• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যুবকদের সিগারেট খেতে মানা করায় শিক্ষককে ছুরিকাঘাত
কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে যুবকদের সিগারেট না খেতে বলায় শামীম হোসেন নামে এক কলেজশিক্ষক ও তার ভাইকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ছাড়াও ওই শিক্ষকের বাড়িঘর ভাঙচুর চালানো হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৯টায় কুষ্টিয়ার হাটশহরিপুর ইউনিয়নের ফারাজীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতের শিকার শামীম হোসেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হালসা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক। এ ছাড়াও তার ভাই শাহীন বিশ্বাসকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আহত দু’জনকে রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফারাজীপাড়া জামে মসজিদের পাশে একটি দোকানে এলাকার কয়েকজন যুবক সিগারেট খাচ্ছিলেন। এমন সময় ওই কলেজ শিক্ষক শামীম হোসেন তাদের সিগারেট খেতে নিষেধ করলে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এলাকার স্থানীয় যুবক জয়, প্রান্ত, জিসান, সাফায়েত, রাব্বি, হাবিবসহ বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কলেজশিক্ষক শামীম, তার ভাই শাহীন বিশ্বাসকে  মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। পরে ওই কলেজ শিক্ষকের বাড়িঘর ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয়রা শামীম ও তার ভাই শাহীন বিশ্বাসকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় রাতেই ওই কলেজ শিক্ষক শামীম হোসেন কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২ জন আসামিকে পুলিশ রাতেই গ্রেপ্তার করেছে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শেখ সোহেল রানা। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ২ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৯

কলেজ শিক্ষককে গলাকেটে হত্যাচেষ্টা
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে শফিকুল ইসলাম বাদল (৫৮) নামে এক কলেজ শিক্ষককে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার জামতৈল কলেজপাড়ার তার শ্বশুর বাড়ির পাশের পুকুরের পার থেকে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।  তিনি উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে ও চৌবাড়ী ড. সালাম জাহানারা ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি জামতৈল কলেজপাড়া শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. রেজাউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সেহরি খাওয়ার পর নামাজ শেষে শফিকুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় শফিকুল ইসলাম বাড়ির পাশের পুকুরে ময়লা ফেলতে যান। তখন দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো চাপাতি দিয়ে গলাকেটে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে তার পরিবারে খবর দিলে তার স্বজনরা তাকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তাক্ত ধারালো চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৮

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা / অভিযুক্ত শিক্ষককে অব্যাহতি, সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার
শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে অব্যাহতি ও শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অবন্তিকার আত্মহত্যার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। উপাচার্যের নির্দেশে ডাকা হয় জরুরি বৈঠক। সেখানেই গৃহীত হয় এসব সিদ্ধান্ত।  বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে আইন অনুষদের ডিন ড. মাসুম বিল্লাহকে।’ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, আমরা খুবই মর্মাহত। আমাদের পুরো আইন বিভাগ মর্মাহত। মেয়েটি খুব ভালো ছিল, সত্যিকার অর্থেই মেধাবী ছিল। কিছু বলার ভাষা নেই। আমি মাত্র জানলাম আমাকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সত্যিকারের ঘটনা বের করে আনার জন্য, যেন দোষীরা শাস্তি পায়। এদিকে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করছেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। তিনি বলেছেন, এর সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। মেয়েটার সঙ্গে দেড় বছর আগে আমাদের কথা হয়েছে ছেলেটার বিষয় নিয়ে। আমি চাই এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আর যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অবন্তিকার সঙ্গে কোনও প্রকার যোগাযোগ করিনি। এমনকি ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা কোনও জায়গাতেই কানেক্টেড না আমি। আমাকে দোষী প্রমাণের জন্য এভিডেন্স লাগবে। এভিডেন্স ছাড়া এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা। 
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৪:১০

