• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির নীতিমালা প্রকাশ
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলিসংক্রান্ত নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতি বছর অক্টোবর মাসে অনলাইনে বদলি আবেদন করা যাবে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে উপসচিব রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বদলি নীতিমালা না থাকায় এবং বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিপত্র ও অফিস আদেশ যুগোপযোগী করার উদ্দেশ্যে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো। নীতিমালার আওতা বিষয়ে বলা হয়েছে, শিক্ষার মাধ্যমিক স্তরের সরকারি শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের  বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। সরকার জনস্বার্থে যেকোনো সময় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন করতে পারবে। বদলির সময়কাল প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি শিক্ষাবর্ষে শুধুমাত্র অক্টোবর মাসে আগ্রহী শিক্ষকদের বদলির আবেদন করতে পারবেন। এ সময়সীমা ছাড়া অন্যকোনো সময়ে বদলির জন্য আবেদন করা যাবে না। তবে অনিবার্য পরিস্থিতিতে শুধু সিনিয়র সচিব বা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বরাবর আবেদন করা যাবে। আবেদনের শর্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, বর্তমান কর্মস্থলে চাকরির সময়সীমা তিন বছর পূর্ণ হতে হবে এবং বদলির উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে। শিক্ষকদের বদলি হবে শুধুমাত্র অনলাইনে। বছরের অক্টোবর মাসে এ বদলি আবেদন নেওয়া হবে। এ ছাড়া নতুন নীতিমালায় আর জানানো হয়, সমতলের কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে পার্বত্য অঞ্চল (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি)  এবং দুর্গম, চর ও হাওর অঞ্চলে বদলি করা হলে বদলিকৃত কর্মস্থলে এক বছর চাকরির পর তিনি পুনরায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তার আবেদন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।  এতে বলা হয়, মহানগরী ও জেলা সদরে কর্মরত কোনো শিক্ষকের কর্মকাল একই প্রতিষ্ঠানে একাধারে ৬ বছরের বেশি হলে তাকে নিজ জেলায় অথবা পাশের জেলায় বদলি করা হবে। তবে তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি বা অন্যকোন অভিযোগ থাকলে তা প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাকে বদলি করতে পারবে। বদলির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিজ জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলায় পদায়নে গুরুত্ব দেওয়া, সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদের বিপরীতে অন্য বিষয়ে শিক্ষক বদলি বা সহ পদায়ন করা হবে না। এতে আরো বলা হয়েছে, অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদের বিপরীতে অন্য বিষয়ের শিক্ষক বদলি বা পদায়ন করা যাবে না। অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে যাওয়ার একবছর আগে কোন শিক্ষক বা কর্মচারী অবসর ভাতা গ্রহণের সুবিধার্থে কোন সুবিধাজনক কর্মস্থলে বদলির আবেদন করলে তার আবেদন সর্বোচ্চ গুরুত্ব  সহকারে বিবেচনা করতে হবে। সূত্র : বাসস 
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪৭

প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষকদের সুখবর দিলো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ফুলব্রাইট বৃত্তির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ফুলব্রাইট ডিস্টিংগুইশড অ্যাওয়ার্ড ইন টিচিং প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল টিচার্স (ফুলব্রাইট ডিএআই) শিরোনামে এ আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহী শিক্ষকদের আগামী ১৪ এপ্রিলের মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে। জানা গেছে, এ বৃত্তির জন্য বাংলাদেশে বসবাসরত নাগরিক হতে হবে। প্রাইমারি অথবা মাধ্যমিক স্তরের পূর্ণ সময়ের ইংরেজি, গণিত, সিভিক এডুকেশন, বিজ্ঞান বা সামাজিক অধ্যয়নের শিক্ষক হতে হবে। শিক্ষাদানে ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ইংরেজিতে কথা বলা এবং লেখার দক্ষতা থাকতে হবে এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও এক্সেলের মতো মাইক্রোসফট অফিস স্যুট প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। বাংলাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য এটি ক্রেডিটবিহীন পেশাগত বিনিময় কার্যক্রম। যেসব শিক্ষক এই বৃত্তি পাবেন তারা ছয় সপ্তাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নেবেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রে পেশার বিকাশের জন্য একাডেমিক সেমিনারে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের দক্ষতা পর্যবেক্ষণ ও বিনিময়ের সুযোগ পাবেন। আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ফুলব্রাইট ডিএআই-তে আবেদন করা যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে এবং বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০০

