• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
বিজ্ঞাপন দেখে মেডিকেলে ভর্তি, ৪২ শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণ অনিশ্চিত
রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীরা।  শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার্থীরা ২০২০-২১ সেশন এবং ২০২১-২২ সেশনে এই মেডিকেল কলেজের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে কলেজে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে তারা জানতে পারে কলেজটি বিএমডিসির অনুমোদন নেই এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হতে পারেনি এখনও প্রতিষ্ঠানটি।  শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এ বিষয়ে সুরাহার জন্য শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান মো. জিল্লার রহমান সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (সাবেক সচিব) এবং ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান স্বাধীনকে জানালে তারা বলে কলেজের অধিভুক্তি ও অনুমোদন রয়েছে। এরপর তারা একের পর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কয়েক ধাপে উন্নয়ন ফি নাম করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনে জনে ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেই। এতে ৪২ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ২১ টি মামলা করেছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষার্থীরা দ্রুত মাইগ্রেশনের দাবি জানান সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৪

শিক্ষিকা খুনে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যুদণ্ড
পাকিস্তানে এক শিক্ষিকাকে খুনের অপরাধে দুই ছাত্রীকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরেক ছাত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন স্থানীয় একটি আদালত। গত মঙ্গলবার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের আদালত এ রায় ঘোষণা করে। খবর আরব নিউজ। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ডেরা ইসমাইল খানের জামিয়া ইসলামিয়া ফালাহুল বিনাত কলেজের রাজিয়া হানফি, আয়েশা নওমানি এবং ওমরা আমান। ২০২২ সালের মার্চে তাদের শিক্ষিকা সাফুরা বিবিকে হত্যার দায়ে সেসময়ই ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কলেজ গেইটের সামনে সাফুরাকে পিটিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করেন তারা। পরে পুলিশের কাছে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তানসির আলী বলেন, আদালত রাজিয়া হানফি ও উমরা আমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে এবং তাদের প্রত্যেককে ২০ লাখ রুপি জরিমানা করেছে। মামলার তৃতীয় আসামি আয়েশা নওমানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আয়েশা নওমানিকে যাবজ্জীবন দেওয়ার কারণ অপরাধ সংঘটনের সময় তার বয়স ১৮ বছরের কম ছিল। স্পষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই আদালত এই রায় দিয়েছে। তবে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী আসাদ আজিজ বলছেন, এই মামলাটি স্পর্শকাতর। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৭

রাবির হলের কক্ষে শিক্ষার্থীর বুকে ছুরিকাঘাত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখ্দুম হলে নিজ কক্ষে থাকা অবস্থায় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন জয়দেব সাহা নামের এক শিক্ষার্থী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, জয়দেব সাহা  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী শাহ মখ্দুম হলের হলের ৩৪১ নং রুমে থাকতেন। তার বাড়ি নোয়াখালীতে। ওই শিক্ষার্থীর রুমমেট সাজ্জাদ বলেন, অনেকদিন ধরে সে অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। আমি খবর দেওয়ার পর বাসা থেকে তার ছোট ভাই এসেছিল। আজ একসাথে খাওয়া-দাওয়াও করেছে।  আহত জয়দেব জানান, তার ছোট ভাই তাকে ছুরি মেরেছে। শাহ মখ্দুম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন বলেন, ঘটনা শোনামাত্র আমি হলে এসেছি। তাকে মেডিকেলে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে সে রামেকের ৪নং ওয়ার্ডে ভর্তি আছে। সে নিজেই নিজেকে ছুরিকাঘাত করেছে নাকি অন্য কেউ করেছে, এ বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।  
২৩ মার্চ ২০২৪, ০১:৩৫

সাঁতার শিখতে এসে শাবিপ্রবিতে পুকুরে ডুবে বহিরাগত শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সাঁতার শিখতে এসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পুকুরে ডুবে বহিরাগত কলেজপড়ুয়া অর্ণব তালুকদার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল-সংলগ্ন পুকুরে ডুবে এ শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সাঁতার শিখতে এসে এ শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটেছে। পুলিশ এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তিনি আরও বলেন, এ পুকুরে নেমে সাঁতার না কাটতে নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারপরেও অনেকে সাঁতার কাটে। সবাইকে এ পুকুরে নেমে সাঁতার না কাটতে আবারও কঠোরভাবে বলা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুকুরে গোসল করতে নামার পর ডুব দিয়ে অনেকক্ষণ না উঠলে উপস্থিত লোকজন অর্ণবকে ডাকাডাকি শুরু করে। পরবর্তীতে সেখানে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুকুর থেকে খোঁজাখুঁজি করে তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অর্ণব তালুকদার সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেটস্থ মোল্লাবাড়ি এলাকায় থাকে বলে জানা গেছে। তার বাবার নাম কৃতিশ তালুকদার। মৃত অর্ণব সিলেটের শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজের ইন্টার ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায়।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৬