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটি
যৌন হয়রানির ঘটনায় টানা ৯দিন ধরে চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলনে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ এবং বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছে।   বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি এই অফিস আদেশ জারি করা হয়। একই সঙ্গে এই আদেশে আরও বলা হয়, মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে বিভাগীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বিভাগীয় প্রধানের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই আদেশে নাখোশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি- যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ এবং তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র’র স্থায়ী বহিস্কার আদেশ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘটনার ১৩ দিনেও যৌন হয়রানির ঘটনায় বিচার না হওয়ায় এবং এখন পর্যন্ত গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ না করে তালবাহানা করার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে আন্দোলনকারিরা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসসিক ভবন, সকল বিভাগের ফটক এবং ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর তালাবদ্ধ প্রশাসনিক ভবনের ফটকে এসে আন্দোলনকারিদের শান্ত করার চেষ্টা করে। এতে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয়। এতে মহাসড়কের দুই পাশের যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়েছে মহাসড়কে চলাচলরত সাধারণ যাত্রীরা।     ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।   প্রসঙ্গত, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।   এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৫ মার্চ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই তদন্ত কমিটি গঠনের একদিন পর ৬ মার্চ আন্দোলনকারিরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেটসহ ভাঙচুর করে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে দাবি মেনে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা।        
১৩ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৫

হিজাব-নিকাব পরায় হেনস্থা, অভিযুক্ত রাবি শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানকে ছাত্রীদের হিজাব-নিকাব খুলতে বাধ্য ও কটাক্ষ করার অভিযোগে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া এদিন দুপুরে বিভাগের একাডেমিক কমিটির এক সভায় ড. হাফিজুর রহমানকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আশরাফ-উজ-জামান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগের একাডেমিক কমিটির একটি সভা করা হয়েছে। সভায় অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ থেকেই অব্যাহতি কার্যকর হবে। তিনি অভিযোগ স্বীকার করায় কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। এর আগে মানববন্ধনে স্টপ সারকাজম অ্যাবাউট হিজাব, শিক্ষক যদি এমন হয়, আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? বাবার মতো শিক্ষকের এ কেমন আচরণ! মাই হিজাব, মাই রাইট, ‘নিকাব নিয়ে হয়রানি, মানছি না, মানব না’, শেখ হাসিনার বাংলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী ঠাঁই নাই, হিজাব আমার অধিকার, হিজাব আমার অহংকারসহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ফাতেমাতুস সানিহা নামে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকদের কাজ হচ্ছে সাহায্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আগলে রাখা। অথচ সেই শিক্ষক (ড. হাফিজ) ক্লাসের প্রথম দিনেই একটা কাগজ দিয়ে বাতাস করায় আমাকে দাড় করান। তিনি বলেন, পা থেকে মাথা পর্যন্ত এভাবে প্যাকেটের মতো করে এসেছো কেন? তোমার গরম তোমার কাছে রাখো। তিনি আমার সম্মানিত পোশাককে প্যাকেটের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আমার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি সংবিধানেরও অবমাননা করেছেন। সংবিধানের ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সকল নাগরিকের ধর্মীয় অধিকার এবং প্রত্যেকের পোশাকের স্বাধীনতা রয়েছে। ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, তিনি শুধু আমাকেই এমন কথা বলেননি, আমার বান্ধবীদেরও বলেছেন। আমার এক বান্ধবীর নিকাবকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘হোয়াট ইজ দিস? এ রকম লম্বা এটা কি ঝুলিয়ে এসেছো?’ এভাবে তিনি আমাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে হেনস্তা করেছেন। আমি চাই না, আমাদের এই শান্তিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো বোন এভাবে হেনস্তার শিকার হোক। আমি চাই না, আর কোনো বোন বুলিংয়ের শিকার হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ুক। ড. হাফিজুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের থেকে আমরা এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা কখনোই আশা করি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষক রয়েছেন, যারা বহির্বিশ্বে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান উজ্জ্বল করেছেন। কিন্তু ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ড. হাফিজুর রহমানের মতো কিছু শিক্ষক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষুন্ন করেছেন। তিনি বলেন, স্পষ্টতই এখানে ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। তিনি মেসেঞ্জারে বিভিন্ন ছাত্রীদের ফ্লার্টিং মেসেজ করেছেন। মেসেজগুলো খুবই অরুচিপূর্ণ। এক শিক্ষকের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে এ ধরনের মেসেজ মানানসই নয়। তিনি ক্লাসের মধ্যে ছাত্রীর হিজাব খুলতে বাধ্য করেছেন। এটা যৌন নিপীড়নের পাশাপাশি ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপও। ড. হাফিজুর রহমানকে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।  একপর্যায়ে মানববন্ধনের স্থানে আসেন রাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক এবং কয়েকজন সহকারী প্রক্টর। এ সময় উপ-উপাচার্য আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা বিষয়টা অবগত আছি। একটা জরুরি মিটিং ডেকেছি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে। মিটিংয়ের পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কী করা যায়। প্রয়োজনে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করব। প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ মার্চ) সকালে ফেসবুকে ইসলামিক স্টাডিজ পরিবার (রাবি) নামে একটি গ্রুপে সিদরাতুল মুনতাহা নামে একটি আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে হিজাব-নিকাব পরে যাওয়ায় কটাক্ষ ও হেনস্থা করার অভিযোগ করা হয়। পরবর্তীতে মেসেঞ্জারে ছাত্রীদের সঙ্গে করা আপত্তিকর কিছু কথোপকথনের স্কিনশটও পোস্ট করা হয় ওই গ্রুপটিতে। এরপর বিকেলে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করে বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।  
১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৬

