• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা
আসন্ন ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা। বুননের কাজে ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত অবধি চলছে মাকু আর শানার ঠকঠক শব্দ। তাঁতীর হাত ও পায়ের ছন্দে তৈরি হচ্ছে এক একটি বর্ণিল শাড়ি। গরমের কথা বিবেচনায় রেখে এবার শাড়িতে এসেছে রং আর সুতার এক অভুতপূর্ব সংমিশ্রণ। বৈচিত্র আর নতুনত্ব ক্রেতাদের করেছে আকৃষ্ট। সরেজমিনে, টাঙ্গাইলের পাথরাইলে তিন শ’ পঞ্চাশ টাকা থেকে লাখ টাকা দামের শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। জামদানি, হাফ সিল্ক, মসলিন, অ্যান্ডি সিল্ক ও সফট সিল্ক বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁতপল্লীতে ভিড় করছেন কাপড় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। করোনা সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটিয়ে বিগতবছরের তুলনায় এ বছর ২০ শতাংশ উৎপাদন বেড়েছে। ঈদের আমেজ শেষ না হতেই পহেলা বৈশাখ। টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, মালিক ও ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের উৎসবকে সামনে রেখে দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারবেন তারা। এ দুই উৎসবে এবার প্রায় সাড়ে তিনশত থেকে চার শ’ কোটি টাকার শাড়ি ও তাঁতের নানা পোশাক বিক্রির আশা করছে টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স। এদিকে নিজ দেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও রপ্তানি হচ্ছে টাঙ্গাইলের শাড়ি। গত বছর ঈদ ও পূজা উপলক্ষে ভারতে রপ্তানি হয়েছিল টাঙ্গাইলের ৭৪ লাখ পিস শাড়ি। ইতোমধ্যেই এবার রপ্তানি হয়েছে ৭৫ লাখ পিস শাড়ি। আরও রপ্তানির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। ঢাকা থেকে শাড়ি ক্রয় করতে আসা ইসরাত জাহান বলেন, ঈদ উপলক্ষে পরিবারের জন্য কয়েকটি তাঁতের শাড়ি ক্রয় করলাম। শাড়ির মান ও ডিজাইন অনেক ভালো। এজন্য প্রতি বছর টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি কিনতে আসি। আগের থেকে এবার দাম একটু বেশি, দাম কিছুটা কম হলে ভালো হতো। গাজীপুর থেকে শাড়ি ক্রয় করতে আসা জেনী ঝিনুক বলেন, টাঙ্গাইলের শাড়ির মান অনেক ভালো ও রুচি সম্পূর্ণ। অন্যান্য জায়গার থেকে কম দামে এবং পছন্দমতো ক্রয় করার সুযোগ থাকে বলে এখানে আসি। তাঁতশ্রমিকরা বলছেন, গতবারের তুলনায় কাজের চাপ বেশি। কাজের বাড়তি চাপ থাকায় ৪০ টাকা মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে, ফলে খুশি তাঁতশ্রমিকরা।  তারা আরও জানিয়েছেন ঈদ পরবর্তী সময়েও যদি এমন কাজ থাকে এবং মজুরি যদি না কমে তাহলে তাদের সংসার ভালোমতো চলবে। বছরের প্রায় দশ মাসই পরিবার নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। আমাদের কাজ ও মজুরি বাড়ানো হলে পরিবার নিয়ে একটু ভালোভাবে চলতে পারব। তাঁত মালিকরা বলছেন, আধুনিক প্রযুক্তির পাওয়ারলুমে শাড়ি তৈরিতে খরচ কম হওয়ায়, দামও কম। যে কারণে হাতে বুনা শাড়ি এখন হুমকির মুখে। এদিকে আমদানি নির্ভর সুতার দামও গতবছরের তুলনায় বেশি। যে কারণে বাজারের প্রতিযোগিতায় আমাদের টিকে থাকা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। এ বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। জেলা শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক বলেন, এবছর ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ২০ শতাংশ উৎপাদন বেড়েছে। আমরা আশাবাদী, গত বছরের চেয়ে এবার বিক্রি ভালো হবে। এরার রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই। এদিকে মানুষের মধ্যে ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে। এ বছর আমাদের রপ্তানিও বেশি হবে বলে আশা করছি। টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক পলাশ চন্দ্র বসাক বলেন, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িতে এবার নতুনত্ব এসছে। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী এবার প্রায় সাড়ে তিনশ থেকে চারশ কোটি টাকার শাড়ি বিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের লিয়াজোঁ অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, তাঁত বোর্ড সমিতির মাধ্যমে ৫ শতাংশ বেশি শুল্ক মওকুফ করে, সরকার তাঁতিদের জন্য সুতা রং এবং রাসায়নিক আমদানির সুযোগ দিয়ে থাকেন। আমরা চলমান প্রক্রিয়ায় ঋণ দিয়ে থাকি। প্রণোদনামূলক ঋণ হিসেবে ৫ শতাংশ ঋণ সার্ভিস চার্জে আমরা তাঁতিদের টাকা দিয়ে থাকি। এর আওতায় সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা ঋণ দিতে পারি। এ ছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া তাঁত মালিকদের পূণরায় ঘুরে দাঁড়াতে ঋণ দেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগে

বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি তেমন কেনেন না : রিজভী
বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি তেমন কেনেন না বলে দাবি করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আচ্ছা ওরা এত কিছু করছে, শাল পোড়ায়, তো বউয়ের শাড়িটা পোড়াতে পারে না? ভারত থেকে আনা শাড়ি।’ আমি বলতে চাই, আমাদের বিএনপি নেতারা ভারত থেকে শাড়ি তেমন কেনেন না। নিজের পুরোনো স্মৃতি তুলে রিজভী বলেন, আমার নানার বাড়ি হচ্ছে ইন্ডিয়া। বিয়ের পরে একবার গিয়েছিলাম। আমার ছোট মামা একটা শাড়ি দিয়েছিলেন। আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ওই শাড়িটা কই? আমার মিসেস বললেন, ‘কাঁথা সেলাই করতে কবে দিয়েছি সেটাও ছিঁড়ে গেছে’। অনুষ্ঠানে বিএনপির এই নেতা মন্তব্য করেন, আমরা যারা জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করি, আমাদের কখনো বলা হয়নি যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যারা থাকে, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা, সমালোচনা করা যাবে না। আমরা ছাত্রজীবন থেকে ‘সিকিম নয়, ভুটান নয়—এ দেশ আমার বাংলাদেশ’ স্লোগান দিয়েছি। রুশ-ভারতের দালালেরা স্লোগান দিয়ে এসেছি। আজকে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলাই মনে হচ্ছে পাপ। আজকে দুই-একটি পত্রিকা, খুব দেখি বিচলিত হয়ে গেছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষুণ্ন করা ঠিক হচ্ছে কি না। এটা নিয়ে দেখি প্রতিবেদন হচ্ছে, নিউজ করছে। ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনের সঙ্গে ‘সকলের সম্পৃক্ত হওয়া উচিত’ মন্তব্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এ দেশকে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আমরা সেই প্রত্যয় সেই আদর্শ নিয়ে কাজ করছি। আমাদের নিজের বোনা যে ফসল, সেটা আরও বেশি করে উৎপাদন করব, আমাদের মিল-কারখানায় যে শাড়ি তৈরি হয়, সেই শাড়ি আমাদের মেয়েরা পরবে, আমাদের কল-কারখানায় যে লুঙ্গি তৈরি হয়, সেই লুঙ্গি আমাদের দেশের ছেলেরা পরবে। ‘কিন্তু আমরা অন্যের কাছে নতজানু হব না, অন্যের কাছে দ্বারস্থ হব না। এই জাতীয়তাবাদী চিন্তা থেকে আমাদের কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, আজকে যদি তারা (ভারত) এটুকু বলতো, না আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, আমরা কোনো দলের পক্ষে না। যেটা আমেরিকা বলছে, যেটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে যে, ‘আমরা কোনো দলের পক্ষে না, আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই’- সেটা পর্যন্ত তারা (ভারত) বলে নাই। উল্টো ইন্ডিয়ার হাইকমিশনের কর্মকর্তারা বলে দিলেন যে, ‘আমরা এ সরকারের পক্ষে’। অতএব আমি মনে করি, অবশ্যই যে সামাজিক আন্দোলন হচ্ছে পণ্য বর্জনের তার প্রতি সংহতি জানানো ন্যায়সঙ্গত। আওয়ামী লীগ সরকারের ভারত নীতির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এত কিছু ঘটনা… সীমান্ত হত্যা হয়। আপনি একটা ডামি সরকার, একটা ডাকাত সরকার, একটা অবৈধ সরকারের পক্ষে যদি একটি দেশ থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে না? জনগণ প্রতিবাদ জানাবে না? ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান রেখে তিনি বলেন, কেন আমরা অন্য দেশের সমালোচনা করি। ৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হয়েছে, বেরুবাড়ি ভারত নিয়ে যাবে। কথা ছিল বেরুবাড়ি নিয়ে যাবে, আমাদের দোহগ্রাম-আঙ্গরপোতা যাওয়ার জন্য করিডোর দেওয়া হবে সেটা ৪০ বছরেও দেওয়া হয়নি। এখনও কিন্তু দেওয়া হয়নি। বেরুবাড়ি কিন্তু তারা নিয়ে গেছে। করিডোর দিয়ে ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত করতে পারবে কিন্তু আইনগতভাবে যেটা দেওয়ার কথা সেটা দেওয়া হয়নি। ভারতের পার্লামেন্টে এটা বন্ধ করে রেখেছে। আমাদের যে প্রাপ্য যেটা আমাদের দেওয়া হয়নি। এটার জন্য প্রতিবাদ করতে পারব না। দেশের স্বার্থের পক্ষে আমরা কথা বলতে পারব না। এই যে গুম-খুনের পরিবার আজকে এম ইলিয়াস আলী কেন গুম হয়েছে? মানুষ বলে ভারতের টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে তার যে শক্ত অবস্থান সেজন্য তাকে গুম করা হয়েছে, আজকে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ তিনি বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, এমপি ছিলেন পাঁচ বার, মন্ত্রী ছিলেন, তাকে গুম করা হলো, পাওয়া গেল আরেক দেশে। এটি কি বড় ধরনের কেলেঙ্কারি নয়? এটা কি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যায় না? এভাবে ওরা আগ্রাসন করছে। গত কিছুদিন ধরে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি প্রচার চলছে, যাতে সমর্থন দিচ্ছেন বিএনপির কোনো কোনো নেতা। গত সপ্তাহে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে দলের সমর্থন জানিয়ে তার গায়ে থাকা কাশ্মিরি শাল আগুনে ছুড়ে ফেলেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার সেল’এর উদ্যোগে বিরোধী আন্দোলনে গুম-খুন-পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের সদস্যদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে ও সদস্য নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় এই আলোচনা সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর হেলাল, যুব দলের আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াসিন আলী, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দীন নাছির, চৌধুরী আলমের ভাই খুরশীদ আলম মিন্টু, সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন সানজীদা ইসলাম তুলি, নুরে আলমের স্ত্রী রিনা আলম, মাহবুবুর রহমান বাপ্পীর বোন ঝুমুর আক্তার, পারভেজ রেজার ছোট মেয়ে হৃদি বক্তব্য দেন।  
২১ ঘণ্টা আগে

বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত : প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির মন্ত্রীদের বউদের ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করতে দেখেছি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপি নেতাদের ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।  বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির এক নেতা দেখলাম চাদর খুলে পুড়ল। আমি এখন বলব, বিএনপি নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান, সেদিন বিশ্বাস করব আপনারা সত্যি ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন। ভারতীয় মসলা তারা খেতে পারবে কি না, এ উত্তর তাদের দিতে হবে। আপনারা এ পণ্য সত্যি বর্জন করছেন কি না, এ কথাটাই আমরা জানতে চাই। তিনি এরপর যোগ করেন, যে নেতারা বলছেন ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে? ঈদের আগে দেখতাম, বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত। বিএনপি নেতাদের কখনও আক্কেল হবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস বিকৃত করে তারা এখন ভাঙ্গা রেকর্ডের মতো ভুলে যাচ্ছে। তাদের কখনও আক্কেল হবে না। এখন তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, তখন তারা কে কোথায় ছিল? যিনি বলে যান যে আওয়ামী লীগ নেতারা ২৫ মার্চ পালিয়ে গিয়েছিল, তার বাবা কে ছিল? স্বাধীনতার পর ৭৪ সালে যে দুর্ভিক্ষ হয়, তখন খাদ্যসচিব ছিল। এই খাদ্যসচিব বেইমানি করে ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে দুর্ভিক্ষ ঘটিয়েছিল। