• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নওগাঁয় ১৩২ স্থানের মাটি সংগ্রহ করে শহীদদের শ্রদ্ধা
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে নওগাঁয় ১৩২টি গণহত্যার স্থানের মাটি সংগ্রহ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে স্থানীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের আয়োজনে শহরের মুক্তির মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভের পাশে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সেখানে ১৩২টি স্থানের মাটি সংগ্রহ করে আলাদা আলাদা পাত্রে রেখে গোলাপ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ডিএম আব্দুল বারি, সাধারণ সম্পাদক এম এম রাসেলসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দরা। সময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও মাটি সংগ্রহের অন্যতম এম এম রাসেল বলেন, এখন পর্যন্ত জেলায় জরিপ করে দেখা গেছে, ১৩২টি স্থানে গণহত্যা চালানো হয়েছে। এ গণহত্যার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, শহীদদের নাম, তাদের ঠিকানা, পেশা, বয়স এগুলো সংগ্রহ করতে প্রায় ১১ বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। আমাদের তথ্যমতে, ১৩২টি গণকবর রয়েছে এ জেলায়। সেসব স্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয়েছে। শহীদদের এই রক্তস্নাত মাটি সংগ্রহ করতে সময় লেগেছে ২ মাসের মতো। আজকে এই ১৩২টি স্থানের মাটিগুলো আলাদা আলাদা পাত্রে রেখে দিয়ে সেখানে একটি করে গোলাপ দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারি বলেন, যাদের জন্য আমরা স্বাধীন দেশ ও মুক্ত স্বদেশ পেয়েছি তাদেরকে এ ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয়েছে। যাতে করে নতুন প্রজন্মকে গণহত্যা সম্পর্কে আমরা জানাতে পারি।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৯

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শহীদদের স্মরণে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ
মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। রাত পোহালেই ৫২তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে জাতি। জাতির গৌরব আর অহংকারের এ-দিনটিতে সৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে লাখো মানুষের। তাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে স্মৃতিসৌধ।  দিনটি উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সিসিটিভির পাশাপাশি মোতায়েন থাকছে সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ধুয়েমুছে, ফুল আর রং-তুলির আঁচড়ে প্রস্তুত করেছে গণপূর্ত বিভাগ। গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, দিবসটি উপলক্ষে সৌধের মিনার থেকে শুরু করে পায়ে চলার পথ সবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। রং-তুলির আঁচড় পড়েছে ফুলের টবসহ না স্থাপনায়। এরইমধ্যে পরিচ্ছন্নকর্মীরা ধুয়ে মুছে প্রস্তুত করেছেন গোটা সৌধ এলাকা। ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, দিবসটি পালন করতে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। গোটা সাভারকে সাজানো হয়েছে ভিন্নরূপে। দলের শীর্ষ নেতা ও সাধারণ জনতাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সাভারবাসী। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহহিল কাফি বলেন, দিবসকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল ধরনের ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। সিভিল পোশাকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছেন। গোটা সৌধ এলাকায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এ ছাড়াও সড়ক-মহাসড়কে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় রাখা হয়েছে স্পেশাল ব্যবস্থা। যেন ওইদিন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রকার অসঙ্গতি না থাকে সে ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এদিকে স্বাধীনতা দিবসে সৌধ এলাকা ছাড়াও পুরো উপজেলা সেজেছে নতুন সাজে। সড়ক-মহাসড়ক ছাড়াও ভবনগুলো সাজানো হয়েছে লাল-সবুজ বাতিতে। 
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৮

গণহত্যা দিবসে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন
মোমবাতি প্রজ্বালন করে গভীর শ্রদ্ধায় ২৫ মার্চ কালরাতে শহীদদের স্মরণ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ। সোমবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদদের নেতৃত্বে সংগঠনটির কয়েকশ নেতাকর্মী  এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। শুরুতে তারা এক মিনিট নিরবতা পালনের পর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন। এসময় তারা শহীদদের আত্মত্যাগের কথাও তুলে ধরেন। ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ‘অপারেশন সার্চ লাইটে’র নীলনকশা বাস্তবায়ন করে। এই গণহত্যা মানব ইতিহাসের জঘন্যতম অধ্যায়।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৫

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যা দিবস। ২০০৯ সালের আজকের এই দিনে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে সংঘটিত হয় নারকীয় হত্যাকাণ্ড। নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের আজ  ১৫ বছর পূর্ণ হলো। পিলখানা হত্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিন বাহিনী প্রধানের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের পক্ষে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শহীদ পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়রা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং কর্মরত সামরিক সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।  এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য, শহীদ পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর (যা এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা সংক্ষেপে বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় বিপথগামী সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিপথগামী কিছু বিডিআর সদস্য ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নারী-শিশুসহ আরও ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। 
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৮

ভাষা শহীদদের প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের শ্রদ্ধা নিবেদন
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রত্যুষে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীন, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও অন-ক্যাম্পাস প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরাও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।  গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্মৃতির মিনারেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো ও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একই কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রত্যুষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাস, ঢাকার ধানমন্ডিতে নগর কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং কালো পতাকা পূর্ণ উত্তোলন করা হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণ করেন।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৯