শিক্ষার্থীদের সামনেই শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা
কুমিল্লায় এক কোচিং সেন্টারে ঢুকে গোলাম রসূল (৪৮) নামে এক শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের সামনেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাফায়াত আলী (৩৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।  বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের নলকুঁড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গোলাম রসুল ওই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গোলাম রসুল নিজের কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছিলেন। এ সময় মাদকাসক্ত সাফায়াত (৩৫) সেখানে এসে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই গোলাম রসুলের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে রাত সোয়া ৯টার দিকে এলাকাবাসীর সহায়তায় অভিযুক্ত সাফায়াতকে আটক করে পুলিশ। এ বিষয়ে ওসি আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাতেই ঘাতক শাফায়াতকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে ঘাতক শাফায়াতকে আদালতে তোলা হবে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫২

পড়ানোর সময় শিক্ষককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা
কুমিল্লায় গোলাম রসূল ওরফে লিটন (৪৮) নামে এক শিক্ষককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় সদর দক্ষিণ উপজেলার নলকুড়ি গ্রামের নিজ বাড়িতে ছাত্রদের পড়ানোর সময় ওই শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নলকুড়ি গ্রামের মজুমদার বাড়ির তফাজ্জল হোসেনের ছেলে গোলাম রসূল লিটন স্থানীয় একটি নূরানি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করতেন। পাশাপাশি তিনি কিছু শিক্ষার্থীকে নিজ বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতেন। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়িতে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন। এসময় একই এলাকার সাফায়াত (৩০) নামে এক যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে প্রকাশ্যে গোলাম রসূলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে তিনি পুলিশের হাতে আটক হন। সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় রাত সোয়া ৯টায় হত্যাকাণ্ডে সাফায়াতকে পুলিশ আটক করেছে। হত্যার কারণ খুঁজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় কিছুটা থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করলেও অভিযুক্ত যুবক পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর জনমতে স্বস্তি ফিরেছে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৮

ঘোড়াঘাটে ৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী বহিষ্কার, ৬ শিক্ষককে অব্যাহতি
চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ৩ পরিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন ছাত্রী এবং একজন ছাত্র। এ ছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রের ৬ জন কক্ষ পরিদর্শককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) দুপুর ১২টায় উপজেলার রাণীগঞ্জ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পৃথক তিনটি কক্ষের তিনজন পরিক্ষার্থীর কাছে থেকে প্রশ্নপত্রের সাথে হুবহু মিল থাকা উত্তরপত্রের ফটোকপি জব্দ করে পরীক্ষা কেন্দ্রটির ট্যাগ অফিসার উপজেলা রিসোর্স ইন্সট্রাক্টর শহিদুল ইসলাম। পরে তিনি কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে ওই কেন্দ্রে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান। পরে এই কর্মকর্তাদের কাছে ওই তিন পরিক্ষার্থী জানান, তাদের গৃহশিক্ষকের কাছে থেকে তারা এই উত্তরপত্রগুলো পেয়েছেন। এই ঘটনায় ওই ৩ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং কেন্দ্রটির পৃথক এই তিনটি কক্ষের দায়িত্বে থাকা ৬ জন কক্ষ পরিদর্শকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কৃত এই ৩ পরীক্ষার্থীকে আগামী বছর নতুন করে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে এবং অব্যাহতি পাওয়া ৬ কক্ষ পরিদর্শক এই বছরে পরীক্ষা কেন্দ্রে তাদের দায়িত্বপালন করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ইউএনও রফিকুল ইসলাম। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করা এই ৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন কুলানন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং ১ জন রাণীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই বছর এসএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। তাদের রোল নাম্বার ২৬২৬৬৪, ২৬২৭০৫, ২৬২৮০৬। ঘোড়াঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান বলেন, অসদুপায় অবলম্বন করা তিন পরিক্ষার্থী কিন্ডার গার্ডেন (কেজি) স্কুলের শিক্ষকের কাছে থেকে উত্তরপত্রের ফটোকপি পেয়েছে বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন। ওই শিক্ষকদের বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করছি। তাদেরকে নজরদারীতে রাখা হয়েছে।    
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৪