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর তখন পুরস্কার পেয়েছিল।  শেখ হাসিনা বলেন, মঈন খানের বাবার নাম হলো মোমিন খান। সে ছিল খাদ্যসচিব। জাহাজ ফিরিয়ে দিয়ে খাবার আসতে দেয়নি বাংলাদেশে, দুর্ভিক্ষ ঘটানো হয়েছিল। আমি ৮১ সালে দেশে আসি। সারা বাংলাদেশ ঘুরি। তখন প্রতিবছর দুর্ভিক্ষ লেগে থাকত। বাংলাদেশের মানুষের জীবনে পরিবর্তন তারা করতে পারেনি। কারণ, তারা আমাদের বিজয় নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। এটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। যার কারণে জাতির পিতাকে হত্যা করল। এরপর ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়। আজ রাজনৈতিক দল করে অনেক বড় বড় কথা বলে তারা।  তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্ম হলো কলকাতায়। ভারত-পাকিস্তান যখন বিভক্ত হয়, তখন তারা কিন্তু পূর্ব বাংলায় আসেনি, তারা করাচিতে গিয়েছিল। জিয়াউর রহমান সেখানে পড়াশোনা করে। সেখানেই আর্মিতে যোগ দেয়। সেখান থেকে সামরিক অফিসার হিসাবে পূর্ব বাংলায় এসেছিল দায়িত্ব পালন করতে। এটাই হলো বাস্তবতা। কিন্তু তার মনে তো পাকিস্তানটাই রয়ে গেছে। তার প্রমাণও আছে। স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলো, এই প্রমোশনগুলা একে একে কে দিয়েছে? এটাও তো আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দিয়েছে। এই অকৃতজ্ঞরা সেটাও ভুলে যায়।  শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিএনপির নেতারা বড় বড় কথা বলে, ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের সবাই পালিয়ে গেছে। অথচ আওয়ামী লীগই সরকার গঠন করে যুদ্ধ পরিচালনা করে। শুধু যুদ্ধ পরিচালনা নয়, সশস্ত্র বাহিনীর গড়ে তোলা হয়। বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশকে ভাগ করা হয়। এক একটা সেক্টরের দায়িত্ব একেকজনকে দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমান একটা বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিল জিয়াউর রহমান। এই কথা নিশ্চয়ই তাদের ভুলে গেলে চলবে না।  প্রধানমন্ত্রী এরপর বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন ঢাকায় গণহত্যা শুরু করে, তারা কিন্তু চট্টগ্রামেও হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল। যারা জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্যারিকেড দিচ্ছিল, তাদের ওপর গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। চট্টগ্রামের সেনাবাহিনীর দায়িত্বে ছিল জিয়াউর রহমান। সেই সময় যারা বেরিক্যাড দিয়েছে, জিয়াউর রহমানও তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, স্যুয়াজ জাহাজ এসেছে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র নিয়ে, সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান। ২৫ মার্চ এ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যে আক্রমণ চালায় সেই আক্রমণকারীর একজন কিন্তু জিয়াউর রহমান।  তিনি বলেন, আমাদের দেশে কিছু আঁতেল আছে। বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাংলাদেশে একটা কাণ্ড আমরা দেখি, অতি বাম, অতি ডান। স্বাভাবিকভাবে গণতান্ত্রিক ধারাটা তারা পছন্দ করেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি। ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছর ছিল এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর। দেশটা ছিল পরাধীন। এ দেশের মানুষ ছিল শোষিত-বঞ্চিত। সেই জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করে, মুক্তিযুদ্ধ করে, স্বাধীনতার বিজয় এনে দেওয়া একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীর জন্য সম্ভব। ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার পর এ দেশে ইতিহাস বিকৃতির পালা দেখেছি।আজ যারা প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল, আমি জিজ্ঞেস করি আপনারা কোথায় ছিলেন? সেটাও একটু বলেন! জবাব দিন!  
