• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অস্ত্রোপচার করে চেহারা পাল্টে ট্রলের শিকার রাজকুমার রাও
বলিউডের এ সময়ের স্বনামধন্য ও দর্শকপ্রিয় অভিনেতা রাজকুমার রাও। ব্যতিক্রমধর্মী চরিত্রে অভিনয় করে এই বলিউড তারকা সিনেপ্রেমীদের আকুণ্ঠ প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন। বরাবরই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে নিজের অভিনয় প্রতিভা মেলে ধরতে ভালোবাসেন এই অভিনেতা। এবার তেমনি এক চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে নিজের চেহারায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন বলিউড অভিনেতা রাজকুমার। আর সেই চেহারার কারণে নেটিজেনদের ট্রলের শিকার হলেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নতুন সিনেমা 'শ্রীকান্ত'র কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করার জন্য নতুন এ লুক তৈরি করেছেন অভিনেতা। জানা গেছে, নতুন ওই সিনেমায় শিল্পপতি শ্রীকান্ত বোল্লার চরিত্রে অভিনয় করবেন রাজকুমার। রুপালি পর্দার সে চরিত্রকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতেই চেহারায় এমন বদল এনেছেন অভিনেতা। আর এ কারসাজি হঠাৎই প্রকাশ্যে আসে দিলজিৎ দোসাঞ্জের কনসার্টে।   সম্প্রতি দিলজিৎ দোসাঞ্জের কনসার্টে রাজকুমার রাও উপস্থিত হন। আর তারপরই এ অভিনেতার নতুন লুক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে নেটপাড়ায়। তার নতুন লুক দেখে এরইমধ্যে নেটিজেনদের একাংশ দাবি করেছেন, সৌন্দর্য বাড়াতে কৃত্রিম উপায় অর্থাৎ অস্ত্রোপচারের সাহায্য নিয়েছেন রাজকুমার। তারা বলছেন, পুরানো ছবি আর নতুন এ ছবি একসঙ্গে রাখলেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে পার্থক্য। সহজেই চোখে পড়ছে রাজকুমারের নাক, ঠোঁট, চোয়াল ও থুতনির অমিল।   এ প্রসঙ্গে রাজকুমার রাও জানান,  অস্ত্রোপচার করেননি তিনি। বরং তা ছিল মেকআপের কারসাজি। তবে রাজকুমারের এমন ব্যাখ্যা মানতে নারাজ তার ভক্ত ও নেটিজেনরা। প্রসঙ্গত, তুষার হিরানান্দানি পরিচালিত 'শ্রীকান্ত' ছবিটিতে রাজকুমার রাও ছাড়াও থাকবেন জ্যোতিকা, আলায়া এফ, শরদ কেলকার প্রমুখ।রাজকুমার রাওয়ের এই সিনেমাটি আগামী ১০ মে মুক্তি পাবে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৮

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার সেই চিকিৎসক বাবার মৃত্যু
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার চিকিৎসক কোরবান আলী মারা গেছেন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের ছেলে আলী রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল বিকেলে পশ্চিম ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় বেশ কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য একজন পথচারীকে মারতে দেখেন কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানা। এ সময় লোকটিকে সাহায্য চাইলে রানা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ১পুলিশ এসে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।  পরে কিশোর গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা রানার বাসার সামনে এসে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বাসার পাশের দোকানে ইফতারি কিনতে গেলে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য রানার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা কোরবান আলীর ওপরও হামলা চালায় তারা। হামলায় কোরবান আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে আকবর শাহ থানায় একটি মামলা করা হয়।  ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪

