• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কোরআন পড়ে মুগ্ধ হয়ে যা জানালেন উইল স্মিথ
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরিফ পড়ে মুগ্ধ হয়েছেন মার্কিন অভিনেতা ও হলিউড সুপারস্টার উইল স্মিথ। শুধু মুগ্ধই হননি, কোরআন সম্পর্কে নিজের মতামত ও অনুভূতিও প্রকাশ করেছেন তিনি। পবিত্র কোরআন ভালোবাসায় যেন বাঁধা পড়েছেন উইল স্মিথ। পাশাপাশি কোরআনকে খুবই স্পষ্ট হিসেবে অভিহিত করেছেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি এক রেডিও সাক্ষাৎকারে কোরআনের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করেন উইল স্মিথ। অভিনেতা বলেন, আমি সরলতাকে পছন্দ করি, কোরআন খুবই স্পষ্ট। কোরআন নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির কোনো উপায় নেই। কোরআনের সারমর্ম ছিল খুবই সুন্দ এবং পরিষ্কার।  উইল স্মিথ জানান, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের ধর্মীয় গ্রন্থও পড়েছেন তিনি। কোরআন, তোরাহ ও বাইবেলের মধ্যে অনেক মিল খুঁজে পাওয়ায় বেশ অবাকও হয়েছেন এই অভিনেতা। তিনি আরও বলেন, আমি অবাক হয়েছিলাম, যখন দেখেছিলাম এগুলোর মধ্যে কত মিল। আমি কখনও ইব্রাহিমকে পিতা হিসেবে বুঝতে পারিনি এবং এর পর ঈসা ও ঈসমাইলের সঙ্গে তার বিভক্তি। এই অনুধাবনের সমাপ্তিটা খুব সুন্দর ছিল। বর্তমানে সৌদি আরব সফরে রয়েছেন উইল স্মিথ। ওই সাক্ষাৎকারে শুধু কোরআন নয়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে নিয়ে নিজের ভালোবাসার কথাও জানিয়েছেন তিনি।  প্রসঙ্গত, বিখ্যাত আলাদিন সিনেমায় দৈত্যের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন উইল স্মিথ। গত বছর রমজান মাসে কোরআন শরিফ পড়েছিলেন বলে জানান এই অভিনেতা।  সূত্র : আলআরাবিয়া 
২০ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৫

মাটি খুঁড়ে মিলল ১৫ পবিত্র কোরআন শরিফ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আবাসন প্রকল্পের কাজ করার সময় মাটি খুঁড়ে ১৫টি পবিত্র কোরআন উদ্ধার করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) উপজেলার দুধসর গ্রামের আবাসন প্রকল্পের কাজ করার সময় পবিত্র কোরআনগুলো পাওয়া যায়।  স্থানীয়রা জানান, আবাসন প্রকল্পের নতুন ঘর নির্মাণের কাজ চলছিল। প্রকল্পের আওতায় নতুন ঘর নির্মাণের জন্য পুরাতন ঘরগুলো ভেঙে মাটি সরানো হচ্ছিল। মাটির খোঁড়ার সময় কয়েকটি কাপড়ে মোড়ানো ব্যাগ পাওয়া যায়। পরে কৌতূহলবশত এসব খুলে দেখেন স্থানীয়রা। দেখা যায় ওই ব্যাগগুলোতে ছিল ১৫টি পবিত্র কোরআন শরিফ। পরে তারা স্থানীয় মসজিদের ইমামকে খবর দিলে তিনি এসে পবিত্র কোরআনগুলো মসজিদে রেখে দেন। স্থানীয় মসজিদের ইমাম জানান, উদ্ধার করা পবিত্র কোরআনগুলো অনেক পুরাতন। তবে ১৫টি কোরআনের মধ্যে ১৪টি ভালো রয়েছে। শৈলকুপা ইউএনও শেখ মেহেদী ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৫টি কোরআন উদ্ধারের খবর শুনে ওই এলাকায় যায়। এ সময় কোরআনগুলো স্থানীয় মসজিদেসহ আশপাশের মসজিদে পড়ার জন্য বলা হয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৪

ফের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পিএমএল-এনের সভাপতি শাহবাজ শরিফ। এতে তিনি ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির। শাহবাজ শরিফ ২০১ ভোট পেয়েছেন। ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান পেয়েছেন ৯২ ভোট। রোববার (৩ মার্চ) দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক এ ঘোষণা দেন। খবর দ্য ডন। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে দেশটির ১৬তম সাধারণ নির্বাচনের প্রায় দু’মাস পর জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এই অধিবেশনের কেন্দ্রে ছিল ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে সরাসরি ভোটগ্রহণ পর্ব। এবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পেছনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুতাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টিসহ ৭টি দলের সমর্থন পেয়েছেন।  পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী হতে হলে কোনো প্রার্থীকে জাতীয় পরিষদের ৩৩৬ সদস্যের মধ্যে ১৬৯ জনের ভোট পেতে হয়। যদি প্রধানমন্ত্রী পদে দুইয়ের অধিক প্রার্থী থাকেন এবং কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা (১৬৯ ভোট) পেতে ব্যর্থ হন; তবে আবারও ভোট নেয়ার বিধান রয়েছে। প্রথম দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুজন পরবর্তী দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যিনি ৫১ শতাংশ ভোট পাবেন, তিনি পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। দেশটির জাতীয় পরিষদে মোট ৩৩৬টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি আসন সংরক্ষিত। নারীদের ৬০টি ও সংখ্যালঘুদের জন্য ১০টি। তবে সংরক্ষিত আসনের সদস্য নির্বাচন ছাড়াই আজ প্রধানমন্ত্রী পদে ভোট হয়। মিয়া মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফ জন্ম ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫১। ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ১১ এপ্রিল তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিশিষ্ট রাজনৈতিক শরীফ পরিবারের সদস্য, তিনি মিয়া শরীফ এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাই, যিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) সভাপতিও ছিলেন। শাহবাজ শরীফ ১৯৮৮ সালে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হন এবং ১৯৯০ সালে জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে তিনি আবার পাঞ্জাব অধিবেশনে নির্বাচিত হন এবং বিরোধীদলীয় নেতা হন। ১৯৯৭ সালে তৃতীয়বারের মত নির্বাচন করে শরিফ ২০০৫ সালে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর শরিফ কিছু বছর সৌদি আরবে স্ব-নির্বাসনে যান এবং ২০০৭ সালে পাকিস্তানে আসেন। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রদেশের পিএমএল-এন বিজয়ী হওয়ার পর শরীফ দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিন। ২০১৩ সালে তিনি তৃতীয়বার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৪

প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ
অবশেষে পাকিস্তানে নওয়াজ-শাহবাজের পিএমএল-এন এবং বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি জোট সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এ ছাড়া নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি।  দীর্ঘ আলোচনার পরে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে তারা। উভয় দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তারা ‘জাতির স্বার্থে’ আবারও জোট সরকার গঠন করছেন। পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি উভয় দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) এখন সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এবং আমরা পরবর্তী সরকার গঠনের অবস্থানে রয়েছি। কে পাচ্ছেন কোন পদ : বিলওয়াল জানিয়েছেন, জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন শাহবাজ শরিফ এবং উভয় দলের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন তার বাবা আসিফ আলী জারদারি। সিনেটের চেয়ারম্যান হিসেবে পিএমএল-এন নেতা ইসহাক দারের মনোনয়ন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বিলাওয়াল বলেন, এ বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিটি দল আলাদাভাবে এর ঘোষণা দেবে। তিনি বলেন, যদি অতীতের দিকে তাকাই, তাহলে আমরা আগের মেয়াদের তুলনায় অনেক দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছেছি এবং জোটের ঘোষণা দিয়েছি। একই সংবাদ সম্মেলনে পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরিফ বলেন, তিনি পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে সরকার গঠন করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারা যথেষ্ট আসন দেখাতে পারেনি। তিনি বলেন, পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এসময় বিলাওয়াল এবং আসিফ আলী জারদারিকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। শাহবাজ বলেন, উভয় দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদে জারদারিকে যৌথ প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামানো হবে। পিপিপি মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে পিএমএল-এন নেতা বলেন, প্রথম দিন থেকেই মন্ত্রিত্ব চায়নি বিলওয়ালের দল। তিনি বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয় এবং পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান করা হয়। তবে এর মানে এই নয় যে, আমরা তাদের দাবি মেনে নিচ্ছি বা তারা আমাদের দাবি মেনে নিচ্ছে। তাদের নিজস্ব মতামত রয়েছে। কিন্তু মধ্যবিন্দুতে পৌঁছানোই আসল রাজনৈতিক সাফল্য। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ এবং পিপিপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনার ভিত্তিতে পরে মন্ত্রিত্ব সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৯

