• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নৃত্যশিল্পী ও পরিচালকদের মতবিনিময় সভা
বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিচালকদের মান উন্নয়ন, অধিকার প্রতিষ্ঠা ও একাত্ব হবার লক্ষ্যে একটি মতবিনিয়ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর নিকেতনে এই মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।  সভায় ঢাকাস্থ নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিচালকরা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি দেশের সকল নৃত্যশিল্পী ও পরিচালকদের নিয়ে সংগঠন করার পরিকল্পনা করেন। খুব শিগগির নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যপরিচালকদের নতুন সংগঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবেন বলে মতবিনিময় সভায় সিদ্ধান্ত নেন উপস্থিত শিল্পীরা।  ডান্স ট্রুপ এর কর্ণধার ইভান শাহরিয়ার সোহাগের আয়োজনে সভা শেষে ইফতার পার্টি করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নৃত্য পরিচালক হাবিব, নৃত্য পরিচালক ইউসুফ খান, নৃত্য পরিচালক।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৪

সরকারি অর্থে মডেল মসজিদ তৈরি সংবিধান পরিপন্থি : শাহরিয়ার কবির
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে সারাদেশে মডেল মসজিদ তৈরি সংবিধানের পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি হল রুমে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। শাহরিয়ার কবির বলেন, কাদের টাকা দিয়ে দেশে ৫৬০টা মডেল মসজিদ বানিয়েছে সরকার? আমাদের জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এগুলো বানানো হয়েছে। এটা সংবিধান পরিপন্থি। তিনি বলেন, সংবিধানের ৭-এর ‘ক’ ধারায় পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র কোনো বিশেষ ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করবে না। আপনি যদি ৫৬০টা মডেল মসজিদ বানান, কেন আপনি ৫৬টা মন্দির প্যাগোডা গির্জা বানাবেন না? আর তাই যদি করতে হয় তাহলে সমস্ত অর্থ সেখানে আপনি ব্যয় করুন। তিনি আরও বলেন, আপনারা দুর্নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগকে তুলোধুনো করতে পারেন। কিন্তু আপনাদের মনে রাখতে হবে এর চেয়েও বড় বিপদ আমাদের সামনে আছে। দুর্নীতির বাইরে কোনো দেশ আছে এই উপমহাদেশে? একটি দেশের নাম বলুন। ভারত দুর্নীতির বাইরে? পাকিস্তান দুর্নীতির বাইরে? কিন্তু যেভাবে আমাদের সমাজ রাজনীতির মৌলবাদীকরণ-সাম্প্রদায়িকীকরণ হচ্ছে, এটাকে প্রতিহত করতে না পারলে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। বাংলাদেশ পাকিস্তান হয়ে যাবে। পাকিস্তান মানে পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হয়ে যাবে। আমাদের উদ্বেগটা হচ্ছে সেই জায়গায়। শাহরিয়ার কবির বলেন, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি সংবিধানের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নাগরিক আন্দোলন করছে। কিন্তু এখন আমরা যে আগামীর নাগরিক আন্দোলনের কথা বলছি, তা নির্মূল কমিটির একার দায়িত্ব নয়। এর সঙ্গে যত সমমনা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠন এবং ব্যক্তি আছেন, তাদের সবার দায়িত্ব । যেখানে বিরোধী দল অনুপস্থিত থাকে সেখানে নাগরিকদেরকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয়, সমস্ত গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১২:০৮

আওয়ামী লীগ মন্দের ভালো : শাহরিয়ার কবির
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, গত জাতীয় নির্বাচনে আবারও সংখ্যালঘুবিরোধীরা সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। সরকারকেই এসব নিপীড়ন ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার পরিচালনার দিক থেকে এমন নিপীড়নের বিবেচনায় আওয়ামী লীগ সরকার মন্দের ভালো। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ‘নির্বাচন, সহিংসতা ও মানবাধিকার : উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। শাহরিয়ার কবির বলেন, বিএনপির আমলে সংখ্যালঘুরা নির্মম হামলার শিকার হয়। আওয়ামী লীগ পাঠ্যপুস্তকে অসাম্প্রদায়িক লেখকদের লেখা বাদ দিয়েছে। আওয়ামী লীগের বিকল্প কেউ নেই। আওয়ামী লীগ মন্দের ভালো। এবারের নির্বাচনের প্রশাসন সতর্ক ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের নিবার্চন ছিল। তারপরও এবার সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা হয়েছে। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে সংখ্যালঘুবিরোধী, হিন্দুবিরোধী, যারা দুর্নীতি করছেন, নানাভাবে লুটতরাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারা সহিংসতা করেছেন। এদেশে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু ওপর নির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব না। আওয়ামী লীগের আমলে সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা-নিপীড়ন হয়েছে। কিন্তু এর থেকে ভয়াবহভাবে বিএনপি-জামায়াতের আমলে হামলা হয়েছে। তিনি বলেন, কেবল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা হয়, তা নয়। আমরা আসলে একটা সহিংস সমাজের মধ্যে বসবাস করছি। প্রতিটি মানুষ আজকে সহিংসতার শিকার। কিন্তু যার শক্তি কম, যারা প্রতিবাদ কম করতে পারে, তাদের ওপর অত্যাচার অনেক বেশি হয়। কারণ অত্যাচারী জানে, এখানে সহিংসতা করলে সে পার পেয়ে যাবে। পার পেয়ে যায় বলে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেশি হয়।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়