• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রমজানের বরকত পেতে শায়খ সুদাইসের যে আহ্বান
এবারের রমজানে মসজিদুল হারাম ও নববীতে আগতদের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন হারামাইন শরিফাইনের ধর্মীয়বিষয়ক প্রধান শায়খ আব্দুর রহমান আস-সুদাইস। আগতদের বেশি বেশি ইবাদতে মগ্ন থাকার এবং ফটোগ্রাফিতে ব্যস্ত হয়ে ইবাদতে বিঘ্ন সৃষ্টি না করার আহ্বান জানান তিনি। আব্দুর রহমান আস-সুদাইস বলেন, আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি যেন আমাদের নেক আমল কবুল করেন তিনি। আর রমজানের বরকতময় মাস নেকি ও ইবাদতের মাসে পরিণত করেন। এবারের রমজান মুসলিম বিশ্বের জন্য শান্তি, নিরাপত্তা ও কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আশা করি। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনে পৈশাচিক নির্যাতন বন্ধে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, সৌদি আরবের জন্য হারামাইন শরিফাইন, ওমরা ও হজ আদায়কারীদের খেদমত করতে পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার। রমজানে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং যুবরাজের নেতৃত্বে, ইবাদত পালনকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং শান্তি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি রাখা হবে না। রমজানের আগমন উপলক্ষে সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ, শাহজাদা মুহাম্মদ বিন সালমান, সৌদি জনগণ ও মুসলিম বিশ্বের সবাইকে শুভেচ্ছা ও মুবারকবাদ জানান আব্দুর রহমান আস-সুদাইস।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৩

সেই সাংবাদিকের মরদেহ নিয়ে যা জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। কুষ্টিয়ার মুসলিম ঘরে জন্ম নেওয়া ওই সাংবাদিকের নাম ছিল বৃষ্টি খাতুন কিন্তু ঢাকায় এসে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে সাংবাদিকতা করতেন। নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিতেন, মন্দিরে পুজা করতো। ফলে তার পরিচয় নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়।  এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। সেখান থেকে বাছাই করে একটি উত্তর তুলে ধরা হলো। মাসুম আহমেদ নামে একজন প্রশ্ন করেছেন, নিহত নারী সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন মুসলিম ঘরের সন্তান ছিলেন। তবে তিনি নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিতেন, মন্দিরে পুজা করতো। তার মরদেহ দাফন নাকি সৎকার হওয়া উচিত? উত্তরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বলতে চাই, কেউ যদি মন্দিরে যায়, পুজা করে এবং তার নাম পরিবর্তন করে থাকে, নিজেকে হিন্দু পরিচয় দেয়, তাহলে তাকে মুসলিম গণ্য করার কোনো সুযোগ নেই। বাবা-মার খারাপ লাগলেও বাস্তবতা হলো, সন্তান-সন্ততি যখন ছোট বেলা থেকে পর্যাপ্ত দ্বীনি শিক্ষা না পায় এবং পরিবার থেকে দ্বীনের চর্চার ঘাটতি থাকে, তখন নানাভাবে তারা বিপথগামিতার পথে চলে যান। সে দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো মানুষ যদি এমন কোনো কাজ করে, যার ফলে সে ইসলাম থেকে খারিজ (বাহির) হয়ে যায়, যেমন সে শিরকে লিপ্ত হলো প্রকাশ্যে তাহলে সে আর মুসলমান থাকে না।’ তিনি বলেন, ‘আর এ অবস্থায় যদি কেউ মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে তাকে মুসলমানদের কবরে দাফন নয় বরং হিন্দুদের নিয়ম অনুযায়ী তাকে সৎকার করবে। তবে মেয়েটির বাবা-মার সঙ্গে মন্দিরের দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গদের যে বিতর্ক হয়েছে, সেখানে মা-বাবার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে সেটা খুব দুঃখজনক। এখানে অনেক মা-বাবার জন্য অনেক শিক্ষা রয়েছে যে, ছেলে মেয়েদেরকে উচ্চ শিক্ষার নামে তাদেরকে যেখানে সেখানে পাঠাচ্ছেন। দ্বীন ধ্বংস করছেন। সে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে এভাবে মারা যাবে তাদের মা-বাবা কেউ চিন্তা করেনি। এখানে সমাজের একটি বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। আমাদের সন্তানদের দ্বীনদারিতার ক্ষেত্রে যদি আমরা গাফলতি করি, তাহলে আমাদের চরম মূল্য দিতে হতে পারে। আমাদের অজান্তে আমাদের সন্তান নষ্ট হয়ে গেলে, এর জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা আছে। অতএব, শিক্ষার নামে তাদেরকে দিয়ে দিলাম আর তারা যা খুশি করলো, তা গ্রহণযোগ্য নয়।’  
০৯ মার্চ ২০২৪, ২০:৩২

একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
মাতৃভাষা মহান আল্লাহর অপার দান। মায়ের ভাষার কথা বলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধের শিক্ষা দিয়েছে, তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যধিক গুরুত্ব দিয়েছে।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মাতৃভাষা এবং ভাষা শহীদদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। পোস্টে তিনি বলেছেন, প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিশুদ্ধ ও মার্জিত ভাষায় কথা বলতেন। শুদ্ধ ও সুন্দর ভাষায় কথা বলা সুন্নাহ।  তিনি বলেন, সকল নবী-রাসুলকে মহান আল্লাহ স্বজাতির ভাষায় (মাতৃভাষায়) প্রেরণ করেছেন। আমাদের মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন—সেই আবদুস সালাম, আবদুল জাব্বার, রফিক উদ্দীন আহমাদ, শফিউর রহমান ও আবুল বরকতকে মহান আল্লাহ আমাদের পক্ষ হতে উত্তম বিনিময় দান করুন।  শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, তাদের অবদানের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন হবে তখনই, যদি সর্বত্র আমরা বাংলা ভাষার চর্চা করি, বাংলাভাষায় কথা বলতে হীনম্মন্যতায় না ভুগি, বাংলা ভাষার বিকৃত উচ্চারণ থেকে বিরত থাকি এবং অপ্রয়োজনীয় অন্য ভাষা ব্যবহার থেকে বেঁচে থাকতে পারি।  আসুন, আল্লাহর নেয়ামতের যথাযথ ব্যবহার এবং তাদের অর্জনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সবাই সর্বত্র নিঃসংকোচে বাংলাভাষার চর্চা করি এবং ভাষার অপব্যবহার (খারাপ ভাষায় কথা বলা, গালমন্দ, মিথ্যা, প্রতারণা ইত্যাদি) থেকে বিরত থাকি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৫

বিয়ে, বিনোদন ও মাহফিলের মাইক নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
পৃথিবীর অন্যতম বায়ু ও শব্দদূষণের শহরের নাম ঢাকা। দৈনিক গড়ে ১৪ ঘণ্টা সময় ধরে অসহনীয় মাত্রায় শব্দদূষণ হয় ঢাকায়। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, বিয়ে-বিনোদন, মাহফিলে মাইকের শব্দ গণপরিবহন, প্রাইভেট কার, বাইক, রিক্সার অযাচিত হর্ন শব্দ দূষণের অন্যতম কারণ। আর এসব কারণে কষ্ট পোহাতে হয় শিশু, বৃদ্ধসহ সব ধরণের মানুষকে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শব্দদূষণের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। পোস্টে তিনি বলেছেন, সম্মানিত ওয়াজ মাহফিলের আলোচক ও আয়োজকবৃন্দ, এসএসসি, দাখিল ও বেফাক পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে মাহফিলের মাইক নিয়ন্ত্রণ করুন। সম্ভব হলে মাইক প্যান্ডেলের মধ্যে সীমিত রাখুন, অথবা বাহিরের মাইকের ভলিউম কমিয়ে রাখুন। কোন অবস্থাতেই  দূর-দুরান্ত পর্যন্ত মাইক লাগিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মাহফিল করবেন না।  তিনি বলেন, আমাদের অসচেতনতা যেন ইসলামের ব্যাপারে মানুষকে বীতশ্রদ্ধ করে না তোলে। মুসলিম জীবনে ওয়াজ ও নসীহার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সবকিছুই হওয়া উচিত ইসলামের নির্দেশনা মেনে। ওয়াজ-নসীহার মতো একটি ইবাদত যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়, এ বিষয়টি আমাদের গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।  তিনি আরও বলেন, এর পাশাপাশি বিয়ে-বিনোদন, রাজনৈতিক প্রচারণা, গাড়ির অযাচিত হর্নসহ যে কোন শব্দদূষণ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটে, তা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত। দেশের একজন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক ও সামাজিক সক্রিয় কর্মী শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি  আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০২

অল্প বয়সে বিয়ে নিয়ে অভিভাবকদের যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ইসলামিক বিভিন্ন বিষয়ে সরাসরি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সম্প্রতি এমন একটি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হন তিনি। সেখানে একজন প্রশ্ন করেন অল্প বয়সে বিয়ে করা যাবে কি না? এ নিয়ে অভিভাবকদের কিছু বলেন...  উত্তরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, অল্প বয়সে বিয়ে বলতে উপযুক্ত হওয়ার পর বিয়ে দিতে হবে। সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে গেলেই। শরিয়ার দৃষ্টিতে প্রাপ্ত বয়স্ক বলতে, বালেক হয়ে যাওয়া, তার স্বপ্নদোষ শুরু হওয়া এবং তার ভেতরে যৌন আকাঙ্ক্ষা জাগরত হওয়া। প্রাপ্ত বয়স্ক হলে সন্তানদের উপযুক্ত পাত্র-পাত্রী পেলে বাবা-মাকে বিবাহ দেয়ার উদ্যোগ নিতে ইসলাম নির্দেশ করেছে।  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিস্কারভাবে অভিভাবকদের সতর্ক করেছেন, তারা যদি এটা না করেন অর্থাৎ সন্তানদের বিয়ে না দেন তাহলে সমাজে নানা রকম ফিতনা-ফাসাদ ছড়িয়ে পড়বে। ব্যত্যয় ঘটবে। সেগুলোর দায় কিন্তু তারা এড়াতে পারবেন না। তাই আল্লাহকে তাদের ভয় করা উচিত।  সেই সঙ্গে সন্তানরাও, বিশেষ করে ছেলেরা তাদের বিবাহের জন্য মহরানা টাকা জোগাড় করা, তারা শিক্ষার্থী থাকলে পাশাপাশি টাকা উপার্জন করা। এই কাজগুলো তাদের করা উচিত। যাতে করে বিবাহের উপলক্ষ্য বা সুযোগ তৈরি হয়।  শায়খ আহমাদুল্লাহ, বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও আলোচক।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়