প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইন বদলি আবেদন শুরু
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নিজ উপজেলা বা থানায় বদলির অনলাইন কার্যক্রম শনিবার (৩০ মার্চ) শুরু হয়েছে; যা আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তৌহিদুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকদের অন্তঃউপজেলাবা থানা (একই উপজেলা/থানার ভেতর) অনলাইন বদলি কার্যক্রম চলমান থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন আবেদন, যাচাইসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া কবে, কীভাবে সম্পূর্ণ হবে তাও জানানো হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইন আবেদন করতে পারবেন শিক্ষকরা। পরদিন ২ এপ্রিল থেকে সেই আবেদন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক যাচাই সম্পন্ন করতে হবে। ৩-৪ এপ্রিল পর্যন্ত সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক যাচাই সম্পন্ন করা হবে। ৫-৭ এপ্রিলের মধ্যে উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক যাচাই ও অগ্রায়ন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ৮-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক সহকারী শিক্ষকের যাচাই ও অনুমোদন এবং প্রধান শিক্ষকের যাচাই ও অগ্রায়ন সম্পন্ন হবে। এছাড়া ১৫-১৭ এপ্রিল বিভাগীয় উপপরিচালক কর্তৃক যাচাই ও অনুমোদন শেষ হবে। অনলাইন বদলি আবেদনে যত শর্ত : শিক্ষকরা সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে পছন্দ করবেন। তবে কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে শুধুমাত্র একটি বা দুটি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে, তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। যাচাইকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর জারিকৃত সর্বশেষ সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২৩ অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি যাচাই করে অগ্রায়ণ করবেন। যাচাইকারী কর্মকর্তা সতর্কতার সঙ্গে সংযুক্ত তথ্য ও কাগজপত্রাদি যাচাই করবেন। যাচাইপূর্বক প্রেরণ পরবর্তী তা পুনঃবিবেচনা করার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। আবেদনকারীর পছন্দক্রম অনুযায়ী বদলি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। একাধিক আবেদনকারীর ক্ষেত্রে যোগ্য আবেদনকারীকে সফটওয়্যারের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনায় নির্বাচিত করা হয়, বিধায় কোনো রকম হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য থেকে জানা যায়, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৫

প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইন বদলি আবেদন শুরু শনিবার
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নিজ উপজেলা বা থানায় বদলির অনলাইন কার্যক্রম শনিবার (৩০ মার্চ) শুরু হবে; যা চলবে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তৌহিদুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকদের অন্তঃউপজেলাবা থানা (একই উপজেলা/থানার ভেতর) অনলাইন বদলি কার্যক্রম চলমান থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন আবেদন, যাচাইসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া কবে, কীভাবে সম্পূর্ণ হবে তাও জানানো হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইন আবেদন করতে পারবেন শিক্ষকরা। পরদিন ২ এপ্রিল থেকে সেই আবেদন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক যাচাই সম্পন্ন করতে হবে। ৩-৪ এপ্রিল পর্যন্ত সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক যাচাই সম্পন্ন করা হবে। ৫-৭ এপ্রিলের মধ্যে উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক যাচাই ও অগ্রায়ন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ৮-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক সহকারী শিক্ষকের যাচাই ও অনুমোদন এবং প্রধান শিক্ষকের যাচাই ও অগ্রায়ন সম্পন্ন হবে। এছাড়া ১৫-১৭ এপ্রিল বিভাগীয় উপপরিচালক কর্তৃক যাচাই ও অনুমোদন শেষ হবে। অনলাইন বদলি আবেদনে যত শর্ত :  শিক্ষকরা সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে পছন্দ করবেন। তবে কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে শুধুমাত্র একটি বা দুটি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে, তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।  যাচাইকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর জারিকৃত সর্বশেষ সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২৩ অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি যাচাই করে অগ্রায়ণ করবেন।  যাচাইকারী কর্মকর্তা সতর্কতার সঙ্গে সংযুক্ত তথ্য ও কাগজপত্রাদি যাচাই করবেন। যাচাইপূর্বক প্রেরণ পরবর্তী তা পুনঃবিবেচনা করার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।  আবেদনকারীর পছন্দক্রম অনুযায়ী বদলি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। একাধিক আবেদনকারীর ক্ষেত্রে যোগ্য আবেদনকারীকে সফটওয়্যারের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনায় নির্বাচিত করা হয়, বিধায় কোনো রকম হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য থেকে জানা যায়, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন।
৩০ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৮

গণবিজ্ঞপ্তির আগেই বদলির প্রজ্ঞাপনের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার আগেই বদলির প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। বুধবার (২৭ মার্চ) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বদলির প্রজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষকদের নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান ‘ইনডেক্সধারী বদলিপ্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের’ সব পর্যায়ের নেতারা। তারা বলেন, রমজান মাসে রোজা রেখেও আজ আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। তাই মানবিক দিক বিবেচনায় দ্রুত বদলির ব্যবস্থা করতে প্রজ্ঞাপন জারির জোর দাবি জানাচ্ছি। এ সময় ইনডেক্সধারী বদলিপ্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সভাপতি সরোয়ার হোসেন বলেন, সরকার বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। একের পর এক আশ্বাস দিয়েও তা বাস্তবায়ন না করায় শিক্ষকরা হতাশ। এখন আমাদের সুস্পষ্ট দাবি হলো- পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আগেই বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে কয়েক লাখ শিক্ষকের বদলির ব্যবস্থা করতে হবে। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম বলেন, আমরা মাত্র সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করি। সেটাও আবার নিজের বাড়ি থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে। এভাবে চাকরি করা খুব কষ্টসাধ্য। কোনো সেক্টরে এমন দুর্বিষহ চাকরিজীবন নেই।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৫

বকেয়া বেতনের দাবিতে পাকিস্তানে শিক্ষকদের বিক্ষোভ
তিন মাসের বকেয়াসহ ৩৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেছে বেলুচিস্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’ (জেএসি) ব্যানারে সম্প্রতি তারা একটি মিছিল নিয়ে কোয়েটায় প্রেস ক্লাবের সামনে হাজির হন। বেলুচিস্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক দুরাবস্থার দ্রুত সমাধানের দাবি জানান তারা। দ্য বেলুচিস্তান পোস্ট জানিয়েছে, গত বছরের শিক্ষা বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা সেন্টারের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য ৩৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সেটির বাস্তবায়ন আর বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেন। মিছিল নিয়ে তারা কোয়েটার সচিবালয়, কমিশনার অফিস, হকি চৌক, কাছেরি চৌক, মান্নান চৌক এলাকা ঘুরে কোয়েটা প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ করেন।  বিক্ষোভে নেতৃত্বে দেন অধ্যাপক কলিম উল্লাহ বারেচ, এপিএলএফ চেয়ারম্যান শাহ আলী বুগতি, নাজির আহমেদ লেহরি, পিকেএমএপি’র মোহাম্মদ ঈসা রোশন, বিএসও’র সামাদ বেলুচ, নাজার মেঙ্গল, বেলুচিস্তান লেবার ফেডারেশনের আবিদ বাট, ফরিদ খান আচাকজাই, ফারহানা উমর মাগসি। বিক্ষোভকারীরা বলেন, রোজার মাসে বেলুচিস্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মজুরি ও পেনশনের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে, যা নিয়ে তারা হতাশ। এই ঘটনায় বেলুচিস্তান সরকার ও উচ্চশিক্ষা কমিশনের অবহেলা ও সদিচ্ছার অভাবের কথা বলেন তারা। রোজার মধ্যে এভাবে মজুরি আর বেতন না বাড়ানোয় আর্থিক সংকটের কথা তুলে ধরেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাক্তন উপাচার্যের অবৈধ নিয়োগ কার্যক্রম ও অদক্ষতার নিয়ে তারা সমালোচনা করেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫২

