• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গি কার্যক্রম খতিয়ে দেখা হবে : শিক্ষামন্ত্রী
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গোপনে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান তিনি।  মন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগেও অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, কিছু জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) গোপনে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা ছিল। সে বিষয়টি আমরা আরও গভীরভাবে তদন্ত করব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গি তৎপরতার বিষয়টি নিয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটও কাজ করবে জানিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী এরপর বলেন, জঙ্গিবাদ নিয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটও কাজ করবে। এটি শুধু বুয়েটেই নয়, দেশের অন্যান্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।  এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে কেউ যদি মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দেওয়ার মতো মানসিকতা রাখে, তবে সেটিও প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পেছন থেকে কেউ জঙ্গিবাদী বা উগ্রবাদী মানসিকতার কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, সেটা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ এই আলোচনাটা বারবার আসছে।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫১

ড. ইউনূস ইউনেস্কোর পুরস্কার পাননি: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পেয়েছেন বলে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে সেটি সঠিক নয়। বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার পাওয়ার খবর চালিয়েছেন। তিনি যে পুরস্কারটি পেয়েছেন সেটি ইসরায়েলি ভাস্কর হেদভাসার দেওয়া সম্মাননা স্মারক। তিনি বলেন, পুরস্কারের বিষয়টি নিয়ে আমরা ইউনেস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছে, ড. ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার দেওয়া হয়নি। মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ড. ইউনূস ইউনেস্কোর নাম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন এবং প্রতারণা করছেন, যেটি দুঃখজনক। এখনও ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটে ইউনেস্কো প্রদত্ত পুরস্কার বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।  ইউনেস্কোকে অবহিত করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ড. ইউনূস  বিতর্কিত ও দণ্ডিত ব্যক্তি। তিনি শ্রম অধিকার লঙ্ঘন করেছেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:২০

মঙ্গলবার স্কুল খোলা বা বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন,  ‘আমরা যে সিদ্ধান্তটা দিয়েছি, তার বিরুদ্ধে রায়ের কোনো কপি আমাদের কাছে আসেনি। এজন্য আমরা কোনো মন্তব্য করবো না।’ সোমবার (১১ মার্চ) রাতে ‘রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রথম রোজার দিনে স্কুল বন্ধ নাকি খোলা থাকবে?’- প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী ‘সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর ছুটি ঘোষণা নির্বাহী এখতিয়ার। কয়দিন ছুটি থাকবে বা থাকবে না, এটা বিশেষায়িত বিষয়। এটা উচ্চ আদালতের এখতিয়ার নয়।’ তিনি বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলকে আমাদের আইনি অবস্থানের কথা জানিয়েছি। এটা আমরা সর্বোচ্চ আদালতে আগামীকাল উপস্থাপন করবো।’ মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার যে, এটা নির্বাহী এখতিয়ার, এখানে আইনি হস্তক্ষেপ করার অধিকার আদালতের আছে কি না, সেটা দেখার বিষয়। আমাদের অবস্থান হচ্ছে এটা নির্বাহী এখতিয়ার, এটা আদালতের এখতিয়ার নয়।’
১২ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৬