কিশোর গ্যাং / ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে হামলার শিকার চিকিৎসক বাবা
কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ৬০ বছর বয়সী কোরবান আলী নামে এক দন্তচিকিৎসক বাবা। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে কোরবান আলীর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে এক পথচারীকে বাঁচাতে ৯৯৯-এ কল করার অপরাধে ডা. কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানাকে মারধর করার সময় এ ঘটনা ঘটে।  অভিযুক্ত ওই কিশোর গ্যাং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী ও ছাত্রলীগকর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলার পর প্রথমে ডা. কোরবান আলীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ‘মেডিকেল সেন্টার’ নামে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালটির আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট আছেন তিনি।  ভুক্তভোগীর স্বজন জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ডা. কোরবান আলীর অবস্থা বর্তমানে সংকটাপন্ন। চিকিৎসকরা রোববার রাতেই তাকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেছেন। তবে তার লাইফ সাপোর্ট এখনো খোলা হয়নি। যেকোনো সময় কৃত্রিম লাইফ সাপোর্ট অটো শাটডাউন হয়ে যেতে পারে।’ জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী ডাক্তারের ছেলে আলী রেজা রানা। এমন সময় একদল কিশোর একজন পথচারীকে পেটাচ্ছিল। তাদের মার সহ্য করতে না পেরে লোকটি বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। লোকটিকে কিশোর দলের মার থেকে বাঁচাতে জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দেন রানা। পরে পুলিশ এসে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।’ জসিম উদ্দিন জানান, এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে রানার বাসার সামনে এসে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এরপর গত শুক্রবার বাসার পাশের দোকানে ইফতারি কিনতে গেলে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য রানার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা কোরবান আলীর ওপরও হামলা চালায় কিশোর গ্যাং। হামলায় কোরবান আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। এ ঘটনায় ৮-১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৭

রাস্তায় যৌন হেনস্তার শিকার অভিনেত্রী
বিগবস প্রতিযোগী আয়েশা খান, তাকে কিছু দুঃসহ স্মৃতি আজও তাড়া করে । মুম্বাইয়ের রাস্তায় যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। এখনও ভুলতে পারেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা প্রকাশ করেছেন আয়েশা। একটি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন আমি মালাদে থাকি। একদিন বিকেল বেলা আমার ফ্ল্যাটের সামনে ফুচকা খেতে নিচে নেমেছিলাম। হঠাৎ এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি এসে আমাকে বলেন, বাহ.. তোমার স্তনগুলো তো খুব সুন্দর! ওই লোকটার কথায় আমি চমকে উঠেছিলাম। এরপর আরও এক হেনস্তার ঘটনা বলেন আয়েশা। তার কথায়, আমি একদিন অটো করে কাজে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে অটোওয়ালা আমায় বলল, আমাকে কেউ একটা পিছু করছে। হঠাৎ করে দেখি আমার অটোর পাশে একটি বাইক আসে। বাইকের পেছনে বসা এক যুবক হাত বাড়িয়ে আমার শরীর ছুঁতে চায়। চিৎকার করে উঠেছিলাম। যত্রতত্র হেনস্তা্র বিষয়টি নিয়ে আয়েশা আরও বলেন, আমরা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছি বলেই যে আমাদের এটা সহ্য করতে হয়, তা নয়। আমরা মেয়েরা সত্যিই মাঝে মধ্যে খুব অসহায়বোধ করি। আয়েশা খান একাধারে মডেল ও অভিনেত্রী। তিনি আলোচনায় আসেন রিয়েলিটি শো বিগবসের মাধ্যমে। এরইমধ্যে ক্যারিয়ারে জমা হয়েছে বেশকিছু কাজ। 
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৩