প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে যা জানাল অধিদপ্তর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনলাইন বদলির জন্য তৈরি সফটওয়্যার হালনাগাদসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষের পথে, ফলে চলতি মাসেই বদলি শুরু হচ্ছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অনলাইনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলির অনলাইন আবেদন শুরু হয়। যা ওই বছরের ৩০ জুন পরীক্ষামূলক (পাইলটিং) উদ্বোধন হয়। এতদিন তা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে থাকায় রয়েছে বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অনলাইনে বদলি যেভাবে  বদলিপ্রত্যাশী শিক্ষকরা প্রথমে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন। সেটি যাচাই করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাঠাবেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। সেখান থেকে তা উপজেলা কর্মকর্তা যাচাই করে পাঠাবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) কাছে। ডিপিইও সেটি মঞ্জুর বা নামঞ্জুরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে সেটে আবার পাঠিয়ে দেবেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। এরপর উপজেলা কর্মকর্তা বদলির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবেন। বদলিপ্রত্যাশীরা অনলাইনের মাধ্যমেই সেটি জানতে পারবেন। এ জন্য তিন ধাপের কর্মকর্তা ৩ দিন করে সময় পাবেন। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না করলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত পরবর্তী ব্যক্তির কাছে চলে যাবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, এতে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ জন শিক্ষার্থী এবং ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯

জাবিতে অনশনরত ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংহতি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে ফেলার ঘটনায় অনশনরত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক এনামের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদ।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোতাহার হোসেন ও সদস্য সচিব অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন।   এ সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোতাহার হোসেন সংহতি জানিয়ে বলেন, আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করি তারা এ ন্যক্কারজনক ঘটনা মেনে নিতে পারিনি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছি। অনশনরত ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে আমরা একমত প্রকাশ করে দোষীদের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি দুরাতে গ্রাফিতি আঁকার কাজ হয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় একেবারে সদর দরজায় সারা রাত কাজ হলো। এখানে কেউই দেখতে পেল না? নাকি এখানে অন্য কিছু আছে? সংগঠনের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, যেখানে জাতির পিতাকে অবমাননা করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করা হয়েছে, সেখানে তারা বিচারে শৈথিল্য দেখিয়েছে। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। এ ঘটনা ঘটে যাওয়ার ১৪-১৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও উপাচার্য প্রশাসনের অন্যদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন কিনা আমার সন্দেহ। উনি কেন এ বিষয়টিকে এত হালকাভাবে নিলেন? এ অবমাননাকে তিনি মোটেই গুরুত্ব দেননি। এ বিষয়টি আমাদের আহত করেছে। এখানে কারা গ্রাফিতি এঁকেছে এটা তো স্পষ্ট। এর পেছনে কুশীলব কারা; দায়ী কারা আর কারা শৈথিল্য দেখিয়েছে এটা খুঁজে বের করা দরকার। এ সময় অনশনরত ছাত্রলীগ নেতা এনাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লেবাসধারী অনেক শিক্ষক আছে। তারা মুখোশ ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অবমাননা করে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত করে বের করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী ও আইবিএর অধ্যাপক ড. আইরিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের বেদিতে আমরণ অনশন শুরু করেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম। ৫৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অনশন অব্যাহত রেখেছেন তিনি। তার উত্থাপিত তিন দফা দাবিগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবমাননাকারীদের অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় আইনে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, ৮ দিন পার হলেও জড়িতদের ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা তদন্ত করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে একটি গ্রাফিতি অঙ্কন করেন জাবি ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের নেতাকর্মীরা। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে এ গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। গ্রাফিতিতে একটি নারীর অবয়ব, ছয়টি মাথার খুলিসহ একটি পতাকা আঁকা হয়। এর পাশেই লেখা হয় ‘ধর্ষণ ও স্বৈরাচার থেকে আজাদী’।  