দেশে কওমি মাদরাসা থাকা নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরলেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরও যাতে কর্মসংস্থান হয় সেটাও আমরা চাই। এ জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন কওমি মাদরাসা নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তার এ বক্তব্যকে বিকৃত করে একটি রাজনৈতিক দল প্রচার করছে বলে দাবি করেন তিনি। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি জেলা থেকে একটি আলোচনা এসেছিল, অনিবন্ধিত, নাম-পরিচয়হীন নুরানি মাদরাসার নামে কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। সেগুলো নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কী? সেই প্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম, যেসব নুরানি মাদরাসা গড়ে উঠছে, সেগুলোর যথাযথ নিবন্ধন আছে কি না, সেগুলোতে কীভাবে শিক্ষাক্রম পরিচালিত হচ্ছে? অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যাতে সাংঘর্ষিক না হয়, সে বিষয়ে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কীভাবে তা ইউনিফরমিটির মধ্যে আনা যায়। বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, নুরানি বা কওমি মাদরাসার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে—এই ধরনের মন্তব্য (কওমি মাদরাসা বন্ধ) আমি করিনি। এই আলোচনা সৃষ্টি করে এক পক্ষ গুজব রটাচ্ছে। গুজব রটিয়ে কওমি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টির নোংরা অপচেষ্টা করছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা আগে আরও অনেক ধরনের মানহানিকর এবং আপত্তিকর কথা বলছে।  তিনি বলেন, বারবার বলছি, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে, অবশ্যই থাকবে। কারণ আমরা আইন দিয়ে কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স স্বীকৃতি দিয়েছেন। কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু সেখানকার শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ন্যূনতম লিটারিসির কথা বলছি, তারা যাতে কর্মসংস্থান পায়, সে সমস্ত বিষয় নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে চাচ্ছি, আগামীতেও কাজ করব। তাদের বারবার আমন্ত্রণও জানিয়েছি। এখানে মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার মতো কথা কেউ কখনো বলেননি। তিনি আরও বলেন, একটি পরিকল্পনার মধ্যে থেকে, নিবন্ধনের মধ্যে থেকে, কী পড়ানো হচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে, আমার শিক্ষার্থী, আমাদের এই প্রজন্মকে কী পড়াচ্ছি, সেটা জাতীয় শিক্ষাক্রম হোক, কওমি মাদরাসা হোক বা ইংরেজি মাধ্যমে হোক, সেটির ওপর রাষ্ট্রের নজর তো অবশ্যই থাকতে হবে। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কিছু যদি পড়ানো হয়, সেটা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে হোক; আমরা দেখেছি, অনেক পাবলিশিং হাউজের নাম করে উসকানি দেওয়ার জন্য বই ছাপানো হয়েছে এবং পড়ানো হচ্ছে, সেগুলো আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে।  
০৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নে তদন্তের নামে আর ছাড় নয় : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে তদন্তের নামে আর কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ কমিটি করে তদন্ত হোক আর না হোক, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।  রোববার (৩ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ নির্দেশনা দেন।  শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি-নিপীড়ন নিয়ে উচ্চ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিপীড়ন নিরোধে কমিটি করতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠানে সেটা আছেও। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, স্কুল-কলেজে কারও বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজে জড়ানোর অভিযোগ উঠলে অভ্যন্তরীণ কমিটি করা হয়। সেখানে তদন্ত চলছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা হরহামেশা ঘটছে। এরপর তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের তদন্ত কমিটি তদন্ত করুক বা না করুক, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে এখন থেকে আর কোনো বাধা বা অজুহাত চলবে না।’ ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে সোয়া ৬টা পর্যন্ত এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অধিবেশন শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী। মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ডিসিদের জানিয়েছি, দক্ষতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। ডিসিরা সবাই বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো সৃষ্টি হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপকরণ পাচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। শিক্ষায় সরকারের এমন বিনিয়োগ ও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে বড় সফলতা আসবে বলেও তারা মতামত দিয়েছেন।’ অধিবেশন ও ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
০৪ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৯

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে : শিক্ষামন্ত্রী
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষক সংকট মেটাতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এছাড়া ৬০ হাজারের মতো গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষকের অভাব রয়েছে বলেও জানান তিনি।  শনিবার (২ মার্চ) ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে সংগঠনটির জেলা ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি সম্মেলন ও বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষক সংকট নিরসনে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাজে লাগাতে এবং বর্তমান কারিকুলামে যে শিক্ষা দর্শন, অ্যক্টভিটি বেইজড লার্নিং, সেখানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। যেহেতু আমাদের চাহিদা আছে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা শিক্ষক হিসেবে গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে আসতে পারেন। আমাদের নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণিত ও বিজ্ঞানের অনেক শিক্ষক প্রয়োজন। আমরা মনে করছি ৬০ হাজারের মতো গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষকের অভাব রয়েছে। সেখানে আমাদের ডিপ্লোমা পাশ করা ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োজিত করতে পারলে শিক্ষক সংকট সমাধান করা সম্ভব হবে। সেটা আমাদের বিবেচনায় আছে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সদের স্নাতক সমমানের মর্যাদা দেওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একজন এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর বিএসসি (পাস কোর্স) পাস করতে সময় লাগে ৫ বছর। অন্যদিকে ডিপ্লোমা পাস করতে সময় লাগে ৪ বছর। সেক্ষেত্রে ডিপ্লোমা পাস করা একজন শিক্ষার্থী এক বছর কোন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে তাকে বিএসসি (পাস) সমমানের মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে। সে বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আইডিইবি’র প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে এই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামসুর রহমান।   
০২ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৮

প্রশ্নপত্র ফাঁস ও গুজব ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ে গুজব ঠেকাতে বড় পরিসরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেলেও শিক্ষার্থীদের শেখার ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এ কারণে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন ও শিখন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রকৃত অর্থে মেধাবী ও কর্মোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ ছাড়া শুধু বার্ষিক পরীক্ষা কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা নয়, সারা বছর শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন করা হবে। এর আগে, সকাল ১০টা থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এবার মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন। আর বিদেশের ৮ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৩

নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়বে : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট কারিকুলাম গড়ে তোলা হয়েছে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়বে। শুক্রবার (৯ ফ্রেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর প্যারেড গ্রাউন্ডে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে গিয়ে কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যে দক্ষতাগুলো ছাড়া কোনো কাজ করাই সম্ভব না, অর্থাৎ প্রেজেন্টেশন করার সক্ষমতা, দলগতভাবে কাজ করার সক্ষমতা, পুঁথিগত বিদ্যা বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে সার্বজনীন দক্ষতা নিতে পারে, সেটা মাথায় রেখেই আমাদের নতুন কারিকুলাম। তিনি বলেন, আমাদের মেয়েরা গতকাল ভারতের সঙ্গে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফুটবলে। এটি আমাদের অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। মাত্র দুদিন আগে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যে, যাতে করে মাধ্যমিক পর্যায়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা ফুটবল খেলার সুযোগ পায়, ক্রিকেট খেলায় সুযোগ পায়। এজন্য আমরা সারাদেশে প্রতিযোগিতা শুরু করতে যাচ্ছি। সেখানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একটু এগিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এরই মধ্যে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মেয়রের কাছে অনুরোধ রাখবো, চট্টগ্রামের সব খেলার মাঠ যেন শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। মাঠে মেলার প্রয়োজন নাই, আমাদের খেলার প্রয়োজন। একটা নির্দিষ্ট সময় মেয়েদের খেলার জন্য ব্যবস্থা থাকার প্রয়োজন আছে। কারণ দেশের ৫০ শতাংশ নারী। তাদেরও মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ। এতে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েরাও এগিয়ে যাবে। তাহলে হবে একটি সুষম উন্নয়ন। সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চসিকের ৮২টি স্কুলে ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা ক্রীড়া, বিতর্ক ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে এগিয়ে যাক। এজন্য চসিকের ইতিহাসে শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে বড় এ আয়োজন। আমরা চাই চট্টগ্রামের কোনো শিশু শিক্ষা বঞ্চিত না থাকুক। এ সময় চসিকের স্কুলগুলোকে এমপিওভুক্ত করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, আমাদের স্কুলগুলো এমপিওভুক্ত হলে আরও স্বল্প বেতনে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে পড়াতে পারবো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, চসিকের শিক্ষা স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোজাহিদুল ইসলাম চৌধুরী এবং চসিকের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:১৫

যে কারণে এসএসসির কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক যন্ত্রণা ও জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী মনে করেন কেন্দ্র পরিদর্শনের কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর এক ধরনের হয়রানিমূলক পরিস্থিতি, মানসিক যন্ত্রণা এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা এমনিতেই একটা ট্রমার মধ্যে থাকে। কেন্দ্র পরিদর্শনের নামে ব্যাপক জনসমাগম এই মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে বিঘ্ন ঘটে।   এতে আরও জানানো হয়েছে, এই মানসিক যন্ত্রণা ও জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী। আইন অনুযায়ী কেন্দ্র পরিদর্শক ছাড়া অন্য কারও কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি নাই। তাই পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি যেন পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ না করে সেই বিষয়ে সবার সচেতন থাকা উচিত।  
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৬

নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম দক্ষতামূলক, যা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে স্বাধীনতা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ উপমহাদেশের হাজার বছর ধরে বহমান ইসলামী ভাবধারা দেশের আলিয়া মাদরাসায় চর্চা করা হয়। ইসলাম শিক্ষার বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে মাদরাসায় নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সাদরে গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে তা সংশোধন করা হবে। শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে অপরাজনীতি না করার আহ্বান জানাই। তিনি আরও বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে মাদরাসা শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে তারা মাদরাসার জন্য প্রণীত পাঠ্য বইয়ে তাদের মতামত প্রদান ও অবদান রাখতে পারবেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বীনি শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। সরকার এক হাজার ৮০০ মাদরাসা ভবন নির্মাণ করেছে। এ ছাড়াও প্রচুর সংখ্যক মাদরাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। সভায় মাদরাসা শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং যৌক্তিক দাবিসমূহ বিবেচনা করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এ সময় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জাতীয় পাঠ্যক্রমের বিষয় ছাড়াও ধর্মীয় বিষয় অধ্যয়ন করে। তাই তারা মূলধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু বলেন, অতীতে মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠনের নামে কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন। তারা ইসলামের চর্চার চেয়ে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর মতাদর্শ প্রচারে অধিক ব্যস্ত ছিলেন। তবে বর্তমান সরকার মাদরাসায় প্রকৃত ইসলামের চর্চার পরিবেশ বজার রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়