• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন খালিদ
আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ‘চাইম’ ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট খালিদ হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাদ জোহর শহরের এস এম মডেল গভর্নমেন্ট হাই স্কুল মাঠে জানাজা শেষে তার লাশ গেটপাড়া কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়। জানাজার আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহসিন উদ্দিন এবং খালিদ হোসেনের বড় ভাই মেজবা উদ্দিন হাসান গুণী শিল্পীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এর আগে ভোর ৪টায় শিল্পীর মরদেহ গোপালগঞ্জ শহরের বাসায় পৌঁছায়। তার আগে সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদ হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গ্রিনরোডের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালিদ।  তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন বলে জানা গেছে। আশির দশকের প্রথম দিকে জনপ্রিয় ব্যান্ড চাইমের মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন খালিদ। ব্যান্ডটির হয়ে বেশ কিছু অ্যালবামে গেয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে নব্বই দশকে সলো ক্যারিয়ারেও সফলতা পান। ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণে ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’, ‘নাতি খাতি বেলা গেল’, ‘কীর্তনখোলা নদী’, ‘ঘুমাও’– এর মতো বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ। প্রিন্স মাহমুদ, জুয়েল-বাবুর সুরে তার গানগুলো শ্রোতাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে আগেই। তবে ২০১০ পরবর্তী সময়গুলোতে গানে অনিয়মিত ছিলেন খালিদ। দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান নিউইয়র্কে। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে শোবিজ অঙ্গনে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৫

বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত অবন্তিকা
শিক্ষক-সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন। শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা ৩টায় কুমিল্লা সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।  এ দিকে এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে অবন্তিকার নিজ জেলা কুমিল্লায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শনিবার দুপুরে অবন্তিকার মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে বেলা ১২টায় কুমিল্লা নগরীর পূবালী চত্বরে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জোটের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।  দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী ও ৩ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে সহপাঠীরা অবন্তিকার বাড়িতে মরদেহ দেখতে কুমিল্লা আসেন। এ সময় তারা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি করেন।  এ দিকে বেলা ৩টায় কুমিল্লা সরকারি কলেজ মাঠে প্রথম জানাজা ও বিকেল সাড়ে ৪টায় শাসনগাছা এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয় অবন্তিকাকে।  এ সময় মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন মা।  উল্লেখ্য, শিক্ষক-সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা সদরের বাগিচাগাও এলাকায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।  এ ঘটনায় অভিযুক্ত আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৩

বাবার পাশেই শায়িত হবেন জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার জানাজা আজ জোহর নামাজের পর অনুষ্ঠিত হবে। এরপর কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা কবরস্থানে বাবার পাশেই শায়িত করা হবে তাকে। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরের দিকে অবন্তিকার মামা লুৎফুর আনোয়ার ভূঁইয়া এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমরা এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে আছি। এখানে তার ময়নাতদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত শেষ হলে মরদেহ নিয়ে যাব। জোহরের নামাজের পর কুমিল্লা সরকারি কলেজ মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে শাসনগাছা কবরস্থানে বাবার কবরের পাশেই সমাহিত করা হবে তাকে। ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক প্রয়াত অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের মেয়ে।  এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান আইন অনুষদের ডিন ড. মাসুম বিল্লাহ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুতে উপাচার্য সাদেকা হালিম, কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে দেওয়া আইন বিভাগের সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৩০

একসঙ্গে মৃত্যুর ইচ্ছা পূরণ হলো দম্পতির, শায়িত হলেন পাশাপাশি
একসঙ্গে কাটিয়েছেন দীর্ঘ ৬০ বছর। এ দীর্ঘ সময়ের পথচলায় ছিল একে অপরের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। বেঁচে থাকতে সবসময় কামনা করতেন একসঙ্গে মৃত্যুর এবং পাশাপাশি সমাধিস্থ হওয়ার। তাদের সেই ইচ্ছাই পূরণ হয়েছে এ দম্পতির। একই দিনে পৃথিবী ছেড়ে চির বিদায় নিলেন তার, দাফনও হলেন পাশাপাশি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের ইন্দিরাপাড়া গ্রামের আজগার আলী (৮০) এবং রাত আটটার দিকে তার স্ত্রী তহিদা খাতুন (৭২) ইন্তেকাল করেন। জানা গেছে, সেহরি খেয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতের খাবার একসঙ্গে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ওই দম্পতি। সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তহিদা খাতুন। এ সময় ডাকাডাকি করেও স্বামীর সাড়া পাননি। তার কান্না শুনে বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে আসেন। তখন তারা বুঝতে পারেন আজগর আলী মারা গেছেন। জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণকারী স্বজনদের অনেকটা শক্ত মনে বিদায় দেন তহিদা খাতুন। রাত আটটার দিকে বাড়িতে হঠাৎ মাথা ঘুরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তাৎক্ষণিক মারা যান তহিদাও। পরে মধ্যরাতে জানাজা শেষে স্বামীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়। তাদের সন্তান লাভলু মিয়া বলেন, ‘আমার বাবা-মায়ের মধ্যে যে ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব ছিল, তা এ যুগের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দেখতে পাই না। জীবদ্দশায় বাবা-মা সবসময় কামনা করতেন একসঙ্গে মৃত্যুর। আল্লাহ তাদের সেই মনোবাসনা পূর্ণ করেছেন।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল হক জানান, ‘ঘটনাটি বিস্ময়কর। স্বামী-স্ত্রীর একই দিনে স্বাভাবিক মৃত্যু তেমন দেখা যায় না।’
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৬