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৪

অবসরের বয়সে নিয়োগপত্র শিক্ষকদের
শিক্ষকতার চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন তরুণ বয়সে। নিয়োগপত্র এল ৪০ বছর পর। সরকারি চাকরির বিচিত্র কিসসা পশ্চিমবঙ্গে। স্কুলে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ ঘিরে একগুচ্ছ মামলার নিষ্পত্তি হয়নি এখনো। হাজারদিনের বেশি অবস্থান আন্দোলনে রয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। এরই মধ্যে সামনে এল প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগের এক খবর। আদতে যা একঝাঁক স্বপ্নকে হত্যার করুণ কাহিনী। নিয়োগের পরিহাস এই কাহিনীর সূচনা চার দশক আগে, যখন রাজ্যে সদ্যই ক্ষমতায় এসেছে বামফ্রন্ট সরকার। আশির দশকের গোড়ায় হুগলি জেলায় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। তখন পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের পদ্ধতি ছিল না, ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে বেছে নেয়া হতো শিক্ষকদের। এই বাছাই নিয়ে বিরোধ তৈরি হওয়ায় মামলা দায়ের করেন কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। তারা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্যানেল বাতিলের আবেদন জানান। ১৯৮৩ সালের সেই মামলা হাইকোর্টে চলছিল। এই মামলার নিষ্পত্তি হয় গত ২০ ডিসেম্বর। বিচারপতি সৌম্যেন সেন চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দেন, সেই অনুযায়ী নিয়োগপত্র দেয়া হয়েছে হুগলি জেলার ৬৬ জনকে। এই নিয়োগ কার্যকর হওয়ার দিন ২০১৪ সালের ৮ আগস্ট। জেলা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়োগপত্র পেয়ে বিস্মিত সেই তরুণ চাকরি প্রার্থীরা। আজ যারা পক্বকেশ বৃদ্ধ। ৬৬ জনের মধ্যে চারজন প্রয়াত। বাকিদের ৬০ বছর পেরিয়েছে, যা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের বয়স। এদের কারো বয়স ৭০ পার হয়ে গিয়েছে। প্রবীণদের হতাশা প্রাথমিকে নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর বিস্মিত জাঙ্গিপাড়ার দেবব্রত ঘোষ, পাণ্ডুয়ার দীনবন্ধু ভট্টাচার্য, পুরশুড়ার প্রশান্তকুমার ঘোষরা। আবেদনকারীদের অন্যতম স্বপনকুমার ঘোষ প্রয়াত হয়েছেন ২০১৮ সালে। তার পরিবারও নিয়োগপত্র পেয়ে অবাক। স্বপনের স্ত্রী মাধবী বলেন, আমাদের লুকিয়ে মামলার খরচ যোগাতেন। বলতেন, মামলা জিতলে চাকরি পাবেন। আজ চাকরির চিঠি এল, কিন্তু উনি নেই। টাকার অভাবে ওর চিকিৎসা ঠিকঠাক করানো যায়নি। দেবব্রত ঘোষ বলেন, ১৯৮০ সালে প্রাথমিকে শিক্ষকতার জন্য জুনিয়র বেসিক ট্রেনিং নিয়েছিলাম। তারপর স্কুলে চাকরির জন্য আবেদন করি। ইন্টারভিউ হয়েছিল। আমাদের নম্বর ভালো থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ পাইনি। একাধিকবার ইন্টারভিউ দিলেও পাশ করানো হয়নি। চাকরির জন্য এখন আর উচ্ছ্বাস থাকার কথা নয়। তবু আইনি লড়াই জিতে বৃদ্ধরা খুশি। প্রশান্তকুমার ঘোষ বলেন, এটা আমাদের নৈতিক জয়, সত্যের জয়। তবে এখন আর চাকরি পেয়ে লাভ নেই। যা যন্ত্রণা ভোগ করার আমরা করেছি। এখন শুধু এটুকুই আবেদন, যাতে শেষ বয়সে আর্থিক কষ্ট না হয়, সেটা যেন মানবিকভাবে কর্তৃপক্ষ দেখেন। বেকার জীবনের সংগ্রামের স্মৃতি সকলকে তাড়িয়ে বেড়ায়। হুগলির চাকরি প্রার্থী কালীধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একসময় খুব কষ্ট করে সংসার চালিয়েছি। ভালো ইন্টারভিউ দিয়েও চাকরি মিলবে না, সেটা ভাবিনি। এখন দুই মেয়ে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এটাই সান্ত্বনা। এখন আর এই চাকরি দিয়ে কী করব? কেউ তো আমাদের সময়টা ফিরিয়ে দেবে না! দীর্ঘ আইনি লড়াই চাকরি না মেলায় একঝাঁক চাকরি প্রার্থী হাইকোর্টে প্যানেল বাতিলের আবেদন জানান। তাদের পক্ষে রায় আসে। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়ে যায়। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান প্রার্থীরা। শীর্ষ আদালত বিষয়টি হাইকোর্টেই নিষ্পত্তির জন্য পাঠায়। শেষমেশ এই আদালতেই চাকরি প্রার্থীদের দাবি স্বীকৃতি পেয়েছে। ভারতীয় বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা বহুদিনের সমস্যা। মামলার নিষ্পত্তিতে বহু বছর লেগে যায়। অনেক সময় মামলাকারীরা আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন না, মামলার খরচ জোগানো দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। হুগলির এই চাকরি প্রার্থীরা হাল ছাড়েননি, তার ফল মিলেছে চার দশক পর। চিরকুটে চাকরি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলবন্দি। তার আমলের একাধিক শিক্ষাকর্তাও কারাগারে। এ নিয়ে বিরোধীরা নিশানা করছে শাসক দল তৃণমূলকে। তারাও নিয়োগ দুর্নীতির কথা বলতে বাম আমলের প্রসঙ্গ টেনে আনছে। তৃণমূলের দাবি, সিপিএমের শাসনে যখন নিয়োগের পরীক্ষা নেয়া হতো না, তখন চিরকুটে লিখে পরিবার-পরিজন ও দলীয় কর্মীদের চাকরি