ভাষা শহীদদের প্রতি আরটিভি পরিবারের শ্রদ্ধাঞ্জলি
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে জনপ্রিয় বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি পরিবার। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে আরটিভির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আরটিভির অনুষ্ঠানপ্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব,  বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের প্রধান (জিএম) সুদেব চন্দ্র ঘোষ, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আবু সিদ্দিক মোহাম্মদ আলীম, উপপ্রধান বার্তাসম্পাদক এবং অনলাইন ইনচার্জ বিপুল হাসানসহ আরও অনেকে। এসময় আরটিভির অনুষ্ঠানপ্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব বলেন, ভাষার জন্য বাঙালি জাতির যে আত্মত্যাগ, সেটি এখন বিশ্ব পরিক্রমায় ছড়িয়ে পড়েছে। নিজেদের ভাষাকে রক্ষা করার যে সংগ্রাম, সেটি এখন সব জায়গায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলে পালিত হচ্ছে, এটাই আসলে আমাদের প্রাপ্তি। আরটিভির অনলাইন ইনচার্জ বিপুল হাসান বলেন, বাঙালির সংস্কৃতি, জাতিসত্তা কিংবা বাংলা, এই ভূখণ্ড সবকিছুর উৎপত্তি এবং বিকাশ এই মহান একুশে ফেব্রুয়ারি থেকেই। যুগে যুগে একুশের চেতনা বুকে ধারণ করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। একুশের প্রথম প্রহর থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়। রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষের ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এরই মধ্যে শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে গেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদি। প্রসঙ্গত, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলা ভাষাকে জাতীয় ভাষা হিসাবে অস্বীকার করে এবং পাকিস্তানের একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে উর্দুকে চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও ঢাকার সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে আসে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার দাবিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি মিছিল বের হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও কয়েকজন নিহত হন। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৮

ভাষা শহীদদের প্রতি সাকিব-তামিমদের বিনম্র শ্রদ্ধা
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক পোস্টে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান লিখেছেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সবাইকে জানাই একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা। মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, সর্বস্ব দিয়ে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে বাঙালি জাতি পিছপা হয়নি কখনোই। ৫২’র ভাষা আন্দোলনেও এর কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি। মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছিল যেই সকল ভাষা শহীদেরা, তাদের অপরিমেয় ত্যাগই আমাদের এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ লিখেছেন, ১৯৫২ সালে শহিদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বাংলা ভাষার স্বাধীনতা। তাদের এই হার না মানা সংগ্রাম প্রতিনিয়ত আমাদের দেয় এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া শহিদদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। তামিম ইকবাল লিখেছেন, মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। পেসার তাসকিন আহমেদ লিখেছেন, আজ আমরা বাংলায় নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি শুধুমাত্র ভাষা শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে, ভুলবো না আমরা তাদেরকে কখনোই। সবাইকে জানাচ্ছি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা। সাকিব-তামিমরা ছাড়াও ক্রীড়াঙ্গনের আরও অনেকেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৮

ভাষা শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগের পরই স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি তৈরি হয়। তারপর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। আমাদের চেতনার সব কিছুকেই ঘিরে আছে ’৫২ এর ২১ ফেব্রুয়ারি। ভাষা শহীদদের আত্নার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। রিজভী বলেন, আমরা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার হারা। দেশের জনগণ ভোট দিতে পারছেন না। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোটাধিকার দাবি করে আসছে। আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২/৫৩ বছর পরও কেন এই দাবি করতে হচ্ছে? কারণ যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের মাতৃভাষার অধিকার হরণ করেছিল। ঠিক একইভাবে একই কায়দায় আমাদের দেশীয় হানাদার বাহিনী জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ সব অধিকার হরণ করেছে। তারা একটি একচ্ছত্র রাজকীয় শাসন চালু করেছে। সুতরাং আজকে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর যে এক দফা আন্দোলন সেই আন্দোলনের অন্তর্নিহিত শক্তি হলো বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের এই ২১ ফেব্রুয়ারি। সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের আগামীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বিজয় করতে হবে। আজকের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মহান ভাষাশহীদদের প্রতি বিএনপির পক্ষে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও ফুলেল শুভেচ্ছা। এর আগে সকাল ৮টায় আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এর পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসেন তারা। এ সময় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, আমিনুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, এজমল হোসেন পাইলট, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, ওলামা দলের সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, শ্রমিক দলের মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ছাত্রদলের তানজিল হাসান, আবু আফসান মো. ইয়াহিয়া উপস্থিত ছিলেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০২

ভাষা শহীদদের প্রতি আইজিপির শ্রদ্ধা
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে আইজিপি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম, আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি) এ কে এম হাফিজ আক্তার ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি) ড. খ. মহিদ উদ্দীনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এর আগে একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করেন।      
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:০৬

ভাষা শহীদদের প্রতি প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিচারপতিরা। সুপ্রিম কোর্টের উভয় (আপিল ও হাইকোর্ট) বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তারা-কর্মজীবীরা । এর আগে শহীদ দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন  ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়