ফের হাসপাতালে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আটক ৪ ডাক্তার
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করাতে গিয়ে মারা গেছেন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী তা‌ছিয়া জাহান তনায়া (১২)। তিনি সোনারগাঁও উদয়ন আদর্শ বিদ‌্যা‌নিকেতনের শিক্ষার্থী। পরিবারের অভিযোগ ভুল চি‌কিৎসায় তাদের সন্তান‌কে হত‌্যা ক‌রা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ ) দুপুর ২টার দি‌কে এ ঘটনা ঘটে বসুন্ধরা আদদ্বীন হাসপাতা‌লে।  স্বজনদের অভিযোগ, দুপুরে এপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের জন্য ওটিতে হেঁটে যায় তা‌স‌নিয়া জামান তনয়া। কিন্তু তনয়া ওটি থেকে ফেরে লাশ হয়ে। ভুল চি‌কিৎসায় তাদের সন্তান‌কে হত‌্যা ক‌রা হয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা। তনয়ার বাবা ম‌নিরুজ্জামান বলেন, আমার মে‌য়ে পে‌টে ব‌্যথা অনুভব কর‌লে সোমবার আদদ্বীন হাসপাতা‌লে নি‌য়ে যাই। তখন ডাক্তার এটা এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা উল্লেখ করে অপারেশন করার কথা বলেন। তখনি মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দ‌ক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুব আলম ব‌লেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবা‌দের জন‌্য ৪ জন চি‌কিৎসক‌কে আটক ক‌রা হ‌য়ে‌ছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব‌্যবস্থা নেওয়া হ‌বে। বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি। কয়েক মাস আগে রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। তারপরেই মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে আহনাফ তাহমিন আয়হাম (১০) নামের আরেক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক এমন মৃত্যুর ঘটনায় নাড়া দেয় সারাদেশ।
২০ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৬

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, সহপাঠীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
ফেসবুক পোস্টে শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  ইতোমধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুতে উপাচার্য সাদেকা হালিম, কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে দেওয়া আইন বিভাগের সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৪

শিক্ষক ও সহপাঠীকে অভিযুক্ত করে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
শিক্ষক ও সহপাঠীকে অভিযুক্ত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তী আত্মহত্যা করেছেন।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য দুই জনকে দায়ী করেছেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফাইরুজ অবন্তিকা লিখেছেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী আর তার সহকারী হিসেবে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।’ অবন্তিকা আরও লিখেছেন, ‘আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতাম ও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতিয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্ট দের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায় সেটা কুমিল্লার কারো সৎসাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে " খানকি তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেনো? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি তোরে এখন কে বাঁচাবে?’ ‘আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিলো। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিকাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তো থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া আর সো কিনা শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না।’ ‘আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম।’ ‘আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজার টা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার।’ জানা গেছে, শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা অবন্তিকাকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযোগের বিষয়ে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী বলেন, ‌‘আমি দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করিনি। কোনো জায়গাতেই আমি তার সঙ্গে কানেক্টেড না। আমার ওপর আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
১৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৯

