• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ডিহাইড্রেশন দূর করবে টক দইয়ের শরবত
দই কমবেশি সবারই অনেক পছন্দের একটা খাবার। আর টক দই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। টক দইকে সুপারফুডও বলা হয়ে থাকে। দইতে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন এবং আরও অনেক ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। ছোট থেকে বড় সবার জন্য কিন্তু দই অনেক উপকারী একটা খাবার। সারাদিন রোজা রেখে আমাদের শরীরে ইলেকট্রোলাইটের যে ঘাটতি হয় তা একগ্লাস দইয়ের লাচ্ছি, মাঠা বা ঘোল পূরণ করতে সাহায্য করে।  যার জন্য সেহরির খাবার তালিকায় দই রাখতে বলা হয় সব সময়। কারণ দই আমাদের অল্প অল্প করে সারাদিন এনার্জি দিতে সাহায্য করে। সারাদিন রোজা রেখে যাদের ঘন ঘন পানির পিপাসা লাগে তারা অবশ্যই সেহরি তে দই রাখবেন। দইয়ের শরবত খেলে আর ডিহাইড্রেশনের ভয় পেতে হবে না। এ ছাড়াও দই চিড়া, দই বড়া, দই দিয়ে ওটস, দই ভাত ও দই দিয়ে ফ্রুট সালাদও খেতে পারেন যা শুধু পেট ঠান্ডা রাখবে না পাশাপাশি দিবে নানান স্বাস্থ্য উপকারিতাও। বাড়িতেই এই শরবত বানিয়ে ফেলুন সহজ উপায়ে। জেনে নিন রেসিপি- যা যা লাগবে:  টক দই চার কাপ, একটা কাঁচামরিচ, ৫-৬টা পুদিনা পাতা, ২ টেবিল চামচ চিনি, পরিমাণমতো লবণ ও অল্প ঠান্ডা পানি। তৈরি করবেন যেভাবে:  প্রথমে একটি ব্লেন্ডার বা মিক্সারে টক দইয়ের সঙ্গে কাঁচামরিচ ও পুদিনা পাতা নিন। এবার উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে তাতে চিনি ও লবণ দিয়ে দিন। এবার মিশ্রণটি একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে ঠান্ডা করে নিন কিছুক্ষণ। চাইলে ফ্রিজেও রাখতে পারেন। এবার ফ্রিজ থেকে বের করে তাতে অল্প ঠান্ডা পানি মিশিয়ে ভালো করে গুলে নিন। পরিবেশনের আগে চাইলে ওপর থেকে অল্প ভাজা মশলা ছড়িয়ে দিতে পারেন। এতে স্বাদটা দারুণ আসবে। টক দইয়ের শরবত নিয়মিত খেলে পেট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কমে। গরমে শরীরে পানি কমে যায়, যার সেরা সমাধান টক দই।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০০

রোজায় পান করবেন যে ধরনের শরবত ও পানীয়
রোজা রেখে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। যেহেতু রোজায় লম্বা সময় ধরে পানি না খেয়ে থাকা হয়, সেহেতু পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পানি ও পানীয় গ্রহণের পাশাপাশি পানি জাতীয় সবজিও খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এতে সারাদিন শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। ইফতারে যে ধরনের পানীয় শরীরের জন্য উপকারী : পানি : স্বাস্থ্যকর পানীয়র মধ্যে প্রথমেই থাকবে সাদা পানি। চিনি, লবণ ছাড়া শুধু সাদা পানি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়। ইফতারের শুরুতেই সাদা পানি খান। আখের গুড়ের শরবত : পানির সঙ্গে আখের গুড় আর একটু লবণ মিশিয়ে শরবত তৈরি করা হলে এটি স্যালাইনের কাজ করে এবং রক্তের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে। লেবু পানি : পানি ও লেবুর সঙ্গে এক চিমটি পরিমাণ লবণ, বিট লবণ বা পিংক সল্ট মিশিয়ে পান করতে পারেন। চিনি দেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, চিনি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই লেবু পানিও চমৎকারভাবে শরীরের ইলোকট্রোলাইট ব্যালান্স করতে সাহায্য করবে। সারাদিনে শরীরে যে ভিটামিন সি’র ঘাটতি তৈরি হয়, সেটিও পূরণ করবে এটি। ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ হলে রোজার মাসে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি হওয়ার ঝুঁকি একটু কমে যাবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ফলের রস: বাসায় যেকোনো সতেজ ফলের জুস তৈরি করে খেতে পারেন। ফলের রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এবং ভিটামিন ও মিনারেলসে ভরপুর। এই ফলের রসের মধ্যে ইসবগুল, তোকমা, চিয়াসিড যোগ করে খাওয়া হলে তখন সেটি ফাইবার সমৃদ্ধ পানীয় হবে। এ ধরনের পানীয় শরীরকে দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।  