• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ওসির ওপর হামলা : শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ৩
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধানের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সদর থানার এসআই নীহারিকা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত করছেন জেলা ডিবি পুলিশের এসআই মোতালেব। এর আগে রোববার বিকেলে রাজবাড়ী সদর থানার ওসির নিজ অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের ডিক্রির চর চাঁদপুর গ্রামের আজাদ শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৪), একই গ্রামের আজিজ শেখের ছেলে লিটন শেখ (৪৫) ও শহীদ ওহাবপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আক্কাস আলী মিয়া (৪৩)। আক্কাস আলী রূপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, রোববার বিকেলে লিটন ও শফিকুল ৯ জনের নামে সদর থানায় একটি মারামারির জিডি করতে যান। ওই সময় থানায় ডিউটিরত অফিসার ছিলেন এসআই নীহারিকা। ৯ জনের নামে জিডির বিষয়টি এসআই নীহারিকার কাছে সন্দেহজনক মনে হলে এসআই নীহারিকা তাদের ওসির রুমে নিয়ে যান। তখন ওসি বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার জন্য এক এসআইকে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাদের সঙ্গে ২-৩ জনের ঝামেলা চলছে। তখন ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান তাদেরকে জেরা করা শুরু করেন। পরে লিটন শেখ শিক্ষক আক্কাসকে কল দিয়ে ফোন পকেটে রেখে দেন। বিষয়টি ওসি দেখে ফেললে তাদের পকেটে কি আছে বের করতে বলেন। ওই সময় শফিকুলের শরীর তল্লাশি করে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার একটি মেশিন উদ্ধার করা হয়। এতে শফিকুল ক্ষিপ্ত হয় এবং হঠাৎ করেই ওই মেশিন দিয়ে ওসির ওপর আক্রমণ চালায়। এতে তার মুখের খানিকটা অংশ রক্তাক্ত জখম হয়। পরে পুলিশ শফিকুলে এবং তার অন্য সহযোগী লিটন ও আক্কাসকে আটক করে। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। ঘটনাটি যে ঘটিয়েছে সেই শফিকুলের নামে মারামারির একটি মামলা রয়েছে। তিনজনকে এ ঘটনায় আটক করা হয়। তিনি আরও বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়