২৭ মার্চ ২০২৪, ২২:৪৩

টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদেরই থাকবে : বস্ত্রমন্ত্রী
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদের ছিল, আমাদেরই থাকবে।  এ জন্য যা যা দরকার, সব করব। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের জিআই পণ্য দাবি করে ভারতের পোস্ট রাতে যখন অনলাইনে দেখি, পরের দিনই ফার্স্ট আওয়ারে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সঙ্গে বসেছি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যে জার্নালটি প্রকাশ করেছিল, আমাদের তৎপরতায় পরে সেটি সরিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, এখন যেখানে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা নিচ্ছি। টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদের ছিল, আমাদের আছে, আমাদেরই থাকবে। সেটি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে যা যা করা দরকার সব করব। তবে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই আমাদের আগে নেওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু আমরা নিতে পারিনি। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারাও নেয়নি। বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি শুধু বস্ত্র শিল্পের ওপর নির্ভরশীল থাকতে চান না। পাট ও পাটজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা পাটের সোনালি আঁশ আবার ফিরিয়ে আনতে চান। 
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৫

টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ
টাঙ্গাইল শাড়িকে ভারত তাদের জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্য ঘোষণা করায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ। দরকার হলে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে (ডব্লিউআইপিও) সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সোমবার (৫ ফেব্রয়ারি) জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় এসব কথা উঠে আসে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, শিল্প মন্ত্রণালয় ও পেটেন্ট, শিল্প-নকশা এবং ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া টাঙ্গাইল থেকে অনলাইনে সভায় সংযুক্ত হন জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)। এ বিষয় শিল্প সচিব বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি ও নিবন্ধন দেওয়া হবে। তাই অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ছাড়াও মধুপুরের আনারস, নরসিংদীর লটকন ও সাগর কলা, ভোলার মহিষের কাঁচা দুধের দই ইত্যাদি জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য যেসব আবেদন প্রক্রিয়াধীন, দ্রুতই তা শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ২১টি পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে এক বা একাধিক পণ্য বা বস্তু খুঁজে বের করে আবেদন করতে হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে। জিআই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতির পর শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্রান্ডিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সভায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জানান, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসাবে নিবন্ধনের আবেদন যথাযথভাবে ডকুমেন্টেশন করে দুই একদিনের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আবেদন ফি প্রদানের পে-অর্ডার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫০

টাঙ্গাইল শাড়ি নিজেদের বলে দাবি ভারতের
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তি না কি পশ্চিমবঙ্গে! ভারতের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ দাবি করেছে। ইতোমধ্যে ভারতের এ দাবি নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন নেটিজেনেরা। কারণ, বিখ্যাত তাঁতের শাড়ির উৎপত্তি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায়। বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতও বিষয়টি। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়, টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত। একটি হাতে বোনা মাস্টারপিস। মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রং এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত এটি। এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক এই শাড়ি। ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সৌন্দর্যের মেলবন্ধনে দক্ষ কারুকার্যের নিদর্শন প্রতিটি টাঙ্গাইল শাড়ি। এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভারতের তুমুল সমালোচনা শুরু করেন বাংলাদেশি নেটিজেনরা। কেউ মন্তব্য করেছেন, 'টাঙ্গাইল' শব্দটিই এসেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার নাম থেকে। অনেকে মন্তব্য করেছেন, ভারতীয় মন্ত্রণালয় হয়তো শাড়ির নামটি ভুল করেছে।  এর আগে সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে (সাবেক টুইটার) এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, পশ্চিমবঙ্গের তাঁত শাড়ি আইটেম তিনটি। নদীয়ার টাঙ্গাইল, পূর্ব বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের কড়িয়াল ও গরদ নিবন্ধিত হয়েছে। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি কারিগরদের দক্ষতা ও কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানাই। আমরা তাদের জন্য গর্বিত। তাদের প্রতি আমাদের অভিনন্দন!
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়