আইয়ুব খানের নাতিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করলেন ইমরান খান
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের পর কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন নিয়ে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে দলগুলো। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের মহাসচিব ওমর আইয়ুবকে প্রধানমন্ত্রী পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ওমর আইয়ুব হলেন দেশটির সাবেক সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের নাতি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কারাবন্দি পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে কথা বলার পর দলটির নেতা আসাদ কায়সার এই ঘোষণা দিয়েছেন। খবর ডন ও রয়টার্সের। আসাদ কায়সার জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে দলটি। এই বিক্ষোভের তারিখ আজই প্রকাশ করবেন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, আমাকে নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে আসা সব রাজনৈতিক দলগুলোকে যুক্ত করার কাজ দেওয়া হয়েছিল। দলগুলোর মধ্যে জেইউআই-এফ, এএনপি ও কিউডব্লিউপির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করার নির্দেশ দিয়েছেন পিটিআই প্রধান। কে এই ওমর আইয়ুব পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল আইয়ুব খানের নাতি ওমর আইয়ুব। তার বাবা পাকিস্তান মুসলিম লীগের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা ছিলেন। গোহর আইয়ুব খান ১৯৯৭ সালে নওয়াজ শরিফের সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের স্পিকারও ছিলেন। বাবার পথ ধরে ওমর আইয়ুব খানও পাকিস্তান মুসলিম লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে ওঠেন। সাবেক সামরিক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফের শাসনামলে ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত অর্থ-প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ওমর আইয়ুব খান। ২০১৮ সালে ইমরান খানের হাত ধরে পিটিআই’তে যোগ দেন ওমর। ইমরানের সরকারে তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।  উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নজিরবিহীন বিলম্বের পর রোববার ২৬৪টি আসনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য ১৩৪টি আসন প্রয়োজন। নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৯৩ জনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত। ৭৫ আসনে জিতে এরপরের অবস্থানে আছেন নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল)। আর ৫৪ আসনে জয়লাভ করে তৃতীয় অবস্থানে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ ছাড়া এমকিউএম ১৭টি ও অন্যান্য দল ১৭টি আসনে জয়লাভ করেছে। ফলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি কোনো দলই। তাই জোট গঠনে তোড়জোর চালাচ্ছে দলগুলো। বিশেষ করে নওয়াজ শরিফের পিএমএল ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপির জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখন অনেকটাই পাকা। তবে, বড় এ দুই দলের মোট আসনও পূরণ করতে পারছে না সরকার গঠনের জন্য ন্যূনতম আসন পূরণের শর্ত।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩১

যাকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করলেন ইমরান খান
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের পর কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন নিয়ে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে দলগুলো। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের মহাসচিব ওমর আইয়ুবকে প্রধানমন্ত্রী পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কারাবন্দি পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে কথা বলার পর দলটির নেতা আসাদ কায়সার এই ঘোষণা দিয়েছেন। খবর ডন ও রয়টার্সের। পিটিআইয়ের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ওমর আইয়ুব আসাদ কায়সার জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে দলটি। এই বিক্ষোভের তারিখ আজই প্রকাশ করবেন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, আমাকে নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে আসা সব রাজনৈতিক দলগুলোকে যুক্ত করার কাজ দেওয়া হয়েছিল। দলগুলোর মধ্যে জেইউআই-এফ, এএনপি ও কিউডব্লিউপির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করার নির্দেশ দিয়েছেন পিটিআই প্রধান। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নজিরবিহীন বিলম্বের পর রোববার ২৬৪টি আসনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য ১৩৪টি আসন প্রয়োজন। নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৯৩ জনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত। ৭৫ আসনে জিতে এরপরের অবস্থানে আছেন নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল)। আর ৫৪ আসনে জয়লাভ করে তৃতীয় অবস্থানে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ ছাড়া এমকিউএম ১৭টি ও অন্যান্য দল ১৭টি আসনে জয়লাভ করেছে। ফলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি কোনো দলই। তাই জোট গঠনে তোড়জোর চালাচ্ছে দলগুলো। বিশেষ করে নওয়াজ শরিফের পিএমএল ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপির জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখন অনেকটাই পাকা। তবে, বড় এ দুই দলের মোট আসনও পূরণ করতে পারছে না সরকার গঠনের জন্য ন্যূনতম আসন পূরণের শর্ত।     
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৯

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শাহবাজ শরিফ
নওয়াজ শরিফ নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) কয়েকটি দল পাকিস্তানের জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ছোট ভাই শাহবাজকে মনোনীত করার ঘোষণা দেন। খবর জিও টিভির। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পিএমএল-এন থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে নওয়াজ শরিফের নাম এতদিন আলোচনা হলেও সবাইকে চমকে দিয়ে শাহবাজকে মনোনীত করেছেন তিনি। একই সময় পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে দলগুলো তাদের বৈঠক শেষে  যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে। এদিন পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি ও শাহবাজ শরিফ নতুন জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। এই দলগুলোর জোটই ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে। নির্বাচনের পর কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়াতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভির বাড়িতে পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরীফ ও পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোর মধ্যে এক বৈঠকের পর কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে জোট সরকার গড়তে সম্মত হন তারা। তবে বিলাওয়াল ভুট্টোকে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। এরপর সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ও মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিলাওয়াল জানান, বিলওয়াল ভুট্টো এদিন জানান, কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের ক্ষেত্রে পিপিপির যেহেতু ম্যানডেট নেই তাই তিনি প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হচ্ছেন না। তবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে পিএমএল-এনকে সাহায্য করবেন জানিয়ে পিপিপি প্রধান বলেন, পিপিপি তার ইশতেহার অনুযায়ী চলবে। আমরা সরকারের অংশ হবো না। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারে কোনো মন্ত্রীও আমাদের দল থেকে থাকবে না। তিনি বলেন, আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে দেশকে সংকট থেকে বের করে আনা। আমাদের পাকিস্তানকে সমর্থন ও শক্তিশালী করতে হবে। তার ওই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই রাতে বৈঠকে বসেন পিএমএল-এন, পিপিপি, এমকিউএম-পি ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদের (পিএমএল-কিউ) নেতারা। ওই বৈঠক শেষে জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। এদিকে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ জানিয়েছে, পিএমডব্লিএম’র সঙ্গে জোট গঠন করে কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে সরকার গঠন করবেন তারা।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪১

জোট গড়ছে নওয়াজ-বিলাওয়াল, ভাঙছে ইমরান খানের স্বপ্ন
পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরীফ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোর মধ্যে এক বৈঠকের পর কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে জোট সরকার গড়তে সম্মত হয়েছে তারা। তবে বিলাওয়াল ভুট্টোকে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার শর্ত দেওয়া হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে জিও টিভি ও দ্য নিউজ। জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভির বাড়িতে নওয়াজ শরীফের তরফ থেকে তার ভাই শেহবাজ শরীফ পিপিপি’র বিলাওয়াল ভুট্টো ও আসিফ আলির সঙ্গে দেখা করেন। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে’ দুই দল জোট সরকার গঠনে একমত হয়। ভবিষ্যৎ সরকার কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে। দ্য নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিএমএল-এনের মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক হয়েছে। জোট সরকার গঠনে ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টোকে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার কঠিন শর্ত দিয়েছে বাবা আসিফ আলি জারদারি। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি চেয়ারও দাবি করেছেন তিনি। শুধুমাত্র এই শর্তেই পিএমএল-এনকে সমর্থন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ক্ষমতা কীভাবে ভাগাভাগি হবে তা এখনো আলোচনা হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানা যায়নি। এদিকে তাদের সরকার গঠনের বিষয়টি পিএমএল-এন ও পিপিপি রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈঠকের পর আলাদা আলাদা বিবৃতিতে জানিয়েছে। পিএমএল-এনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে দেশকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে রক্ষায় দুই পক্ষের মধ্যে মতৈক্য হয়েছে। অন্যদিকে পিপিপি বলছে, বৈঠকে সরকার গঠনে দলটির সহযোগিতা চেয়েছে পিএমএল-এন। প্রস্তাবটি নিয়ে সোমবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। নির্বাচনের ফলপ্রকাশে দেরি হওয়ায় অনিয়ম কারচুপির অভিযোগ তোলে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ ও পেশোয়ারসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করছেন পিটিআই, জেআই ও জেইউআই-এফ-এর হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক।    পিটিআই অভিযোগ করেছে, তাদের অনেক প্রার্থী নির্বাচনে জিতলেও ফলাফলে কারচুপি করা হয়েছে। ইসলামাবাদ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক কামাল হায়দার বলেছেন, পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে, এমন তিনটি আসনে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। দেশটির নির্বাচনে ২৬৬ আসনের (একটির ফল ঘোষণা স্থগিত ও একটিতে ভোট হয়নি) মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই ইমরান খানের দল-সমর্থিত প্রার্থী। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নওয়াজের দল পেয়েছে ৭৫ আসন। ৫৪ আসন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিলওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ ছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয় পেয়েছে। বাকি ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছে অন্যান্য দল। 
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৮

পল্টি নিয়ে নওয়াজের দলে ইমরানের প্রার্থী
পাকিস্তানের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। সরকার গঠনে তাই জোটই একমাত্র উপায় এখন। ব্যাট ছাড়াই ভোটের মাঠে টিম ইমরান যে খেল দেখালো তাতে বেশ ভালোই বিপাকে পড়েছেন সেনা সমর্থনপুষ্ট নওয়াজ শরিফ। জোট সরকার গঠনে বারবার ধর্না দিচ্ছেন ৫৩ আসনে জললাভ করা বিলওয়াল ভুট্টোর দরবারে। কিন্তু, বিলওয়াল ভুট্টোরও চোখ বেশ বড়; চেয়ে বসেছেন প্রধানমন্ত্রীর পদ। তাই বিলওয়ালের পিপিপির সঙ্গে নওয়াজের মুসলিম লীগের জোট নিয়ে এখনও রয়ে গেছে ধোঁয়াশা।  নিজের পথ পরিষ্কারে নওয়াজ এবার হানা দিয়েছেন পিটিআইয়ের ঘরে; ইমরান শিবিরের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিজ দলে ভেড়াতে কোমর বেঁধেই নেমেছেন বলা চলে। হাতেনাতে ফলও পেয়ে গেছেন ইতোমধ্যে। নওয়াজ শরিফের ডাকে সাড়া দিয়ে তার পাকিস্তান মুসলিম লীগে (পিএমএল-এন) যোগ দিয়েছেন ওয়াসিম কাদির নামে পিটিআই-সমর্থিত বিজয়ী এক প্রার্থী। ইমরানের জনপ্রিয়তায় সওয়ার হয়ে ভোটে জিতে এসে পল্টি নিয়ে ওই প্রার্থী এখন বলছেন, মুসলিম লীগে যোগদান করে ফিরেছেন আপন ঘরে!  রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ওয়াসিম কাদির এ ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজ ও ডন। লাহোরের একটি আসন (এনএ-১২১) থেকে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এ নেতা।  পিএমএল-এনের ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডলে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে ইতোমধ্যে। সেই ভিডিওতে পিএমএল-এনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের পাশে দাঁড়িয়ে ওয়াসিম কাদিরকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আমার ঘরে ফিরেছি।’  পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, দেশটির নির্বাচনে ২৬৬ আসনের (একটির ফল ঘোষণা স্থগিত ও একটিতে ভোট হয়নি) মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই ইমরান খানের দল-সমর্থিত প্রার্থী। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নওয়াজের দল পেয়েছে ৭৫ আসন। ৫৪ আসন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিলওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।  এ ছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয় পেয়েছে। বাকি ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছে অন্যান্য দল। সরকার গঠনের জন্য জোর তৎপরতা চালিয়েছে যাচ্ছেন নওয়াজ শরিফ। ইতোমধ্যে তিনি পিপিপি ও এমকিউএমের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে, ইমরান সমর্থিতদের শিবিরে যে থাবা বসিয়েছেন সর্বশেষ, তা বেশ বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শত প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে চলা দলটির জন্য।   
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩০

নির্বাচন নিয়ে যা বললেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোট শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। ভোট গণনাও শেষ। অথচ এখন পর্যন্ত সব আসনের ফল ঘোষণা করতে পারেনি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।  অবশ্য নির্বাচন সফল হয়েছে দাবি করে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন, সব রাজনৈতিক দল এবং বিজয়ী সকল প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেনারেল মুনির। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সংবিধানে বর্ণিত গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার প্রদর্শন করেছেন। একইসঙ্গে হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেও ভোট গ্রহণের নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার জন্য সর্বোচ্চ প্রশংসার দাবি রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। এছাড়াও জাতীয় গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, বেসামরিক প্রশাসন এবং বিচার বিভাগের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত গঠনমূলক ভূমিকা নির্বাচন সফলে ভূমিকা রেখেছে। বিবৃতি আরও বলা হয়, নির্বাচন জয়-পরাজয়ের শূন্য-সমষ্টি নয় বরং জনগণের ম্যান্ডেট নির্ধারণের একটি মহড়া। রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং তাদের কর্মীদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের শাসন ও সেবা করার প্রচেষ্টাকে একত্রিত করা উচিত যা গণতন্ত্রকে কার্যকরী ও উদ্দেশ্যমূলক করার একমাত্র উপায় হতে পারে। পাকিস্তানের জনগণ যেহেতু পাকিস্তানের সংবিধানের প্রতি তাদের সম্মিলিত আস্থা রেখেছে, এখন রাজনৈতিক পরিপক্বতা এবং ঐক্যের সঙ্গে এর প্রতিদান দেওয়া সব রাজনৈতিক দলের ওপর কর্তব্য। উল্লেখ্য, ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৫২টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে ইতোমধ্যে। ঘোষিত ফলে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ে বেশ ভালো ব্যবধানে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের অধিকাংশই কারাবন্দি ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে ফলাফলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। এই দুটি দলই জোট গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫২টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০৬টি আসন। তাদের মধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী ৯৯ জন। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পেয়েছে ৭৩টি আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি পেয়েছে ৫৩টি আসন।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়