিটি গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১০ দিন সময় বেঁধে দিয়ে ক্লাসে ফিরেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দশ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হলে আবারও ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ ভবন প্রাঙ্গণে একটি সংবাদ সম্মেলনে করে এ কথা জানান শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা ক্লাসে ফিরে যান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বিভাগের ত্রয়োদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিজ খান। তিনি বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচারিক প্রক্রিয়া এগিয়ে না নেওয়া, অথবা এতে কোনোরূপ অবহেলা, পক্ষপাত অথবা স্বচ্ছতার ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়, অথবা কোনো মহল বিচার প্রক্রিয়াকে কোনোভাবে প্রভাবিত করছে বলে প্রতীয়মান হয়, তাহলে পুনরায় ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে ফিরতে বাধ্য হব।  গত ১০ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে প্রক্টরের কাছে লিখিত দেন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী। যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে কিছু অডিও রেকর্ড ও মেসেজের স্ক্রিনশট জমা দেন তিনি। ওই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ নামেন বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক নাদির জুনাইদের অফিস কক্ষে তালা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের তালায় সিলগালা করে দেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি তারা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন। শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের জন্য তাদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে না, এমন লিখিত নিরাপত্তার আশ্বাস চান বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে।  গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক নিরাপত্তা দেওয়ার লিখিত আশ্বাস দেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ । এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা রোববার থেকে রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিলেন। অভিযোগ অস্বীকার করে আসা অধ্যাপক নাদির জুনাইদ অবশ্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পেছনে ‘অন্য কিছু’ দেখছেন। বিভাগের পরবর্তী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার আগে ‘ব্যক্তিগত আক্রমণের’ শিকার হচ্ছেন বলে তার ভাষ্য।   
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৭

মেট্রোরেলে হাফ ভাড়া চান শিক্ষার্থীরা
দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত গণপরিবহন মেট্রোরেলেও বাসের মতো হাফ ভাড়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে মেট্রো রেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা করার দাবি তাদের। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রো স্টেশনের নিচের রাস্তায় আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালুর সময় হাফ ভাড়ার দাবিতে আন্দোলন করলে মেট্রো কর্তৃপক্ষ সরকারের সঙ্গে কথা বলে ভাড়া কমানোর আশ্বাস দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই আশ্বাসের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। তারা আরও বলেন, এমনিতেই অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মেট্রোরেলের ভাড়া অনেক বেশি। এ অবস্থায় একজন সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে মেট্রো ভাড়া অনেক। সরকার শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করতে অঙ্গীকার করলেও ভাড়ার ক্ষেত্রে ছাড়ের বিষয়টি মাথায় রাখেনি। তাই মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের হাফ-পাসের দাবি তাদের।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪০

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকুরের কামড়ে একদিনেই আহত ৯, আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা 
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কুকুরের কামড়ে একদিনেই ৯ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর আগেও বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোসহ রাস্তাঘাটে কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ব্যথার দান’ মেডিকেল সেন্টারে ভ্যাকসিন না থাকায় আহতদের কেউই সেখানে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না।  গতকাল শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) একদিনে ৯ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।  আহত শিক্ষার্থী সুশান্ত দাস জানান, ‘গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু হলে আসার সময় হঠাৎ করে পেছন থেকে কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়েছি। এ দিন আমিসহ আরও ৮জন আক্রান্ত হয়েছি। বর্তমানে সকলেই আমরা চিকিৎসা নিচ্ছি।কুকুরের ভয়ে এখন বাইরে বের হতেই সাহস পাচ্ছি না।’  বিশ্ববিদ্যালয়কে কুকুরমুক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তিনি।  আহত হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গেলেও উপকার পাচ্ছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেখানে ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা নেই। ব্যথার দান নামের এই মেডিক্যাল সেন্টারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. হেলাল উদ্দিন শনিবার রাতে (২৭ জানুয়ারি) জানান, ‘কোনো ভ্যাকসিনই নেই’। কোথায় পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি বাইরের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলের তথ্য দেন। তিনি ৫ বছর আগেও (২০১৮ সালে) এমন একটি সময়ে ভ্যাকসিন নেই বলে জানিয়েছিলেন গণমাধ্যমকে।  এমন কুকুর আতঙ্কে ভয়ে চলাচল করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানকারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিশুকিশোরসহ অন্যরা। তবে এতদিনেও এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।  সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ ভাস্কর্য, অনুষদ, ভিসি বাংলো, আবাসিক হলগুলোর সামনে কুকুর ঘোরাফেরা করছে। পথচারীদের বিশেষ করে একা কাউকে দেখলে কুকুরগুলো কামড়াতে চলে আসছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা থেকে কুকুরগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য নিরাপত্তা কর্মীদের বলা হয়েছে। পাশাপাশি কুকুরদের আঘাত না করে কীভাবে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’ এর আগেও স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহযোগিতা নেবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন প্রক্টর।  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৯