ডাবের পানি: রোজার সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থেকে কাজ করার ফলে ঘাম হয়। ফলে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়। ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে মিনারেলস সমৃদ্ধ পানীয়। ইফতারে এক গ্লাস ডাবের পানি খেলে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স হবে।   মিল্কশেক : দুধ দিয়ে তৈরি করা যেকোনো শেক ইফতারে খেতে পারেন। এতে মেশাতে পারেন খেজুর, বাদাম, পেঁপে বা পছন্দের যেকোনো ফল। গাজরের জুস: বিশেষ করে বাচ্চা ও বয়স্ক যারা রোজা রাখেন তাদের জন্য উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ পানীয় গাজরের জুস। গাজরের জুস বা স্মুদিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে।হারবাল টি: ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত এক বা দুই কাপ হারবাল টি খেতে পারেন। গ্রিন টি, তুলসি টি ইত্যাদি হতে পারে। এগুলো খাবার হজম করতে সাহায্য করবে। ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করা হলে বিএমআর বাড়িয়ে সেই ফ্যাটকে দ্রুত বার্ন করতে সাহায্য করে এগুলো। আপেলের জুস: আপেল ভালোভাবে পরিষ্কার করে কেটে নিন। খোসা ও বিচি বাদ দেবেন। এবার আপেলের টুকরাগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড হয়ে গেলে ছেঁকে নিন যাতে শরবত পরিষ্কার দেখা যায়। পানি ও পরিমাণমতো চিনি মিশিয়ে আধা ঘণ্টার মতো ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর ফ্রিজ থেকে বের করে বরফ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন। ডালিমের জুস: ডালিমের খোসা ছাড়িয়ে রসালো বিচিগুলো বের করে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে দিয়ে রস বের করে নিন। এতে কিছু পানি এবং লেবুর রস দিয়ে মিশ্রিত করে নিন। রসে পরিমাণ মতো চিনি ও লবণ দিয়ে নেড়ে নিন। এরপর একটি জগে ছেঁকে নিয়ে ঠাণ্ডা করার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। ইফতারের সময় বের করে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন। বেলের শরবত: যাদের শরীর বেশি ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় তারা বেলের শরবত খাবেন। এটি খুবই উপকারী পানীয়। বেল যদি মিষ্টি না হয় তখন প্রয়োজনে চিনির বিকল্প উপাদান মিছরি, যষ্টিমধু, খেজুরের পাউডার, গুড় ইত্যাদি দিয়ে শরবত তৈরি করা যেতে পারে। এসব পানীয়তে চিনির বিকল্প উপাদান ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই পানীয় স্বাস্থ্যকর হবে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৬

ইফতারের জন্য বেলের শরবত ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন যেভাবে 
রমজানে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনি ক্লান্ত বোধ করেন। ইফতারে তাই পর্যাপ্ত ফল, ফলের রস ও শরবত খাওয়া জরুরি। এজন্য ইফতারিতে রাখতে পারেন বেলের শরবত। এটি হজমের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা সমস্যার সমাধান হিসেবে চমৎকার কাজ করে। কিন্তু যারা প্রতিদিন বেলের শরবত তৈরি করা ঝামেলা মনে করেন তারা চাইলে রোজার আগেই বেলের শরবত করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। তাহলে আর প্রতিদিন বেলের শরবত তৈরি করার ঝামেলা থাকবে না।  জেনে নিন সংরক্ষণের পদ্ধতি-  উপকরণ:  ১. বেল পরিমাণমতো ২. টকদই ১০০ গ্রাম ২. পানি ৩. বরফকুচি সামান্য ৪. চিনি পরিমাণমতো ৫. লবণ ও তেঁতুল সামান্য পদ্ধতি:  প্রথমে দুই থেকে তিনটি বেল নিন। এবার পরিমাণমতো পানি দিয়ে বেল ভালো করে চটকে ছেঁকে নিন। এরপর সুবিধামত ছোট-ছোট বা বড় বোতলে বেলের শরবত ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন।  এবার ইফতারের কিছুক্ষণ আগে ফ্রিজ থেকে বোতল নামিয়ে রেখে দিন। এবার তেঁতুল অল্প পানিতে ভিজিয়ে কাঁথ বের করে নিন। এরপর বেলের মধ্যে টকদই, লবণ, চিনি ও তেঁতুলের কাঁথ ভালো করে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল দারুন স্বাদের স্বাস্থ্যকর বেলের শরবত। বরফকুচি দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়