চাঁদপুরে দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার, পাঁচ শিক্ষককে অব্যাহতি
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘিলাতলী সামাদিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় হাদীস বিষয়ে অসদুপায় অবলম্বন করায় দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও কক্ষে দায়িত্বরত পর্যবেক্ষক ৫ শিক্ষককে সাময়কিভাবে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাদীস শরীফ (কোড নং-১০২) বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- উপজেলার নন্দীখোলা দাখিল মাদরাসার মো. শাহেদ সিয়ান ও কালিকাপুর দাখিল মাদরাসার জিসান মুনসী । দায়িত্ব অবহেলার কারণে অব্যহতি দেওয়া শিক্ষকরা হলেন- কেন্দ্রের ২ নম্বর কক্ষের শিক্ষক মো. আবুল হোসেন ও আমলন্দ গোলদার। ৩ নম্বর কক্ষের শিক্ষক শফিকুর রহমান, মো. ছালেহ আহম্মদ ও মো. রাসেল মিয়া। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কেন্দ্র সচিব ও ঘিলাতলী সামাদিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আবুল বাশার। তিনি বলেন, ঘটনার পর পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছি। মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাতিমা সুলতানা বলেন, ঘিলতলী পরীক্ষা কেন্দ্রে দাখিল (হাদীস বিষয়ে) পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছি। ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের দুটি কক্ষে দায়িত্বরত পর্যবেক্ষক ৫ জন শিক্ষককেও সাময়িক অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৯

শাসন করায় শিক্ষককে হাসপাতালে পাঠাল ছাত্র-অভিভাবক
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিনয় কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে শাসন করায় ওই শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষককে বেধরক মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বেধরক মারপিটের শিকার হয়েছেন বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীরাও।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর প্রধানশিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস ও বিদ্যালয়ের ল্যাব অপারেটর সুদীপ অধিকারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ শিক্ষক, যারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সর্বশেষ রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এদিন সকালে মাত্র একটি খাতা হাতে বিদ্যালয়ে আসে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রীতাশ হালদার। কিন্তু সে এ্যাসেম্বলীতে অংশ না নিয়ে পাশেই আড্ডা দিচ্ছিল বিধায় প্রধানশিক্ষক তাকে বকাঝকা করে। এতে ওই শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়। পরে বিকেলে বিদ্যালয় ছুটি হলে পরিকল্পিতভাবে ওই শিক্ষার্থীসহ তার পরিবার ও অভিভাবকরা শতাধিক নারী-পুরুষ দলবদ্ধভাবে বিদ্যালয় অভ্যন্তরে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষককে বেধরক মারপিট শুরু করে।  এ সময় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে বিক্ষুব্ধরা তাদেরকেও বেধরক মারপিট করে। এতে প্রধান শিক্ষকসহ ১০-১২ জন শিক্ষক-কর্মচারী আহত হন। পরে খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানার পুলিশ গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদেরকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।  স্থানীয়রা জানায়, শিক্ষার্থী প্রীতাশ হালদার অনেকটা বখাটে প্রকৃতির। তার চলফেরা ও কাজকর্মের মধ্যে চরম উগ্রতা রয়েছে। এর আগেও ওই শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ে অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে উগ্র ব্যবহার করেছে।  কোটালীপাড়া উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার জসিম উদ্দীন শেখ জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস ও বিদ্যালয়ের ল্যাব অপারেটর সুদীপ অধিকারীকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও জানান, দুজনেরই মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দোষীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে, এ ব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।  
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়