টিফিনে ডিম-দুধ-রুটি পাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা
দেশের ১৫০টি উপজেলার ১৮ থেকে ১৯ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচদিন পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সরকারি স্কুল ফিডিং কর্মসূচি (ফেইজ-১) প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের দুধ, ডিম, মৌসুমি ফল, কলা, ফর্টিফাইড বিস্কুট, কেক ও  পাউরুটি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশের দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকাগুলোর শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্কুলে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত টিফিনের সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করা হবে। জানা গেছে, তিন বছরের জন্য প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ৪ হাজার ৭৫৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে সরকার এবং বাকি ৬৪ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান হিসেবে আসবে। প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহে পাঁচদিন এসব খাবার বিতরণের জন্য তিনিটি ধাপে কর্মসূচির রোডম্যাপ করা হয়েছে। যেদিন দুধ দেওয়া হবে, সঙ্গে পাউরুটি দেওয়া হবে। যেদিন ডিম দেওয়া হবে, সঙ্গে কলা ও ফর্টিফাইড বিস্কুট দেওয়া হবে। আর যেদিন ফল দেওয়া হবে, সঙ্গে অন্য খাবার দেওয়া হবে। পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত খিচুড়ি রান্নার ফরমেট প্রকল্প এবং ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্প একনেক সভা থেকে বাতিল হয়েছে। এখন সরকারি স্কুল ফিডিং কর্মসূচি (ফেইজ-১) প্রকল্পের ভবিষ্যৎ একনেক কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ বৃদ্ধি এবং ঝরে পড়া রোধে প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় আমরা ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে টিফিনে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার দিতে চাই।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৭

পাঁচ বাস আটকে রেখেছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা
হাফ ভাড়া না নেওয়ার অভিযোগে ভিআইপি ও বিকাশ পরিবহনের পাঁচটি বাস আটকে রেখেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাসগুলো আটকে কলেজের পাশে এক গলিতে নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। আটকে রাখা পাঁচটি বাসের মধ্যে দুটি বিকাশ পরিবহনের এবং তিনটি ভিআইপি সিটি সার্ভিসের। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তা দিয়ে বাসগুলো চলাচল করলেও তারা অনেক সময় হাফ ভাড়া নিতে চায় না। এমনকি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করা হয়। হাফ ভাড়া দিতে চাইলে বাসের মধ্যে অন্য যাত্রীদের সামনে নানানভাবে হয়রানি ও লাঞ্ছিত করা হয়। তাই তারা বাধ্য হয়ে বাস আটকে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুল করিম বলেন, আমরা শুনেছি শিক্ষার্থীরা পাঁচটি বাস আটকে রেখেছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, নিউমার্কেট থানা পুলিশের কর্মকর্তা এবং দুটি বাসের সংশ্লিষ্ট লাইনম্যান ঘটনাস্থলে এসেছেন। সবার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৯