ঘুঘুর চোখ সেলাই করে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার
বাগেরহাটে ঘুঘুর চোখ সেলাই ও আঠা দিয়ে দৃষ্টিহীন করে পাখি শিকার করছে একটি চক্র। বুধবার (৩ এপ্রিল) বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের একটি মাঠে ঘুঘু ধরার ফাঁদ পেতেছিল শিকারি চক্র। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ওই ঘুঘু দুটিকে উদ্ধার করেছে। তবে পালিয়ে গেছে অসাধু শিকারিরা।  স্থানীয়রা জানান, প্রথমে চিকন সুতা দিয়ে সেলাই করা হয় ঘুঘুর চোখ। তার ওপর আঠা দিয়ে আটকানো হয়। এভাবে ঘুঘুর দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি কেড়ে নেওয়া হয়। দৃষ্টিহীন ঘুঘুকে বিশেষ পদ্ধতিতে বেঁধে জাল দিয়ে প্রকৃতিতে থাকা ঘুঘুসহ অন্য পাখি শিকার করেন অসাধু শিকারিরা।  শরণখোলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি শেখ নাজমুল ইসলাম বলেন, কিছু শিকারি ঘুঘুর দুচোখ আটকে ও দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে জালের ফাঁদ পেতেছে এমন খবর পাই। স্থানীয় কয়েকজন তরুণকে নিয়ে আমাদের সদস্য শাহিন হাওলাদার ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শিকারি চক্রটি ঘুঘু দুটিকে রেখে পালিয়ে যায়।  নাজমুল ইসলাম বলেন, মূলত গ্রামের মাঠে ওই দুটি ঘুঘুকে আটকে রাখা হয়েছিল অন্য পাখি ধরতে। সেখানে এই ঘুঘু দুটিকে দেখে ঘুঘু বা অন্য পাখি এলে জালে আটকা পড়তো। বাঁশ বা লম্বা লাঠি মাথায় বেঁধেও এভাবে পাখি দিয়ে পাখি ধরা হয়। আমরা পাখি দুটিকে উদ্ধারের পর চিকিৎসা দিয়ে অবমুক্ত করেছি। বিষয়টি বনবিভাগকেও অবগত করা হয়েছে।  সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পাখিসহ বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ভিটিআরটি দলসহ বন্যপ্রাণী রক্ষা স্থানীয়ভাবে কাজ করা ব্যক্তিরা এ ধরনের বিষয়ে আমাদের জানায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই। এরপর থেকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৮

‘রূপকল্প বাস্তবায়নে অটিজমের শিকার ব্যক্তিদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে’
রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সবার সঙ্গে অটিজম ও প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তিদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৭তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৪’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী, অটিজম বিষয়ক গবেষক, শিক্ষক, চিকিৎসক, থেরাপিস্ট, সহায়ক উপকরণ উদ্ভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনগুলোকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শেখ হাসিনা বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন : শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অটিজম ও প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার। বিগত ১৫ বছরে আমরা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে ব্যাপক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছি। এর মধ্যে রয়েছে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্ট বিধিমালা-২০১৫, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা- ২০১৫, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯। আমাদের সরকার এসব আইনের সফল বাস্তবায়নে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ‘কাউকে পিছনে রেখে উন্নয়ন নয়’-এ নীতির আলোকে আমরা সমাজের সবার জন্য উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সরকারপ্রধান বলেন, এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) দেশের ১৪টি স্থানে প্রকল্প হিসেবে ১৪টি ‘অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের জন্য দেশের আটটি বিভাগে আটটি ‘চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এনডিডি ব্যক্তির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সাধারণ বিমা করপোরেশের সঙ্গে ট্রাস্ট যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার এনডিডি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় ‘জাতীয় কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০৩০’ প্রণয়ন করেছে। এ কর্মপরিকল্পনার আলোকে এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তির গৃহভিত্তিক পরিচর্যা ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য মাতা-পিতা ও অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করেছে। একইসঙ্গে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট অমৌখিক যোগাযোগের জন্য ‘বলতে চাই’ এবং অটিজম বিষয়ক প্রাথমিক স্ক্রিনিং বা শনাক্তকরণের জন্য ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ নামক দুটি অ্যাপস তৈরি করেছে। শেখ হাসিনা ‘১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র : বাসস  
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৭

