• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
মস্কো হামলায় জড়িত সবাই শাস্তি পাবে : পুতিন
মস্কোর ক্রোকাস সিটি কমপ্লেক্সে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার (২২ মার্চ) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। পুতিন বলেন, সব হামলাকারীকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই হামলার পেছনে যারাই রয়েছে তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, হামলাকারীরা ইউক্রেনের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এর ফলশ্রুতিতে সেদিকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে হামলাকারীদের সীমান্ত পার করে দিতে ইউক্রেনে একটি দল কাজ করছিল। ভয়াবহ ওই হামলাকে ‘বর্বর ও সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করে পুতিন বলেন, শত্রুরা আমাদের বিভক্ত করতে পারবে না। এর আগে, শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। তখন সেখানে একটি কনসার্ট চলছিল। বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক। নিহতদের স্মরণে রোববার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে হামলার পরপরই ইসলামিক স্টেট- খোরাসান এর দায় স্বীকার করেছে। সূত্র : বিবিসি
২৩ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৫

যৌন নিপীড়নের দায়ে জবির দুই শিক্ষকের শাস্তি
যৌন নিপীড়নের দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক সাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা না করায় একই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের দেওয়া রিপোর্টে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দায়ের করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এখানে উপাচার্য হয়ে আসার পর আরেকটি তদন্ত বোর্ড গঠন করে দিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই সেই রিপোর্ট আমরা হাতে পাবো।  তিনি আরও বলেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সাময়িক বহিষ্কার আদেশ নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সে বিষয়েও সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে। এর আগে শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার পর সোমবার (১৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তোলেন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। এর মধ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন একই বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের ওপর। আর তাকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ তোলেন বিভাগটির চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের ওপর।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৫

আইসিসি থেকে শাস্তি পেলেন তাওহীদ হৃদয়
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি টাইগারদের তরুণ ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। বিপরীতে মেজাজ হারিয়ে লঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান তিনি। যার ফলে আইসিসি থেকে শাস্তি পেয়েছেন এই ডান হাতি ব্যাটার। সোমবার (১১ মার্চ) এক বিবৃতি দিয়ে হৃদয়ের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ ভঙ্গ করায় ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তাকে। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.২০ ধারায় বলা আছে- খেলোয়াড় বা খেলোয়াড়দের সমর্থন করেন এমন কারো সঙ্গে স্পিরিট অব দ্য গেমের পরিপন্থী কিছু করা যাবে না। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নুয়ান থুসারার বলে আউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর পাশাপাশি তেড়ে যেতে দেখা যায় হৃদয়কে। এমন অপরাধের জন্য হৃদয়ের নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। ২৪ মাসের মধ্যে আবারও কোনো অপরাধ করলে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন হৃদয়। বাংলাদেশি এই ক্রিকেটার নিজের অপরাধ ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে স্বীকার করায় ও শাস্তি মেনে নেওয়ায় আর কোনো শুনানির প্রয়োজন হয়নি।   অন ফিল্ড আম্পায়ার সরফদ্দৌল্লা সৈকত, তানভীর আহমেদ, তৃতীয় আম্পায়ার গাজী সোহেল ও চতুর্থ আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল শাস্তি কার্যকর করেন। লেভেল-১ ভঙ্গ করার সর্বনিম্ন শাস্তি তিরস্কার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ অবধি জরিমানা ও দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:০০