যুক্তরাজ্যে আর পরিবার নিতে পারবেন না বিদেশি শিক্ষার্থীরা
যুক্তরাজ্যের নতুন শিক্ষার্থী ভিসার আওতায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের আর সে দেশে নিতে পারবেন না। তবে স্নাতকোত্তর গবেষণা কোর্স করা বা সরকারের অনুদানের বৃত্তি পেয়ে কোর্স করা শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর নির্ভরশীল সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে যেতে পারবেন। নতুন নিয়ম চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। বৈধ অভিবাসনের ঢল ঠেকাতে ২০২৩ সালে একটি আইন পাস করে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট। সে আইনের অধীনে এই সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিবাসন সীমিত করার পদক্ষেপ হিসেবে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উদ্যোগটি যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কঠোর ভিসানীতির একটি অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি পোস্টে বলেছে, ‘অভিবাসন সীমিত করার ক্ষেত্রে আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখন থেকে নতুন বিদেশি শিক্ষার্থীরা আর তাদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে আনতে পারবে না। তবে স্নাতকোত্তর গবেষণা বা সরকারি অর্থায়নে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ছাড় দেওয়া হবে।’ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। ২০২৩ সালের মে মাসে সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। নতুন এই নিয়মের ফলে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের যুক্তরাজ্যে আসা কমবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীসভার এক সদস্য।  স্বরাষ্ট্র সচিব জেমস একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই সরকার অভিবাসন কমানোর জন্য ব্রিটিশ জনসাধারণের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা রেখেছে। আমরা দ্রুত এই সংখ্যা কমাতে, নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং আমাদের অভিবাসন ব্যবস্থাকে ঠিক রাখতে কঠিন পরিকল্পনা তৈরি করেছি। যা এই বছরজুড়ে কার্যকর হবে।’  জেমস আরও বলেন, এই পরিবর্তনের ফলে অভিবাসন দশ হাজারে দ্রুত নেমে আসবে। যার ফলে ৩ লাখ মানুষ  যুক্তরাজ্যে আসতে পারবে না। সরকার মেধাবী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে আনার জন্য একটি বিকল্প পদ্ধতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কাজ করবে। যাতে মেধাবী শিক্ষাথীরা তাদের ওপর নির্ভরশীলদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসতে পারে পাশাপাশি অভিবাসনের মাত্রাও কমে। সূত্র: এনডিটিভি
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৬

এখন থেকে যেসব সেবা পাবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
এখন থেকে একই আবেদনে ১৯টি সেবা নিতে পারবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে রয়েছে সার্টিফিকেট, মার্কসশিট, ট্রান্সক্রিপ্ট এবং অ্যাডমিট কার্ডসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত সেবা। একই সঙ্গে ঘরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জমা দেওয়া যাবে ফি। শুধু তাই নয়, যে বিষয়ে আবেদন করা হবে, তা প্রস্তুত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ চলে যাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বরে এবং ই-মেইলে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯টি সেবা একই আবেদনে নিতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.nu.ac.bd) প্রবেশ করতে হবে। এরপর সার্ভিস মেন্যুতে ক্লিক করতে হবে। পরে স্টুডেন্ট লগইনে গিয়ে এক্সামিনেশন সার্ভিস মেন্যুতে যেতে হবে। পর্যায়ক্রমে কম্বাইন্ড সার্ভিস মেন্যু এবং ডকুমেন্টস কারেকশন মেন্যুতে ক্লিক করে ৬টি সেবা একসঙ্গে গ্রহণ করা যাবে। সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে- অ্যাডমিট কার্ড, প্রভিশনাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, অরিজিনাল সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট (দ্বিতীয় বার)। ডকুমেন্টস ডুপ্লিকেট মেন্যুতে ক্লিক করে নেওয়া যাবে চারটি সেবা। এর মধ্যে রয়েছে- অ্যাডমিট কার্ড, প্রভিশনাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট এবং অরিজিনাল সার্টিফিকেট। একইভাবে ইমপ্রুভমেন্ট মেন্যুতে ক্লিক করে নেওয়া যাবে দুটি সেবা। তা হলো- মার্কশিট ও সার্টিফিকেট। ট্রান্সলেশন মেন্যুতে ক্লিক করে নেওয়া যাবে তিনটি সেবা। সেগুলো হলো- অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট এবং প্রভিশনাল সার্টিফিকেট। ফ্রেশ কপি মেন্যুতে ক্লিক করে চারটি সেবা নেওয়া যাবে। এর মধ্যে রয়েছে- অ্যাডমিট কার্ড, মার্কসশিট, প্রভিশনাল সার্টিফিকেট ও অরিজিনাল সার্টিফিকেট। এসব সেবা একজন শিক্ষার্থী একসঙ্গে নিতে পারবেন। আবার আগের মতো আলাদাভাবেও সেবাগুলো গ্রহণ করতে পারবেন। তবে একসঙ্গে আবেদন করলে অর্থ এবং সময় উভয়ই সাশ্রয় হবে। এ বিষয়ে সভায় উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে আমরা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরীক্ষা সংক্রান্ত সেবাগুলো যাতে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে এক আবেদনে পেতে পারেন, সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য আধুনিকায়ন করা হয়েছে পরীক্ষা সংক্রান্ত সেবা। দ্রুত ও স্বল্পমূল্যে সেবা দিতে নতুন সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অল্প সময়ের মধ্যে সেবা পাবেন।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়