তিন মাসে ধর্ষণের শিকার ১১৪ নারী
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৪ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তিন জনকে। ধর্ষণের পর একজন নারী আত্মহত্যা করেছেন। ৩১ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৩৭ জন নারী। এর মধ্যে ৬৫ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৪৯ জন। এছাড়া ২৩ জনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৬ জন। যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে পাঁচ জনকে এবং নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুই জন নারী। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আট জন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সাত জন গৃহকর্মী। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ জন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৭৯ জন নারী-পুরুষ। তাদের মধ্যে ৫৫ জন নারী ও ২৪ জন পুরুষ হামলার শিকার হয়েছেন। বখাটেদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন ৪৫ জন। বখাটেদের উৎপাতকে কেন্দ্র করে সংঘাতে ২৬ জন আহত হয়েছেন। আসকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তিন মাসে ৩২৫ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এরমধ্যে হত্যা করা হয়েছে ১৩৯ জনকে শিশুকে।  আত্মহত্যা করেছে ২৭ শিশু। বিভিন্ন সময়ে ৩২ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বলাৎকারের শিকার হয়েছে ১৪ ছেলে শিশু এবং বলাৎকারের চেষ্টা করা হয়েছে একজনকে। একজন ছেলে শিশুকে বলাৎকারের পর হত্যা করা হয়েছে। আসক বলছে, সীমান্তে হত্যা, হেফাজতে মৃত্যু, সাংবাদিক নিপীড়নসহ মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়ার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে আইনের শাসন ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। অন্যথায়, বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বাড়তে থাকে। রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকের সব ধরনের মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে আসক। আসক বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন জায়গায় ২৬৮টি রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২ হাজার ৩৬৮ জন। দেশের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক ও নির্যাতন করে কারাগারে পাঠানোর পর ঢাকা ও চট্টগ্রামে ২ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বিগত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে কয়েদি ১৪ জন এবং হাজতি ২১ জন। গত তিন মাসে ২০টি ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৩টি বাড়িসহ ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া ১৫টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটি মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত তিন মাসে বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন ৮১ জন সাংবাদিক। সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে ছয় বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও চার জন। অপর দিকে মিয়ানমার সীমান্তে মর্টার শেলের আঘাতে একজন বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একজন নিহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তিন মাসে গণপিটুনীর ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং সিলেট বিভাগে একজন করে নিহত হয়েছেন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৬

ক্যামেরা নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে হামলার শিকার দুই সাংবাদিক
ফেনীতে ক্যামেরা নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক এম এ আকাশ ও ইমন নামে দুই সাংবাদিক।  সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে শহরের এস এস কে সড়কের উপশম জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হাসপাতালটির পরিচালক আব্দুল মোতালেব হুমায়নের নেতৃত্বে হাসপাতালের কর্মচারীরা এ হামলা চালিয়েছেন। এ সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরাও ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন হামলাকারীরা।   খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার শিকার দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন এস এস কে সড়কের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান। এম এ আকাশ জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের ফেনী জেলা প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া) বলে জানা গেছে।  হামলায় আহত এম এ আকাশ জানান, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে একটি টেস্টটিউব বেবি জন্মগ্রহণ করে উপশম জেনারেল হাসপাতালে। এতে তাকে ফোন করে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানান চিকিৎসক ও পরিবারের স্বজনরা। তাদের অনুরোধে ইমনকে নিয়ে ওই হাসপাতালে যান আকাশ। পরে ওয়ার্ডে ঢুকে নবজাতকের পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল মোতালেব হুমায়ুনের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন সেখানে উপস্থিত হন এবং দুই সাংবাদিককে মারধর শুরু করেন। তাদেরকে মারধর করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য গালিগালাজ করতে থাকেন হুমায়ুন ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে আকশ ও ইমনকে হাসপাতালের একটি কক্ষে আটকে রাখার চেষ্টাও করেন তারা। এ ঘটনায় সাংবাদিক এম এ আকাশ বাদী হয়ে হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল মোতালেব হুমায়ুনের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় লিখিত এজহার দাখিল করেছেন।  এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হয় অভিযুক্ত উপশম জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল মোতালেব হুমায়ুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, হাসপাতালে কোনো অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করে ভিডিও ফুটেজসহ বক্তব্য  রেকর্ড করতে  হুলস্থুল  ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন দুই সাংবাদিক। পরে আমি পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদেরকে সেখান থেকে বের করে দিই।  জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৩