ঢাবির ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৬০ জনকে শাস্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ও ৬০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, অসদাচরণ ও শৃঙ্খলাপরিপন্থী অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া ও পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ওই সকল শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও শাস্তি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা পরিষদের সভার সুপারিশ অনুযায়ী গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় বহিষ্কারের এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও বলা হয়, মৃৎশিল্প বিভাগের সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী জাহিদ শেখ ও মো. শাহরিন ইসলাম শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে আটক রেখে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন এবং মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ফলিত গণিত বিভাগের মো. আযহা ইসলাম, সংগীত বিভাগের মর্তুজা হাসান খান, ইতিহাস বিভাগের মো. আজিম মাহমুদ তওসিফ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মো. রিয়াদ মাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানস্থ শিখা চিরন্তনে ঘুরতে আসা দুজন দর্শনার্থীর গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি মারধর করে ৫ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেন। এসব ঘটনা প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের এই সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন, অসদাচরণ ও শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজের অভিযোগে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মো. আব্দুল ওহেদকে সাময়িক বহিষ্কৃকার করা হয়েছে। সাময়িক বহিষ্কারের চিঠি সংশ্লিষ্ট থানা, শিক্ষার্থীর স্থানীয় অভিভাবক এবং স্থায়ী ঠিকানায় প্রেরণ করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত এই ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কারাদেশ চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় হলে অবস্থান করতে পারবেন না। তাদের কৃত অপরাধের জন্য ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না’ মর্মে কারণ দর্শানো এবং ৭ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত ৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুজনকে পরীক্ষাসহ তিন সেমিস্টার, ৪০ জনকে পরীক্ষাসহ দুই সেমিস্টার এবং ১৮ জনকে পরীক্ষাসহ ১ সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে চাঁদা গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রক্টর অফিসের মো. শামীম হোসেনকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৪

আইয়ার ও ঈষানকে কঠিন শাস্তি দিতে যাচ্ছে বিসিসিআই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। ক্রিকেটাদের মধ্যে সব থেকে বেশি বেতন পেয়ে থাকে রোহিত-কোহলিরা। তাই কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট  খেলতে অনিহা প্রকাশ করছে গত কয়েক বছর ধরে। তাই ভারতের ক্রিকেটারদের ঘরোয়াতে খেলা বাধ্যতামূলক করেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। আর গত বছর রঞ্জিতে না খেলার শাস্তি পেতে যাচ্ছেন এবার শ্রেয়াস আইয়ার ও ঈশান কিষাণ। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন এই দুই ক্রিকেটার। সর্বশেষ চুক্তি অনুসারে শ্রেয়াস আইয়ার ‘গ্রেড বি’র খেলোয়াড় হিসেবে বছরে ৩ কোটি এবং ঈষান কিষান ‘গ্রেড সি’র খেলোয়াড় হিসেবে ১ কোটি রুপি করে বেতন পেতেন। দেশটির গণমাধ্যমের দাবি, ভারত ক্রিকেট দলের নির্বাচকেরা নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির খেলোয়াড় তালিকা প্রায় ঠিক করে ফেলেছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই বিসিসিআই চূড়ান্ত খেলোয়াড় তালিকা প্রকাশ করবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সূত্র দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নতুন চুক্তিতে আইয়ার ও কিষানকে রাখা হচ্ছে না, ‘বিসিসিআইয়ের জোর তাগাদার পরও ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলায় চুক্তির তালিকায় কিষান ও আইয়ার থাকছেন না।’ জানা গেছে, এর আগে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের চিঠি দিয়ে সাবধান করেছিলেন বিসিসিআই সচিব। ক্রিকেটারদের পাঠানো চিঠিতে তিনি লিখেন, সম্প্রতি খেলোয়াড়দের মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা গেছে, যা আমাদের জন্য উদ্বেগের কারণ। কিছু খেলোয়াড় (লাল বলের) ঘরোয়া ক্রিকেটের চেয়ে আইপিএলকে অগ্রাধিকার দেয়া শুরু করেছে। খেলোয়াড়দের এ ধরনের পরিকল্পনা আমাদের কাছে প্রত্যাশিত ছিল না। ঘরোয়া ক্রিকেটই সব সময় মূল ভিত্তি। এর ওপর ভারতীয় ক্রিকেট দাঁড়িয়ে আছে। খেলার প্রতি আমাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেই জায়গা থেকে এটিকে কখনোই অবমূল্যায়ন করা হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটই ভারতীয় ক্রিকেটের মেরুদণ্ড গঠন করে এবং জাতীয় দলের ফিডার লাইন (পাইপ লাইন) হিসেবে কাজ করে। চিঠিতে আরও বলা হয়,ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুরু থেকেই পরিষ্কার। ভারতের হয়ে খেলতে আগ্রহী প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। সেখানকার পারফরম্যান্স জাতীয় দলে নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং সেখানে অংশগ্রহণ না করাটা গুরুতর প্রভাব ফেলবে।  