ভুল চিকিৎসায় সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু, জাবিতে মানববন্ধন
রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে অ্যান্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ৪২ ব্যাচের (২০১২-১৩) শিক্ষার্থী রাহিব রেজার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কতৃর্পক্ষের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তার স্বজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে ভুক্তভোগীর স্ত্রী তাসমিয়া আফরোজ বলেন, এ ঘটনায় আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। হাইকোর্টের নির্দেশনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন মাস সময়ের মধ্যেই যেন রিপোর্ট আদালতে পেশ করার দাবি জানাই। তদন্ত চলাকালে শুধু ল্যাবএইড বা ডাক্তারের বক্তব্য প্রাধান্য না দিয়ে আমাদের কাছে যে প্রমাণ আছে সেগুলোও যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট পেশ করা হয়।  আমার স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় ডা. স্বপ্নীল ও ল্যাবএইডের উভয়ের লাইসেন্স বাতিল ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। অ্যাকাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, কেন মৃত্যু হয়েছে তার কারণটা খুঁজে দেখা দরকার। ভালো চিকিৎসার জন্য আমরা প্রাইভেট হাসপাতালে যাই। তারপরেও কেন আমরা অরাজকতার শিকার হবো? তার মধ্যে ভালো হাসপাতালগুলোতে কেন অরাজকতা হচ্ছে? এটার যদি বিচার না হয় তাহলে এটি চলতেই থাকবে। ভুক্তভোগীর বোন নিভিন রেজা বলেন, এ ঘটনার আগে ও পরে ল্যাবএইড কতৃর্পক্ষ ও ডাক্তার আমাদের কাছে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে। ঘটনার পরপর ডিজিএইচএসের একটি অফিসিয়াল তদন্ত দল ল্যাবএইডে গেলেও তারা প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে। পরবর্তীতে আমরা মন্ত্রণালয়, ডিজিএইচএস, বিএমডিসি, ল্যাবেইড এবং ডাক্তার বরাবর ‘জাস্টিস ডিমান্ডিং নোটিশ’ পাঠিয়েছিলাম; তবে এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, পেটে গ্যাসজনিত সমস্যার কারণে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীল) কাছে যান রাহিব রেজা। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ল্যাবএইডে অ্যান্ডোস্কোপি করানোর পরামর্শ দেন ডা. স্বপ্নীল। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাহিব রেজার মৃত্যু হয়। রাহিবের মৃত্যুতে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও হাসপাতালের গাফিলতির দাবি করেছেন স্বজনরা। শিক্ষাজীবন শেষে রাহিব রেজা রাজধানীর স্টার্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্ট ম্যানেজার ও আইটি কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার দুই বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৭

স্কুলে পতাকা টানাতে গিয়ে প্রাণ গেলো শিক্ষার্থীর
স্কুলের পতাকা টানানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রিয়ান বাদশা (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর কদমতলীর পলাশপুর আইডিয়াল স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়ান ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বনগ্রামের সিএনজি অটোরিকশাচালক ফারুকের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে পলাশপুর ৫ নম্বর রোডে থাকতেন।  ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসি ও জাকির হোসেন জানান, পতাকার স্টিলের পাইপটি পাশের বিদ্যুতের তারের সঙ্গে সংস্পর্শ হয়। এ সময় রিয়ান পতাকা টাঙাতে গেলে বিদ্যুতায়িত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে অচেতন হয়ে পড়ে সে। এরপর তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা পৌনে ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি কদমতলী থানায় জানানো হয়েছে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৫

সারিয়াকান্দিতে নিখোঁজ স্কুল শিক্ষার্থীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
বগুড়া সারিয়াকান্দিতে নাছিম মিয়া (১৪) নামে একজন নিখোঁজ শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  সোমবার (৪ মার্চ) রাত ১০টায় গাবতলি উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামে তারই মামাতো ভাইয়ের গোয়ালঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  নাছিম সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের ওয়াজেল মিয়ার ছেলে এবং তিনি ফুলবাড়ী গমির উদ্দিন বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।  জানা গেছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার শবে বরাতের দিন এশার নামাজের পর নাছিম মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেননি। তারপর নাছিমকে আর কোথাও খুঁজে না পেয়ে এ বিষয়ে নাছিমের বাবা ওয়াজেল গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সারিয়াকান্দি থানায় একটি হারানো ডায়েরি করেন। এ ঘটনায় গত রোববার সারিয়াকান্দি থানার পুলিশ বিকাশের দোকান থেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নাছিমকে হত্যা করা হয়েছে। আটক অপহরণকারীর তথ্যানুযায়ী, সোমবার রাত ১০টার দিকে নাছিমের মামাতো ভাই এনামুলের (১৯) বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এনামুল গাবতলি উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি সারিয়াকান্দি সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় আলিম শ্রেণির ছাত্র। অভিযান পরিচালনা করে এনামুলের বসতবাড়ির একটি গোয়ালঘরে মাটি খুঁড়ে হাত পা বাঁধা অবস্থায় একটি বস্তার ভেতর নাছিমের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলার সহকারী পুলিশ সুপার গাবতলি সার্কেল নিয়াজ মেহেদী, সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম প্রমুখ। পুলিশের বরাতে জানা যায়, অপহরণের পর একটি মোবাইল ফোনে নাছিমের বাবার নিকট থেকে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল অপহরণকারী। পরে নাছিমের বাবা ২০ হাজার টাকা বিকাশে মুক্তিপণ পাঠিয়ে দেন। মুক্তিপণের ওই ২০ হাজার টাকা তুলতে গিয়ে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পরে অপহরণকারী। অপহরণকারীর নাম ঠিকানা পুলিশ পরে প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন সারিয়াকান্দি থানার পুলিশ। এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলি সার্কেল) নিয়াজ মেহেদী বলেন, নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একটি ব্রিফিং করা হবে। ব্রিফিংয়ে সবকিছু প্রকাশ করা হবে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়