বেড়েছে ঘোস্ট জবের প্রবণতা, আপনিও শিকার হচ্ছেন না তো
বিশ্বের দেশে দেশে বেড়েছে ঘোস্ট জবের প্রবণতা। বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে এ প্রবণতা বেড়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মানবসম্পদ বিভাগের কিছু কর্মীই রাখেন এজন্য। যারা চাকরিপ্রার্থীদের ডাকেন এবং সাক্ষাৎকার নেন, কিন্তু নিয়োগ দেন না। সম্প্রতি এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। কোম্পানিগুলোর এ প্রবণতা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ। কিন্তু কোম্পানিগুলো কেন এমনটি করছে? এর একটি উত্তর হলো, নিজেদের কাছে মেধাবী কর্মীদের একটি ভাণ্ডার তৈরি করা, যাতে দরকার হলে প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ দেওয়া যায়। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, কোম্পানির পরিচিতি বাড়ানো। কারণ একটি কোম্পানি যখন কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়, তা হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। এতে করে কোম্পানিটি সম্পর্কে নতুন অনেকে জানতে পারে।  একটি কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করতেন মৌরিন ডব্লিউ ক্লাউ নামের এক নারী। তিনি সম্প্রতি ঘোস্ট জব সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন। একটি কোম্পানিতে এমন চর্চা হওয়ায় তিনি সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও লিংক শেয়ার করে মৌরিন লেখেন, এটি একটি ভয়ঙ্কার প্রবণতা। প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এটি বেশ চলছে।  চাকরি ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে মৌরিন লেখেন, ‘এটি শুধু আমার সময় নষ্ট করছে তা নয়, বরং তা চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্যও ভয়াবহ।’  মৌরিন ডব্লিউ ক্লাউয়ের পোস্ট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা চলছে। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এটি নতুন কিছু নয়। অন্তত তিন দশক ধরে আমি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানি।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘এটি চাকরিপ্রত্যাশীদের মন ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।’ অপর একজন লিখেছেন, ‘আমার জানা মতে প্রায় সব খাতেই এ প্রবণতা চলেছে।’  
২৫ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৫

স্বামী-স্ত্রীকে মারধর, বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার পরিবার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্বামী-স্ত্রীকে ঘরে আটকিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মেয়ে ও জামাতাকে মারধরের খবর শুনে তাদের বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন বাবা-ছেলে-পুত্রবধূসহ অনেকেই। আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারের সময় উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সান্তান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, স্থানীয় নওশের, বিপুল ও রাজ্জাক বাহিনী অতর্কিতভাবে এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মারধর করেছেন। স্থানীয়সূত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল্লাহ আল বায়েদীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সন্তান গ্রামের নুরুল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের নওশের ও বিপুলদের পারিবারিক কোন্দল চলে আসছিল। এর জের ধরে আজ সন্ধ্যায় সবাই যখন ইফতার নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখন অতর্কিত নুরু ও তার স্ত্রী সাগরীকে ঘরে আটকিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এতে সাগরীর দাঁত ভেঙ্গে যায় এবং স্বামী নুরুসহ গুরুতর আহত হয়।  এ খবর পেয়ে সাগরীকে প্রাণে বাঁচাতে এগিয়ে যান একই গ্রামের তার পিতা কোরবান আলী (৭০), ভাই আমিরুল ইসলাম (৩২), ভাইয়ের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন পলি (৩০)। এসময় তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। কোরবান আলীদের বাঁচাতে এগিয়ে যান তার ভাই-ভাতিজারা। এসময় নওশের ও বিপুল গংদের সঙ্গে যোগ দেন আব্দুর রাজ্জাক বাহিনী। এই বাহিনীর আবদুর রাজ্জাক, রাজেদুল, কছের, এমদাদুল, মিলন, লুৎফর, জাহাঙ্গীর, শরিফ, শাকিলসহ অনেকেই দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কোরবান আলীর আত্মীয় স্বজনের উপর হামলা করে বেধড়ক মারপিট করে। তাদের হামলায় আরও আহত হয়, স্কুল শিক্ষক এনামুল হক, কোরবান আলী, আমিরুল ইসলাম, আম্বিয়া খাতুন পলি, নুরুল ইসলাম ও ডা: ওসমান গনিসহ ১০-১২ জন। আহতদের মধ্যে সাগরী, কোরবান আলী, আমিরুল ও আম্বিয়া খাতুনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।  এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনায় একজন থানায় এসেছেন অভিযোগ দিতে। অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ০২:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়