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১০

ধর্ষণের অভিযোগে দানি আলভেজকে কঠিন শাস্তি দিল আদালত
প্রায় দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ে বিচার কার্যক্রম চলার পর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেজের রায় ঘোষণা হয়েছে। বার্সেলোনার সাবেক এই তারকাকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে । একইসঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীকে দেড় লাখ ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতেও বলা হয়েছে আলভেজকে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই শাস্তির ঘোষণা দেয় স্পেনের একটি আদালত। এক বিবৃতিতে আদালত জানিয়েছেন, শারীরিক সম্পর্কের ঘটনায় ভুক্তভোগীর কোনো সম্মতি ছিল না বলে প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি ধর্ষিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল একটি নাইটক্লাবের ভিআইপি সেকশনের টয়লেটে যেতে ওই তরুণীকে প্রলুব্ধ করেন আলভেজ। তিনি ভুক্তভোগীকে বলেছিলেন, তুমি চাইলে চলে যেতে পারো। ওই নারী রাজি না হওয়ায় তাকে চড় মারে এবং ধর্ষণ করেন আলভেজ। ওই ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছে আদালত।  ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলারের ক্যারিয়ার ছিল অনেকগুলো ট্রফিতে মোড়ানো, বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলে। দেশের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলেছেন তিনি। এ ছাড়াও স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনাতে সেরা ফুটবলারদের একজন ছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারের একেবারে শেষদিকে এসে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে স্পেনের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যদিও শুরু থেকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন আলভেজ। অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে কঠিন শাস্তিই পেতে হলো। তবে তার আইনজীবী জানিয়েছেন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৯

নাভালনি শতভাগ সুস্থ ছিলেন জানিয়ে পুতিনের শাস্তি দাবি স্ত্রীর
রাশিয়ার প্রধান বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি অসুস্থ হয়ে আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেননি বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া ও সমর্থকরা। একইসঙ্গে নাভালনির মৃত্যু সংবাদ সত্যি হয়ে থাকলে পরিকল্পিত খুনের দায়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউলিয়া। নাভালনির স্ত্রী বলছেন, ‘আমি জানি না নাভালনির মৃত্যু সংবাদ সত্য কি না। আমরা পুতিন এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে বিশ্বাস করতে পারি না। তারা সবসময় মিথ্যা বলে। তবে যদি এটি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে পুতিন, তার সব অনুগামী-অনুসারী, পুতিনের মিত্র এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকারের সবাইকে এর দায় বহন করতে হবে।  আমাদের দেশ, আমার পরিবার এবং আমার স্বামীর সঙ্গে তারা যা কিছু করেছে তার জন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে তাদের।’ শুক্রবার জার্মানির মিউনিখ শহরে ইউরোপভিত্তিক জোট দাভোসের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্মেলন শুরু হয়েছে। ‘দাভোস অব ডিফেন্স’ নামের তিন দিনের এই সম্মেলনে যোগ দিতে ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে মিউনিখে উপস্থিত হয়েছেন শত শত রাজনীতিবিদ, সামরিক কর্মকর্তা এবং কূটনীতিক। যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলে ইসরায়েল ও ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে— এ নিয়ে ইতোমধ্যে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ইউরোপ। দাভোস অব ডিফেন্স সম্মেলন আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য এটিই। কিন্তু নাভালনির মৃত্যু সংবাদ সবকিছু ওলট-পালট করে দেয়। সম্মেলন শুরুর দিন শুক্রবার নির্ধারিত আলোচানা স্থগিত রেখে ইউলিয়া নাভালনায়াকে মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানান দাভোস অব ডিফেন্সের আয়োজকরা।  