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাদি মহম্মদ
রাজধানীর মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাদ জোহর জানাজা নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে। এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডে নিজের বাসার একটি কক্ষ থেকে সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। পুলিশের ধারণা, আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন এই শিল্পী।  সাদি মহম্মদের ব্যক্তিগত সহকারী সোহেল মাহমুদ জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বেগুনি ও মুড়ি দিয়ে ইফতারি শেষে নিজ রুমে যান শিল্পী। বেশ কিছুক্ষণ রেয়াজ করেন তানপুরা দিয়ে। এরপর অনেকসময় চুপচাপ থাকায় রুমে ঢুকতে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। ডাকাডাকিতে সাড়া মিলছিল না। পরে দরজা ভেঙে ঢুকে পরিবারের সদস্যরা দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় শিল্পীর নিথর দেহ। শহীদ সলিম উল্লাহর ছেলে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদ এবং নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ বাংলাদেশে সংস্কৃতি অঙ্গনে খুবই চেনা মুখ। বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা সাদি মহম্মদ একাধারে শিল্পী, শিক্ষক ও সুরকার ছিলেন। ২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তার ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে তার ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। অসংখ্য সিনেমা ও নাটকে প্লেব্যাক করেছেন সাদি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক। ২০১২ সালে সাদি মহাম্মদকে আজীবন সম্মাননা দেয় চ্যানেল আই। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি তাকে রবীন্দ্র পুরস্কার দেয়।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৭

মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আহমেদ রুবেল
মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন গুণী অভিনেতা আহমেদ রুবেল। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। দুপুরের পর আহমেদ রুবেলের মরদেহ ঢাকা থেকে গাজীপুরের নিজ বাড়িতে আনা হয়। তার মরদেহ বাড়িতে আনার পর বন্ধুবান্ধব, স্বজন, প্রতিবেশী ও ভক্তরা ভিড় করতে থাকেন। পরে জয়দেবপুর রাজবাড়ি মাঠে বিকেল ৫টায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলসহ গণ্যমান্য লোকজন জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।  নির্মাতা নূরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল। বুধবার ( ৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটির প্রিমিয়ার শো ছিল। এ অনুষ্ঠানে এসে মাথা ঘুরে পড়ে যান রুবেল । পরে বেরসরকারি একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, ১৯৬৮ সালের ৩ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আহমেদ রুবেল। তার পিতার নাম আয়েশ উদ্দিন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ইসলামপুরে নানার বাড়ি। পিতা–মাতার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে হলেও ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। বর্তমানে পরিবার নিয়ে গাজীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।  ঢাকার অন্যতম নাটকের দল ‘ঢাকা থিয়েটার’ থেকে অভিনয়ের হাতেখড়ি আহমেদ রুবেলের। তার অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ‘স্বপ্নযাত্রা’। এটি নির্মাণ করেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। এরপর হুমায়ূন আহমেদের ঈদনাটক ‘পোকা’–তে অভিনয় করেন। এতে ‘ঘোড়া মজিদ’ চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য টিভি নাটক হলো— ‘অতিথি’, ‘নীল তোয়ালে’, ‘বিশেষ ঘোষণা’, ‘প্রতিদান’, ‘নবাব গুন্ডা’, ‘এফএনএফ’ প্রভৃতি। ১৯৯৩ সালে ‘আখেরী হামলা’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন আহমেদ রুবেল। এরপর ‘চন্দ্রকথা’, ‘ব্যাচেলর’, ‘গেরিলা’, ‘দ্য লাস্ট ঠাকুর’, ‘শ্যামল ছায়া’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৫

চিরনিদ্রায় শায়িত সাংবাদিক ওমর ফারুক
অনলাইন পোর্টাল সংবাদ প্রকাশের বার্তা সম্পাদক, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক ওমর ফারুক শামীম (৫১) নিজগ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন।  শনিবার (২০ জানুয়ারি) বাদ জোহর খাগড়াছড়ি কোর্ট বিল্ডিংসংলগ্ন কালেক্টরেট জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়।  এর আগে, শুক্রবার রাত ৯টায় রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।  ওমর ফারুক শামীমের জন্ম ১৯৭২ সালে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায়। পরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা মেরুং রসিক নগর গ্রামে বসবাস করেছিলেন। ওমর ফারুক দৈনিক জনকণ্ঠের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর তিনি রাজধানীতে চলে আসেন এবং প্রতিদিনের সংবাদ, বাংলাদেশের খবর, জাগরণ, দিন পরিবর্তন, ভোরের আকাশ, বাংলাদেশ বুলেটিনসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ প্রকাশের বার্তা সম্পাদক ছিলেন।  এ ছাড়া তিনি ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এবং খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। সাংবাদিক ওমর ফারুক শামীমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার। 
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়