দিয়েছে শাসক দল। হুগলির ঘটনায় সেই চিরকুটের প্রসঙ্গই ফের উঠে এল। মামলায় জেতা প্রবীণ দীনবন্ধু ভট্টাচার্য বলেন, ১৯৮৩ সালের কথা। পূজার ছুটির ঠিক আগে চিরকুটে লিখে বামফ্রন্ট সরকার চাকরি দিয়েছিল, যাতে ছুটির মধ্যে আর আমরা কিছু করতে না পারি। তার পর মামলা করি। এতে আমাদের লাভ হয়তো কিছু হলো না, কিন্তু একটা অন্যায়কে সামনে আনা গেল। বামফ্রন্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রী, এখন তৃণমূল মন্ত্রিসভার সদস্য উদয়ন গুহ দাবি করেছেন, অতীতে এ ভাবে নিয়োগ হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বাম আমলের এসব নিয়োগ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের কথাও বলেছিলেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের প্রতিক্রিয়া, নিজেদের রাজত্বে চাকরির নামে লুট করেছে বলে বাম আমলের চিরকুট খুঁজছে! আন্দোলনে পথে সেই আমলের চিরকুট রহস্য থেকে এই আমলে টাকা নিয়ে চাকরি দেয়ার অভিযোগ। হাজার দিনের বেশি পথের ধারে বসে অবস্থান আন্দোলন করছেন চাকরি প্রার্থীরা। রোদ-ঝড়-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে তারা সংগ্রাম করছেন স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে। এর সঙ্গে চলছে আইনি লড়াই। এই লড়াইয়ের প্রশংসা করছেন ৪০ বছর ধরে হার-না-মানা প্রবীণরা। প্রশান্তকুমার ঘোষ বলেন, হাজার দিনের বেশি যারা আন্দোলন করছেন, তাদের কুর্নিশ জানাই। ওদের আন্দোলন সফল হবে।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৯

নতুন কারিকুলামের প্রশিক্ষণে কোচিং করানো শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত না করার নির্দেশ
নতুন কারিকুলামে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষক প্রশিক্ষণের প্রথম ধাপ গত ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে প্রশিক্ষণ শুরু হবে শিগগিরই। এ জন্য উপজেলা ও থানা থেকে যোগ্য বা বিষয়ভিতিত্তিক শিক্ষকদের তালিকা আগামী ১৮ জানুয়ারির  মধ্যে পাঠাতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। একইসঙ্গে এই তালিকায় যেন কোচিং করায় এমন শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্ত না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) মাউশির ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিমের পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজ আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ৮ম ও ৯ম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য সাবজেক্ট ম্যাচিং অনুসারে সংযুক্ত ছকে শিক্ষকদের তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিমের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে ৮ম ও ৯ম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি-শিক্ষকদের প্রথমধাপে ৭ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ ৪৭৪ উপজেলায় সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ২য় পর্যায় শিগগিরই আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে করতে সাধারণ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন (মাধ্যমিক স্তরের) ১ম পর্যায়ের প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত, ইআইআইএনধারী প্রতিষ্ঠানের বাদ পড়া প্রশিক্ষণার্থী এবং মাদ্রাসা, কারিগরি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ইআইআইএনবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত পূর্ণকালীন শিক্ষকদের তথ্য ও তালিকা প্রয়োজন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ইএমআইএস সেলে তথ্য অনুযায়ী উপজেলা বা থানাওয়ারী (আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তার নামসহ) বিষয়ভিত্তিক সংখ্যা ও তালিকা প্ৰয়োজন। প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রতিষ্ঠান প্রধান, খণ্ডকালীন শিক্ষক এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশেষায়িত বিষয়সমূহের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনাকারী শিক্ষকরা ২য় পর্যায়ের এই প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত হবেন না। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে নতুন কারিকুলামের আলোকে সাবজেক্ট ম্যাচিং অনুসারে বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি শিক্ষকদের সংখ্যা ও তালিকা সংযুক্ত ছক মোতাবেক যাচাই করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের ই-মেইলে গুগল ফরমের লিঙ্কের মাধ্যমে আগামী ১৮ জানুয়ারি পাঠাতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষভাবে সতর্কতা জারি করে বলা হয়, কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত এবং শিক্ষক নন এমন কেউ যেন কোনোক্রমেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন থাকতে হবে।  
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়