তিনি যখন বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঞ্চে ওঠেন, সে সময় সম্মেলনে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান জানান তাকে। নাভালনায়া বলেন, ‘এখানে আসার আগে দীর্ঘ সময় ধরে আমি ভেবেছি যে আমার কি এখানে আসা উচিত, না কি শিগগিরই মস্কোতে আমার ছেলে মেয়েদের কাছে যাওয়া উচিত। কিন্তু তখন আমার মনে হলো, এই অবস্থায় অ্যালেএক্সি থাকলে কী করতেন। আমি নিশ্চিত, তিনি এই মঞ্চে উপস্থিত থাকতেন।’ যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। কমলা বলেন, অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যু সংবাদ যদি সত্য হয়, তাহলে এটি হবে পুতিনের নিষ্ঠুরতার আরও একটি উদাহারণ। যদি সত্যিই এটি ঘটে থাকে, তাহলে অবশ্যই রাশিয়া এর জন্য দায়ী— এটা আমরা স্পষ্টভাবে বলছি। প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষের দিকে রাশিয়ার আর্কটিক অঞ্চলের ইয়ামালো নেনত্স কারাগারে পাঠানো হয় নাভালনিকে। এই কারাগারটিকে রাশিয়ার সবচেয়ে কঠিন কারাগার বলে মনে করা হয়। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইয়ামালো নেনত্স কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ওইদিন সকালে কারাগারের ভেতর হাঁটার সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থ বোধ করেন নাভালনি এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কারা চিকিৎকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়; তবে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাভালনিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, বিবৃতিতে তা স্পষ্ট করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অসুস্থতাজনিত কারণে নাভালনির মৃত্যু হয়েছে—সেকথা বিশ্বাস করতে পারছেন না তার মা ও স্ত্রীসহ অনেকেই। কারণ, মাত্র দুই দিন আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়ার উদ্দেশে একটি আবেগপূর্ণ ভিডিওবার্তা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাকে বেশ হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত মনে হয়েছে। এছাড়া রুশ সংবাদপত্র নোভায়া গ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুসারে, নাভালনির মা ল্যুডমিলা নাভালনায়া বলেছেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি যখন তিনি নাভালনিকে শেষবার দেখেছিলেন তখনও তিনি শতভাগ সুস্থ এবং হাসিখুশি ছিলেন।  নাভালনির সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ, কারাগারে খুন করা হয়েছে নাভালনিকে এবং প্রশাসন সেটি আড়াল করতে অসুস্থতাজনিত আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করছে। নাভালনির প্রধান সহকারী লিওনিদ ভলকোভ বলেছেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রের প্রচারণা বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই। তার মৃ্ত্যুর খবর যদি সত্য হয়, তাহলে নাভালনি মরেননি। পুতিনই তাকে খুন করেছেন।’ উল্লেখ্য, রাশিয়ায় নাভালনিকেই একমাত্র বিরোধী নেতা বলে মনে করা হতো, যিনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিতে রাশিয়াজুড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষকে একত্রিত করতে সক্ষম ছিলেন।  ২০২০ সালেও তাকে সাইবেরিয়ায় বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। তবে সে যাত্রায় অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। সে সময় পশ্চিমা দেশগুলো জানায় যে, তার ওপর স্নায়ুবিক এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৫

অনৈতিকভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ালে আল্লাহ যে শাস্তি দেবেন
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ। তরতর করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। আর প্রতি বছরই রমজান ঘনিয়ে এলে তা কয়েকগুণে বেড়ে যায়। এতে সেহরি ও ইফতারে বিশেষ বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রোজাদারদের। এ মাসে এমন পরিবেশ তৈরি করা উচিত যেন মানুষ সব ঝামেলা থেকে মুক্ত থেকে বেশি বেশি ইবাদত করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে রোজা এলেই মানুষকে ভাবনায় পড়তে হয় দ্রব্যমূল্যের বাড়তি দাম নিয়ে। আর এই দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ মজুতদারি। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে বেশি লাভের আশায় অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ক্রেতাদের সংকটে ফেলেন তারা। অথচ অধিক মুনাফার প্রত্যাশায় পণ্য মজুত করা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, হারাম। ভোক্তাদের জিম্মি করে অর্থ উপার্জন সামাজিকতা ও মানবিকতা বিবর্জিত। উপরন্তু এতে উপার্জিত অর্থ হারাম হওয়ার কারণে নামাজ, রোজা, হজ, দান-সদকা কিছুই কবুল হবে না। এসব কাজ জাহান্নামে যাওয়ার প্রধান কারণ হবে। উপরন্তু এতে উপার্জিত অর্থ হারাম হওয়ার কারণে নামাজ, রোজা, হজ, দান-সদকা কিছুই কবুল হবে না। হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি খাদ্য গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে, আল্লাহ তাকে দুরারোগ্য ব্যাধি ও দারিদ্র্য দ্বারা শাস্তি দেন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২২৩৮) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ৪০ দিনের খাবার মজুত রাখে, সে আল্লাহ-প্রদত্ত নিরাপত্তা থেকে বেরিয়ে যায়।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ২০৩৯৬) ভোক্তাদের জিম্মি করা জায়েজ নয়। কেউ তা করে ‘বিত্তশালী’ হয়ে গেলেও লাভ নেই। তার অবৈধ সম্পদ জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হবে। দুনিয়ার জীবনও তার জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে।  অন্যদিকে, মজুতদারি না করে স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা করল, এ ব্যবসা পরিণত হবে ইবাদতে। তার উপার্জন আল্লাহ তা’আলা বরকতময় করে দেবেন। তাকে অপ্রত্যাশিত রিজিক প্রদান করবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘খাঁটি ব্যবসায়ী রিজিকপ্রাপ্ত হয়, আর পণ্য মজুতদকারী অভিশপ্ত হয়।’ (ইবনে মাজাহ : ২/৭২৮) কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রাখে। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবন নাজেহাল হয়ে ওঠে। এদিকে ইসলামে খাদ্য মজুদ করার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।  হজরত মামার ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে ফাজালা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘পাপাচারী ছাড়া অন্য কেউ মজুদদারি করে না’ (তিরমিজি)। অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ৪০ রাত পর্যন্ত খাদ্যদ্রব্য মজুদ রাখে, আল্লাহর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক থাকে না।’ মজুদদার ও অধিক মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে হাদিসে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে এদের পাপী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘পণ্যদ্রব্য মজুদ করে অধিক মূল্যে বিক্রয়কারী অবশ্যই পাপী।’ (মিশকাত) অত্যধিক মুনাফা লাভের আশায় পণ্যদ্রব্য মজুদ করা, সরিয়ে রাখা, অতিরিক্ত পণ্য ধ্বংস করা শরিয়ত গর্হিত কাজ। এই মর্মে রাসুল (সা.) ভীতি প্রদর্শন করে বলেছেন, ‘কেউ যদি মুসলমানদের থেকে নিজেদের খাদ্যশস্য আটকে রাখে, তবে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর মহামারি ও দারিদ্র্য চাপিয়ে দেবেন’ (ইবনে মাজা, বায়হাকি)।  নবী করিম (সা.) আরও বলেছেন, ‘মজুদদার খুবই নিকৃষ্টতম ব্যক্তি, যদি জিনিসপত্রের দাম হ্রাস পায় তা হলে সে চিন্তিত হয়ে পড়ে আর যদি দাম বেড়ে যায় তা হলে আনন্দিত হয়।’ (মিশকাত) এমনিভাবে দালালি বা মধ্যস্বত্বভোগী হয়ে দ্রব্যের দাম বাড়ানোর জন্য হাদিসে কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি মূল্যবৃদ্ধির অসদুদ্দেশ্যে মুসলমানদের লেনদেনে হস্তক্ষেপ করে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাকে আগুনের হাঁড়িতে বসিয়ে শাস্তি দেবেন’ (তাবরানি : ৮/২১০)।  নবী কারিম (স.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন ব্যবসায়ীরা মহা অপরাধী হিসেবে উত্থিত হবে। তবে যারা আল্লাহকে ভয় করবে, নেকভাবে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা করবে তারা ব্যতীত’ (তিরমিজি: ১২১০) আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! নিশ্চয় পণ্ডিত ও সংসার বিরাগীদের অনেকেই মানুষের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে। আর তারা আল্লাহর পথে বাধা দেয় এবং যারা সোনা ও রুপা জমা করে রাখে, আর তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না, তুমি তাদের বেদনাদায়ক আজাবের সুসংবাদ দাও। সেদিন জাহান্নামের আগুনে ওগুলোকে উত্তপ্ত করা হবে। অতঃপর ওগুলো দিয়ে তাদের ললাটে, পার্শ্বদেশে এবং পৃষ্ঠদেশে দাগ দেয়া হবে, আর বলা হবে- এটি হচ্ছে ওটাই, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চয় করে রেখেছিলে। সুতরাং এখন নিজেদের সঞ্চয়ের স্বাদ গ্রহণ কর।’ (সূরা তওবা, ৩৪-৩৫)। 
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৭

