• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম দক্ষতামূলক, যা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে স্বাধীনতা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ উপমহাদেশের হাজার বছর ধরে বহমান ইসলামী ভাবধারা দেশের আলিয়া মাদরাসায় চর্চা করা হয়। ইসলাম শিক্ষার বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে মাদরাসায় নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সাদরে গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে তা সংশোধন করা হবে। শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে অপরাজনীতি না করার আহ্বান জানাই। তিনি আরও বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে মাদরাসা শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে তারা মাদরাসার জন্য প্রণীত পাঠ্য বইয়ে তাদের মতামত প্রদান ও অবদান রাখতে পারবেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বীনি শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। সরকার এক হাজার ৮০০ মাদরাসা ভবন নির্মাণ করেছে। এ ছাড়াও প্রচুর সংখ্যক মাদরাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। সভায় মাদরাসা শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং যৌক্তিক দাবিসমূহ বিবেচনা করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এ সময় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জাতীয় পাঠ্যক্রমের বিষয় ছাড়াও ধর্মীয় বিষয় অধ্যয়ন করে। তাই তারা মূলধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু বলেন, অতীতে মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠনের নামে কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন। তারা ইসলামের চর্চার চেয়ে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর মতাদর্শ প্রচারে অধিক ব্যস্ত ছিলেন। তবে বর্তমান সরকার মাদরাসায় প্রকৃত ইসলামের চর্চার পরিবেশ বজার রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৩

নতুন শিক্ষাক্রমের দুই বিষয়ে পর্যালোচনার অনুরোধ শিক্ষামন্ত্রীর
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি পর্যালোচনা করে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।   বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞবর্গের সঙ্গে এক মতবিনিময় শেষে তিনি এ অনুরোধ করেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।  এতে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ধারাবাহিক মূল্যায়ন, ষাণ্মাসিক ও বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষাবর্ষের প্রথম মাস জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সৃষ্টি হওয়া অভিজ্ঞতা, তথ্য ও উপাত্ত পর্যালোচনা করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্যে মূল্যায়ন সহজবোধ্য করার বিষয়ে আরও বিস্তারিত খতিয়ে দেখে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সুপারিশ করার জন্য এনসিটিবিকে অনুরোধ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময়  জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর এর অধ্যাপক ড. তারিক আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৯

নতুন শিক্ষাক্রমের বিকল্প নেই: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষা কারিকুলামের সমালোচনা হলেও এর বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।  মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে। সমালোচনার ভয়ে যথার্থ এবং সঠিক সিদ্ধান্ত থেকে পিছুপা হবনা। অবশ্যই দৃঢ়ভাবে আমাদের কিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। এটার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, সরকারে থাকলে চ্যালেঞ্জ একটু কমপ্লেক্স হয়। আমাদের চ্যালেঞ্জটা একটু কমপ্লেক্স। ভালো কিছু করতে কিছু বিষয়ে সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবে। কিছু সমালোচনা হবে। সেই সমালোচনা নেওয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে। আমরা সেটা পারব। মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমি রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আছি। আর আমাদের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা তাদের জায়গা থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষা পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নতুন কারিকুলাম সমালোচনা ও নেগেটিভ প্রচার নিয়ে প্রশ্নের জাবাবে মন্ত্রী বলেন, নেগেটিভ জিনিস ভাইরাল হয় বেশি। নেগেটিভ প্রচারণার প্রতি আমাদের দৃষ্টি বেশি থাকে। অজান্তে আমরা এসব প্রচারণায় জড়িয়ে পড়ি। সেটা মোকাবিলা করা সারা বিশ্বব্যাপী একটি চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও বলেন, দেশে যখন গুজব মোকাবিলা করতে যাওয়া হয় তখন ভিন্ন দেশে থাকা ষড়যন্ত্র ও কুচক্রীকারীরা সেখানে বাক-স্বাধীনতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলে। প্রতিক্রিয়াশীল এবং সাম্প্রদায়িক, নারী-বিদ্বেষী গোষ্ঠীকে শিক্ষার কারিকুলাম নিয়ে কথা বললেই বা কোনো বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ নিতে গেলেই আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে তারা অপপ্রচার করে। বাক-স্বাধীনতা রোধ করা হচ্ছে বলে অপপ্রচার করে। এ সময় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে কীভাবে অপপ্রচারের বিষয়টি তুলে ধরেন মন্ত্রী। নওফেল বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন নিশ্চিত করতে চট্টগ্রামে ইকোনমিক ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলা হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি ইকোনমিক ইকো-সিস্টেম আমরা তৈরি করতে পারি। ইকোনমিকের সঙ্গে এডুকেশনের একটি সম্পর্ক যাতে আমরা সৃষ্টি করতে পারি। এ সময় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়সহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়