‘আগুন-সন্ত্রাসীদের শাস্তি হলেই দেশে নাশকতা কমবে’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, যারা ইতোপূর্বে আগুন দিয়ে পুলিশসহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, যারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, হরতাল অবরোধের নামে বাসে-ট্রেনে, ট্রাকে আগুন দিয়েছে সেই সব প্রকৃত সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে পারলেই দেশে আগামীতে এ ধরনের ঘটনা কমে আসবে।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে একাদশ ও অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ এবং বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।    তিনি বলেন, কে মুক্তি পাবে আর কে পাবে না সেটা একমাত্র আদালতের ওপর নির্ভর করে। তবে আমরা প্রত্যাশা করি অপরাধ না করে কেউ যেন সাজা না পায়, আবার কেউ যেন অপরাধ করে পার না পায়।  এ সময় হানিফ আরও বলেন, নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে ঢেলে সাজানোসহ কোথাও কোনো বিরোধ থাকলে তা সমাধানের কর্মসূচি চলছে। আর বিএনপি ২০১২ সাল থেকে বিএনপি বছরে দুইবার করে সরকার পতনের কর্মসূচি দিয়ে আসছে। এসব নিয়ে সরকার আর জনগণ এখন আর কিছু ভাবে না। নতুন করে বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে তার দলের লোকজনই এখন হাসে।  কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শিশির কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। পরে কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৩

আশ্রয়ণ প্রকল্পে ধর্ষণ, শাস্তি ১ হাজার টাকা!
পাবনার একটি সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে গৃহবধূকে ধর্ষণে অভিযুক্তকে এক হাজার টাকা জরিমানা, নাকে খত এবং জুতাপেটায় মিমাংসা করে দিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান। পাশাপাশি, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা বা অন্য কোনো পদক্ষেপ না নিতেও হুমকি দেন তিনি। তবে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের ঈদগাহ মাঠে অবস্থিত চাকলা আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরদিন স্থানীয় চাকলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার স্থানীয় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে অভিযুক্তকে এ কথিত সাজা দেন। সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে শফিকুল ইসলাম শফিক ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনা টের পেলে অভিযুক্ত পালিয়ে যান। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার চাকলা ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদারের নির্দেশে অভিযুক্তকে নাকে খত, জুতাপেটার পাশাপাশি এক হাজার টাকায় ঘটনা মিমাংসা করা হয়। এ নিয়ে পরবর্তীতে কোনো মামলা বা পদক্ষেপ না নিতেও ভুক্তভোগীদের শাসিয়ে দেন চেয়ারম্যান। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবার। যার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে অভিযুক্ত শফিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, ‘মাত্র এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমার স্ত্রীর ইজ্জতের মূল্য কি এক হাজার টাকা? সেখানে আমাকে অনেক ভয় দেখানো হয়েছে। চেয়ারম্যান বলেছে- ‘তু্ই যদি মামলা-মোকাদ্দমায় যাস তাহলে আমি বলে দেব তুই তোর স্ত্রীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাস’, এজন্য আমি প্রথমে পুলিশের কাছে যায়নি। আমি আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ ও তামাসার বিচারের বিচার চাই।’ অভিযোগ অস্বীকার করে চাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার বলেন, ‘আমার কাছে উভয়পক্ষ আসলে আমি স্থানীয় মেম্বরদের সহযোগিতায় একটি সালিশি বৈঠক করেছি। সেখানে ধর্ষণের কোনো অভিযোগ ছিল না। তারপরও যেহেতু একজন নারীর ঘরে বিনা অনুমতিতে ঢুকেছিল এজন্য তাকে (অভিযুক্ত) কানধরে উঠবোস করানো হয়েছে, কিন্তু কোনো জরিমানা করা হয়নি। যে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে সেটা জরিমানা নয়, ওটা গ্রাম্যপুলিশদের খরচ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তখন উভয় পক্ষ আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল। এখন তারা মানছে না।’ তিনি বলেন, ‘একটি কুচক্রি মহল ও আমার প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়াচ্ছে। যেহেতু তারা সিদ্ধান্ত না মেনে আইনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন আইনের মাধ্যমে যা হয় তা হবে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন।’ এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর গত শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম শফিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আমরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়